
বৈঠকের সময় পেছানোর প্রতিবাদে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতালের অপটোমেট্রি বিভাগের শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের রুমে তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করেছেন।
সোমবার (২৩ জুন) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত তারা শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ সময় অংশ নেন ১২০ জনের বেশি শিক্ষার্থী।
এর আগে গত ১৯ জুন পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতাল ক্যাম্পাসেই চার দফা দাবিতে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। সেদিন চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ইনস্টিটিউট অব কমিউনিটি অথার্মোলজি অধ্যাপক খুরশিদ আলম, হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. রাজিব হোসাইন এবং গভর্নিংবডির সদস্য ডা. তারেক উপস্থিত হয়ে আগামী বুধবার গভর্নিংবডির মিটিংয়ে বিষয়টি আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, তারা সোমবার ক্যাম্পাসে এসে জানতে পারেন বৈঠকটি বুধবার না হয়ে আগামী ২৮ জুন শনিবার অনুষ্ঠিত হবে। তাই ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা।
চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালের অপটোমেট্রি বিভাগের ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সাব্বির মিয়া খবরের কাগজকে বলেন, ‘অপটোমেট্রি বিভাগটি দন্তচিকিৎসক, ফিজিওথেরাফি বা ফার্মেসির মতোই মেডিকেল সায়েন্সের একটি শাখা। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এ শাখার স্বীকৃতি রয়েছে। বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে অপটোমেট্রিস্টদের প্রাথমিক চক্ষু সেবাদানকারী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এতদিন অপটোমেট্রি বিভাগটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের অধীনে ছিল। কিন্তু সম্প্রতি চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ওই কোর্স চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদ থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব হেল্থ টেকনোলজির অধীনে চলে যায়। এ কারণেই আমাদের আন্দোলন।’
শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে:
১. প্রসপেক্টাসে উল্লিখিত ‘অপটোমেট্রি ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্র্যাকটিস’ সুবিধা পুনর্বহাল করা।
২. চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদে অন্তর্ভুক্তকরণ অথবা স্বতন্ত্র অপটোমেট্রি ফ্যাকাল্টি গঠন করা।
৩. এক বছরের ইন্টার্নশিপ নিশ্চিত করা এবং কারিকুলাম নম্বর পুনর্বিন্যাস করে আন্তর্জাতিক মানসম্মত করা।
৪. দ্বিতীয় বর্ষ থেকেই ক্লিনিক্যাল পোস্টিং নিশ্চিত করা।