ঢাকা ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

শাহবাগ থানা : টাকা দিতে না পারায় মামলায় ফাঁসাল পুলিশ!

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:০০ এএম
আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:১৯ পিএম
শাহবাগ থানা : টাকা দিতে না পারায় মামলায় ফাঁসাল পুলিশ!
ছবি: সংগৃহীত

ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টা। রাজধানীর শাহবাগ থানায় এসে পুলিশের কাছে আকুতি-মিনতি করছেন এক নারী তার স্বামীকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে তার স্বামী ডাব ব্যবসায়ী মো. তাওহীদ আহাদকে গ্রেপ্তার করে শাহবাগ থানা-পুলিশ। তাকে সন্ধ্যার পর গ্রেপ্তার করা হয়। 

রাত ১২টার দিকে তাওহীদের স্ত্রী বন্যা আক্তার এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমরা খুব গরিব মানুষ ভাই। কোনো প্রকার ঝামেলায় পড়তে চাই না। দিন আনি দিন খাই। দুই হাজার টাকার জন্য স্বামীকে ছাড়িয়ে নিতে পারছি না। মামলার হাত থেকে বাঁচাতে পারছি না। এটা ভয়ে কাউকে বলতেও পারছি না।’ 

তিনি জানান, ঢাকা মেডিকেলের সামনে ডাব বিক্রি করতেন তাওহীদ। সেখান থেকেই তাকে আটক করা হয়। তাকে ধরার পর রাতে এসআই মো. খালেক বাসায় চলে যান। বন্যাকে বলে যান থানার এক পুলিশের কাছ দুই হাজার টাকা দিলে তাওহীদকে ছেড়ে দেবেন। তবে বন্যা রাত ১২টা পর্যন্ত টাকার ব্যবস্থা করতে পারেননি। মনঃক্ষুণ্ন অবস্থায় তিনি যখন থানার সামনে পায়চারি করছেন তখন এক অপরিচিত লোক সদয় হয়ে তাকে এক হাজার টাকা দেন। 

সকালে বন্যার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বন্যা ওই টাকা খালেকের দেখানো পুলিশকে দেন এবং বাকি এক হাজার টাকা সকালে ব্যবস্থা করে দেবেন বলে জানান। কিন্তু সেই পুলিশ সদস্য এক হাজার টাকা বাকি থাকায় ছাড়তে রাজি হননি। পরে বন্যা সকালে তার মায়ের কাছে গিয়ে এক হাজার টাকা নিয়ে থানায় আসেন। কিন্তু এর মধ্যে তার স্বামীকে পুলিশ আদালতে নিয়ে যায়। পুলিশ তাদের জানায়, যেহেতু আপনারা গরিব মানুষ, এ জন্য দুই হাজার টাকা দিলে ছোট মামলা দিয়েই তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। আদালতে উকিল ধরলেই তিনি ছাড়া পাবেন বলে আশ্বস্ত করেন। 

এসব বিষয়ে জানতে গতকাল দুপুরে বন্যার মোবাইলে কল দিলে তার মা শিল্পী বেগম ধরেন। তিনি জানান, দুই হাজার টাকা পুলিশকে দেওয়ার পরও তার মেয়ের জামাই তাওহীদকে পুলিশ আদালতে পাঠিয়েছে। বন্যা আদালতে আছে। মোবাইল রেখে গেছে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই মো. খালেক খবরের কাগজকে বলেন, ‘তাওহীদ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ঠিকই- তবে তার স্ত্রী বন্যার কাছে আমি কোনো টাকা চাইনি। ঢাকা মেডিকেলের সামনে থেকে ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া তাকে গ্রেপ্তার করে আমার কাছে ফরোয়ার্ড করেন।’ 

তার স্ত্রী বন্যার কাছে আপনি দুই হাজার টাকা চেয়েছিলেন এবং দুই হাজার টাকার বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে এসআই খালেক বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না, তার স্ত্রী রাতে যখন আমাকে কল করেছিলেন তখন আমি বলেছিলাম, এত রাতে কেন ফোন দিয়েছেন। এটা বলেই আমি ফোনটি কেটে দিয়েছি। টাকা-পয়সার কথা হয়নি। তবে তাকে সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয়েছে বলে ঢামেক ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানিয়েছেন।’

রাত ১২টার পর তাওহীদের স্ত্রী বন্যা আক্তার এক হাজার টাকা দেবেন বলে আপনাকে কল করেছিলেন কিন্তু আপনি তার কাছে দুই হাজার টাকা চেয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি তাকে বলেছিলাম এত রাতে কেন কল করেছেন, এটাই সত্যি। এটা বলেই ফোন কেটে দিয়েছিলাম আর কোনো কথা হয়নি। আর টাকার কথাটা মিথ্যা বলছেন তিনি।'

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শাহবাগ থাকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাজির রহমান খবরের কাগজকে বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনা আমার জানা নাই। আর এসআই খালেক যদি টাকা নেন বা কাউকে প্রস্তাব দেন তাহলে খালেককে আমি ধরব। তার কাছে জানতে চাইব কেন তিনি টাকা চাইলেন।’ তিনি বলেন, পুলিশ টাকা নিয়ে আসামি ছেড়ে দেবে- এটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। যদি ঘটনা সত্য হয় অথবা প্রমাণিত হয় তাহলে খালেকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় গুলি করে হত্যা করেন প্রেমিক

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৪ এএম
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৭ এএম
বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় গুলি করে হত্যা করেন প্রেমিক
নিহত শাহিদা আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

ঘোরাঘুরি আর রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়াধাওয়া করেই রাত পেরোয় প্রেমিক-প্রেমিকার। এরপর ভোরে বিয়ে করার জন্য চাপাচাপি থেকে উভয়ের মধ্যে শুরু হয় কথা-কাটাকাটি। একপর্যায়ে প্রেমিকাকে গুলি করে হত্যা করেন প্রেমিক।

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে তরুণীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধারের ঘটনায় প্রেমিক তৌহিদ শেখ তন্ময়কে (২৮) গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

প্রেমিক তৌহিদই রাজধানীর ওয়ারীর তরুণী শাহিদা ইসলাম রাফা ওরফে শাহিদা আক্তারকে (২২) গুলি করে হত্যা করেন।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) ভোরে ভোলার ইলিশা লঞ্চ টার্মিনালে অভিযান চালিয়ে একটি লঞ্চে করে পালিয়ে যাওয়ার সময় তৌহিদকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে এদিন সকালে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বটতলী গ্রামের বেইলি ব্রিজের নিচে ডোবার পানিতে তল্লাশি চালিয়ে হত্যায় ব্যবহৃত একটি বিদেশি পিস্তল জব্দ করা হয়।

ডিবির ওসি মো. ইশতিয়াক রাসেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহত প্রেমিকা শাহিদা ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার বেগুনবাড়ি বরিবয়ান গ্রামের প্রয়াত আব্দুল মোতালেবের মেয়ে। তিনি পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর ওয়ারী এলাকায় থাকতেন। প্রেমিক তৌহিদ রাজধানীর ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ারীর ২২ নম্বর বর্ণগ্রাম রোডের মৃত শফিক শাহের ছেলে।

ডিবি সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার তৌহিদ হত্যা সম্পর্কে নানা তথ্য দিয়েছেন ডিবিকে। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাতে মোবাইল ফোনে কল করে প্রেমিকা শাহিদাকে ডেকে আনেন প্রেমিক তৌহিদ।

ঢাকা থেকে একটি বাসে চড়ে তারা চলে আসেন মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া ঘাটে। সেখানে রেস্টুরেন্টে বসে রাতের খাবার খান তারা। রাতভর ঘোরাঘুরি শেষে শনিবার ভোরে আবার ঢাকায় ফেরার উদ্দেশে রওনা হন।

পথে এক্সপ্রেসওয়ের জেলার শ্রীনগর উপজেলার দোগাছি এলাকার সার্ভিস লেনে দাঁড়িয়ে কথা হতে থাকে তাদের। এ সময় প্রেমিকা শাহিদা বিয়ে করার জন্য চাপ দেন। এতে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সঙ্গে থাকা পিস্তল দিয়ে তৌহিদ পরপর কয়েকটি গুলি করেন।

হত্যা ঘটিয়ে তৌহিদ বাসে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। পরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বটতলী গ্রামের বেইলি ব্রিজের নিচে পানিতে পিস্তল ফেলে রাজধানীতে চলে যান তৌহিদ। মোবাইল ফোন বন্ধ করে ঢাকায় তার বোনের বাসায় অবস্থান করেন তিনি। পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা অনুযায়ী রবিবার (৩০ নভেম্বর) ভোরে ঢাকার সদরঘাট থেকে একটি লঞ্চে চড়ে ভোলার মনিপুরার উদ্দেশে রওনা দেন।

সোমবার ভোরে ইলিশা লঞ্চ টার্মিনাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশের টিম। এর আগে শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে জেলার শ্রীনগর উপজেলার দোগাছি এলাকার এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লেন থেকে তরুণী শাহিদার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ওই দিন মধ্যরাতে নিহতের মা জরিনা খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে শ্রীনগর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় রাজধানীর ওয়ারীর তৌহিদ নামে এক যুবকের সঙ্গে মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ও দ্বন্দ্ব থাকার কথা উল্লেখ করেন মা।

শ্রীনগরে প্রবাসী হত্যা: পরিকল্পনাকারীসহ গ্রেপ্তার ৩

প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২৯ পিএম
আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৪ পিএম
শ্রীনগরে প্রবাসী হত্যা: পরিকল্পনাকারীসহ গ্রেপ্তার ৩
মুন্সীগঞ্জে প্রবাসী হত্যায় গ্রেপ্তার আসামিরা। ছবি: খবরের কাগজ

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে সিঙ্গাপুর প্রবাসী রমজান মুন্সী (৪০) হত্যায় মূল পরিকল্পনাকারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

সোমবার (২ ডিসেম্বর) ভোরে শ্রীনগরে ও গতকাল রবিবার রাতে ঢাকার কমদতলীতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন, শ্রীনগর দেউলভোগ গ্রামের ওয়াসিম খান (৩৮),  মো. রনি (৩৫) ও পূর্ব হরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শাহীন প্রধান (৩৬)।

গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করে শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, রবিবার রাতে ঢাকার কদমতলীতে অভিযান চালিয়ে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ওয়াসিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তিতে সোমবার ভোরে হরপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে শাহীন প্রধানকে ও দেউলভোগ গ্রামে অভিযান চালিয়ে মো. রনিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ২৭ নভেম্বর দুপুরে শ্রীনগর উপজেলার গাদিঘাট গ্রামের খাল থেকে নিখোঁজ প্রবাসী রমজানের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি ওই গ্রামের সিরাজুল মুন্সীর ছেলে।

এ ঘটনায় গত শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) নিহতের স্ত্রী নাজমা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে শ্রীনগর থানায় মামলা করেন।

মঈনউদ্দিন সুমন/নাবিল/অমিয়/

ফেনীতে ১০ কেজি ভারতীয় গাঁজাসহ আটক ১

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৪ পিএম
আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৫ পিএম
ফেনীতে ১০ কেজি ভারতীয় গাঁজাসহ আটক ১
ছবি: খবরের কাগজ

ফেনীর ফতেহপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০ কেজি ভারতীয় গাঁজাসহ এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

রবিবার (১ডিসেম্বর) ফেনীর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে তাকে আটক করা হয়। 

আটক ইকবাল হোসেন (৩০) কুমিল্লার রাজাপুর ইউনিয়নের লরিবাগ গ্রামের মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে৷ 

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন৷ 

তিনি জানান, এক মাদক কারবারি চট্টগ্রামগামী বাসে করে মাদকদ্রব্য নিয়ে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে যাচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ফতেহপুর স্টার লাইন পাম্প এলাকায় অস্থায়ী চেকপোষ্ট বসায়। এ সময় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা একটি বাসে তল্লাশি করে ১০ কেজি গাঁজাসহ ইকবাল হোসেনকে আটক করা হয়।

তোফায়েল আহাম্মদ নিলয়/মেহেদী

স্বপ্নতে চাকরির নামে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৩

প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৯ পিএম
স্বপ্নতে চাকরির নামে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৩
প্রতারক চক্রের তিন সদস্য গ্রেপ্তার

দেশের অন্যতম বৃহৎ রিটেইল চেইনশপ ‘স্বপ্ন’-তে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করে আসছিল একটি চক্র। প্রতারণার অভিযোগে এই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর উত্তরার ৪নং সেক্টর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

স্বপ্নর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট টিমের তথ্য ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা পূর্ব থানার একটি টিমের যৌথ প্রয়াসে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও সিম, মানি রিসিভসহ বেশকিছু কাগজ জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন শাহীন রব্বানী, স্বপন দাস ও পারভেজ মোশারফ।

এ বিষয়ে উত্তরা পূর্ব থানায় বৃহস্পতিবার রাতে একটি মামলা করা হয়েছে।

থানার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি শাহীন রব্বানী ড্রাগন শিল্ড সিকিউরিটি সলিউশন কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর। তার অধীনে অন্য আসামিরা বিভিন্ন পদে চাকরি করেন। স্বপ্নতে প্রায় ৮ হাজারের বেশি কর্মী কাজ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন সময় প্রায়ই নতুন কর্মীর নিয়োগ করতে হয়। কিন্তু স্বপ্ন সব সময় তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ এবং লিংকডিনের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে। কিন্তু বেশকিছু দিন ধরে এই চক্র স্বপ্নর লোগো, আউটলেটের ছবি ফেসবুকে ব্যবহার করে কর্মী নিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে অনেক চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে। বিষয়টি স্বপ্ন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এরপর ২৮ নভেম্বর উত্তরা পূর্ব থানার সহযোগিতায় আসামিদের অফিসে গিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

এ সময় অনেকে কৌশলে পালিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করে। সুজন পাল নামের এক চাকরিপ্রত্যাশী সেই অফিসে উপস্থিত ছিলেন। তার বাসা টাঙ্গাইল।

তিনি বলেন, ‘আমাকে স্বপ্নতে চাকরি দেওয়া ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের কথা বলে টাকা চাওয়া হয়। কিছু টাকা দিয়েছি, এরপর আরও টাকা চাওয়া হয়। আমার মতো অনেকে অফিসে এসে প্রতিনিয়ত টাকা দিচ্ছে বলে জানতে পারি। চাকরির আশায় আমরা অনেকে টাকাও দিয়েছি, তাদের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিত।’

স্বপ্নর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট টিমের প্রধান মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘২০১৯ সাল থেকে এই চক্রটি অনলাইনের মাধ্যমে উত্তরা হাউজ বিল্ডিং, বাড্ডা নতুন বাজার, মোহাম্মদপুর ও সাভার এলাকায় স্বপ্নর লোগো ব্যবহার করে চাকরির ভুয়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল। স্বপ্নে যোগ দিতে কোনো অর্থ নয়, যোগ্যতা প্রয়োজন।’ 

এ বিষয়ে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মুহিবুল্লাহ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রটি কৌশলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল বলে জানা যায়। এরপর অভিযুক্তদের তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়।’

বিজ্ঞপ্তি/সালমান/

পুুলিশ অনিয়ম করলে সাসপেন্ড: হাইওয়ে পুলিশ সুপার

প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৩ পিএম
আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২০ পিএম
পুুলিশ অনিয়ম করলে সাসপেন্ড: হাইওয়ে পুলিশ সুপার
রংপুর রিজিয়নের হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ তারিকুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

কোনো হাইওয়ে পুলিশ যদি ট্রাক বা কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে তবে তাকে সাসপেন্ড করা হবে বলে জানিয়েছেন রংপুর রিজিয়নের হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ তারিকুল ইসলাম।

বুধবার (২৭ নভেম্বের) দুপুরে হাইওয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, 'রংপুর রিজিয়নে কোন পুলিশের ট্রাক বা কোম্পানির সঙ্গে মাসিক চুক্তি বা টাকা নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেলে নামসহ এডিশনাল আইজির কাছে পাঠানো হবে। শুধু বদলিই নয় অপরাধ করলে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় শাস্তি হবে। একদিনে সমাজ পরিবর্তন হবে না। পাঁচ তারিখের পর কিছু কিছু পরিবর্তন হচ্ছে। এখন বাংলাদেশ পুলিশে সাড়ে ১৬ হাজার মেয়ে আছে। স্কুল-কলেজগুলোতেও মেয়েদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এসব পরিবর্তন ধীরে ধীরে হবে এবং আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। 

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‌চেকিং বা কোন অনিয়ম বা আইন বহির্ভূত কোন জিনিস হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। 'রাস্তা বন্ধ করে চেকপোস্ট স্থাপন করা যাবে না। রাস্তার পাশে চেকপোস্ট করতে হবে যাতে অন্য যানবাহন চলাচল করতে পারে। প্রত্যেকটা হাইওয়েতে যেন আলাদা রোড থাকে যেগুলোতে থ্রি হুইলার বা অন্যান্য যানবাহন চলতে পারে। থ্রি হুইলার আমাদের জীবনের একটি অংশ হয়ে গেছে ইচ্ছে করলেই তাদেরকে বন্ধ করতে পারবেন না। মহাসড়কে থ্রি হুইলার বন্ধের আইন প্রয়োগ কঠিন হবে। 

পুলিশের কাজ শুরু করার ব্যাপারে তিনি বলেন, যারা এখনও কাজ শুরু করেনি তাদেরকে মোটিভেশন দিচ্ছি। দুপক্ষের যে শত্রুতা তৈরি হয়েছে তা ভাঙতে হবে। আমরা আগের মত লোক দেখানো বন্ধুত্ব চাই না আমরা চাই কাগজে-কলমে। 

এ সময় অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ১৮ বছরের নিচে যারা অষ্টম বা ১০ম শ্রেণিতে পড়ে তাদেরকে দয়া করে মোটরসাইকেল কিনে দিবেন না। এমন কাউকে মোটরসাইকেল কিনে দেওয়া মানে আপনি তাদেরকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছেন।

সেলিম সরকার/মেহেদী/এমএ/