ঢাকা ৩০ আষাঢ় ১৪৩২, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
English

ভারতে হারানো আইফোন চট্টগ্রামে উদ্ধার

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৪:৫৭ পিএম
ভারতে হারানো আইফোন চট্টগ্রামে উদ্ধার
ছবি : সংগৃহীত

ভারতের কলকাতায় হারানো একটি আইফোন ১৪ প্লাস চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। 

সোমবার (৮ জুলাই) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

পুলিশ জানায়, কিছুদিন আগে এক ভারতীয় নাগরিকের আইফোন ১৪ প্লাস মোবাইল পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় হারিয়ে যায়। তিনি এ ঘটনায় সেখানকার মহেশতলা থানায় জিডি করেন। মোবাইল হারানোর কিছুদিন পর বাদীর কাছে একটি ই-মেইল যায়। সেখানে বলা হয়, হারানো মোবাইলটি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম শহরে চালু হয়েছে। তখন তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অফিশিয়াল পেজে যোগাযোগ করে তার জিডি ও মোবাইলটি চালু করার লোকেশন পাঠান। ম্যাসেজ পেয়ে সিএমপির জনসংযোগ শাখা মোবাইলটি উদ্ধারে সর্বোচ্চ সহায়তার আশ্বাস দেন।

এরপর মোবাইলটি উদ্ধারের দায়িত্ব পান চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা (বন্দর, পশ্চিম) বিভাগ। মোবাইল সেটে কোনো সিমকার্ড না থাকার পরও নানা কৌশলে চারজনকে শনাক্ত করে গোয়েন্দারা। তারা ভারত থেকে চোরাই মোবাইল চট্টগ্রামে এনে তামাকুমন্ডি লেনে বিভিন্ন খুচরা দোকানে পৌঁছে দেয় এবং নিজেরাও বিক্রি করে।

এ ঘটনায় আভিযানিক দল সিন্ডিকেটের হোতাকে টার্গেট করে গত ৬ জুলাই নিউমার্কেট এলাকার জলসা মার্কেটে অভিযান চালায়। সিন্ডিকেটের হোতা বিষয়টি বুঝতে পেরে এক ব্যবসায়ীকে দিয়ে চোরাই মোবাইলটি ডিবির এসআই রবিউল ইসলামের কাছে পৌঁছে দেয়।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ জানান, এই সিন্ডিকেট ভারতের সব চোরাই মোবাইল চট্টগ্রামে পাঠায়। পাশপাশি বাংলাদেশের চোরাই দামি মোবাইল ভারতে ও ভুটানে পাঠিয়ে থাকে। সিন্ডিকেট সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

ইফতেখারুল ইসলাম/অমিয়/

সিলেটে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পেট্রোল ঢেলে হত্যার চেষ্টা, স্বামী গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৪:৪২ পিএম
সিলেটে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পেট্রোল ঢেলে হত্যার চেষ্টা, স্বামী গ্রেপ্তার
হোসেন আহমদ চৌধুরী আক্তার

সিলেটের কানাইঘাটে ১০ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সাবানা বেগমের (২০) শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে হত্যার চেষ্টায় স্বামী হোসেন আহমদ চৌধুরী আক্তারকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় সাবানার গর্ভের শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।

গত শনিবার (১২ জুলাই) রাত ৮টার দিকে কানাইঘাটের লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের কান্দলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। 

ঘটনার তিনদিন পর স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ হোসেন আহমদকে গ্রেপ্তার করে। 

সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে কানাইঘাট উপজেলার সাতবাঁক ইউনিয়নের চরিপাড়া গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সীমান্তবর্তী লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের কান্দলা গ্রামের হোসেন আহমদের সঙ্গে বছরখানেক আগে একই গ্রামের সাবানার বিয়ে হয়। গত শনিবার রাত ৮টার দিকে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে আনতে শ্বশুর বাড়ি যান হোসেন। কিন্তু সাবানা অসুস্থ থাকায় শাশুড়ি মেয়েকে নিজের কাছে রাখতে চান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হোসেন শ্বশুর বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। কিছুক্ষণ পরে তিনি স্থানীয় কান্দলা নয়াবাজার থেকে টাইগারের বোতলে পেট্রোল কিনে শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে আচমকা বিছানায় শুয়ে থাকা সাবানার উপরে ঢেলে গ্যাস লাইট দিয়ে আগুন ধরিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান। এর পর সাবানার চিৎকারে পরিবারের সদস্য ও আশপাশের লোকজন গিয়ে শরীরের আগুন নেভান। তবে ততক্ষণে সাবানার শরীরের বেশির ভাগ অংশ পুড়ে যায়। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকালে সাবানা মৃত সন্তান প্রসব করেন। বর্তমানে সাবানা হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।

এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ফখর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘শনিবার রাতেই আমি হাসপাতালে গিয়ে সাবানার অবস্থা দেখি। পরে পুলিশকে জানানো হলে মৃত নবজাতককে দাফন করা হয়।’

কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘স্ত্রীর গায়ে আগুন দেওয়ার অভিযোগে হোসেন আহমদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’

পপি/

নরসিংদীতে মাদককারবারির বাড়িতে যুববকে নির্যাতন করে হত্যা

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩৪ পিএম
নরসিংদীতে মাদককারবারির বাড়িতে যুববকে নির্যাতন করে হত্যা
নিহত সাজিদের মা মুসলেমা বেগমের আজহারি। ছবি: খবরের কাগজ

নরসিংদীর শিলমান্দী ইউনিয়নের বাগহাটা টেকপাড়া গ্রামে মাদককারবারি দুলালের বাড়িতে এক যুবককে আটকে নির্যাতনের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

নিহত সাজিদ হোসেন (২২) বাগহাটা গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে। স্বজনদের অভিযোগ, দুলাল ও তার সহযোগীরা সাজিদকে বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। 

খবর পেয়ে সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে শেখেরচর ফাঁড়ি ও সদর থানার পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। 

জানা যায়, গতকাল রবিবার রাত ২টার দিকে সাজিদের মা মুসলেমা বেগম খবর পেয়ে দুলালের বাড়ি যায়। গিয়ে দেখেন, দুলাল ও তার বাড়ির সদস্যরা বাড়ির গেটে তালা দিয়ে পালিয়ে গেছেন। পরে স্বজনরা তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে সাজিদের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।

এ ঘটনায় গ্রামবাসী ও স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত বিচারের দাবি জানান। 

স্থানীয় রফিকুল ইসলাম, জোবায়ের ও অন্যান্যরা বলছেন, টেকপাড়া গ্রামের আতাউরের ছেলে মাদককারবারি ও একাধিক মামলার আসামি দুলাল (৪০) এখন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের অনুসারী। তার দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। সাজিদকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে পরিবারের কাছ থেকে ছিনিয়ে মাদকব্যবসায় সহযোগী বানিয়েছে দুলাল। ধারণা করা হচ্ছে তাদের ব্যবসার রাস্তাঘাট চিনে ফেলায় এখন তারাই তাকে হত্যা করে পালিয়ে গেছেন।

নিহতের মা মুসলেমা বেগম বলেন, আমার একমাত্র ছেলে সাজিদ। তাকে পাঁচ দিন ধরে নির্যাতন করেছে। তাকে বাঁচাতে নগদ ৫০ হাজার টাকা দিতে বলা হয়েছিল। আমাদের কাছে টাকা না থাকায় দুলাল আমাদের বাড়ির দলিল নিতে চেয়েছিল। আমরা গতকাল তার বাড়িতে এসেছিলাম, কিন্তু ছেলেকে দেখতে দেয়নি তারা। শেষ পর্যন্ত আমার ছেলেটিকে তারা এভাবে হত্যা করল। এ বিচার কে করবে? 

শেখেরচর ফাঁড়ির পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা যায়, মাদকের টাকার লেনদেন নিয়ে সাজিদকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুলালের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। দুলাল ও তার সহযোগী রনিসহ জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।

শাওন/অমিয়/

বলাৎকারের পর মাদরাসা ছাত্রকে হত্যা, ২১ দিন পর মরদেহ উত্তোলন

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৪:১৩ পিএম
বলাৎকারের পর মাদরাসা ছাত্রকে হত্যা, ২১ দিন পর মরদেহ উত্তোলন
ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় তাসনিমুল হাসান সাজিদ (১৫) নামে এক মাদরাসা ছাত্রকে বলাৎকারের পর হত্যার অভিযোগের ২১ দিন পর ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।

সোমবার (১৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাতগড়িয়া পাড়ার সোয়ারী বর জামে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থান থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

এ সময় লোহাগাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন লায়েল, লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মো. আব্বাস উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ২৪ জুন বিকেল ৪টার দিকে লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের সাতগড়িয়া পাড়ার শরিয়ত উল্লাহ জামে মসজিদের পাশে একটি মাঠে সাজিদের নিথর দেহ পড়ে ছিল। সেখান থেকে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তখন তার শরীরের বেশ কয়েকটি জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।

সে সময় ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সাজিদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করা হয় এবং দ্রুত তার মরদেহ দাফন করা হয়। 

পরে সাজিদের বাবা মো. মাঈনুদ্দিন আজাদের (৩৫) সন্দেহ হলে এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেন। 

এর প্রেক্ষিতে, গত (১ জুলাই) সাজিদের বাবা বাদী হয়ে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দুজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে মামলাটি এজাহার (এফআইআর) হিসেবে নথিভুক্ত করার জন্য লোহাগাড়া থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

এ মামলায় সাজিদের আরবি শিক্ষক ও স্থানীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন নাছির উদ্দিনকে (৩৭) প্রধান আসামি করা হয়। এ ছাড়া সাজিদের নানা আবুল হোসেনকেও (৫৫) এ মামলার আসামি করা হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের কারণে সাজিদ তার নানার বাড়িতে মায়ের সঙ্গে থেকে আধুনগর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ালেখা করত। এ ছাড়া সে স্থানীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন নাছির উদ্দিনের কাছে মসজিদের পাশের একটি কক্ষে আরবি পড়ত। প্রতিদিনের মতো ২৪ জুন বিকেল ৩টায় সে আরবি পড়তে গেলে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শিক্ষক নাছির, সাজিদের মাকে ফোন করে জানান, সাজিদ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে। পরে স্থানীয়রা মসজিদের পাশের একটি মাঠ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, সাজিদের মৃত্যুর খবর পেয়ে শিক্ষক নাছির ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাবার চেষ্টার সময় স্থানীয়রা তাকে আটক করেন। পরে সাজিদের নানা আবুল হোসেনের সহায়তায় নাছির পালিয়ে যান। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে সাজিদের বাবা জানতে পারেন তার ছেলেকে নাছির জোরপূর্বক যৌন নিপীড়ন করার পর মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে এবং মৃত্যু নিশ্চিত করতে নাক ও মুখে বালিশ চাপা দেয়। শিশু সাজিদের গায়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের কোনো চিহ্ন ছিল না। এ ছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে বৈদ্যুতিক তারের দূরত্বও অনেক বেশি। 

সাজিদের বাবা বলেন, ‘মৃত্যুর পর আমার ছেলের মরদেহের ছবি আমি দেখেছি, তখন তার শরীরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের কোনো চিহ্ন ছিল না। তার মাথা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। আর ঘটনাস্থল থেকে বৈদ্যুতিক তারের দূরত্ব অনেক বেশি ছিল।’

তিনি বলেন, ‘ঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষক নাছির উদ্দিন পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে। কিন্তু মসজিদ কমিটির লোকজন তাকে নিজেদের জিম্মায় নেন এবং পরে আমার শ্বশুর আবুল হোসেনের সহায়তায় সে পালিয়ে যায়। আমার ছেলের শ্বশুর বিপুল অর্থের বিনিময়ে অভিযুক্ত নাছিরকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। তিনি ময়নাতদন্ত ছাড়া এবং আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই তড়িঘড়ি করে দাফন সম্পন্ন করেন। যা একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা।’

লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বলেন, ‘বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে সাজিদের মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে।’

আরিফুল/পপি/

পতেঙ্গায় গৃহবধূকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ০২:৫৬ পিএম
আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৩:২৬ পিএম
পতেঙ্গায় গৃহবধূকে  ছুরিকাঘাতে  হত্যা
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম মহানগরের পতেঙ্গা এলাকায় দেবরের ছুরিকাঘাতে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন।

সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে পতেঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সজীব আচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

জানা গেছে, নিহত গৃহবধূর নাম ফেরদৌস আরা (৪০)। তিনি পতেঙ্গা এলাকার লোকমানের স্ত্রী। জমি সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছিল। রবিবার (১৩ জুলাই) রাতে ঝগড়ার একপর্যায়ে ওই গৃহবধূকে ছুরিকাঘাত করেন তার দেবর রবিন ওরফে রনি। প্রতিবেশীরা আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এসআই সজীব বলেন, রবিবার (১৩ জুলাই) রাতে পতেঙ্গার চড়িহালদা মোড় এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পরপরই রনি পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা হবে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। 

মৌসুমী/অমিয়/

বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান খায়রুল বাসার গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ০১:৫৮ পিএম
বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান খায়রুল বাসার গ্রেপ্তার
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

মানিলন্ডারিং মামলায় বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান লায়ন এম কে খায়রুল বাসারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম টিম।

সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে রাজধানীর একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দুপুরে সিআইডির গণমাধ্যম শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

জাহাঙ্গীর/সালমান/