ঢাকা ১৭ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

এমপি আজীম হত্যাকাণ্ড আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে: শাহীন

প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৪, ১১:৫২ এএম
আপডেট: ২৪ মে ২০২৪, ১২:০৮ পিএম
আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে: শাহীন
অভিযুক্ত শাহীন ও এমপি আজীম

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার খুনের ঘটনায় নিজের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহীন।

এমপি আনার খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজনের একজন আমানুল্লাহ জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছেন, আনারকে খুনের জন্য আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহীনের সঙ্গে তার ৫ কোটি টাকার চুক্তি হয়।

তবে গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের কাছে আক্তারুজ্জামান শাহীন দাবি করেছেন, এমপি আনার হত্যার সময় তিনি বাংলাদেশে ছিলেন। ৫ কোটি টাকায় কিলিং মিশন চুক্তির খবরও অস্বীকার করেন তিনি।

টেলিফোনে শাহীন বলেন, ‘এই ঘটনায় আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। এই ঘটনার সময় আমি ভারতে ছিলাম না। আমার আইনজীবী বলেছেন এ বিষয়ে কারও সঙ্গে কথা না বলতে। মানুষ দেশে অনেক কথাই বলে। যদি কোনো প্রমাণ থাকে তাহলে দেখাক।’

শাহীনের ভাড়া করা ফ্ল্যাটে আনার খুন হয়েছেন বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে। এই প্রসঙ্গে শাহীন বলেন, ‘আমি যদি ফ্ল্যাট ভাড়া নিই। আমি কি আমার ফ্ল্যাটে এই ধরনের কাজ করব? আমার পাসপোর্ট রেকর্ড দেখলে দেখা যাবে আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। এখন বলা হচ্ছে আমি ৫ কোটি টাকা দিয়েছি। কীভাবে আমি ৫ কোটি টাকা দিয়েছি? কোথা থেকে পেলাম আমি এত টাকা! এখন এগুলো মানুষ বললে আমার কী করার আছে? ঘটনা কবে ঘটেছে সেগুলো আমি পত্রিকায় দেখেছি। সে সময় আমি বাংলাদেশে ছিলাম।’ 

শাহীন বলেন, ‘এ ছাড়া আমার ড্রাইভার তো কিছু করেনি। আমার গাড়ি, আমার সবকিছু নিয়ে চলে গেছে। এটা কোন ধরনের বিচার। আমি যদি অন্যায় করে থাকি তাহলে আমাকে ধরুক। আমি তো এই দেশে বিচার পাব না। আমি আমেরিকার নাগরিক, এখানে চলে এসেছি। কী করব?’

এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে বাংলাদেশে সৈয়দ আমানুল্লাহ, শিলাস্তি রহমান ও ফয়সাল আলী ওরফে সাজি নামে তিনজনকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে মো. আক্তারুজ্জামান শাহীনের নাম এসেছে। কলকাতার নিউ টাউনে যে ফ্ল্যাটে সংসদ সদস্যকে হত্যা করা হয়, সেটি এই শাহীনের ভাড়া করা। তিনি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. সহিদুজ্জামান সেলিমের ছোট ভাই।

পুলিশের বরাতে গণমাধ্যমে খবর এসেছে, আক্তারুজ্জামান শাহীন ও আনোয়ারুল আজীম পুরোনো বন্ধু। শাহীনের গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে। রাজধানীর গুলশানে তার বাসা রয়েছে। তার যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব রয়েছে। নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে তার বাসা। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কলকাতার ওই ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়ার সময় শাহীন যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট ব্যবহার করেছিলেন, যা ভাড়ার চুক্তিপত্রেও উল্লেখ আছে। তাকে ধরার জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলেও জানা যায়।

গাজীপুরে মাদকাসক্ত ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার পর আত্মসমর্পণ করলেন বাবা

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫৫ পিএম
গাজীপুরে মাদকাসক্ত ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার পর আত্মসমর্পণ করলেন বাবা
ছবি: খবরের কাগজ

গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রহলাদপুর ইউনিয়নের নানাইয়া আটিপাড়া গ্রামে মাদকাসক্ত ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার পর থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছেন এক বাবা। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আনোয়ার হোসেন (২৫) গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার প্রহলাদপুর ইউনিয়নের নানাইয়া আটিপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। বাবা মোহাম্মদ আলী একই গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান, ৫/৭বছর আগে ছেলেকে কর্মসংস্থানের জন্য মালয়েশিয়াতে পাঠান তার বাবা। সেখান থেকে ফিরে এসে মাদকাসক্ত হয়ে উঠলে ছেলেকে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে উঠলে আবারও তাকে মালয়েশিয়াতে পাঠানো হয়। বছর খানেক আগে মালয়েশিয়া থেকে ফিরে এসে কোন কাজকর্ম না করে  বাবার জমানো ৮ লাখ টাকা বিভিন্ন মাধ্যমে খরচ করে ফেলেন আনোয়ার। এ ছাড়া পুকুরে চাষ করা মাছ বাবার অজান্তেই বিক্রি করে ফেলেন তিনি।  পরে আবার বাবার কাছে টাকা চাইলে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়, এ নিয়ে বাবার সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হত। এ নিয়ে বাবার মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছিল।
পরে মঙ্গলবার বিকেলে বাবার গোয়ালঘরে থাকা ১১টি গরুকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন আনোয়ার। এ সময় বাবা গিয়ে বাধা দিলে তাকেও মারধর করা হয়। এ ঘটনাগুলোর প্রেক্ষিতে রাগে-ক্ষোভে মঙ্গলবার রাত তিনটার দিকে ঘুমন্ত ছেলেকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে থানায় এসে পুলিশকে জানায় মোহাম্মদ আলী। পরে পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়।

এ ঘটনায় মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

পলাশ/মেহেদী/

দয়াগঞ্জে পুলিশ সদস্য হত্যার পেছনে পরকীয়া! স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার ২

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৯ পিএম
আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৭ পিএম
দয়াগঞ্জে পুলিশ সদস্য হত্যার পেছনে পরকীয়া! স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার ২
ছবি: খবরের কাগজ

রাজধানীর দয়াগঞ্জে হুমায়ুন কবির (৪৫) নামে এক পুলিশ সদস্যকে হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকালে দয়াগঞ্জের নিজ বাসার গেটে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন প্রতিবেশীরা। খবর পেয়ে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালের দিকে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়। পরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। 

এদিকে পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদন বলছে, হুমায়ুন কবিরকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের ভাই খোকন হাওলাদার। ঘটনার পরে নিহত পুলিশ সদস্য খোকনের স্ত্রী সালমা বেগম ও ভাই আল মামুনের স্ত্রীর বোন পলি আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পলাতক রয়েছেন মূল আসামি ও নিহত হুমায়ুনে স্ত্রী সালমার পরকীয়া প্রেমিক রাজীব আল হাসান। প্রধান আসামি রাজিব সম্পর্কে নিহতের বেয়াই। নিহতের ভাই আল মামুনের স্ত্রীর আপন ভাই এই রাজীব। 

স্বজনদের অভিযোগ, সালমা বেগমের সঙ্গে রাজীবের প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। এ নিয়ে হুমায়ুনের পরিবারে অশান্তি চলছিল। বিষয়টি নিয়ে পারিবারিকভাবে একাধিকবার সালিশও হয়। এই প্রেমের সম্পর্কের জেরেই রাজীব আল হাসান, তার বোন পলি আক্তার ও নিহত হুমায়ুনের স্ত্রী সালমা পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। 

স্থানীয়রা জানান, নিহত হুমায়ুন কবির অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের মানুষ ছিলেন। একদিকে তার হত্যাকাণ্ড, অন্যদিকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী গ্রেপ্তার। এমন ঘটনায় নির্বাক তাদের ১৩ বছর ও ৭ বছর বয়সী দুই সন্তান। মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারসহ জড়িতদের ফাঁসি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসী। 

যাত্রাবাড়ী থানা সূত্রে জানা গেছে, হুমায়ুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঘটনায় জড়িত স্ত্রী সালমাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

হুমায়ুন কবির পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সূর্যমনি ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যানবাহন শাখায় কর্মরত ছিলেন।

মশিউর/মেহেদী/

মোহাম্মদপুরে কিশোরীকে অস্ত্রের মুখে দলবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৩ এএম
মোহাম্মদপুরে কিশোরীকে অস্ত্রের মুখে দলবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪
মোহাম্মদপুরে কিশোরীকে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার এলাকায় এক কিশোরীকে অস্ত্রের মুখে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। 

গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

তারা হলেন মুস্তাকিম, সুমন, ঝটন ও রবিন। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি সামুরাই ছুরি, একটি দেশীয় বড় ছুরি ও নগদ ৩ হাজার ৩৪০ টাকা জব্দ করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী ইফতেখার হাসান। 

তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর একটি টিম রায়েরবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় হস্তান্তর করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

সেনাবাহিনীর ৪৬ ব্রিগেডের এক কর্মকর্তা জানান, অভিযুক্তরা শুধু সংঘবদ্ধ ধর্ষণেই নয়; ছিনতাই, ডাকাতি ও ইভ টিজিংসহ একাধিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল।

সোমবার রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, চারজনের একটি চক্র রায়েরবাজার এলাকায় এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে এবং পরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের ওপর ভয়ভীতি দেখিয়ে মামলা না করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। 

গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত চারজনই তাদের অপরাধের বিষয়টি স্বীকার করেছে। পরে তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করা হয় এবং মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

তেলের ট্রাক ছিনতাই করে চালক-হেলপারকে ধানখেতে ফেলে গেল ডাকাতদল

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫৫ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫৮ পিএম
তেলের ট্রাক ছিনতাই করে চালক-হেলপারকে ধানখেতে ফেলে গেল ডাকাতদল
ছবি: খবরের কাগজ

বগুড়ার মহাস্থানগড়ের ব্রিজ এলাকা থেকে সয়াবিন তেল ভর্তি একটি ট্রাক ছিনতাই করে ট্রাকের চালক ও তার হেলপারকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে জয়পুরহাটের কালাই পৌরশহরের পূর্বসড়াইল এলাকায় একটি ধানখেতে ফেলে যায় ডাকাতদল। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর তাদের উদ্ধার করা হয়। 

চালক আব্দুল মালেক (৪৫) রংপুর সদর উপজেলার বাবুগাঁও গ্রামের মৃত নূরুল ইসলামের ছেলে ও হেলপার নজরুল ইসলাম একই জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের বাসিন্দা।

জানা গেছে, রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে চট্টগ্রাম থেকে সয়াবিন তেল নিয়ে রংপুরের উদ্দেশে  আসার পথে সোমবার ভোরে বগুড়ার মহাস্থানগড় ব্রীজ এলাকায় পৌঁছালে ডাকাত দল ট্রাকের গতিরোধ করে চালক ও সহকারীকে মারধর করে আরেকটি ট্রাকে তুলে নেয়। এর পর তাদের ট্রাকটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় ডাকাতরা। পরে তারা মোকামতলা হয়ে রোড পরিবর্তন করে জয়পুরহাটের দিকে রওনা দেয়। কালাই উপজেলার পূর্বসড়াইল এলাকায় এসে চালক ও সহকারীকে তাদের হাত-পা বেঁধে এবং মুখ টেপ দিয়ে বন্ধ করে ধানখেতের ময়লার ভাগাড়ে ফেলে দেয়। পরে সন্ধ্যার আগে ধানখেত থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।

আহত চালক আব্দুল মালেক জানান, ডাকাতরা মারধরের পর তাদের গাড়ি নিয়ে পালিয়ে গেছে। রাত তিনটা থেকে বিকেল পর্যন্ত তারা ধানখেতের কাঁদা-পানিতে পড়ে ছিলেন, মুখে টেপ থাকায় সাহায্য চাইতেও পারেননি।

কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন জানান, ডাকাতির ঘটনায় তদন্তসহ লুট হওয়া ট্রাক ও মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

সাগর/মেহেদী/

নড়াইলে হত্যা মামলার আসামিকে খুন

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪০ পিএম
নড়াইলে হত্যা মামলার আসামিকে খুন
ছবি: খবরের কাগজ

নড়াইলের কালিয়ায় রফিকুল মোল্যা (৩৮) নামে এক হত্যা মামলার আসামির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের রিকাইল শেখের বাড়ির পেছন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

রফিকুল মোল্যা ওই গ্রামের আজিজুল মোল্যার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালিয়া উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের মিলন মোল্যা ও আফতাব মোল্যার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত ১১ এপ্রিল এই বিরোধের জেরে দুপক্ষের সংঘর্ষে আফতাব মোল্যা গ্রুপের ফরিদ মোল্যা (৫৭) নামে একজন নিহত হন। পরে এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী চম্পা বেগম বাদি হয়ে কালিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় মিলন মোল্যার পক্ষের সমর্থক রফিকুল ইসলামও আসামি ছিলেন। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। পরে মঙ্গলবার সকালে প্রতিপক্ষ আফতাব মোল্যা পক্ষের লোকজন রিকাইল শেখের বাড়ির পেছনে রফিকুলের পা বাঁধা মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে কালিয়া থানা পুলিশের একটি দল মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠায়।

কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে রয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনা কে বা কারা ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শরিফুল/মেহেদী/