ঢাকা ১৭ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

নিরাপত্তাকর্মী বেশে কারখানায় ডাকাতি করতেন তারা

প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪৪ পিএম
আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪৫ পিএম
নিরাপত্তাকর্মী বেশে কারখানায় ডাকাতি করতেন তারা
ছবি : খবরের কাগজ

সাভারের আশুলিয়ায় আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা নিরাপত্তাকর্মী বেশে বিভিন্ন তৈরি পোশাক কারখানায় ডাকাতি করতেন। 

গতকাল শনিবার (২৭ জুলাই) গভীর রাতে আশুলিয়ার বুড়িরবাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি ছুরি, তিনটি ছোট স্লাই রেঞ্জ, একটি খেলনা পিস্তল ও খেলনা হ্যান্ডকাফ, এন্টিকাটার ও নিরাপত্তাকর্মীর পোশাক উদ্ধার করা হয়। 

রবিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে আশুলিয়া থানায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) আব্দুল্লাহিল কাফি।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মাগুরার মহাম্মদপুর উপজেলার জাঙ্গালিয়া মধ্যপাড়া এলাকার মৃত রুস্তম শেখের ছেলে মো. লিটন শেখ (৩৯), একই এলাকার নারায়ণপুর গ্রামের আবির মোল্লার ছেলে মো. আয়নাল হোসেন পলাশ (৩৬), জাঙ্গালিয়া মধ্যপাড়া গ্রামের আলী আক্কাস মোল্লার ছেলে মো. মনিরুল ইসলাম (৩৪), আব্দুল হাকিম বিশ্বাসের ছেলে ফরহাদ আলী (২৮), দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার কুলুমক্ষেত্র গ্রামের মো. কালামের ছেলে মো. রাশেদুল ইসলাম (২৬), পুলিখাপুর গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে হামিদুল ইসলাম (৪০) এবং একই জেলার সদর উপজেলার বড় গুজিয়াপাড়া এলাকার আব্দুল বারেকের ছেলে মো. মোজাম্মেল হক (৩০)।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নোমান ছিদ্দিক বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি বাড়িতে ডাকাতির প্রস্তুতির খবর পাই। পরে দুই পুলিশ সদস্যকে নিয়ে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখা যায়, সাতজনের বেশি ডাকাত অবস্থান করছেন। এ সময় তারা আক্রমণাত্মক হয়ে গেলে একজনকে ধরে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে জানালার গ্রিলের সঙ্গে আটকে দেই। পরে এক এক করে সবাইকেই আটক করি। পরবর্তী সময়ে পুলিশের আরও কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে তাদের থানায় আনা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি মামলা দায়ের করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফি জানান, ছাত্র আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে একটি চক্র শিল্পাঞ্চলগুলোতে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। পরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আশুলিয়ার ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে। 

ডাকাতির কৌশল সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতরা প্রথমে বিভিন্ন পোশাক কারখানায় সিকিউরিটি গার্ড (নিরাপত্তাকর্মী) হিসেবে চাকরি নেন। পরে কারখানার সব তথ্য সংগ্রহ করেন তারা। একপর্যায়ে দলের অন্য সদস্যদের নিয়ে ডাকাতির পরিকল্পনা করে। টার্গেট করা কারখানার অন্য নিরাপত্তাকর্মীদের রশি দিয়ে হাত-পা ও কাপড় দিয়ে চোখ-মুখ বেঁধে মূল্যবান জিনিসপত্র ডাকাতি করতেন তারা।’

ইমতিয়াজ/সালমান/

দয়াগঞ্জে পুলিশ সদস্য হত্যার ঘটনায় স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার ২

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৯ পিএম
দয়াগঞ্জে পুলিশ সদস্য হত্যার ঘটনায় স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার ২
ছবি: খবরের কাগজ

রাজধানীর দয়াগঞ্জে হুমায়ুন কবির (৪৫) নামে এক পুলিশ সদস্যকে হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকালে দয়াগঞ্জের নিজ বাসার গেটের সঙ্গে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন প্রতিবেশীরা। খবর পেয়ে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলের মর্গে পাঠায়। আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালের দিকে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়। পরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। 

এদিকে পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদন বলছে হুমায়ুন কবিরকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে৷ এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের ভাই খোকন হাওলাদার। ঘটনার পরে নিহত পুলিশ সদস্য খোকনের স্ত্রী সালমা বেগম ও ভাই আল মামুনের স্ত্রীর বোন পলি আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পলাতক রয়েছেন মূল আসামি ও নিহত হুমায়ুনে স্ত্রী সালমার পরকীয়া প্রেমিক রাজীব আল হাসান। প্রধান আসামি রাজিব সম্পর্কে নিহতের বেয়াই হতেন। নিহতের ভাই আল মামুনের স্ত্রীর আপন ভাই এই রাজীব। 

স্বজনদের অভিযোগ, সালমা বেগমের সঙ্গে রাজীবের প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। এ নিয়ে হুমায়ুনের পরিবারে অশান্তি চলছিল। বিষয়টি নিয়ে পারিবারিকভাবে একাধিকবার সালিশ বৈঠকও হয়েছিল। এই প্রেমের সম্পর্কের জের ধরেই রাজীব আল হাসান, তার বোন পলি আক্তার ও নিহত হুমায়ুনের স্ত্রী সালমা পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটিয়েছেন। 

স্থানীয়রা জানান, নিহত হুমায়ুন কবির অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের ভদ্র একজন মানুষ ছিলেন। একদিকে তার হত্যাকাণ্ড, অন্যদিকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী গ্রেপ্তার। এমন ঘটনায় নির্বাক তাদের ১৩ বছর ও ৭ বছর বয়সী দুই শিশু সন্তান। মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারসহ জড়িতদের ফাঁসি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসী। 

যাত্রাবাড়ী থানা সূত্রে জানা গেছে, হুমায়ুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঘটনার সাথে জড়িত স্ত্রী সালমাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি র একটি পাঁচতলা ভবনের তৃতীয় তলায় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে বসবাস করতেন হুমায়ুন কবির। পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সূর্যমনি ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। নিহত হুমায়ুন কবির ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যানবাহন শাখায় কর্মরত ছিলেন। পুলিশ জলকামান চালাতেন তিনি।

মশিউর/মেহেদী/

মোহাম্মদপুরে কিশোরীকে অস্ত্রের মুখে দলবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৩ এএম
মোহাম্মদপুরে কিশোরীকে অস্ত্রের মুখে দলবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪
মোহাম্মদপুরে কিশোরীকে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার এলাকায় এক কিশোরীকে অস্ত্রের মুখে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। 

গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

তারা হলেন মুস্তাকিম, সুমন, ঝটন ও রবিন। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি সামুরাই ছুরি, একটি দেশীয় বড় ছুরি ও নগদ ৩ হাজার ৩৪০ টাকা জব্দ করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী ইফতেখার হাসান। 

তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর একটি টিম রায়েরবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় হস্তান্তর করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

সেনাবাহিনীর ৪৬ ব্রিগেডের এক কর্মকর্তা জানান, অভিযুক্তরা শুধু সংঘবদ্ধ ধর্ষণেই নয়; ছিনতাই, ডাকাতি ও ইভ টিজিংসহ একাধিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল।

সোমবার রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, চারজনের একটি চক্র রায়েরবাজার এলাকায় এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে এবং পরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের ওপর ভয়ভীতি দেখিয়ে মামলা না করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। 

গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত চারজনই তাদের অপরাধের বিষয়টি স্বীকার করেছে। পরে তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করা হয় এবং মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

তেলের ট্রাক ছিনতাই করে চালক-হেলপারকে ধানখেতে ফেলে গেল ডাকাতদল

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫৫ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫৮ পিএম
তেলের ট্রাক ছিনতাই করে চালক-হেলপারকে ধানখেতে ফেলে গেল ডাকাতদল
ছবি: খবরের কাগজ

বগুড়ার মহাস্থানগড়ের ব্রিজ এলাকা থেকে সয়াবিন তেল ভর্তি একটি ট্রাক ছিনতাই করে ট্রাকের চালক ও তার হেলপারকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে জয়পুরহাটের কালাই পৌরশহরের পূর্বসড়াইল এলাকায় একটি ধানখেতে ফেলে যায় ডাকাতদল। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর তাদের উদ্ধার করা হয়। 

চালক আব্দুল মালেক (৪৫) রংপুর সদর উপজেলার বাবুগাঁও গ্রামের মৃত নূরুল ইসলামের ছেলে ও হেলপার নজরুল ইসলাম একই জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের বাসিন্দা।

জানা গেছে, রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে চট্টগ্রাম থেকে সয়াবিন তেল নিয়ে রংপুরের উদ্দেশে  আসার পথে সোমবার ভোরে বগুড়ার মহাস্থানগড় ব্রীজ এলাকায় পৌঁছালে ডাকাত দল ট্রাকের গতিরোধ করে চালক ও সহকারীকে মারধর করে আরেকটি ট্রাকে তুলে নেয়। এর পর তাদের ট্রাকটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় ডাকাতরা। পরে তারা মোকামতলা হয়ে রোড পরিবর্তন করে জয়পুরহাটের দিকে রওনা দেয়। কালাই উপজেলার পূর্বসড়াইল এলাকায় এসে চালক ও সহকারীকে তাদের হাত-পা বেঁধে এবং মুখ টেপ দিয়ে বন্ধ করে ধানখেতের ময়লার ভাগাড়ে ফেলে দেয়। পরে সন্ধ্যার আগে ধানখেত থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।

আহত চালক আব্দুল মালেক জানান, ডাকাতরা মারধরের পর তাদের গাড়ি নিয়ে পালিয়ে গেছে। রাত তিনটা থেকে বিকেল পর্যন্ত তারা ধানখেতের কাঁদা-পানিতে পড়ে ছিলেন, মুখে টেপ থাকায় সাহায্য চাইতেও পারেননি।

কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন জানান, ডাকাতির ঘটনায় তদন্তসহ লুট হওয়া ট্রাক ও মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

সাগর/মেহেদী/

নড়াইলে হত্যা মামলার আসামিকে খুন

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪০ পিএম
নড়াইলে হত্যা মামলার আসামিকে খুন
ছবি: খবরের কাগজ

নড়াইলের কালিয়ায় রফিকুল মোল্যা (৩৮) নামে এক হত্যা মামলার আসামির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের রিকাইল শেখের বাড়ির পেছন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

রফিকুল মোল্যা ওই গ্রামের আজিজুল মোল্যার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালিয়া উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের মিলন মোল্যা ও আফতাব মোল্যার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত ১১ এপ্রিল এই বিরোধের জেরে দুপক্ষের সংঘর্ষে আফতাব মোল্যা গ্রুপের ফরিদ মোল্যা (৫৭) নামে একজন নিহত হন। পরে এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী চম্পা বেগম বাদি হয়ে কালিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় মিলন মোল্যার পক্ষের সমর্থক রফিকুল ইসলামও আসামি ছিলেন। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। পরে মঙ্গলবার সকালে প্রতিপক্ষ আফতাব মোল্যা পক্ষের লোকজন রিকাইল শেখের বাড়ির পেছনে রফিকুলের পা বাঁধা মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে কালিয়া থানা পুলিশের একটি দল মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠায়।

কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে রয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনা কে বা কারা ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শরিফুল/মেহেদী/

সাবেক এমপি এনামুল হক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩৯ পিএম
সাবেক এমপি এনামুল হক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

রাজশাহী-৪ আসনের সাবেক এমপি এনামুল হক ও তার স্ত্রী তহুরা হকের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে নিয়মিত মিডিয়া বিফ্রিংয়ে মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান।

প্রথম মামলায় এনামুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে ১৮ কোটি ৮ লাখ ২৮ হাজার ৯২ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করে তা দখলে রেখেছেন। এ ছাড়া ২০০৭ সালের ১৪ আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি ও তার প্রতিষ্ঠানের নামে ২২টি ব্যাংক হিসাবে মোট ১ হাজার ১২০ কোটি ১৫ লাখ ৭৭ হাজার ২১৬ টাকা জমা এবং ১ হাজার ১১৯ কোটি টাকা উত্তোলন করেছেন, যার মোট পরিমাণ ২ হাজার ২৩৯ কোটি ১৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬০২ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন। উক্ত অর্থের উৎস গোপন করতে তা রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।

এই মামলায় এনামুল হকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা; মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলাটি করেছেন দুদকের সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম।

অপরদিকে, দ্বিতীয় মামলায় এনামুল হকের স্ত্রী তহুরা হক ও এনামুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তহুরা হক তার স্বামীর সহায়তায় জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে ৭ কোটি ৯৫ লাখ ৭ হাজার ৮২৭ টাকার সম্পদ অর্জন ও দখলে রেখেছেন। পাশাপাশি তার নামে থাকা দুটি ব্যাংক হিসাবে ২০২০ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৩ কোটি ৪০ লাখ ১৬ হাজার ২৫ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এই মামলায় উভয়ের বিরুদ্ধে একই আইনের ধারা ছাড়াও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অপরাধে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলাটি করেছেন দুদকের সহকারী পরিচালক আল-আমিন।

দুদক জানায়, তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে এবং অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের উৎস ও লেনদেনের বিস্তারিত অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। সূত্র: বাসস

সুমন/