ঢাকা ১ শ্রাবণ ১৪৩২, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
English

খুলনায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান, জনমনে স্বস্তি

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৯:৩৮ এএম
খুলনায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান, জনমনে স্বস্তি

খুলনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির মধ্যে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সক্রিয় হয়েছে যৌথ বাহিনী। গত দুই সপ্তাহে পরপর কয়েকটি বড় অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের খবরে স্বস্তি ফিরছে জনমনে। বিশ্লেষকরা অস্ত্র উদ্ধারের অভিযানে ধারাবাহিকতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে ছাড় পাচ্ছেন না রাজনৈতিক দল ও অঙ্গসংগঠনের নেতারাও। চাপের মুখে আত্মগোপনে যেতে শুরু করেছে সন্ত্রাসীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যৌথ বাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানের মুখে দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে রয়েছে খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবু। ৮ জুন রাতে নগরীর সামছুর রহমান রোডে তার বাড়িতে অভিযান চালান যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। সেখান থেকে বৈদেশিক মুদ্রা, পাইপগানসহ কয়েক রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়। এ সময় ওই বাড়ি থেকে আব্দুর রহমান, ইদ্রিস গাজী ও গ্রেনেড বাবুর বাবা জোনায়েদ চৌধুরী মিন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদিকে ২২ জুন রাতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ সালাউদ্দিন মোল্লা বুলবুল, তৌহিদুর রহমান তৌহিদসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। টুটপাড়া তালতলা মেইন রোড থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি, একটি রিভলভার, একটি শটগান, চার রাউন্ড কার্তুজ, তিনটি রামদা, দুটি চাইনিজ কুড়াল, তিনটি চাপাতি, ১৭০ গ্রাম গান পাউডার, ১০৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারদের মধ্যে রাজনৈতিক দল ও অঙ্গসংগঠনের নেতারাও ছিলেন।

এর আগে ১৮ জুন বিদেশি রিভলভার, গুলিসহ খুলনা সিটি কলেজের একটি ছাত্র সংগঠনের সদ্য সাবেক আহ্বায়ক রাজু আহমেদ ও ২৭০ পিস ইয়াবাসহ শরণখোলা ইউনিয়নের একটি ছাত্র সংগঠনের সাবেক সদস্যসচিব শামীম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তী সময়ে তাদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।

জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর সন্ত্রাসীরা এলাকায় ফিরে নতুন করে অপরাধ তৎপরতা শুরু করেছে। এলাকা নিয়ন্ত্রণ, আধিপত্য বিস্তার, পেশিশক্তির প্রদর্শন, চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে। পর পর কয়েকটি হামলা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার হওয়ায় নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। অবৈধ অস্ত্রের উৎস খুঁজতে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির তথ্য অনুযায়ী, খুলনা মহানগর ও জেলায় মে মাসে ১০টি হত্যা, ১৩টি ধর্ষণ, অস্ত্র আইনে পাঁচটি, নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় ২৩টিসহ মোট ৩২৪টি মামলা হয়, যা গত এপ্রিল মাসে হওয়া মামলার চেয়ে ১৫টি বেশি। 

খুলনা সদর থানার ওসি হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, ‘চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার কার্যক্রমে পুলিশ মাঠে সক্রিয় রয়েছে। খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকা করে তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হয়েছে। এরই মধ্যে অস্ত্রসহ কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছে।’ 

তবে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা খুলনার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক সময় পুলিশ অভিযান চালালেও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা যায় না। অজানা কারণে পুলিশ আসার আগেই তারা পালিয়ে যায়। আত্মগোপনে থেকে সন্ত্রাসীরা চাঁদাবাজি, খুন, মাদক কারবারের নিয়ন্ত্রণ করছে। সন্ত্রাসীদের কাছে অবৈধ অস্ত্রের ছড়াছড়ি জনমনে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে।’ তবে খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ ইমরান বলেন, ‘অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালাচ্ছে।’

 

সিরাজগঞ্জে খাদ্য বিষক্রিয়ায় ভাই-বোনের মৃত্যু

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৮:৪২ পিএম
সিরাজগঞ্জে খাদ্য বিষক্রিয়ায় ভাই-বোনের মৃত্যু
ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে কাঁঠাল ও মুড়ি খেয়ে খাদ্য বিষক্রিয়া হয়ে বাকি বিল্লাহ (৫) ও আছিয়া খাতুন (৪) নামে ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (১৬ জুলাই ) দুপুরে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের মামুদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহতদের পিতা নুরুল হক স্থানীয় তাঁত কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন। 

স্থানীয়রা জানান, বুধবার দুপুরে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে কাঠাল-মুড়ি খায় শিশু বাকি বিল্লাহ ও আছিয়া খাতুন। তবে খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে পর্যায়ক্রমে দুই শিশুই ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পরে। পরে অসুস্থ অবস্থায় শিশুদের খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক ভাই-বোনকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এ বিষয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. জুলফিকার আলী জানান, খাদ্য বিষক্রিয়া হয়ে দুই ভাই বোনের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। শিশু দুটির মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

সিরাজুল ইসলাম/সুমন/

কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৭:০৬ পিএম
কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ
ছবি: খবরের কাগজ

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ শেষে ফেরার পথে কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়িবহরে হামলার প্রতিবাদে কুমিল্লায় মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। তাদের এই অবরোধ কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে অংশ নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরাও।

বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৫টা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার কোটবাড়ী বিশ্বরোড এলাকায় আধা ঘণ্টারও বেশি সময় সড়ক অবরোধ করেন তারা। এতে মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। আটকা পড়ে শত শত যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক ও প্রাইভেট কার। দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।

আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করে বলেন, গোপালগঞ্জে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ শেষে ফেরার পথে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয় এনসিপি নেতাদের ওপর। যার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মহাসড়ক ব্লকেড কর্মসূচি পালন করা হয়।

কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় যুব শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক মাজহারুল ইসলাম হানিফ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা জেলার আহ্বায়ক সাকিব হোসেন, কুমিল্লা মহানগর আহ্বায়ক আবু রায়হান, সদস্য সচিব রাশেদুল হাসান, জাতীয় নাগরিক পার্টির শ্রমিক উইংসের জেলা আহ্বায়ক ফজলে এলাহী রুবেলসহ অন্যান্য নেতারা।

এ বিষয়ে মাজহারুল ইসলাম হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার বিপ্লবের মহানায়কদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। অবিলম্বে এনসিপির নেতৃবৃন্দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নিষিদ্ধ আওয়ামী সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেপ্তার করতে হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগরীর আহ্বায়ক আবু রায়হান বলেন, গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতৃবৃন্দ শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ করে ফেরার পথে নিষিদ্ধ সংগঠনের সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে। এর প্রতিবাদে আমারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছিলাম। আধা ঘণ্টারও বেশি সময় অবরোধ করার পরে আমরা জানতে পারি আমাদের নেতৃবৃন্দ নিরাপদে সেখান থেকে সরে এসেছেন, তাই আমরা মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিয়েছি।

জহির শান্ত/মাহফুজ

গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে সিলেটে এনসিপির ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫৪ পিএম
গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে সিলেটে এনসিপির ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি
ছবি: খবরের কাগজ

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে হামলার প্রতিবাদে সারা দেশে ডাকা ব্লকেড কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেটেও কর্মসূচি পালন করেছে দলের নেতাকর্মীরা। বুধবার (১৬ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে সিলেট নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্টে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করে সাড়ে ৫টায় মিছিল সহকারে চন্ডিপুলের দিকে যাত্রা করেনে এনসিপির নেতাকর্মীরা।

বিকেল পৌনে ৬টার দিকে চন্ডিপুল এলাকায় সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী। এসময় আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ বিরোধী স্লোগানে দিতে থাকেন তারা।

পরে ৬টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করে মহাসড়কের পাশে অবস্থান নেন তারা। এসময় এনসিপির একজন নেতা জানান, গোপালগঞ্জ থেকে এনসিপির শীর্ষ নেতারা নিরাপদ অবস্থানে যেতে পারায় জনভোগান্তিমূলক কর্মসূচি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে কেন্দ্র থেকে নতুন কোনো নির্দেশনা আসলে আমরা সে অনুযায়ী কর্মসূচি চালিয়ে যাবে।

শাকিলা ববি/মাহফুজ

মুন্সীগঞ্জে ব্লকেড কর্মসূচি, পদ্মা সেতুতে যান চলাচল বন্ধ

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৬:৩৯ পিএম
মুন্সীগঞ্জে ব্লকেড কর্মসূচি, পদ্মা সেতুতে যান চলাচল বন্ধ
ছবি: খবরের কাগজ

গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রা ও সভায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি আহব্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এর অংশ হিসেবে তাৎক্ষণিক ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে পদ্মা সেতুর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতু উত্তর থানা সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নিয়ে দক্ষিণবঙ্গমুখী যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় স্থানীয় জাতীয় নাগরিক পার্টি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। 

এতে সেতুতে প্রায় ৫০ মিনিট যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে নেতাকর্মীরা সন্ধ্যা ৬টার দিকে মহাসড়ক থেকে সরে গিয়ে মহাসড়কের পাশে অবস্থান নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কর্মসূচির ঘোষণা করার পর বিকাল ৫টার দিকে তারা পদ্মা সেতু উত্তর থানা সংলগ্ন এলাকায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের দক্ষিণবঙ্গমুখী লেনে অবস্থান নেয়। এতে যান চলাচল বিঘ্নিত হতে থাকে। পরে বিকাল ৫টা ১৫ মিনিটের দিকে দক্ষিণ ওই সড়ক হয়ে পদ্মা সেতুতে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়ে দক্ষিণবঙ্গের যাত্রীরা। পরে ৬টা ১০ টার দিকে আন্দোলনকারীরা মহাসড়ক থেকে সরে গিয়ে মহাসড়কের পাশে অবস্থান নেয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী সদস্য ইব্রাহিম নিরব জানান, মানুষের ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনায় ব্লকেড প্রত্যাহার করে মহাসড়কের পাশে অবস্থান নিয়েছে নেতাকর্মীরা। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করবেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে পদ্মা সেতুর উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন জানান, প্রায় ৫০ মিনিট দক্ষিণবঙ্গমুখী যান চলাচল বন্ধ ছিল। আন্দোলনকারীরা মহাসড়ক থেকে সরে যাওয়ায় এখন যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

মঈনউদ্দিন আহমেদ ‍সুমন/মাহফুজ

 

পিরোজপুরে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৬:১৮ পিএম
পিরোজপুরে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুরের নাজিরপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনার ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে পিরোজপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মজিবুর রহমান এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। তবে মামলা থেকে ২ জনকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত। 

সাজা প্রাপ্তরা হলেন- পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার মধ্য হোগলাবুনিয়া গ্রামের হাতেম আলী শেখ (৬৬), তার দুই ছেলে মাজেদুল ইসলাম ডালিম (৪১) ও সেলিম শেখ (৪৬) এবং মো. জাহাঙ্গীর শেখ (৫১)। তবে মামলা চলাকালীন মারা গেছেন হাতেম আলী। 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৭ ডিসেম্বর জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার মধ্য হোগলাবুনিয়া গ্রামের বাদশা শেখ বাড়ি থেকে ধান নিয়ে অন্যত্র শুকানোর জন্য যাওয়ার পথে তার উপর হামলা করে প্রতিপক্ষের ১৪-১৫ জন লোক। হামলাকারীরা তাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এছাড়া বাদশাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করতে বাধা দেয় হামলাকারীরা। পরবর্তী সময়ে নাজিরপুর থানা পুলিশের সহায়তায় বাদশাকে স্বজনরা নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরেরদিন মারা যায় বাদশা। এ ঘটনায় নিহত বাদশার স্ত্রী আকলিমা বেগম বাদী হয়ে ওই দিন ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৩-৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে নাজিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। 

এ ঘটনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ৬ জনকে অভিযুক্ত করে পরের বছর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। তবে আদালত মামলা থেকে হাতেম আলীর স্ত্রী সেফালি বেগম (৫৬) এবং জাহাঙ্গীরের স্ত্রী হাসি বেগমকে (৩৮) অব্যাহতি প্রদান করেন। 

রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

হাসিবুল ইসলাম হাসান/মাহফুজ