ঢাকা ২০ আশ্বিন ১৪৩১, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

নাগরপুরে চাচা-ভাতিজাকে কুপিয়ে হত্যা, গণপিটুনিতে নিহত হত্যাকারীও

প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৭ এএম
আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:০৫ পিএম
নাগরপুরে চাচা-ভাতিজাকে কুপিয়ে হত্যা, গণপিটুনিতে নিহত হত্যাকারীও

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাচা ও ভাতিজাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এক যুবক। এ সময় স্থানীয়দের গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন হত্যাকারীও।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার ধুবরিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন- আ. ছাত্তার (৫০) এবং আসাদুল (২৮)। তারা সম্পর্কে আপন চাচা-ভাতিজা ও ঘাতক তালেব। 

স্থানীয়রা জানান, রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্তারের সঙ্গে একই গ্রামের মাদকসেবী তালেব মিয়ার (৩৫) কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তালেব সঙ্গে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছাত্তারকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এ সময় তার চিৎকারে ভাতিজা আসাদুল এগিয়ে এলে তাকেও কোপায় তালেব। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। 

নিহতের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা ঘাতক তালেবকে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এইচএম জসিম উদ্দিন খবরের কাগজকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

জুয়েল রানা/ইসরাত চৈতী/

স্বামীকে হত্যার পর ৯ টুকরা

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫৯ এএম
স্বামীকে হত্যার পর ৯ টুকরা
নিহত অরুণ মিয়ার স্ত্রী মোমেনা বেগম ও মেয়ে লাকী আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী অরুণ মিয়াকে (৭০) হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রী মোমেনা বেগমের বিরুদ্ধে। হত্যার পর লাশ গুম করার উদ্দেশে কেটে ৯ টুকরা করা হয়। পরে লাশের টুকরা ইট দিয়ে পলিথিনে পেঁচিয়ে পাশের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলা হয়।

গত শুক্রবার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত অরুণ মিয়া ওই গ্রামের মৃত সুরুজ ব্যাপারীর ছেলে।

এদিকে লাশ গুম করার পর স্বামী নিখোঁজ হয়েছেন বলে প্রচার করেন মোমেনা। গত শুক্রবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিলেন অরুণ মিয়া। চার দিন পর গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে লাশের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মোমেনা বেগম, তার ছেলে রাসেল ও মেয়ে লাকী আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ। 

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, অরুণ মিয়া প্রায় ৩৫ বছর আগে তার প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর একই গ্রামের তারু মিয়ার মেয়ে মোমেনা বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ লেগে থাকত। অরুণ মিয়ার প্রথম স্ত্রীর ঘরে লুৎফুর রহমান রুবেল নামে এক ছেলে রয়েছে। দ্বিতীয় স্ত্রীর দুই ছেলে ও এক মেয়ে ছিল। এর মধ্যে এক ছেলে দুবাইয়ে কর্মরত অবস্থায় মারা যান। ২০১৭ সাল থেকে অরুণ মিয়া প্রথম পক্ষের ছেলে লুৎফর রহমান রুবেলের সঙ্গে গাজীপুরে বসবাস করে আসছিলেন। কয়েক মাস আগে এলাকাবাসী সালিশের মাধ্যমে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে তার বনিবনা করিয়ে দেন। এরপর থেকে অরুণ মিয়া বেশির ভাগ সময় গ্রামের বাড়িতেই থাকতেন। গত শুক্রবার বিকেল থেকে অরুণ মিয়া নিখোঁজ হন। পরে তার ছেলে লুৎফর রহমান রুবেল সোমবার বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। 

এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে অরুণ মিয়ার পাশের বাড়ির সৌদিপ্রবাসী মনির হোসেনের সেপটিক ট্যাংক থেকে দুর্গন্ধ বের হতে দেখে সন্দেহ হয় এলাকাবাসীর। টর্চ লাইট দিয়ে তারা ট্যাংকের ভেতরে দেখতে পান পলিথিনে মোড়ানো কয়েকটি বস্তু। বিষয়টি জানিয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ রাত ১০টার দিকে ইট দিয়ে মোড়ানো ৯টি পলিথিনের প্যাকেট জব্দ করে। সেগুলো খুললে বেরিয়ে আসে লাশের টুকরো।

নিহতের স্ত্রী মোমেনা বেগম পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন।

তিনি জানান, গত শুক্রবার বিকেলে কলহের একপর্যায়ে শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করলে অরুণ মিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে লাশ নিজেই ৯ টুকরো করে পলিথিনে পেঁচিয়ে ইট মুড়িয়ে পাশের বাড়ির মনিরের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন। 

বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন কুমার পাল জানান, অরুণ মিয়া নিহতের ঘটনায় তার স্ত্রী মোমেনা বেগম, ছেলে রাসেল ও মেয়ে লাকীকে আটক করা হয়েছে।

বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রে জোড়া খুনের আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৪২ পিএম
বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রে জোড়া খুনের আসামি গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার হামিদুর রহমান কালু

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে সাবেক সেনা কর্মকর্তাসহ দুই নিরাপত্তাকর্মী খুনের সঙ্গে জড়িত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড এলাকার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) সুধাংশু শেখর হালদার।

গ্রেপ্তার আসামির নাম হামিদুর রহমান কালু (২২)। তিনি বাঁশখালীর গণ্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনা এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে।

বাঁশখালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান কায়কোবাদ জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামি হামিদুর রহমানকে ইপিজেড এলাকার আত্মীয়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জোড়া খুনে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন। তিনি স্বেচ্ছায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। হত্যার দায় স্বীকার করে অন্যান্য আসামিদের জড়িত থাকার বিষয়টিও তুলে ধরেছেন।

গত ২ সেপ্টেম্বর ভোরে একদল যুবক কয়লা প্রকল্পে চুরি করতে যায়। এ সময় নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট অফিসার ছরওয়ার আলম (৫১) এবং রাশেদ জাওয়ারদার (২২) নিহত হন।

ছরওয়ার আলম কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পে সিকিউরিটি ইনচার্জ ছিলেন। তিনি ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে।

আর রাশেদ জাওয়ারদার রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার জাওয়ারদার গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে।

শফকত হোসাইন/অমিয়/

কুষ্টিয়ায় হাত-পা বেঁধে ছাদ থেকে ফেলে কলেজছাত্র হত্যা

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩৩ পিএম
আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২২ পিএম
কুষ্টিয়ায় হাত-পা বেঁধে ছাদ থেকে ফেলে কলেজছাত্র হত্যা
হাসপাতালে কলেজছাত্র রুবেল। ছবি: খবরের কাগজ

কুষ্টিয়া শহরের একটি চারতলা বাড়ির ছাদ থেকে ফেলে এক কলেজছাত্রকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কোর্টপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু রাসেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত কলেজছাত্রের নাম রুবেল হোসেন (২২)। তিনি কুমারখালী উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। রুবেল কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পাওয়ার ডিপার্টমেন্টের ষষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্র। 

শহরের কোর্টপাড়া এলাকার একটি চারতলা ভবনের তৃতীয় তলায় ছাত্রাবাসে থাকতেন তিনি।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রুবেলকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুষ্টিয়ার বনফুড বেকারি এলাকার একটি চারতলা ভবন থেকে রশি দিয়ে হাত-পা ও কাপড় দিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় নিচে ফেলে দেওয়া হয়। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রাত সাড়ে ১২টার দিকে রুবেল মারা যায়।

নিহত রুবেলের মেসমেট আনিচুর রহমান বলেন, ‘ওই বাড়ির তিনতলার তিনটি রুমে আমরা ৯ জন থাকতাম। রুবেল আমাদের মেসের ম্যানেজার ছিল। রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে নিজের রুম থেকে চিৎকারের শব্দ শুনে নিচে নেমে এসে দেখি হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় রুবেল পড়ে আছে। তখন স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে।’ 

তিনি আরেও বলেন, ‘বিকেল থেকে রুবেলকে চিন্তিত থাকতে দেখেছি। সন্ধ্যার পরে এক সঙ্গে ছাত্রাবাসের খরচের হিসাব করেছি। তবে এই ঘটনা কিভাবে, কারা ঘটিয়েছে সেটা জানি না।’

কামরুল হাসান শুভ নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘ধারণা করছি হাত-পা ও মুখ বেঁধে মারধর করে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে তাকে। তার হাত-পা সাদা রশি ও মুখ লাল কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল। ঘটনার পর পুলিশের সঙ্গে ভবনের তিনতলায় গেলে ওই রুমের বারান্দায় একই রঙের রশি টানানো থাকতে দেখেছি।’

তিনি দাবি করেন, এটা হত্যাকাণ্ড। কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে।

মাহিম নামের স্থানীয় এক যুবক জানান, ঘটনার পরই আমরা ছাত্রাবাসের ছেলেদের কাছে ঘটনা কী হয়েছে জিজ্ঞাসা করেছি। তারা কেউ কিছু জানে না বলছে। তবে চারতলা ভবনের ছাদ বন্ধ থাকে। বাড়ির মালিক ছাড়া ছাদের চাবি ছাত্রাবাসের এক ছেলের কাছে থাকে জানতে পেরেছি। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক কিছু জানতে পারবে।

কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাত ১১টার দিকে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু রাসেল বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। রুবেলের সঙ্গে একই রুমে থাকা হৃদয় ও রাইসুলসহ অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মিলন উল্লাহ/অমিয়/

নাটোরের লালপুর বাকির টাকা চাওয়া নিয়ে বিবাদ, ঘোষণা দিয়ে খুন

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫০ এএম
আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫৫ এএম
বাকির টাকা চাওয়া নিয়ে বিবাদ, ঘোষণা দিয়ে খুন

নাটোরের লালপুরের কদিমচিলান ইউনিয়নের ইয়াজ উদ্দীনের ছেলে মুদি ও চা-দোকানি আব্দুস সালাম (৪৫)।  তার দোকানে নিয়মিত জিনিসপত্র কিনতেন একই এলাকার  আব্দুল মজিদের ছেলে সাহেদ আলী (২৭)। একপর্যায়ে ওই দোকানে সাহেদের ২০০ টাকা বাকি হয়। কয়েক দিন চাওয়ার পরও ওই টাকা দেননি সাহেদ। এক দিন ছেলেকে নিয়ে জিনিসপত্র কিনতে গেলে ওই বাকি টাকা চান সালাম। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সাহেদকে চড়-থাপ্পড় দেন সালাম।

এ ঘটনার পর সবার সামনে ছেলের মাথায় হাত রেখে সালামকে খুন করার ঘোষণা দেন সাহেদ। এরপর কেটে যায় প্রায় এক বছর। একই গ্রামের বাসিন্দা হওয়ায় আবারও আগের মতো কথাবার্তা এবং জিনিসপত্র বেচাকেনা চলছিল। 

গত সোমবার রাতেও ওই দোকানে চা-বিস্কুট খেয়ে বিল পরিশোধ করে বাড়ি ফেরেন সাহেদ। কিন্তু কেউ বুঝতে পারেনি তিনি ওই অপমানের বদলা নেবেন।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুল হাকিম জানান, রাতে দোকানেই চৌকি পেতে ঘুমান সালাম। গত সোমবার রাত দেড়টার দিকে হাঁসুয়া আর পেট্রল নিয়ে ওই দোকানে যান সাহেদ। এরপর সালামের শুয়ে থাকা চৌকিতে পেট্রল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি। সালাম হঠাৎ আগুন দেখে চিৎকার করে চৌকি থেকে লাফ দিয়ে পাশের রাস্তায় দৌড়াতে থাকেন। এ সময় সালামকে পিছু ধাওয়া করে তার ঘাড়ে আর শরীরে হাঁসুয়ার আঘাতে মৃত্যু নিশ্চিত করেন সাহেদ।

এদিকে সালামের চিৎকার শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তারা আগুন দেখে সেটা নেভাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আগুন নেভানোর পর রাস্তায় তারা সালামের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।

এদিকে সালামকে হত্যার পর লোকজন ছুটে আসতে দেখে হাঁসুয়া হাতেই দৌড়ে পালাতে যান সাহেদ। এ সময় পাশের গোধরা গ্রামে পৌঁছালে স্থানীয় রহিম তালুকদারের ছেলে ওহিদুল তালুকদারের (২৭) সঙ্গে তার দেখা হয়। ওহিদুল তাকে জিজ্ঞেস করতেই তিনি সালামকে হত্যা করার কথা বলেন। 

বিষয়টি শুনে সাহেদকে ধরতে গেলে ওহিদুলকেও হাঁসুয়া দিয়ে কোপাতে থাকেন। এ সময় ওহিদুলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে সাহেদকে আটক করে পুলিশে দেন।

লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুজ্জামান বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিকে বুধবার আদালতে পাঠানো হবে।’

কুষ্টিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৬ পিএম
আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৯ পিএম
কুষ্টিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা
ফিলিপনগর ইউপি চেয়ারম্যান নইম উদ্দীন সেন্টু

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নইম উদ্দীন সেন্টুকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে তার নিজ কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। 

এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান খবরের কাগজকে বলেছেন, ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। না দেখে বিস্তারিত বলা সম্ভব না। 

বিস্তারিত আসছে...

মিলন/পপি/