ঢাকা ১ শ্রাবণ ১৪৩২, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
English

নার্স-আয়া দিয়ে ডেলিভারি, নবজাতকের মৃত্যু অভিযোগ

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ১০:৪৩ পিএম
নার্স-আয়া দিয়ে ডেলিভারি, নবজাতকের মৃত্যু অভিযোগ
ছবি: খবরের কাগজ

নাটোরের লালপুর উপজেলার এক বেসরকারি হাসপাতালে নার্স ও আয়া দিয়ে ডেলিভারী করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ডাক্তার না থাকায় অনভিজ্ঞ ওই নার্স, আয়াদের কারণে নবজাতক গলা, মাথা ও বুকে গুরুতর জখম প্রাপ্ত হয় বলেও অভিযোগে জানা যায়। শিশুটির অবস্থা শঙ্কটাপন্ন হওয়ায় তাকে তড়িঘড়ি করে রাজশাহী মেডিকেলে পাঠানো হয়। পরদিন সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নবজাতকটি মারা যায়।

ওই ঘটনায় ওই বেসরকারী হাসপাতালের তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন শিশুহারা মা।

ভুক্তভোগী ওই শিশুর মায়ের নাম জাহানারা খাতুন (৩১)। তিনি দক্ষিণ লালপুর এলাকার ফয়সাল খানের স্ত্রী। পুলিশ বলছে, ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অপরদিকে স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, ওই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।

ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগে জানা যায়, গত ১৯ জুন বিকেল ৪টার দিকে জাহানারা খাতুনকে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় লালপুর পৌর এলাকার পদ্মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়। আগে থেকেই তিনি ডা. ফারজানা ইসলাম বিভার অধীনে চিকিৎসাধীন থাকলেও তার নরমাল ডেলিভারির পক্ষে মত দেন স্বজনরা। রাত পৌনে ৯টার দিকে প্রসব ব্যথা বাড়লে উপস্থিত নার্স ও আয়া মিলেই ডেলিভারি করান। জিন্তু কোনো চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন না। 

শিশুর মা ও স্বজনদের দাবি, ডেলিভারির পরপরই নবজাতকের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। কিন্তু চিকিৎসক না থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে ব্যর্থ হয়ে শিশুটিকে রাজশাহীর একটি হাসপাতালে পাঠায়। পরের দিন শিশুটি মারা যায়। 

স্বজনদের অভিযোগ, নার্স ও আয়া দিয়ে ডেলিভারির সময় নবজাতকের গলা, মাথা ও বুকে গুরুতর জখম হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলাই শিশুটির মৃত্যুর জন্য দায়ী বলে তারা দাবি করেন। 

ওই ঘটনায় রবিবার রাত ১১টার দিকে নবজাতকের মা লালপুর থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ওই ক্লিনিকের পরিচালক সুলতানুজ্জামান টিপু সোমবার বিকালে জানান, শিশুটির জন্মের পর অনেক চেষ্টা করেও কাঁদানো যায়নি। তাছাড়া ওজনও ছিল কম। এমন অবস্থায় শিশুটিকে রামেকে পাঠানো হয়। 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, শিশুর স্বজনরা নরমাল ডেলিভারি করাতে চাওয়ায় ডাক্তার বাসায় গিয়েছিলেন। তবে শিশুর শরীরে আঘাত বা জখমের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।

লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুজ্জামান অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নাটোর সিভিল সার্জন মুক্তাদীর আরেফিন জানান, মঙ্গলবার ওই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কামাল মৃধা/মাহফুজ

 

কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৭:০৬ পিএম
কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ
ছবি: খবরের কাগজ

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ শেষে ফেরার পথে কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়িবহরে হামলার প্রতিবাদে কুমিল্লায় মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। তাদের এই অবরোধ কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে অংশ নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরাও।

বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৫টা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার কোটবাড়ী বিশ্বরোড এলাকায় আধা ঘণ্টারও বেশি সময় সড়ক অবরোধ করেন তারা। এতে মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। আটকা পড়ে শত শত যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক ও প্রাইভেট কার। দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।

আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করে বলেন, গোপালগঞ্জে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ শেষে ফেরার পথে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয় এনসিপি নেতাদের ওপর। যার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মহাসড়ক ব্লকেড কর্মসূচি পালন করা হয়।

কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় যুব শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক মাজহারুল ইসলাম হানিফ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা জেলার আহ্বায়ক সাকিব হোসেন, কুমিল্লা মহানগর আহ্বায়ক আবু রায়হান, সদস্য সচিব রাশেদুল হাসান, জাতীয় নাগরিক পার্টির শ্রমিক উইংসের জেলা আহ্বায়ক ফজলে এলাহী রুবেলসহ অন্যান্য নেতারা।

এ বিষয়ে মাজহারুল ইসলাম হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার বিপ্লবের মহানায়কদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। অবিলম্বে এনসিপির নেতৃবৃন্দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নিষিদ্ধ আওয়ামী সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেপ্তার করতে হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগরীর আহ্বায়ক আবু রায়হান বলেন, গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতৃবৃন্দ শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ করে ফেরার পথে নিষিদ্ধ সংগঠনের সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে। এর প্রতিবাদে আমারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছিলাম। আধা ঘণ্টারও বেশি সময় অবরোধ করার পরে আমরা জানতে পারি আমাদের নেতৃবৃন্দ নিরাপদে সেখান থেকে সরে এসেছেন, তাই আমরা মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিয়েছি।

জহির শান্ত/মাহফুজ

গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে সিলেটে এনসিপির ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫৪ পিএম
গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে সিলেটে এনসিপির ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি
ছবি: খবরের কাগজ

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে হামলার প্রতিবাদে সারা দেশে ডাকা ব্লকেড কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেটেও কর্মসূচি পালন করেছে দলের নেতাকর্মীরা। বুধবার (১৬ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে সিলেট নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্টে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করে সাড়ে ৫টায় মিছিল সহকারে চন্ডিপুলের দিকে যাত্রা করেনে এনসিপির নেতাকর্মীরা।

বিকেল পৌনে ৬টার দিকে চন্ডিপুল এলাকায় সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী। এসময় আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ বিরোধী স্লোগানে দিতে থাকেন তারা।

পরে ৬টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করে মহাসড়কের পাশে অবস্থান নেন তারা। এসময় এনসিপির একজন নেতা জানান, গোপালগঞ্জ থেকে এনসিপির শীর্ষ নেতারা নিরাপদ অবস্থানে যেতে পারায় জনভোগান্তিমূলক কর্মসূচি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে কেন্দ্র থেকে নতুন কোনো নির্দেশনা আসলে আমরা সে অনুযায়ী কর্মসূচি চালিয়ে যাবে।

শাকিলা ববি/মাহফুজ

মুন্সীগঞ্জে ব্লকেড কর্মসূচি, পদ্মা সেতুতে যান চলাচল বন্ধ

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৬:৩৯ পিএম
মুন্সীগঞ্জে ব্লকেড কর্মসূচি, পদ্মা সেতুতে যান চলাচল বন্ধ
ছবি: খবরের কাগজ

গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রা ও সভায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি আহব্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এর অংশ হিসেবে তাৎক্ষণিক ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে পদ্মা সেতুর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতু উত্তর থানা সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নিয়ে দক্ষিণবঙ্গমুখী যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় স্থানীয় জাতীয় নাগরিক পার্টি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। 

এতে সেতুতে প্রায় ৫০ মিনিট যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে নেতাকর্মীরা সন্ধ্যা ৬টার দিকে মহাসড়ক থেকে সরে গিয়ে মহাসড়কের পাশে অবস্থান নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কর্মসূচির ঘোষণা করার পর বিকাল ৫টার দিকে তারা পদ্মা সেতু উত্তর থানা সংলগ্ন এলাকায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের দক্ষিণবঙ্গমুখী লেনে অবস্থান নেয়। এতে যান চলাচল বিঘ্নিত হতে থাকে। পরে বিকাল ৫টা ১৫ মিনিটের দিকে দক্ষিণ ওই সড়ক হয়ে পদ্মা সেতুতে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়ে দক্ষিণবঙ্গের যাত্রীরা। পরে ৬টা ১০ টার দিকে আন্দোলনকারীরা মহাসড়ক থেকে সরে গিয়ে মহাসড়কের পাশে অবস্থান নেয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী সদস্য ইব্রাহিম নিরব জানান, মানুষের ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনায় ব্লকেড প্রত্যাহার করে মহাসড়কের পাশে অবস্থান নিয়েছে নেতাকর্মীরা। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করবেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে পদ্মা সেতুর উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন জানান, প্রায় ৫০ মিনিট দক্ষিণবঙ্গমুখী যান চলাচল বন্ধ ছিল। আন্দোলনকারীরা মহাসড়ক থেকে সরে যাওয়ায় এখন যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

মঈনউদ্দিন আহমেদ ‍সুমন/মাহফুজ

 

পিরোজপুরে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৬:১৮ পিএম
পিরোজপুরে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুরের নাজিরপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনার ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে পিরোজপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মজিবুর রহমান এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। তবে মামলা থেকে ২ জনকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত। 

সাজা প্রাপ্তরা হলেন- পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার মধ্য হোগলাবুনিয়া গ্রামের হাতেম আলী শেখ (৬৬), তার দুই ছেলে মাজেদুল ইসলাম ডালিম (৪১) ও সেলিম শেখ (৪৬) এবং মো. জাহাঙ্গীর শেখ (৫১)। তবে মামলা চলাকালীন মারা গেছেন হাতেম আলী। 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৭ ডিসেম্বর জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার মধ্য হোগলাবুনিয়া গ্রামের বাদশা শেখ বাড়ি থেকে ধান নিয়ে অন্যত্র শুকানোর জন্য যাওয়ার পথে তার উপর হামলা করে প্রতিপক্ষের ১৪-১৫ জন লোক। হামলাকারীরা তাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এছাড়া বাদশাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করতে বাধা দেয় হামলাকারীরা। পরবর্তী সময়ে নাজিরপুর থানা পুলিশের সহায়তায় বাদশাকে স্বজনরা নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরেরদিন মারা যায় বাদশা। এ ঘটনায় নিহত বাদশার স্ত্রী আকলিমা বেগম বাদী হয়ে ওই দিন ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৩-৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে নাজিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। 

এ ঘটনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ৬ জনকে অভিযুক্ত করে পরের বছর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। তবে আদালত মামলা থেকে হাতেম আলীর স্ত্রী সেফালি বেগম (৫৬) এবং জাহাঙ্গীরের স্ত্রী হাসি বেগমকে (৩৮) অব্যাহতি প্রদান করেন। 

রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

হাসিবুল ইসলাম হাসান/মাহফুজ

 

জয়পুরহাটে বজ্রপাতে প্রাণ গেল কলেজছাত্রের

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩৫ পিএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩৫ পিএম
জয়পুরহাটে বজ্রপাতে প্রাণ গেল কলেজছাত্রের
ছবি: খবরের কাগজ

জয়পুরহাটে ফসলের মাঠে কাজ করতে গিয়ে আব্দুল হান্নান জাফর (২৪) নামে এক কলেজছাত্র বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন। 

বুধবার (১৬) জুলাই দুপুর দুইটার দিকে ক্ষেতলাল উপজেলার আমিড়া গ্রামের ফসলের মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন।

নিহত আব্দুল হান্নান জাফর ক্ষেতলাল উপজেলার আমিড়া গ্রামের হাফিজার রহমানের ছেলে। জাফর আক্কেলপুর এম.আর ডিগ্রি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

স্থানীয়রা জানায়, কলেজছাত্র আব্দুল হান্নান জাফর আমন ধানের চারা রোপণের জন্য মাঠের জমি প্রস্তুত করছিলেন। এ সময় বৃষ্টিপাত শুরু হলে হঠাৎ বজ্রপাতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

সাগর কুমার/সুমন/