ঢাকা ২৮ কার্তিক ১৪৩১, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

মোহাম্মদপুরে কিশোর গ্যাং চক্রের মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ৫

প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৪৮ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:০৩ এএম
মোহাম্মদপুরে কিশোর গ্যাং চক্রের মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ৫
ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় ‘ডায়মন্ড’ এবং ‘দে ধাক্কা’ কিশোর গ্যাং পরিচালনাকারী চক্রের অন্যতম হোতা জুলফিকার আলীসহ ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

র‌্যাব-৩ এর একটি দল শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে আদাবর থানাধীন মোহাম্মদিয়া হাউজিং সোসাইটি এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগজিন ও বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন, জুলফিকার আলীর সহযোগী হারুন অর রশিদ (৩৮), শামছুদ্দিন বেপারী (৪৮), কৃষ্ণ চন্দ্র দাস (২৮), ও সুরুজ মিয়া (৩৯)।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর টিকাটুলির র‍্যাব-৩ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, র‌্যাব-৩ এর একটি দল গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, মোহাম্মদপুর এলাকায় কতিপয় কিশোর গ্যাং সদস্য দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয় ও সেবন, এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, সাধারণ মানুষকে হয়রানি এবং বিভিন্ন রকম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা জানায়, রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় বেশকিছু কিশোর গ্যাং সক্রিয় রয়েছে। তারমধ্যে জুলফিকারের নেতৃত্বে এবং অপর আসামিদের সহযোগিতায় ‘ডায়মন্ড’ এবং ‘দে ধাক্কা’ নামে দুটি কিশোর গ্যাং পরিচালিত হতো। এলাকার বেশকিছু বেপরোয়া ও মাদকসেবী কিশোরদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে কিশোর গ্যাং পরিচালনার মাধ্যমে এলাকায় অস্ত্র, মাদক ব্যবসা, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অপহরণ, ডাকাতি ও ভূমি দখলসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে থাকে। 

জুলফিকারের কিশোর গ্যাং পরিচালনা করার জন্য হারুন, শামছুদ্দিন বেপারী, কৃষ্ণ চন্দ্র দাস এবং সুরুজ মিয়া সার্বিক সহযোগিতা করে থাকে।

র‍্যাব-৩ অধিনায়ক আরও জানান, রাজধানীর মোহাম্মদপুর জুড়ে তাদের ছত্রছায়ায় গড়ে ওঠা ‘ডায়মন্ড’ এবং ‘দে ধাক্কা’ দুটি কিশোরগ্যাংয়ের তৎপরতায় প্রতিনিয়ত তারা নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে বিরোধী অন্যান্য গ্যাংসমূহের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তো। খুবই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় বিভিন্ন ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করত। এসব ঘটনায় তারা হরহামেশাই যে কাউকে গুলিবিদ্ধ, কুপিয়ে জখম, ছিনতাই ও ডাকাতির মতো ভয়ংকর ঘটনা ঘটাতেও দ্বিধাবোধ করে না।

তিনি আরও বলেন, মোহাম্মদপুর তিন রাস্তার মোড়, চাঁদ উদ্যান, লাউতলা, নবীনগর হাউজিং, বসিলা চল্লিশ ফিট, কাঁটাসুর, তুরাগ হাউজিং, আক্কাস নগর, ঢাকা উদ্যান নদীর পাড়, চন্দ্রিমা হাউজিং, নবীনগর হাউজিং, বসিলা হাক্কার পাড় ইত্যাদি এলাকাজুড়ে আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো দেশীয় অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাংয়ের মহড়া পরিচালনা করতো। তাদের তৎপরতায় কিশোরগ্যাং সদস্যরা এই সব এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান র‍্যাব-৩ অধিনায়ক।

খাজা/এমএ/

বগুড়ায় মাকে হত্যার পর ডাকাতি বলে প্রচার

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৪ এএম
আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৬ এএম
বগুড়ায় মাকে হত্যার পর ডাকাতি বলে প্রচার
বগুড়ার এই বাড়িতে মাকে হত্যা করে ছেলে। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় হাত খরচের টাকা নিয়ে বিরোধে ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুর (১৯) তার মা উম্মে সালমা খাতুনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। শুধু তাই নয়, ওড়না দিয়ে হাত-পা বেঁধে লাশ বাড়ির ডিপ ফ্রিজে রেখেছে।

নিজেকে বাঁচাতে হত্যাকাণ্ডের দায় ডাকাতের ওপর চাপানোর চেষ্টা করে। তাই কুড়াল দিয়ে ঘরের আলমারিতে আঘাত করে।

র‌্যাব-১২ বগুড়া কোম্পানির সদস্যরা সোমবার (১১ নভেম্বর) মধ্যরাতে তাকে পার্শ্ববর্তী কাহালু উপজেলার পাঁচপীর আড়োবাড়ি এলাকায় দাদা রমজান মোল্লার বাড়ি থেকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে তার মাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

র‌্যাব কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য দিয়েছেন।

ব্রিফিংয়ে  র‌্যাব কর্মকর্তা জানান, বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার দারুস সুন্নাহ কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ ও উপজেলা মসজিদের খতিব আজিজুর রহমান পরিবার নিয়ে জয়পুরপাড়া এলাকায় আজিজিয়া মঞ্জিলের তৃতীয়তলায় বসবাস করেন। বড় ছেলে ও মেয়ে ঢাকায় থাকেন। তার সঙ্গে স্ত্রী উম্মে সালমা খাতুন (৫০) ও ছোট ছেলে একই মাদ্রাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সাদ বিন আজিজুর থাকেন।

মাদ্রাসাছাত্র সাদ বিন আজিজুর প্রেম করে। এ ছাড়া সে অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ে। হাত খরচের টাকার জন্য মায়ের সঙ্গে তার প্রায়ই ঝগড়া হত। এ ছাড়া মাঝে মাঝে বাড়ি থেকে টাকা হারিয়ে যেত।

মেজর এহতেশামুল হক খান জানান, গত রবিবার (১০ নভেম্বর) সকালে মা সালমার কাছে টাকা চেয়ে না পাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয় সাদ। সে তার মাকে হত্যা করে ডাকাতি হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। এ সময় নাশতা না করেই বাড়ির বাইরে চলে যায়।

মাদ্রাসায় না গিয়ে আশপাশে অবস্থান করার পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাড়িতে আসে। এ সময় মা বঁটি দিয়ে কুমড়া কাটছিলেন। পরিকল্পনা অনুসারে পেছন থেকে মায়ের নাক ও মুখ চেপে ধরে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে বঁটি দিয়ে সাদের তর্জনী আঙুল কেটে যায়।

এরপরও সে দুই হাত দিয়ে নাক ও মুখ চেপে ধরলে শ্বাসরোধে মায়ের মৃত্যু নিশ্চিত করে। হত্যার ঘটনা ডাকাতি হিসেবে প্রচার করতে ওড়না দিয়ে মায়ের দুই হাত-পা বেঁধে লাশ ডিপ ফ্রিজে রাখে।

র‍্যাব কর্মকর্তা জানান, ডাকাতির প্রমাণ হিসেবে কুড়াল দিয়ে আলমিরাতে কয়েকটি কোপ দেয়। এরপর প্রধান ফটকে তালা দিয়ে বাইরে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর বাড়িতে ফিরে মাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে বাবা আজিজুর রহমানকে ফোনে ডেকে আনে। পরে দুপচাঁচিয়া থানার পুলিশ উম্মে সালমা খাতুনের লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহিদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে বড় ভাই নাজমুস সাকিব থানায় সাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন।

‘আহারে চানাচুর-চাচা, কে মারল তারে?’

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৯ এএম
আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৩ এএম
‘আহারে চানাচুর-চাচা, কে মারল তারে?’
সিলেটের চতুলবাজারেে এভাবেই চানাচুর বিক্রি করতেন সাজিদ মিয়া (ছবিতে ডান দিকে)। খবরের কাগজ

জমজমাট হাটের এক কোনে সাজিদ মিয়ার (৭০) চানাচুরের পসরা ঘিরে ভিড় থাকত ক্রেতাদের। প্রতিদিন বিকেল ও সন্ধ্যায় স্থানীয় হাটে চানাচুর বিক্রি করতেন তিনি। বিক্রি শেষে রাতে ফিরে যেতেন বাড়ি।
 
চানাচুরওয়ালা সাজিদ মিয়ার রোজকার এ রুটিনে ছেদ পড়ে রবিবার (১০ নভেম্বর) রাতে। তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। হাট থেকে রাতে বাড়ি না ফেরা চানাচুরওয়ালার লাশ মিলল সোমবার (১১ নভেম্বর)  সকালে। গ্রামের পাশে নদীর তীরে একটি গাছের গোড়ায় পাওয়া যায় তার লাশ। গলায় গামছার প্যাঁচ থাকায় ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধ করে সাজিদ মিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার কারণ উদঘাটনে তদন্ত করছে পুলিশ।
 
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার চারিকাটা ইউনিয়নের সরুখেল গ্রাম থেকে সাজিদ মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। এলাকাবাসী জানান, সোমবার সকালে ইছাবা নদীর ধারে ঘাস কাটতে যায় কয়েকজন যুবক। তারা গাছের গোড়ার সঙ্গে বাঁধা বৃদ্ধের লাশ দেখে চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ সময় শনাক্ত হয় লাশটি চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল গ্রামের সাজিদ মিয়ার।

স্থানীয়রা জানান, সাজিদ মিয়া পাঁচ ছেলে-মেয়ের বাবা। তিনি পেশায় একজন চানাচুর বিক্রেতা। উপজেলার চতুলবাজারের সিএনজি স্টেশনে চানাচুর বিক্রি করে সংসার চালাতেন। রবিবার বিকেলে চতুলবাজার থেকে সন্ধ্যায় হরাতৈল জলছার বাজারে যান সাজিদ মিয়া। সেখানে চানাচুর বিক্রি করে আর বাড়ি ফেরেননি। তার লাশ গাছের গোড়ায় গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশসহ স্থানীয়দের ধারণা, সজিদ মিয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা লাশটি নদীর ধারে গাছের গোড়ায় ফেলে গেছেন।

হাটে চানাচুর কেনাবেচায় ব্যস্ত সাজিদ মিয়ার একটি ছবি আর গাছের গোড়ায় পড়ে থাকা লাশের ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন অনেকেই। ইমরান হোসেন নামে চতুলবাজারের এক যুবক লিখেছেন, ‘আহারে চানাচুর-চাচা, কে মারল তারে, কেনে মারল?’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন প্রশ্নে নানা মন্তব্য ও আহাজারি ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাটি পরিকল্পিত হত্যা ও হত্যার কারণ উদঘাটনের দাবি তাদের।
   
কারণ উদঘাটনে পুলিশের একটি দল কাজ করছে বলে জানান জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলসহ সাজিদ মিয়ার যাতায়াত এলাকা চতুলবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ-খবর নিচ্ছে।’  

ঝিকরগাছায় যুবদল কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৮ পিএম
আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩০ পিএম
ঝিকরগাছায় যুবদল কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
যুবদল কর্মী পিয়াল হাসান

যশোরের ঝিকরগাছায় পিয়াল হাসান (২৭) নামে প্রকাশ্যে এক যুবদল কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের বাবা কিতাব আলী বলেন, ‘দুপুরে ভাত খাওয়ার জন্য পিয়াল বাজার থেকে বাড়িতে যাচ্ছিল। রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় পৌঁছানোর পর তার ওপর হামলা চালায় একই গ্রামের কামরুল ইসলামের ছেলে শাহীন রেজা ও শামীম, আমিরুল ইসলামের ছেলে ডালিম ও রিপন, ইয়াকুব আলীর ছেলে সোহেল, আব্দুস সোবহানের ছেলে মেহেদী ও আইয়ুব এবং ইসমাইলসহ ১০-১৫ জন।’ 

তিনি বলেন, এ সময় তারা প্রথমে বোমা ফাটায়। পিয়াল তাদের হাত থেকে বাঁচতে মোবারকপুর গ্রামে গার্লস স্কুলের ভেতরে ঢুকে পড়ে। এ সময় পিছু নিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চলে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পার্থ সারথী রায় বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই পিয়ালের মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে কোপের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান খবরের কাগজকে বলেন, পুরোনো শত্রুতার জেরেই এই হত্যাকাণ্ড। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ছাড়া দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

নজরুল ইসলাম/নাইমুর/অমিয়/

সিলেটে নিখোঁজ শিশু মুনতাহার মরদেহ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৭ পিএম
সিলেটে নিখোঁজ শিশু মুনতাহার মরদেহ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩
মুনতাহা আক্তার জেরিন

সিলেটের কানাইঘাটে নিখোঁজের সাত দিন পর বাড়ির পাশের পুকুর থেকে ৫ বছরের শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তিন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রবিবার (১০ নভেম্বর) ভোর ৪টার দিকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় শিশুটির গলায় রশি পেঁচানো ছিল।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোরে বৃদ্ধা আলীফজান মুনতাহার মরদেহ কোলে করে এনে পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলার চেষ্টা করছিলেন। তখন যার পুকুর তিনি এ দৃশ্য দেখে ওই নারীকে আটক করে পুলিশে খবর দেন।

এর আগেই আলীফজানের মেয়ে মর্জিয়া আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ।

এই ঘটনায় অভিযুক্ত মর্জিয়া আক্তার, তার মা আলীফজান ও আলীফজানের মা কুতুবজানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

এই খবর জানাজানির পর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মর্জিয়ার বসতঘর গুড়িয়ে দেন।

কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল বলেন, মুনতাহার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিবেশী মর্জিয়া আক্তার ও তার মা আলীফজান মিলে তাকে হত্যা করেছে।

মুনতাহাকে গত রবিবার (৩ নভেম্বর) অপহরণ করার পর হত্যা করা হয়। ওইদিনই তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ ঘরের পাশে খালের মাটিতে চাপা দিয়ে রাখা হয়।

আলীফজান ভিক্ষা করেন। তবে কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। এই ঘটনায় শনিবার মর্জিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। এরপর ভোরে মরদেহ উদ্ধারের পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

কানাইঘাট উপজেলার বীরদল গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে মুনতাহা আক্তার জেরিন (৫)। ৩ নভেম্বর বিকেল ৩টার দিকে মেয়ে নিখোঁজ হয়। পরে খোঁজাখুঁজির পরও সন্ধান না পেয়ে ওইদিন রাতে কানাইঘাট থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

শাকিলা ববি/অমিয়/

রাজধানীতে ট্রাম্পের ছবিসংবলিত প্ল্যাকার্ডসহ গ্রেপ্তার ১০

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৩ এএম
রাজধানীতে ট্রাম্পের ছবিসংবলিত প্ল্যাকার্ডসহ গ্রেপ্তার ১০
ছবি: খবরের কাগজ

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা ব্যবহার করা প্ল্যাকার্ডসহ দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে শেখ হাসিনার নির্দেশনার ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপের বাস্তবায়নকারী ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৯ নভেম্বর) রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ উসকানিমূলক পোস্টার, ছবিসহ প্ল্যাকার্ড ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রেপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

তিনি জানান, বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক নষ্টের জন্য তারা এই পরিকল্পনা করেছিলেন। সম্প্রতি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপে শেখ হাসিনা তার দলের নেতা-কর্মীদের অবৈধ মিছিল সমাবেশের মাধ্যমে সেই ছবি ও প্ল্যাকার্ডসমূহ ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার নির্দেশ দেন।

এসব অপকর্মের উসকানিদাতা, অর্থের জোগানদাতা ও জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান পুলিশের এই উপ-কমিশনার।

আল-আমিন/মেহেদী/অমিয়/