ঢাকা ২১ বৈশাখ ১৪৩২, রোববার, ০৪ মে ২০২৫

ফেনীতে যুবকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৪, ০৯:৩৮ এএম
আপডেট: ১১ জুন ২০২৪, ০১:৫৬ পিএম
ফেনীতে যুবকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার
ছবি: খবরের কাগজ

ফেনীর সদর উপজেলা থেকে অজ্ঞাত যুবকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

সোমবার (১০ জুন) রাত ১০টার দিকে উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের শাহাপাড়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। 

স্থানীয়রা জানায়, রাত ১০টার দিকে ফাজিলপুর ইউনিয়নের শাহাপাড়া এলাকায় রাস্তার ওপর লাইটের আলো জ্বলছে দেখে ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি নতুন টমটমের পাশে রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে। পরে তারা স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানান। ইউপি সদস্য ঘটনাটি পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

পরে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) শাহাদৎ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থোয়াই অংফু মার্মা, ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) শাহাদৎ হোসেন খবরের কাগজকে বলেন, লাশের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, মুখ থেঁতলানো ও গলা কাটা। প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড ধরেই তদন্ত করছে পুলিশ। 

শাহাদৎ হোসেন/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

কিশোরগঞ্জে ভুট্টাখেতে নিয়ে মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকার

প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৫, ০২:৫৩ পিএম
আপডেট: ০৪ মে ২০২৫, ০৩:০৫ পিএম
কিশোরগঞ্জে ভুট্টাখেতে নিয়ে মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকার
প্রতীকী ছবি

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ভুট্টাখেতে নিয়ে এক মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে রিপন মিয়া (৫০) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

শনিবার (৩ মে) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার সুখিয়া বাজার সংলগ্ন একটি ভুট্টা ক্ষেতে এই ঘটনা ঘটেছে।

অভিযুক্ত রিপন সুখিয়া এলাকার মৃত মো. সোবানের ছেলে। আর শিশুটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র।

জানা গেছে, শিশুটি তার আরেক সহপাঠীকে নিয়ে বাড়ি থেকে বাজারের দিকে যাওয়ার পথে মো. রিপন মিয়া কৌশলে তার খেতের ভুট্টা মাথায় তুলে দেওয়ার কথা বলে সেখানে নিয়ে গিয়ে তার হাতে থাকা কাস্তের ভয়ভীতি দেখিয়ে শিশুটিকে বলৎকার করে।

পরে শিশুটি বাড়িতে গিয়ে ঘটনার বর্ণনা দিলে তার অভিভাবক রাতেই পাকুন্দিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল রাতেই অভিযোগ পেয়েছি। আসামিকে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।

মিতু/মেহেদী/

সাতক্ষীরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের আমের ট্রাকে চাঁদাবাজি!

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৫, ০৫:৪৮ পিএম
আপডেট: ০৩ মে ২০২৫, ০৫:৫১ পিএম
সাতক্ষীরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের আমের ট্রাকে চাঁদাবাজি!
চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করাতে এই আমভর্তি ট্রাক আটকিয়ে প্রশাসন কাছে ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে সাতক্ষীরার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। ছবি: খবরের কাগজ

সাতক্ষীরায় অপরিপক্ব আম বাজারজাতের সময় এক লাখ টাকা চাঁদার বিনিময়ে গাড়িভর্তি এক ট্রাক আম ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে এ সময় চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করাতে অপর এক আমভর্তি ট্রাক আটকিয়ে প্রশাসন কাছে ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।

শনিবার (৩ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শোয়াইব আহমাদ বলেন, ‘সাতক্ষীরায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গোবিন্দভোগ আম বাজারজাতের জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু তার আগেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আম বাজারজাতের চেষ্টা করছিলেন। ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সহায়তায় ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে এবং আমগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।’

এদিকে খবর পেয়ে একাধিক গণমাধ্যমকর্মী ঘটনাস্থলে গেলে জব্দকৃত ট্রাকটির গাড়িচালক মাসুদ রানা চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি জানান।

ট্রাক চালক মাসুদ রানা দাবি করেন, শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা পরিচয়ে কয়েকজন যুবক বাইপাস এলাকায় তাদের ট্রাকটি আটকে রেখে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। সেই টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তারা প্রশাসনের কাছে আমগুলো ধরিয়ে দিয়েছে। একই সময় আরও একটি ট্রাক টাকা দিলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তার ট্রাকটিতে মোট ৪০০ ক্যারেট গোবিন্দভোগ জাতের আম ছিল।

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরাফাত হোসেনের সঙ্গে সাতক্ষীরা মিডিয়া সেলের মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপে ক্ষুদেবার্তা দিলেও এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চাঁদার বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। 

নাজমুল শাহাদাৎ/সুমন/ 

কুষ্টিয়ায় ২ পুলিশকে হাতুড়িপেটা করে পালানোর চেষ্টা

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৫, ১০:৩০ এএম
আপডেট: ০৩ মে ২০২৫, ০৩:১৪ পিএম
কুষ্টিয়ায় ২ পুলিশকে হাতুড়িপেটা করে পালানোর চেষ্টা
ছবি: খবরের কাগজ। ইনসেটে-আহত কনস্টেবল

কুষ্টিয়ার মিরপুরে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় দুই পুলিশকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়েছেন এক আসামি।

শুক্রবার (২ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার পালপাড়া বাজারের কাছে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাতে মিরপুরের আমলা হঠাৎপাড়া এলাকা থেকে আশিক (২৫) নামে এক সন্দেহভাজন আসামিকে আটক করে আমলা ক্যাম্প পুলিশ। পরে তাকে মোটরসাইকেল করে মিরপুর থানায় নিয়ে যাচ্ছিলেন আমলা পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম ও কনস্টেবল রুস্তম আলী। এ সময় থানার কাছের পালপাড়া বাজারের কাছে পৌঁছালে আশিক চিৎকার করে মোটরসাইকেল থামাতে বললে চালক এসআই মনিরুল গাড়ি থামালে আসামি কোমর থেকে হাতুড়ি বের করে তার মাথায় আঘাত করে। এতে মাথায় থাকা হেলমেট ভেঙে যায়। এর পর মোটরসাইকেলের পেছনে বসা কনস্টেবল রুস্তম আলীর মাথায়ও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করলে তার মাথা ফেটে যায়। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। পরে থানা পুলিশ কনস্টেবল রুস্তমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় এবং আসামি আশিককে থানা হেফাজতে নেয়।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, একটি মামলার সন্দেহভাজন এক আসামিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার সময় ওই আসামি হামলা করে। এতে এক কনস্টেবল সামান্য আহত হয়েছেন। আসামি পুলিশি হেফাজতে রয়েছে।

মেহেদী/

চাঁদপুরে ছেলেকে খুঁজতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ, গ্রেপ্তার ২

প্রকাশ: ০২ মে ২০২৫, ০৯:২৬ পিএম
চাঁদপুরে ছেলেকে খুঁজতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ, গ্রেপ্তার ২
ধর্ষক মো. সুমন ও মো. মহসিন। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরের কচুয়ায় মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ হওয়া ছেলেকে খুঁজতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মো. সুমন (৩১) ও মো. মহসিন (২৮) নামের দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শুক্রবার (২ মে) দুপুরে তাদেরকে চাঁদপুর আদালতে সোপর্দ করে কচুয়া থানা পুলিশ। এদিন সন্ধ্যায় এই তথ্য নিশ্চিত করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুল ইসলাম।

গ্রেপ্তার সুমন উপজেলার গোহট ইউনিয়নের হাড়িচাইল মুন্সি বাড়ির মৃত বাবুল মিয়ার ছেলে এবং মহসিন একই বাড়ির আব্দুল হালিমের ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত এপ্রিলের ১৭ তারিখ সন্ধ্যায় গৃহবধূ (৩০) তার দশ বছর বয়সী ছেলেকে থেকে খুঁজতে বের হন। ছেলেকে খোঁজার জন্য তিনি ওই গ্রামের মুন্সিবাড়িতে গেলে অভিযুক্তরা তার ছেলেকে পরিত্যক্ত একটি ঘরে লুকিয়ে থাকতে দেখেছে বলে সেখানে নিয়ে যায়। পরে ওই গৃহবধূকে সেখানেই দুই যুবক ধর্ষণ করে। 

ধর্ষণের শিকার হয়ে সম্মানহানির ভয়ে বিষয়টি প্রথমে ওই গৃহবধূ গোপন রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু কয়েকদিন পর ঘটনাটি জানাজানি হলে ওই গৃহবধূ পরিবারের লোকদের পরামর্শে ৩০ এপ্রিল থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের ভিত্তিতে থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার রহিমানগর এলাকা দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেন।

গৃহবধূ পুলিশকে জানিয়েছেন, তার নিখোঁজ হওয়া ছেলেকে পরবর্তীতে মাদ্রাসা এলাকা থেকে খুঁজে পাওয়া যায়।

কচুয়া থানার ওসি মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘ওই গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(৩) ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।’

ওসি আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। পরে তাদেরকে শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়। এরপর আদালত তাদেরকে জেলহাজতে পাঠান।

সুমন/

দাউদকান্দিতে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবা গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০২ মে ২০২৫, ০৩:০২ পিএম
আপডেট: ০২ মে ২০২৫, ০৩:৩০ পিএম
দাউদকান্দিতে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবা গ্রেপ্তার
মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে সুজন প্রধানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি: খবরের কাগজ

দাউদকান্দিতে মেয়েকে (১৪) ধর্ষণের দায়ে বাবাকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠিয়েছে পুলিশ। 

শুক্রবার (২ মে) দুপুর ১২টার দিকে দাউদকান্দি মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মুহাম্মদ সামছুল আলম খবরের কাগজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

মেয়েটি স্থানীয় একটি মাদরাসায় সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে।

গ্রেপ্তার মো. সুজন প্রধান (৩৬) পরিবার নিয়ে বিটেশ্বর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নৈয়াইর গ্রামে থাকেন। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টার দিকে মেয়েটির মা হালিমা বেগম খালার বাড়িতে যান। এ সুযোগে নিজ ভাড়াটিয়ার ঘরে মুখ চেপে মেয়েকে ধর্ষণ করে সুজন। এ ঘটনা মেয়েটি তার আত্মীয়-স্বজন ও মাকে জানালে তারা ব্যবস্থা না নেওয়ায় নিজেই বাদী হয়ে বাবার বিরুদ্ধে মডেল থানায় অভিযোগ করে। 

অভিযোগের পর দাউদকান্দি মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো. সারোয়ার হোসেন ফোর্স নিয়ে নৈয়াইর গ্রাম থেকে সুজনকে গ্রেপ্তার করে।

লিটন/পপি/