কক্সবাজারের ইয়াবা ডন ও টেকনাফের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর বাসাবো এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক আল আমিন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
জাফর আহমেদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারি। ৭৩ ইয়াবা কারবারির তালিকায় তিনি ৩ নম্বরে রয়েছেন। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির ম্যানেজার হিসেবে পরিচিত। এ ছাড়া তিনি কক্সবাজারের ইয়াবা ডন নামেও পরিচিত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাফর আহমেদের চার ছেলে। তার মধ্যে জাফর আহমেদ ও তার তিন ছেলে ২০০৯ সালে বিএনপি ছেড়ে আবদুর রহমান বদির হাত ধরে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এরপর জোর-জবরদস্তিমূলকভাবে চেয়ারম্যান, মেম্বার নির্বাচিত হন। এ ছাড়া ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সীমান্তে একচেটিয়া ইয়াবার কারবার করে স্বল্প সময়েই কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। তা ছাড়া সিন্ডিকেট গড়ে তুলে বনে যান ইয়াবা কারবারিদের ডন। একসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অব্যাহত অভিযানের মুখে সীমান্তে ইয়াবা কারবারিদের অবস্থা নাজুক হয়ে পড়ে। সেই মুহূর্তে বদি ও তার দল আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আরও ভেঙে পড়ে জাফর সিন্ডিকেটের ইয়াবা বাণিজ্য। পরে চার ছেলেকে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান জাফর। সম্প্রতি র্যাব অভিযান চালিয়ে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকা থেকে জাফরের ছেলে শাহজাহান মিয়া, কক্সবাজারের সদর থানা রোড থেকে ছোট ছেলে সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলায় পরোয়ানা থাকায় সে সব মামলায় আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
ইয়াবা গডফাদারের তালিকায় তার তিন ছেলে সদর ইউপির চেয়ারম্যান শাহজাহান মিয়া, দিদার মিয়া ও মো. ইলিয়াছের নাম রয়েছে। এর মধ্যে ‘ইয়াবা কারবারির আত্মসমর্পণ’ অনুষ্ঠানে দিদার মিয়াসহ ১০২ জন আত্মসমর্পণ করেন।