সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপারের বাসভবনের পাশে মা-ছেলেকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় জড়িত সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান পুলিশ সুপার আ ফ ম আনোয়ার হোসেন খান।
তিনি বলেন, ফরিদা বেগম খালাতো বোন নার্গিস বেগম ও তার দুই ছেলেকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। নার্গিস বেগমের ছোট ছেলে পার্টি করার টাকা যোগার করতে এক সপ্তাহ আগে তার বন্ধুকে নিয়ে আইফোনসহ ঘরের টাকা পয়সা চুরির পরিকল্পনা করে। মঙ্গলবার ভোরে সুযোগ পেয়ে পিছনের দরজা দিয়ে ঘরে ঢুকায় তার বন্ধুকে। পরে মিনহাজুলের বালিশের নিচ থেকে আইফোন চুরির চেষ্টা করলে সে টের পেয়ে গেলে তাকে গলা চেপে ধরে একজন। এ সময় ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে পাশে থাকা রান্নাঘরের বটি দিয়ে গলায় কোপ দেয় গ্রেপ্তার হওয়া কিশোরের বন্ধু। এই ঘটনা দেখে ফেলায় মিনহাজুলের মা ফরিদা বেগমকেও বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে তারা।
এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করলেও অন্য সহপাঠীদের গ্রেপ্তার করা যায়নি। ঘটনার পেছনে অন্য কারণ আছে কি না সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন, সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি নাজমুল হক, ডিবি ওসি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা।
অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় আইন অনুযায়ী পুলিশ আসামির ছবি ও নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি।
গত ২৯ অক্টোবর খুন হন ফরিদা বেগম (৫০) ও তার ছেলে মিনহাজুল (২০)।
দেওয়ান গিয়াস চৌধুরী/মেহেদী/অমিয়/