
মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে যমুনা নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার দুদিন পর বর্ষা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছে ১০ বছরের শিশু লামিয়া খাতুন।
শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকায় নদীতে বর্ষার মরদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে।
দৌলতপুর থানা-পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১১ জুন দুপুর ২টার দিকে যমুনা নদীতে গোসল করতে নামেন ছয়জন। একপর্যায়ে পানির স্রোতে তারা ডুবে যান। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করেন। তবে নিখোঁজ হন বর্ষা ও লামিয়া।
বর্ষা দৌলতপুরের বাচামারা পূর্ব পাড়া গ্রামের মো. আব্দুল বয়াতির মেয়ে। তিনি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
লামিয়া একই গ্রামের মো. রাহেজ বয়াতির মেয়ে।
এর আগে খবর পেয়ে গত বুধবার (১১ জুন) বিকেলে আরিচা স্থল কাম নদী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নিখোঁজ দুজনকে উদ্ধারে কাজ শুরু করলেও কারও সন্ধান পাওয়া যায়নি। এর পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যমুনা নদীর বাচামারা পূর্বপাড়ায় অভিযান চালায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
স্থানীয় বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খবরের কাগজকে বলেন, ‘স্থানীয়রা বর্ষার মরদেহ উদ্ধারের পর পরিবারের সদস্যরা শনাক্ত করেন।’
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এআরএম আল-মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘নদীতে ডুবে নিখোঁজ হওয়া তরুণীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ নেই। পরিবারের সদস্যরা বর্ষার মরদেহ বাড়িতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
আসাদ/পপি/