
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর ভারী বৃষ্টিপাতে গত চার দিন ধরে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ সময়ে যমুনার পানি সিরাজগঞ্জের কাজীপুর মেঘাইঘাট পয়েন্টে ৩৬ সেন্টিমিটার ও শহর রক্ষা হার্ড পয়েন্টে ৩৫ সেন্টিমিটার বেড়েছে। এর ফলে নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলো প্লাবিত হতে শুরু করেছে।
জেলা সদর, কাজীপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর- এই পাঁচটি উপজেলার চরাঞ্চলের গ্রামগুলোর ফসলি জমি প্লাবিত হতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমি।
গতকাল সোমবার সকাল ৬টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা হার্ড পয়েন্টে যমুনার পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ১৯ মিটার। গত রবিবার সকাল ৬টা থেকে গতকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২৭১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত রবিবার এই পয়েন্টে যমুনার পানি বেড়েছে ১৪ সেন্টিমিটার, গত শনিবার বেড়েছে ৮ সেন্টিমিটার ও গত শুক্রবার এই পয়েন্টে যমুনার পানি বেড়েছে ৩ সেন্টিমিটার। চার দিনে বেড়েছে ৩৫ সেন্টিমিটার।
অন্যদিকে কাজীপুর মেঘাইঘাট পয়েন্টে পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৯২ মিটার। গতকাল এ পয়েন্টে নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২৮৮ সেন্টিমিটার নিচ প্রবাহিত হচ্ছে। গত রবিবার এই পয়েন্টে যমুনার পানি বেড়েছে ১৪ সেন্টিমিটার, গত শনিবার পানি বেড়েছে ১০ সেন্টিমিটার ও গত শুক্রবার এই পয়েন্টে যমুনার পানি বেড়েছে ৩ সেন্টিমিটার। আর চার দিনে বেড়েছে ৩৬ সেন্টিমিটার।
এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী নদীবন্দর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, আগামীকাল (বুধবার) পর্যন্ত সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে পানি বাড়তে পারে। আকাশের মেঘগুলো দেশের উত্তরের দিকে যাচ্ছে এবং বৃষ্টিপাত বাড়ছে। যে কারণে উজানের পানির কারণে নদ-নদীর পানি বাড়বে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চার দিন ধরে সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আরও কয়েক দিন নদীর পানি বাড়তে পারে। পানি বাড়লেও বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ কারণে বন্যার কোনো শঙ্কা নেই। তবে বন্যা মোকাবিলা ও নদীভাঙন রোধে সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।