ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
English

ধর্ষণে অন্ত:সত্ত্বা পুত্রবধূ, শ্বশুরের যাবজ্জীবন

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৭:৩৭ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫, ০৯:৪০ পিএম
ধর্ষণে অন্ত:সত্ত্বা পুত্রবধূ, শ্বশুরের যাবজ্জীবন
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত গণি খাঁ

ফরিদপুরে ছেলে বিদেশে থাকাকালীন অবস্থায় নিজ পুত্রবধূকে ধর্ষণের দায়ে শ্বশুরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 

সাজাপ্রাপ্ত গণি খাঁ (৫০) নগরকান্দা উপজেলার গোয়াইলপোতা গ্রামের বাসিন্দা।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় গণি খাঁ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ওই গৃহবধূর স্বামী প্রবাসে থাকাকালে ২০১৯ সালের ২০ এপ্রিল শ্বশুর তাকে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে ওই নারী অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে একই বছরের ২৮ জুন নগরকান্দা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ওই গৃহবধূর ভগ্নিপতি।

ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন জানান, দীর্ঘ সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিচারক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

সঞ্জিব/মেহেদী

দাউদকান্দিতে শাপলা তুলতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩২ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩৬ পিএম
দাউদকান্দিতে শাপলা তুলতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
ছবি: খবরের কাগজ

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বাড়ির পাশে পুকুরে শাপলা তুলতে গিয়ে জান্নাত আক্তার (৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। 

বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে উপজেলার পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের উত্তর হাসানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

জান্নাত আক্তার ওই গ্রামের মো. আমির হোসেনের মেয়ে।

পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের সূত্রে জানা গেছে, সকালে স্কুল থেকে বাড়িতে গিয়ে পোশাক বদলে জান্নাত অন্য শিশুদের সঙ্গে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে শাপলা ফুল তোলার জন্য পানিতে নামে। এ সময় জান্নাত সাঁতার না জানায় পুকুরের পানিতে তলিয়ে যায়। অন্য শিশুরা বাড়ি ফিরে ঘটনাটি সবাইকে জানালে স্থানীয়রা জান্নাতকে উদ্ধার করতে  ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে জান্নাতকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

লিটন সরকার বাদল/মৌসুমী/

চট্টগ্রামে চাঁদা না পেয়ে মব সৃষ্টি করে অধ্যক্ষকে মারধর

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩১ পিএম
চট্টগ্রামে চাঁদা না পেয়ে মব সৃষ্টি করে অধ্যক্ষকে মারধর
চাঁদা না পেয়ে মব সৃষ্টি করে অধ্যক্ষকে মারধরের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে আটক দুইজন। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামে চাঁদা না পেয়ে মব সৃষ্টি করে একটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। জেলার চান্দগাঁও থানা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরিচয়ধারী রায়হানুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। রায়হান বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ানের অনুসারী বলে জানা গেছে।

বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে দুইজনকে আটক করলেও পরবর্তীতে বিষয়টি সমঝোতা হওয়ায় তাদেরকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

ভুক্তভোগী ওই অধ্যক্ষের নাম- মো. আবদুল বাতেন। তিনি চট্টগ্রাম মহানগরের চান্দগাঁও এলাকায় ওয়াহিদ ইলেকট্রিশিয়ান্স ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন নামক প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগরের চান্দগাঁও এলাকায় র‌্যাব ৭ অফিসের পাশের বিল্ডিংয়ে ওয়াহিদ ফাউন্ডেশন পলিটেকনিক নামক প্রতিষ্ঠানটি অবস্থিত। অধ্যক্ষের কাছে চাঁদা দাবি ও তাকে মারধর করে প্রতিষ্ঠানটির গেটে তালা দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিয়ে অধ্যক্ষ লিখিত অভিযোগ দিলে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে চান্দগাঁও থানার টিম পৌঁছালে তাদের সামনেই ওই অধ্যক্ষকে মারধর করে রায়হান ও তার অনুসারীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পুলিশ। পরে ঘটনাস্থলে যান উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আমিরুল ইসলাম । মব সৃষ্টি ও চাঁদা দাবি করায় হাতেনাতে রায়হান ও তার এক সহযোগীকে আটক করা হয়।

পরে রাত সাড়ে বারোটার দিকে থানায় জড়ো হতে থাকে রায়হানের অনুসারীরা। পুলিশের ওপর চাপ প্রয়োগ করে থানা থেকে আসামিদের ছাড়ানোর চেষ্টা করে তারা। রাত দেড়টা পর্যন্ত ভুক্তভোগী অধ্যক্ষ আব্দুল বাতেন ও আটক দুই আসামি থানায় অবস্থান করছিলেন। নিরাপত্তাহীনতায় থাকা অধ্যক্ষ থানা ত্যাগ করার আগেই থানা ঘিরে ফেলে রায়হানের অনুসারীরা।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী অধ্যক্ষ আবদুল বাতেন বলেন, ‘এই চক্রটি আমার কাছ থেকে চাঁদা দাবি ও হুমকি দিয়ে আসছে। আমার প্রতিষ্ঠানের পাশেই র‌্যাব-৭ এর অফিস। আমি গতবছরের ৩০ নভেম্বর এ বিষয়ে র‌্যাবকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো সহযোগিতা পাইনি। সম্প্রতি তারা আমার কাছে আবারও চাঁদা দাবি করে। এই চাঁদার টাকা না পেয়ে তারা আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা উভয়পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করি। একপর্যায়ে সবার সঙ্গে আলোচনা শেষে বিষয়টির সমাধান হয়েছে। তাই আমরা আটক দুইজনকে ছেড়ে দিয়েছি।’

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে চীনা নাগরিকের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩১ পিএম
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে চীনা নাগরিকের মৃত্যু
ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুর বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ভূগর্ভে হাইড্রলিক জগের নিচে চাপা পড়ে চাইনিজ শিফট ম্যানেজার ওয়াং জিয়াং গুয়ো’র (৫৬) মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) খান মো. জাফর সাদিক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘গত মঙ্গলবার (৮ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে কয়লা খনির ভূগর্ভের নিচে এ দুর্ঘটনা ঘটে।’

বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এক্সএমজি-সিএমসি কনসোটিয়ামের অধীনে ওয়াং জিয়ান গুয়ো ভূগর্ভের ১৩০৫ নম্বর পেইজে কাজ করছিলেন। এ সময় ট্রাক গেট থেকে হাইড্রোলিক সাপোর্ট বের করার সময় অসাবধানতাবসত স্টিল রোপের সঙ্গে আটকে যায়। এতেই তিনি হাইড্রোলিক জগের নিচে চাপা পড়েন। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পার্বতীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘এই ঘটনায় পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। নিহত চীনা নাগরিকের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে করা হয়েছে।’

সুলতান/পপি/

মাগুরা শহরে জলাবদ্ধতায় ভোগান্তি

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫০ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৪:১২ পিএম
মাগুরা শহরে জলাবদ্ধতায় ভোগান্তি
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের চিত্র

মাগুরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন পৌর এলাকার বাসিন্দারা। জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই মেলেনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ও।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কলেজ রোডে অবস্থিত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রবেশমুখসহ পুরো চত্বরে পানি। ফলে অফিসের কর্মচারী ও সেবা নিতে আসা সবাইকে ময়লা পানির মধ্য দিয়েই যেতে হচ্ছে।

শুধু প্রশাসনিক ভবন নয় - কলেজপাড়া, স্টেডিয়ামপাড়া, পিটিআই, পারনান্দুয়ালী, নিজনান্দুয়ালী ও কাউন্সিল পাড়াসহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে জলাবদ্ধতা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পৌরসভার অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থাই এ দুর্ভোগের প্রধান কারণ। দীর্ঘদিন ধরে ড্রেন পরিষ্কার না হওয়ায় বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হতে পারছে না। কলেজপাড়ায় অনেক ঘরের মধ্যে উঠে যাচ্ছে পানি। পানিতে নষ্ট হচ্ছে ঘরের জিনিসপত্র। 

পৌরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ড্রেন সংস্কারের কাজ চলছে এবং সমস্যা সমাধানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।

শ্রাবণ/মৌসুমী/

নড়াইলে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে এএসআই ক্লোজ

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০২:৫৭ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:১১ পিএম
নড়াইলে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে এএসআই ক্লোজ
অভিযুক্ত এএসআই ইলিয়াস হোসেন

ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলা, মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগে করা মামলার আসামির থেকে ঘুষ নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে নড়াইলের লোহাগড়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ইলিয়াস হোসেনকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।

সোমবার (৭ জুলাই) রাতে ক্লোজ করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট লোহাগড়ায় ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলা, মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগে ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর লোহাগড়া থানায় ২৯৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৩০০-৩৫০ জনের নামে একটি মামলা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নড়াইল জেলা শাখার মূখ্য সংগঠক কাজী ইয়াজুর রহমান বাবু।

ওই মামলার এজাহারনামীয় আসামি লোহাগড়া উপজেলার এড়েন্দা এলাকার জিল্লুর রহমান।

পরে গত ৬ জুলাই ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে মামলার বাদী বাবু অভিযোগ করেন, 'এএসআই ইলিয়াস হোসেন ও তার দল আসামি জিল্লুর রহমানকে গ্রেপ্তারের পর অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছেন।

ওই পোস্টে ইয়াজুর রহমান লিখেছিলেন, তার করা মামলার আসামি জিল্লুর রহমানকে গত ৫ জুলাই রাতে এড়েন্দা থেকে গ্রেপ্তার করেন লোহাগড়া থানার (এএসআই) ইলিয়াস হোসেন ও তার দল। এ সময় ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই আসামিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। যার মধ্যে ৩০ হাজার নগদ পরিশোধ এবং ১০ হাজার টাকা বাকি রাখা হয়।

ইয়াজুর রহমান আরও লিখেন, 'লোহাগড়া থানার ওসি স্যারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, বাকি ১০ হাজার টাকা আমার এক পরিচিত ভাইয়ের কাছে রেখে গেছে আসামি, টাকাটা নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করছি।

এর পর তার পোস্টে পুলিশকে নিয়ে নানা সমালোচনামূলক মন্তব্য শুরু করেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে (এএসআই) ইলিয়াস হোসেন বলেন, 'একজন কনস্টেবলকে সঙ্গে নিয়ে আসামি জিল্লুর রহমানকে গ্রেপ্তার করতে তার বাড়িতে গিয়েছিলাম। কিন্তু বাড়িতে গিয়ে আমরা তাকে না পেয়ে ফিরে চলে এসেছি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সত্য নয়। আমি আল্লাহর কাছে এর বিচার দিয়ে রাখলাম।'

লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শরিফুল ইসলাম বলেন, 'অভিযোগ ওঠায় ওই এএসআইকে সোমবার রাতে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।

শরিফুল ইসলাম/মৌসুমী