ঢাকা ২৫ ভাদ্র ১৪৩১, সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ফেনীতে যুবকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৪, ০৯:৩৮ এএম
আপডেট: ১১ জুন ২০২৪, ০১:৫৬ পিএম
ফেনীতে যুবকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার
ছবি: খবরের কাগজ

ফেনীর সদর উপজেলা থেকে অজ্ঞাত যুবকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

সোমবার (১০ জুন) রাত ১০টার দিকে উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের শাহাপাড়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। 

স্থানীয়রা জানায়, রাত ১০টার দিকে ফাজিলপুর ইউনিয়নের শাহাপাড়া এলাকায় রাস্তার ওপর লাইটের আলো জ্বলছে দেখে ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি নতুন টমটমের পাশে রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে। পরে তারা স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানান। ইউপি সদস্য ঘটনাটি পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

পরে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) শাহাদৎ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থোয়াই অংফু মার্মা, ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) শাহাদৎ হোসেন খবরের কাগজকে বলেন, লাশের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, মুখ থেঁতলানো ও গলা কাটা। প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড ধরেই তদন্ত করছে পুলিশ। 

শাহাদৎ হোসেন/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

দাউদকান্দিতে যুবককে হত্যার পর বিচ্ছিন্ন হাত নিয়ে গেল দুর্বৃত্তরা

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫০ এএম
আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ পিএম
দাউদকান্দিতে যুবককে হত্যার পর বিচ্ছিন্ন হাত নিয়ে গেল দুর্বৃত্তরা
হত্যার পর বিচ্ছিন্ন একটি হাত নিয়ে যাচ্ছেন এক যুবক। ছবি: খবরের কাগজ

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে মহিউদ্দিন (৩০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার পর তার একটি বিচ্ছিন্ন হাত নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের ওলানপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মহিউদ্দিন ওই গ্রামের রফিক মিয়ার ছেলে।

জানা যায়, শনিবার সকালে ওলানপাড়া মসজিদসংলগ্ন সড়কে দুর্বৃত্তরা মহিউদ্দিনের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাকে কোপাতে কোপাতে ডান হাতের কনুই থেকে বিচ্ছিন্ন করে। পরে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া হাত নিয়ে পালিয়ে যায়।

পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় মহিউদ্দিনকে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জান্নাতুল নাইমা খবরের কাগজকে বলেন, ‘ডান হাত ও বাম হাতে একাধিক জখম দেখা গেছে। ডান হাতের কনুইয়ের নিচের অংশ ছাড়াই তাকে হাসাপাতালে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসে।’

এদিকে মহিউদ্দিনের বিচ্ছিন্ন হাতের অংশ নিয়ে হেঁটে যাওয়া এক যুবকের ১১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, এক হাতে চাপাতি আরেক হাতে মহিউদ্দিনের কাটা হাতের অংশ নিয়ে হেঁটে যাচ্ছে এক যুবক।

এলাকাবাসী জানান, উপজেলার গৌরীপুর ও ওলানপাড়া গ্রাম দীর্ঘদিন ধরে মাদকব্যবসা ও অপরাধীদের আখড়া হিসেবে পরিচিত। মাদকব্যবসা নিয়ে স্থানীয় একটি গ্রুপের সঙ্গে মহিউদ্দিনের দ্বন্দ্ব চলছিল।

মহিউদ্দিনের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। জান্নাত নামে তার এক বছর বয়সী মেয়ে রয়েছে।

দাউদকান্দি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শহিদুল্লাহ প্রধান খবরের কাগজকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মাদকসংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে এ হত্যার ঘটনা। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। হত্যাকাণ্ডের শিকার মহিউদ্দিনের নামে মাদক, মারামারি ও ডাকাতিসহ দেশের বিভিন্ন থানায় ৭-৮টি মামলা রয়েছে।’

জহির শান্ত/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

কুমিল্লার ট্রিপল মার্ডারের রহস্য উন্মোচন, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২২ পিএম
আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১১ এএম
কুমিল্লার ট্রিপল মার্ডারের রহস্য উন্মোচন, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
অভিযুক্ত আক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি : খবরের কাগজ

কুমিল্লার হোমনায় ঘরের ভেতর থেকে মা-ছেলেসহ তিনজনের লাশ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। আলোচিত এই ট্রিপল মার্ডারের একমাত্র অভিযুক্ত আক্তার হোসেনকে (২৭) নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে হোমনার শ্রীমদ্দি চরের গাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আক্তার হোসেন শ্রীমদ্দি চরের গাঁও এলাকার হক মিয়ার ছেলে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে হোমনার বড় ঘাগুটিয়া এলাকায় শাহ পরাণের ঘরের ভেতর থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় তিনজনকে হত্যা করে লাশ একটি খাটের ওপর ফেলে রাখা হয়।

নিহতরা হলেন, বড় ঘাগুটিয়া এলাকার মো. শাহ পরাণের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫), তাদের ৯ বছরের ছেলে সাহাত এবং প্রতিবেশী মামাতো ভাইয়ের মেয়ে তিশা (১৪)।

হত্যাকাণ্ডের পর বৃহস্পতিবার রাতে নিহত মাহমুদার বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে হোমনা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঘাতক আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আক্তারকে আদালতে তোলা হয়। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে হোমনা থানা ওসি জয়নাল আবেদীন জানান, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করেছেন আক্তার হোসেন।

তিনি বলেন, ‘ঘটনার পর তদন্তের মাধ্যমে পুলিশ হত্যাকারী আক্তারকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে শ্রীমদ্দি চরের গাঁও এলাকার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার বিকেলে আদালতে তোলা হলে ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন ঘাতক আক্তার।’

গ্রেপ্তার আক্তারের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে ওসি জানান, নিহত মাহমুদার সঙ্গে আক্তার হোসেনের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। সম্পর্কের সুবাদে প্রেমিকের কাছ থেকে মাহমুদা ৪০ হাজার টাকা ধার নেন। সেই টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে আক্তারের সঙ্গে মাহমুদার কয়েক দফা বাগবিতণ্ডা হয়। গত বুধবার সন্ধ্যায় আক্তারকে তার পাওনা টাকা ফেরত দেবেন বলে বাড়িতে ডাকেন মাহমুদা। পরে রাতে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করেন মাহমুদা, আক্তার, মাহমুদার ছেলে সাহাত এবং মাহমুদার ভাতিজি তিশা। খাওয়া শেষে তিশা ও সাহাত ঘুমিয়ে গেলে গভীর রাতে ঝগড়া বাধে মাহমুদা ও আক্তারের মধ্যে। ঝগড়ার একপর্যায়ে মাহমুদাকে মাথায় আঘাত করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন আক্তার। পরে আক্তারকে খুনি হিসেবে চিহ্নিত করতে পারে, এই ভয়ে সাক্ষী না রাখার কথা ভেবে তিশা ও সাহাতকেও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে সে। পরে লাশ তিনটি এক খাটের ওপর রেখে পালিয়ে যায় আক্তার।

চট্টগ্রামের যুবককে চাকরির প্রলোভনে ঢাকায় এনে হত্যা

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০০ এএম
চট্টগ্রামের যুবককে চাকরির প্রলোভনে ঢাকায় এনে হত্যা
মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন মাইমুন

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর যুবক মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন মাইমুনকে (২২) চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় নিয়ে কৌশলে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।

নিহত মাইমুন বাঁশখালী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের উত্তর জলদী রুহুল্লাহপাড়া এলাকার মোহাম্মদ ইউনুসের ছেলে। 

বাঁশখালী থানার পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, নিহত মাইমুন একসময় কারাগারে ছিলেন। কারাগারে ঢাকার এক ব্যক্তির সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়। ঢাকার সেই বন্ধু জেল থেকে বের হয়ে মাইমুনকে ভালো বেতনে চাকরি আছে বলে খবর দিয়ে ঢাকায় যেতে বলেন। গত সোমবার মাইমুন ঢাকায় যাওয়ার পর থেকে তার মোবাইল বন্ধ থাকায় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে গতকাল সকালে যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ বাঁশখালী থানায় মাইমুনের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি জানায়।

নিহতের আত্মীয় শাহেদ আকবর চৌধুরী বলেন, ‘যার কথায় সাড়া দিয়ে মাইমুন ঢাকায় গেছেন, তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। পুলিশ কিংবা আত্মীয়স্বজন কেউ সেই বন্ধুর সন্ধান দিতে পারেননি। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে লাশ গ্রহণ করে পরিবারের সদস্যরা বাঁশখালীর পথে রওনা দেন। মাইমুন একজন নম্র স্বভাবের ছেলে ছিলেন। তাকে কেন হত্যা করা হলো বুঝতে পারছি না।’

বাঁশখালী থানার ওসি (তদন্ত) সুধাংশু শেখর হালদার বলেন, ‘যাত্রাবাড়ী থানা থেকে লাশ উদ্ধারের বিষয়টি বাঁশখালী থানাকে জানালে আমরা ছেলেটির পরিবারকে খুঁজে বের করি।’

নাগরপুরে চাচা-ভাতিজাকে কুপিয়ে হত্যা, গণপিটুনিতে নিহত হত্যাকারীও

প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৭ এএম
আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:০৫ পিএম
নাগরপুরে চাচা-ভাতিজাকে কুপিয়ে হত্যা, গণপিটুনিতে নিহত হত্যাকারীও

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাচা ও ভাতিজাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এক যুবক। এ সময় স্থানীয়দের গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন হত্যাকারীও।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার ধুবরিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন- আ. ছাত্তার (৫০) এবং আসাদুল (২৮)। তারা সম্পর্কে আপন চাচা-ভাতিজা ও ঘাতক তালেব। 

স্থানীয়রা জানান, রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্তারের সঙ্গে একই গ্রামের মাদকসেবী তালেব মিয়ার (৩৫) কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তালেব সঙ্গে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছাত্তারকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এ সময় তার চিৎকারে ভাতিজা আসাদুল এগিয়ে এলে তাকেও কোপায় তালেব। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। 

নিহতের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা ঘাতক তালেবকে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এইচএম জসিম উদ্দিন খবরের কাগজকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

জুয়েল রানা/ইসরাত চৈতী/

খুলনায় আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে বিএনপি নেতা খুন

প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৫০ এএম
আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:০৭ পিএম
খুলনায় আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে বিএনপি নেতা খুন
ছবি : নিহত ইউপি সদস্য সৈয়দ ফারুক আলী মীর। ছবি: খবরের কাগজ

খুলনার তেরখাদায় আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে ৬নং মধুপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ ফারুক আলী মীরকে (৪০) কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার পিতা গাউস মীরসহ (৭০) আরও চারজন গুরুতর জখম হন। আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় খুলনার তেরখাদা কোলা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ফারুক আলীর বাড়ি বাজারের পাশেই মধুপুর গ্রামে। তিনি মধুপুর ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ছিলেন।

স্থানীয়রা জানায়, পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঠা নিয়ে হামলা করে। এ সময় ফারুক আলীসহ পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে খুমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফারুক আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।

আহতরা অন্যরা হচ্ছেন- নুরু মোল্লা (৪০), জসিম মীর (৪০) ও ইলিয়াছ (৫০)। ঘটনাস্থল তেরখাদা ও দিঘলিয়া থানার সীমানা এলাকায় হওয়ায় দিঘলিয়া থানার পুলিশ হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে।

দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আক্তার জানান, আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে এ ঘটনা ঘটেছে। হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

মাকসুদ রহমান/সাদিয়া নাহার/