শরীয়তপুরের জাজিরায় বাবাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মায়ের দায়ের করা মামলায় ছেলে ফারুক মোল্লাকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার ডুবিসায়বর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জাজিরা থানা সূত্র জানায়, ডুবিসায়বরের বাসিন্দা হানিফ মোল্যার ছেলে ফারুক মোল্যা মালেশিয়ায় ছিলেন। দুই বছর আগে তিনি দেশে ফিরে আসেন। এরপর থেকে বাবা-মায়ের থেকে আলাদা থাকতে শুরু করেন। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ফারুক তার বাবা কাছে ২০ হাজার টাকা চান। হানিফ মোল্যা ফারুককে টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। তখন বাবা ও ছেলের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে হয়ে ফারুক লাঠি দিয়ে তার বাবাকে পেটাতে থাকেন। মাথায় আঘাত করা হলে হানিফ আহত হন। ওই সময় ফারুক তার মা গোলাপজান বিবি ও বোন পারুল আক্তারকেও আঘাত করেন। স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য হানিফকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের স্ত্রী শনিবার বিকেলে ছেলে ফারুক মোল্যাকে আসামি করে জাজিরা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
নিহত হানিফের ভাগ্নি আলেয়া বেগম খবরের কাগজকে বলেন, ‘অসুস্থতার কারনে হানিফ দেশে ফিরে আসেন। এরপর কোনো কাজকর্ম না করে বসে দিন পার করতো। আর কোনো টাকা পয়সার প্রয়োজন হলে আমার মামা হানিফ মোল্লা ও মামীর কাছে চাইতো। কিন্তু আমার মামা তেমন বিত্তবান না হওয়ায় সবসময় ছেলের চাহিদামতো টাকা দিতে পারতো না। এ কারনে বিভিন্ন সময় ভাঙচুর ও তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতো।’
স্থানীয়রা জানান, হানিফ বিদেশ থেকে আসার পর থেকেই তার বাবা-মাকে নির্যাতন করতো। সে অনেকটা নেশাগ্রস্ত ছিল।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল-আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে খবরের কাগজকে বলেন, মামলা দায়েরের সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালিয়ে কাজিরহাট এলাকা হতে ফারুক মোল্যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাজিব হোসেন/ইসরাত চৈতী/অমিয়/