ঢাকা ২৭ কার্তিক ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

জাজিরায় বাবাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ছেলে

প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:০৫ পিএম
আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৫ পিএম
জাজিরায় বাবাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ছেলে
গ্রেপ্তারের প্রতীকী ছবি

শরীয়তপুরের জাজিরায় বাবাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মায়ের দায়ের করা মামলায় ছেলে ফারুক মোল্লাকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার ডুবিসায়বর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জাজিরা থানা সূত্র জানায়, ডুবিসায়বরের বাসিন্দা হানিফ মোল্যার ছেলে ফারুক মোল্যা মালেশিয়ায় ছিলেন। দুই বছর আগে তিনি দেশে ফিরে আসেন। এরপর থেকে বাবা-মায়ের থেকে আলাদা থাকতে শুরু করেন। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ফারুক তার বাবা কাছে ২০ হাজার টাকা চান। হানিফ মোল্যা ফারুককে টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। তখন বাবা ও ছেলের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে হয়ে ফারুক লাঠি দিয়ে তার বাবাকে পেটাতে থাকেন। মাথায় আঘাত করা হলে হানিফ আহত হন। ওই সময় ফারুক তার মা গোলাপজান বিবি ও বোন পারুল আক্তারকেও আঘাত করেন। স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য হানিফকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়।

নিহতের স্ত্রী শনিবার বিকেলে ছেলে ফারুক মোল্যাকে আসামি করে জাজিরা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। 

নিহত হানিফের ভাগ্নি আলেয়া বেগম খবরের কাগজকে বলেন, ‘অসুস্থতার কারনে হানিফ দেশে ফিরে আসেন। এরপর কোনো কাজকর্ম না করে বসে দিন পার করতো। আর কোনো টাকা পয়সার প্রয়োজন হলে আমার মামা হানিফ মোল্লা ও মামীর কাছে চাইতো। কিন্তু আমার মামা তেমন বিত্তবান না হওয়ায় সবসময় ছেলের চাহিদামতো টাকা দিতে পারতো না। এ কারনে বিভিন্ন সময় ভাঙচুর ও তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতো।’

স্থানীয়রা জানান, হানিফ বিদেশ থেকে আসার পর থেকেই তার বাবা-মাকে নির্যাতন করতো। সে অনেকটা নেশাগ্রস্ত ছিল। 

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল-আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে খবরের কাগজকে বলেন, মামলা দায়েরের সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালিয়ে কাজিরহাট এলাকা হতে ফারুক মোল্যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রাজিব হোসেন/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

‘আহারে চানাচুর-চাচা, কে মারল তারে?’

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৯ এএম
আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৩ এএম
‘আহারে চানাচুর-চাচা, কে মারল তারে?’
সিলেটের চতুলবাজারেে এভাবেই চানাচুর বিক্রি করতেন সাজিদ মিয়া (ছবিতে ডান দিকে)। খবরের কাগজ

জমজমাট হাটের এক কোনে সাজিদ মিয়ার (৭০) চানাচুরের পসরা ঘিরে ভিড় থাকত ক্রেতাদের। প্রতিদিন বিকেল ও সন্ধ্যায় স্থানীয় হাটে চানাচুর বিক্রি করতেন তিনি। বিক্রি শেষে রাতে ফিরে যেতেন বাড়ি।
 
চানাচুরওয়ালা সাজিদ মিয়ার রোজকার এ রুটিনে ছেদ পড়ে রবিবার (১০ নভেম্বর) রাতে। তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। হাট থেকে রাতে বাড়ি না ফেরা চানাচুরওয়ালার লাশ মিলল সোমবার (১১ নভেম্বর)  সকালে। গ্রামের পাশে নদীর তীরে একটি গাছের গোড়ায় পাওয়া যায় তার লাশ। গলায় গামছার প্যাঁচ থাকায় ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধ করে সাজিদ মিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার কারণ উদঘাটনে তদন্ত করছে পুলিশ।
 
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার চারিকাটা ইউনিয়নের সরুখেল গ্রাম থেকে সাজিদ মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। এলাকাবাসী জানান, সোমবার সকালে ইছাবা নদীর ধারে ঘাস কাটতে যায় কয়েকজন যুবক। তারা গাছের গোড়ার সঙ্গে বাঁধা বৃদ্ধের লাশ দেখে চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ সময় শনাক্ত হয় লাশটি চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল গ্রামের সাজিদ মিয়ার।

স্থানীয়রা জানান, সাজিদ মিয়া পাঁচ ছেলে-মেয়ের বাবা। তিনি পেশায় একজন চানাচুর বিক্রেতা। উপজেলার চতুলবাজারের সিএনজি স্টেশনে চানাচুর বিক্রি করে সংসার চালাতেন। রবিবার বিকেলে চতুলবাজার থেকে সন্ধ্যায় হরাতৈল জলছার বাজারে যান সাজিদ মিয়া। সেখানে চানাচুর বিক্রি করে আর বাড়ি ফেরেননি। তার লাশ গাছের গোড়ায় গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশসহ স্থানীয়দের ধারণা, সজিদ মিয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা লাশটি নদীর ধারে গাছের গোড়ায় ফেলে গেছেন।

হাটে চানাচুর কেনাবেচায় ব্যস্ত সাজিদ মিয়ার একটি ছবি আর গাছের গোড়ায় পড়ে থাকা লাশের ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন অনেকেই। ইমরান হোসেন নামে চতুলবাজারের এক যুবক লিখেছেন, ‘আহারে চানাচুর-চাচা, কে মারল তারে, কেনে মারল?’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন প্রশ্নে নানা মন্তব্য ও আহাজারি ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাটি পরিকল্পিত হত্যা ও হত্যার কারণ উদঘাটনের দাবি তাদের।
   
কারণ উদঘাটনে পুলিশের একটি দল কাজ করছে বলে জানান জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলসহ সাজিদ মিয়ার যাতায়াত এলাকা চতুলবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ-খবর নিচ্ছে।’  

ঝিকরগাছায় যুবদল কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৮ পিএম
আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩০ পিএম
ঝিকরগাছায় যুবদল কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
যুবদল কর্মী পিয়াল হাসান

যশোরের ঝিকরগাছায় পিয়াল হাসান (২৭) নামে প্রকাশ্যে এক যুবদল কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের বাবা কিতাব আলী বলেন, ‘দুপুরে ভাত খাওয়ার জন্য পিয়াল বাজার থেকে বাড়িতে যাচ্ছিল। রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় পৌঁছানোর পর তার ওপর হামলা চালায় একই গ্রামের কামরুল ইসলামের ছেলে শাহীন রেজা ও শামীম, আমিরুল ইসলামের ছেলে ডালিম ও রিপন, ইয়াকুব আলীর ছেলে সোহেল, আব্দুস সোবহানের ছেলে মেহেদী ও আইয়ুব এবং ইসমাইলসহ ১০-১৫ জন।’ 

তিনি বলেন, এ সময় তারা প্রথমে বোমা ফাটায়। পিয়াল তাদের হাত থেকে বাঁচতে মোবারকপুর গ্রামে গার্লস স্কুলের ভেতরে ঢুকে পড়ে। এ সময় পিছু নিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চলে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পার্থ সারথী রায় বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই পিয়ালের মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে কোপের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান খবরের কাগজকে বলেন, পুরোনো শত্রুতার জেরেই এই হত্যাকাণ্ড। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ছাড়া দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

নজরুল ইসলাম/নাইমুর/অমিয়/

সিলেটে নিখোঁজ শিশু মুনতাহার মরদেহ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৭ পিএম
সিলেটে নিখোঁজ শিশু মুনতাহার মরদেহ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩
মুনতাহা আক্তার জেরিন

সিলেটের কানাইঘাটে নিখোঁজের সাত দিন পর বাড়ির পাশের পুকুর থেকে ৫ বছরের শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তিন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রবিবার (১০ নভেম্বর) ভোর ৪টার দিকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় শিশুটির গলায় রশি পেঁচানো ছিল।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোরে বৃদ্ধা আলীফজান মুনতাহার মরদেহ কোলে করে এনে পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলার চেষ্টা করছিলেন। তখন যার পুকুর তিনি এ দৃশ্য দেখে ওই নারীকে আটক করে পুলিশে খবর দেন।

এর আগেই আলীফজানের মেয়ে মর্জিয়া আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ।

এই ঘটনায় অভিযুক্ত মর্জিয়া আক্তার, তার মা আলীফজান ও আলীফজানের মা কুতুবজানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

এই খবর জানাজানির পর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মর্জিয়ার বসতঘর গুড়িয়ে দেন।

কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল বলেন, মুনতাহার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিবেশী মর্জিয়া আক্তার ও তার মা আলীফজান মিলে তাকে হত্যা করেছে।

মুনতাহাকে গত রবিবার (৩ নভেম্বর) অপহরণ করার পর হত্যা করা হয়। ওইদিনই তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ ঘরের পাশে খালের মাটিতে চাপা দিয়ে রাখা হয়।

আলীফজান ভিক্ষা করেন। তবে কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। এই ঘটনায় শনিবার মর্জিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। এরপর ভোরে মরদেহ উদ্ধারের পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

কানাইঘাট উপজেলার বীরদল গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে মুনতাহা আক্তার জেরিন (৫)। ৩ নভেম্বর বিকেল ৩টার দিকে মেয়ে নিখোঁজ হয়। পরে খোঁজাখুঁজির পরও সন্ধান না পেয়ে ওইদিন রাতে কানাইঘাট থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

শাকিলা ববি/অমিয়/

রাজধানীতে ট্রাম্পের ছবিসংবলিত প্ল্যাকার্ডসহ গ্রেপ্তার ১০

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৩ এএম
রাজধানীতে ট্রাম্পের ছবিসংবলিত প্ল্যাকার্ডসহ গ্রেপ্তার ১০
ছবি: খবরের কাগজ

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা ব্যবহার করা প্ল্যাকার্ডসহ দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে শেখ হাসিনার নির্দেশনার ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপের বাস্তবায়নকারী ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৯ নভেম্বর) রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ উসকানিমূলক পোস্টার, ছবিসহ প্ল্যাকার্ড ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রেপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

তিনি জানান, বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক নষ্টের জন্য তারা এই পরিকল্পনা করেছিলেন। সম্প্রতি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপে শেখ হাসিনা তার দলের নেতা-কর্মীদের অবৈধ মিছিল সমাবেশের মাধ্যমে সেই ছবি ও প্ল্যাকার্ডসমূহ ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার নির্দেশ দেন।

এসব অপকর্মের উসকানিদাতা, অর্থের জোগানদাতা ও জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান পুলিশের এই উপ-কমিশনার।

আল-আমিন/মেহেদী/অমিয়/

১৭ লাখ টাকা লুটের প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৮ এএম
আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৮ এএম
১৭ লাখ টাকা লুটের প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর আদাবর এলাকার একটি অফিসে ঢুকে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুট ও দস্যুতার মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খানকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-২।

শুক্রবার (৮ নেভম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন র‌্যাব-২-এর সহকারী পুলিশ সুপার শিহাব করিম।

তিনি জানান, গ্রেপ্তারের সময় দাউদের কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি ও পাঁচ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
 
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর আদাবর থানাধীন বাইতুল আমান হাউজিং সোসাইটির ব্রিটিশ কলাম্বিয়া স্কুলের চতুর্থতলায় অফিসে ঢুকে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুট করেন দাউদ খানসহ কয়েকজন। এ ঘটনায় আদাবর থানায় দাউদ খানের নাম উল্লেখসহ কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের হয়। এ মামলায় ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খানকে আদাবর থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-২।