ঢাকা ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে বাসযাত্রী নিহত

প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৫৩ পিএম
আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০১:২৮ পিএম
ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে বাসযাত্রী নিহত
ছবি : খবরের কাগজ

সাভারে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে বাসের এক যাত্রী নিহত হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) ভোরে সাভার নিউমার্কেটের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে এই ঘটনা ঘটে। 

নিহত আসাদুজ্জামান রংপুর জেলার তারাগঞ্জ থানার হারিয়ারকুঠি গ্রামের আবু বক্করের ছেলে। 

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ভোরে নিউমার্কেটের সামনে ঢাকাগামী একটি দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস থেকে নেমে হেঁটে রওনা হন আসাদুজ্জামান। এ সময় তার গতিরোধ করে ছিনতাইকারীরা। পরে ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে তার কাছে থাকা নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। নিহত আসাদুজ্জামানের পাশে পড়ে থাকা মানিব্যাগ থেকে তার জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে।

সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুব আলম বলেন, আসাদুজ্জামানের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহিদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার হাতে ও পায়ে বেশ কয়েকটি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘাতক ছিনতাইকারীদের শনাক্তে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ইমতিয়াজ ইসলাম/জোবাইদা/অমিয়/

ফেনীতে ১০ কেজি ভারতীয় গাঁজাসহ আটক ১

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৪ পিএম
আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৫ পিএম
ফেনীতে ১০ কেজি ভারতীয় গাঁজাসহ আটক ১
ছবি: খবরের কাগজ

ফেনীর ফতেহপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০ কেজি ভারতীয় গাঁজাসহ এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

রবিবার (১ডিসেম্বর) ফেনীর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে তাকে আটক করা হয়। 

আটক ইকবাল হোসেন (৩০) কুমিল্লার রাজাপুর ইউনিয়নের লরিবাগ গ্রামের মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে৷ 

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন৷ 

তিনি জানান, এক মাদক কারবারি চট্টগ্রামগামী বাসে করে মাদকদ্রব্য নিয়ে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে যাচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ফতেহপুর স্টার লাইন পাম্প এলাকায় অস্থায়ী চেকপোষ্ট বসায়। এ সময় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা একটি বাসে তল্লাশি করে ১০ কেজি গাঁজাসহ ইকবাল হোসেনকে আটক করা হয়।

তোফায়েল আহাম্মদ নিলয়/মেহেদী

স্বপ্নতে চাকরির নামে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৩

প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৯ পিএম
স্বপ্নতে চাকরির নামে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৩
প্রতারক চক্রের তিন সদস্য গ্রেপ্তার

দেশের অন্যতম বৃহৎ রিটেইল চেইনশপ ‘স্বপ্ন’-তে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করে আসছিল একটি চক্র। প্রতারণার অভিযোগে এই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর উত্তরার ৪নং সেক্টর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

স্বপ্নর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট টিমের তথ্য ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা পূর্ব থানার একটি টিমের যৌথ প্রয়াসে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও সিম, মানি রিসিভসহ বেশকিছু কাগজ জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন শাহীন রব্বানী, স্বপন দাস ও পারভেজ মোশারফ।

এ বিষয়ে উত্তরা পূর্ব থানায় বৃহস্পতিবার রাতে একটি মামলা করা হয়েছে।

থানার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি শাহীন রব্বানী ড্রাগন শিল্ড সিকিউরিটি সলিউশন কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর। তার অধীনে অন্য আসামিরা বিভিন্ন পদে চাকরি করেন। স্বপ্নতে প্রায় ৮ হাজারের বেশি কর্মী কাজ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন সময় প্রায়ই নতুন কর্মীর নিয়োগ করতে হয়। কিন্তু স্বপ্ন সব সময় তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ এবং লিংকডিনের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে। কিন্তু বেশকিছু দিন ধরে এই চক্র স্বপ্নর লোগো, আউটলেটের ছবি ফেসবুকে ব্যবহার করে কর্মী নিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে অনেক চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে। বিষয়টি স্বপ্ন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এরপর ২৮ নভেম্বর উত্তরা পূর্ব থানার সহযোগিতায় আসামিদের অফিসে গিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

এ সময় অনেকে কৌশলে পালিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করে। সুজন পাল নামের এক চাকরিপ্রত্যাশী সেই অফিসে উপস্থিত ছিলেন। তার বাসা টাঙ্গাইল।

তিনি বলেন, ‘আমাকে স্বপ্নতে চাকরি দেওয়া ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের কথা বলে টাকা চাওয়া হয়। কিছু টাকা দিয়েছি, এরপর আরও টাকা চাওয়া হয়। আমার মতো অনেকে অফিসে এসে প্রতিনিয়ত টাকা দিচ্ছে বলে জানতে পারি। চাকরির আশায় আমরা অনেকে টাকাও দিয়েছি, তাদের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিত।’

স্বপ্নর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট টিমের প্রধান মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘২০১৯ সাল থেকে এই চক্রটি অনলাইনের মাধ্যমে উত্তরা হাউজ বিল্ডিং, বাড্ডা নতুন বাজার, মোহাম্মদপুর ও সাভার এলাকায় স্বপ্নর লোগো ব্যবহার করে চাকরির ভুয়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল। স্বপ্নে যোগ দিতে কোনো অর্থ নয়, যোগ্যতা প্রয়োজন।’ 

এ বিষয়ে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মুহিবুল্লাহ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রটি কৌশলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল বলে জানা যায়। এরপর অভিযুক্তদের তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়।’

বিজ্ঞপ্তি/সালমান/

পুুলিশ অনিয়ম করলে সাসপেন্ড: হাইওয়ে পুলিশ সুপার

প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৩ পিএম
আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২০ পিএম
পুুলিশ অনিয়ম করলে সাসপেন্ড: হাইওয়ে পুলিশ সুপার
রংপুর রিজিয়নের হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ তারিকুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

কোনো হাইওয়ে পুলিশ যদি ট্রাক বা কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে তবে তাকে সাসপেন্ড করা হবে বলে জানিয়েছেন রংপুর রিজিয়নের হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ তারিকুল ইসলাম।

বুধবার (২৭ নভেম্বের) দুপুরে হাইওয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, 'রংপুর রিজিয়নে কোন পুলিশের ট্রাক বা কোম্পানির সঙ্গে মাসিক চুক্তি বা টাকা নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেলে নামসহ এডিশনাল আইজির কাছে পাঠানো হবে। শুধু বদলিই নয় অপরাধ করলে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় শাস্তি হবে। একদিনে সমাজ পরিবর্তন হবে না। পাঁচ তারিখের পর কিছু কিছু পরিবর্তন হচ্ছে। এখন বাংলাদেশ পুলিশে সাড়ে ১৬ হাজার মেয়ে আছে। স্কুল-কলেজগুলোতেও মেয়েদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এসব পরিবর্তন ধীরে ধীরে হবে এবং আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। 

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‌চেকিং বা কোন অনিয়ম বা আইন বহির্ভূত কোন জিনিস হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। 'রাস্তা বন্ধ করে চেকপোস্ট স্থাপন করা যাবে না। রাস্তার পাশে চেকপোস্ট করতে হবে যাতে অন্য যানবাহন চলাচল করতে পারে। প্রত্যেকটা হাইওয়েতে যেন আলাদা রোড থাকে যেগুলোতে থ্রি হুইলার বা অন্যান্য যানবাহন চলতে পারে। থ্রি হুইলার আমাদের জীবনের একটি অংশ হয়ে গেছে ইচ্ছে করলেই তাদেরকে বন্ধ করতে পারবেন না। মহাসড়কে থ্রি হুইলার বন্ধের আইন প্রয়োগ কঠিন হবে। 

পুলিশের কাজ শুরু করার ব্যাপারে তিনি বলেন, যারা এখনও কাজ শুরু করেনি তাদেরকে মোটিভেশন দিচ্ছি। দুপক্ষের যে শত্রুতা তৈরি হয়েছে তা ভাঙতে হবে। আমরা আগের মত লোক দেখানো বন্ধুত্ব চাই না আমরা চাই কাগজে-কলমে। 

এ সময় অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ১৮ বছরের নিচে যারা অষ্টম বা ১০ম শ্রেণিতে পড়ে তাদেরকে দয়া করে মোটরসাইকেল কিনে দিবেন না। এমন কাউকে মোটরসাইকেল কিনে দেওয়া মানে আপনি তাদেরকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছেন।

সেলিম সরকার/মেহেদী/এমএ/

পুলিশের কাছ থেকে আ.লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিলেন এলাকাবাসী

প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৩ পিএম
আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩১ পিএম
পুলিশের কাছ থেকে আ.লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিলেন এলাকাবাসী
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার ধামরাইয়ে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে পুলিশ হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছেন এলাকাবাসী। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রসহ ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আওয়ামী লীগের ওই নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) এস এম কাউসার সুলতান। তবে আসামিকে পুলিশ হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার সময় তদন্ত কেন্দ্রের দরজার লক, জানালার গ্লাস ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধ জনতা।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে উপজেলার কাউয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। 

সরেজমিন জানা যায়, উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের ভাবনাটি গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা নুরে আলম সিদ্দিক নান্নুকে ধামরাই থানার এসআই কাউসার সুলতান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে তার নিজ গ্রাম থেকে আটক করেন। আটক করার পর নান্নুকে কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। ওই সময় আটকের খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে এলাকার শত শত নারী-পুরুষ একত্রিত হয়ে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ঘেরাও করেন এবং তদন্ত কেন্দ্রে রাস্তায় বেরিকেড দেন। পরে রাত ১১টার দিকে পুলিশ হেফাজত থেকে আটককৃত নান্নুকে ছিনিয়ে নিয়ে যান এলাকাবাসী। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার এক বাসিন্দা জানান, নান্নু আওয়ামী লীগ করেন দীর্ঘদিন ধরে এটা সবাই জানেন। কিন্তু তার মাধ্যমে কারও কোনো ক্ষতি হয়নি। কোনো মানুষ বিপদে পড়লে তাকে সহযোগিতা করেন নিজের টাকা-পয়সা দিয়ে। যে কারণে নান্নুর আটক হওয়ার খবরে এলাকাবাসী বসে থাকতে পারেননি। পুলিশের কাছ থেকে তারা ছিনিয়ে নিয়েছেন। 

এ বিষয়ে ধামরাই থানার এসআই এস এম কাউসার সুলতান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতা নান্নু এজাহারভুক্ত কোনো আসামি না। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল। কিন্তু এলাকাবাসী তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তবে এখন নান্নুর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার সময় জনতা দরজার লক, জানালার গ্লাস ভাঙচুর করেছে।’ 

আওয়ামী লীগ নেতা নান্নুকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার সত্যতা জানিয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এলাকাবাসী মনে করেছেন আসামি কক্ষের ভেতর রাখা হয়েছে। তাই ধাক্কাধাক্কি করে দরজার লক ভেঙে ফেলেছে। তবে নূরে আলম সিদ্দিক নান্নুকে ছিনিয়ে নেওয়ার সময় যারা এই কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তবে এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা নুরে আলম সিদ্দিক নান্নুর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।

মো. রুহুল আমিন/মেহদী/এমএ/ 

আফরোজা আব্বাসের নির্বাচনি প্রচারে হামলায় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৭ পিএম
আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৩ পিএম
আফরোজা আব্বাসের নির্বাচনি প্রচারে হামলায় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা গ্রেপ্তার
ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মারুফ হোসেন রাজিব

২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপিপ্রার্থী আফরোজা আব্বাসের নির্বাচনি প্রচারে হামলার মামলায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মারুফ হোসেন রাজিবকে (৩৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাত দেড়টার দিকে খিলগাঁও থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মারুফ হোসেন রাজিব খিলগাঁও মডেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। 

ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, গত ২৬ আগস্ট আওলাদ হোসেন বাদী হয়ে খিলগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ঢাকা-৯ আসনের বিএনপিপ্রার্থী ও মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে নির্বাচনি গণসংযোগ করছিলেন। খিলগাঁওয়ের তিলপাপাড়ায় নির্বাচনি প্রচারের সময় ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করে নির্বাচনি প্রচার বন্ধ করে দেয়।

আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। 

মাহফুজ/সালমান/