
কক্সবাজার সদরে কালীরছড়া এলাকায় ঈদগাঁও মাঠে নিয়ে শ্বাসরোধ করে বন্ধু আব্দুল্লাহ আল মামুনকে হত্যার পর তার জানাজায় অংশ নেয় শাহেদ।
বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে তাকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানান র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়ন (র্যাব)-১৫এর উপ-অধিনায়ক মো. শরীফ আহসান।
তিনি জানান, এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয় আব্দুল্লাহ আল মামুনের। বন্ধু মামুনের প্রেমিকার সঙ্গে পরিচয় হয় শাহেদের। সেই পরিচয়ের পর বন্ধু মামুনের অজান্তে তার প্রেমিকার সঙ্গে গোপনে গোপনে কথা হয় শাহেদের। এরপর মামুনকে বাদ দিয়ে শাহেদের প্রেমে পরে তরুণী। শাহেদ তরুণীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ ছবি ও ভিডিও মামুনের মোবাইল ফোনে শেয়ার করে। এতে তরুণী ক্ষিপ্ত হয়ে শাহেদের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিন্ন করে। এতে শাহেদ ক্ষিপ্ত হয়ে মামুনকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, চকরিয়া থেকে এক লাখ টাকায় সন্ত্রাসী ভাড়া করেন শাহেদ। রবিবার রাতে সদরের খরুলিয়ার বাসা থেকে ডেকে মোটরসাইকেলে মামুনকে সঙ্গে নিয়ে ঈদগাঁও মাঠের দিকে রওনা দেয় শাহেদ। সেখানে আগে থেকে প্রস্তুত ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেল থামিয়ে মামুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তারপর রামুর রশিদ নগর এলাকায় রেললাইনের পাশে লাশ ফেলে তার মোবাইলটি নিয়ে চলে যায় শাহেদ।
তিনি আরও জানান, পরে মামুনের জানাজায় অংশ নেয় শাহেদ। এ ছাড়াও প্রশাসনকে নানা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করে। কিন্তু মামুনের আচরণ সন্দেহজনক হলে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে মামুনকে হত্যার বর্ণনা দেয়।
পরে সোমবার (৮ জুলাই) হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মামুনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মুহিববুল্লাহ মুহিব/জোবাইদা/অমিয়/