ঢাকা ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
English
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বগুড়ায় মাকে হত্যার পর ডাকাতি বলে প্রচার

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৪ এএম
আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৬ এএম
বগুড়ায় মাকে হত্যার পর ডাকাতি বলে প্রচার
বগুড়ার এই বাড়িতে মাকে হত্যা করে ছেলে। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় হাত খরচের টাকা নিয়ে বিরোধে ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুর (১৯) তার মা উম্মে সালমা খাতুনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। শুধু তাই নয়, ওড়না দিয়ে হাত-পা বেঁধে লাশ বাড়ির ডিপ ফ্রিজে রেখেছে।

নিজেকে বাঁচাতে হত্যাকাণ্ডের দায় ডাকাতের ওপর চাপানোর চেষ্টা করে। তাই কুড়াল দিয়ে ঘরের আলমারিতে আঘাত করে।

র‌্যাব-১২ বগুড়া কোম্পানির সদস্যরা সোমবার (১১ নভেম্বর) মধ্যরাতে তাকে পার্শ্ববর্তী কাহালু উপজেলার পাঁচপীর আড়োবাড়ি এলাকায় দাদা রমজান মোল্লার বাড়ি থেকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে তার মাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

র‌্যাব কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য দিয়েছেন।

ব্রিফিংয়ে  র‌্যাব কর্মকর্তা জানান, বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার দারুস সুন্নাহ কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ ও উপজেলা মসজিদের খতিব আজিজুর রহমান পরিবার নিয়ে জয়পুরপাড়া এলাকায় আজিজিয়া মঞ্জিলের তৃতীয়তলায় বসবাস করেন। বড় ছেলে ও মেয়ে ঢাকায় থাকেন। তার সঙ্গে স্ত্রী উম্মে সালমা খাতুন (৫০) ও ছোট ছেলে একই মাদ্রাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সাদ বিন আজিজুর থাকেন।

মাদ্রাসাছাত্র সাদ বিন আজিজুর প্রেম করে। এ ছাড়া সে অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ে। হাত খরচের টাকার জন্য মায়ের সঙ্গে তার প্রায়ই ঝগড়া হত। এ ছাড়া মাঝে মাঝে বাড়ি থেকে টাকা হারিয়ে যেত।

মেজর এহতেশামুল হক খান জানান, গত রবিবার (১০ নভেম্বর) সকালে মা সালমার কাছে টাকা চেয়ে না পাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয় সাদ। সে তার মাকে হত্যা করে ডাকাতি হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। এ সময় নাশতা না করেই বাড়ির বাইরে চলে যায়।

মাদ্রাসায় না গিয়ে আশপাশে অবস্থান করার পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাড়িতে আসে। এ সময় মা বঁটি দিয়ে কুমড়া কাটছিলেন। পরিকল্পনা অনুসারে পেছন থেকে মায়ের নাক ও মুখ চেপে ধরে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে বঁটি দিয়ে সাদের তর্জনী আঙুল কেটে যায়।

এরপরও সে দুই হাত দিয়ে নাক ও মুখ চেপে ধরলে শ্বাসরোধে মায়ের মৃত্যু নিশ্চিত করে। হত্যার ঘটনা ডাকাতি হিসেবে প্রচার করতে ওড়না দিয়ে মায়ের দুই হাত-পা বেঁধে লাশ ডিপ ফ্রিজে রাখে।

র‍্যাব কর্মকর্তা জানান, ডাকাতির প্রমাণ হিসেবে কুড়াল দিয়ে আলমিরাতে কয়েকটি কোপ দেয়। এরপর প্রধান ফটকে তালা দিয়ে বাইরে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর বাড়িতে ফিরে মাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে বাবা আজিজুর রহমানকে ফোনে ডেকে আনে। পরে দুপচাঁচিয়া থানার পুলিশ উম্মে সালমা খাতুনের লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহিদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে বড় ভাই নাজমুস সাকিব থানায় সাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন।

থানা থেকে লুট ৬০টি গুলি ও শুটারগান উদ্ধার

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৩ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৩ পিএম
থানা থেকে লুট ৬০টি গুলি ও শুটারগান উদ্ধার
ছবি: খবরের কাগজ

ছাত্র আন্দোলনের সময় সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানা থেকে লুট হওয়া ৬০টি গুলি ও শুটারগান উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে পৌরসভার হায়বাতপুর গ্রামের ফুলতলার একটি কাঁচা রাস্তার ওপর থেকে এসব উদ্ধার করা হয়।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চায়না রাইফেলের ৬০টি গুলি এবং মামলার আলামতের একটি শুটারগান পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে  থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পাঁচ আগষ্ট বিকেলে দুর্বৃত্তরা শ্যামনগর থানায় আগুন ধরিয়ে দিয়ে বেশ কিছু অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করে।

সুলতান শাহাজান/মেহেদী 

জুয়া খেলায় বাধা দেওয়ায় কর্মচারীর হাতে মালিক খুন

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০৭ পিএম
জুয়া খেলায় বাধা দেওয়ায় কর্মচারীর হাতে মালিক খুন
নূর আলমের হত্যাকরীরা (সিসিটিভি ফুটেজ থেকে নেওয়া)

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের হাসান নগর এলাকায় জুয়া খেলায় বাধা দেওয়ায় ছাপাখানা ব্যবসায়ী মো. নূর আলমকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় কারখানাটির কর্মচারী মিরাজ মিয়া এবং তার বন্ধু মো. শিপন ওরফে সম্রাট (২৫) ও মো. রিফাতকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ। 

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার মো. জসিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, মো. নূর আলম কামরাঙ্গীরচর থানার হাসান নগর আন্ডারী মোড়ে একটি দোকান ভাড়ায় নিয়ে ফেব্রিক্সের ব্যবসা করতেন। গত ৬ ডিসেম্বর সকালে তিনি গ্রামের বাড়িতে যাবেন বলে তার স্ত্রীকে জানান। কিন্তু এরপর থেকে নূর আলমের ফোনটি বন্ধ পায় তার পরিবার। এ ঘটনায় নূরের জামাতা মো. আতাউল্লাহ খান সজিব বিষয়টি কামরাঙ্গীরচর থানায় জানান। পরবর্তীতে প্রাথমিক তদন্ত এবং গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে ছাপাখানা থেকে কর্মচারী মিরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই দিন কামরাঙ্গীরচরের ঝাউরাহাটি থেকে রিফাতকে ও কোতয়ালী থানার সদরঘাট এলাকা থেকে শিপনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লালবাগ বিভাগের ডিসি জানান, গত শুক্রবার রাতে মিরাজ,  শিপন, রিফাত ও পলাতক জিহাদসহ অজ্ঞাত দুই থেকে তিনজন নূরের কারখানায় তাসের জুয়া খেলছিল। খেলায় বাধা দিলে নূর আলমের মাথায় হাতুড়ি এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে চাকু দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে তারা। পরে মরদেহ বাথরুমে নিয়ে দুই টুকরো করা হয়। কেউ যেন খুঁজে না পান, সেজন্য মরদেহের খণ্ড দুটি পলিথিন ও কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে একটি বস্তায় ভরে ছাপাখানার ভেতরে টেবিলের নিচের মেঝে ভেঙ্গে মাটিচাপা দেওয়া হয়। এরপর জায়গাটি বালু ও সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করে দেয় তারা।

এ ঘটনায় নিহতের জামাতা আতাউল্লাহ বাদী হয়ে কামরাঙ্গীরচর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। 

 ডিসি জানান, হত্যায় জড়িতদের মধ্যে মিরাজ ছাড়া কারো কোনো পেশাগত পরিচয় নেই। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও অন্যান্য আসমিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আল-আমিন/পপি/

হত্যার পর কারখানার ভেতর মালিকের লাশ পুঁতে রাখে কর্মচারীরা

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪২ পিএম
হত্যার পর কারখানার ভেতর মালিকের লাশ পুঁতে রাখে কর্মচারীরা
কারখানায় অভিযান চালায় পুলিশ। ছবি : সংগৃহীত

কর্মচারীরা কারখানার ভেতরে জুয়া খেলত। এ নিয়ে মালিক আলমের সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে কর্মচারীরা আলমকে হত্যার পর কারখানার ভেতরে লাশ মাটিচাপা দেয়। এ ঘটনায় তিন কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে সিআইডির ক্রাইম সিন। 

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের হাসাননগরে একটি স্ক্রিন প্রিন্ট কারখানার ভেতর থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিখোঁজের চার দিন পর এই ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়। 

আজ বিকেলে খবরের কাগজকে এ নিশ্চিত করেন কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিরুল ইসলাম। 

তিনি বলেন, ‘কারখানায় জুয়া খেলা নিয়ে আলমের সঙ্গে কর্মচারীদের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে কর্মচারীরা আলমকে হত্যা করে কারখানার ভেতরে মাটির নিচে পুঁতে রাখে। এ ঘটনায় মিরাজ, রিফাত ও আফজাল নামে তিন কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে সিআইডির ক্রাইম সিন।’ 

গত ৫ ডিসেম্বর কামরাঙ্গীরচরের হাসাননগরে নিখোঁজ হন মো. আলম। খোঁজাখুঁজির পর কোথাও তার সন্ধান না পেয়ে কামরাঙ্গীরচর থানা-পুলিশের শরণাপন্ন হয় পরিবার। পরে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি করে গতকাল সকালে কারখানার ভেতরে মাটির নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।

স্ত্রীর কাছে না ঘুমানোয় মেয়েকে হত্যা!

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৩ এএম
স্ত্রীর কাছে না ঘুমানোয় মেয়েকে হত্যা!
ছবি : খবরের কাগজ

নাটোরের সিংড়ায় স্ত্রীর সঙ্গে না ঘুমিয়ে সাত বছর বয়সী মেয়ে হাওয়া খাতুনের সঙ্গে ঘুমানোয় মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন সৎমা নূপুর বেগম। এই শোকে বাবা হাফিজুল ইসলাম বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের দিঘল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও পুলিশ জানায়, রাতে ঘুমের মধ্যে মেয়ের শরীর থেকে লেপ সরে যায়। পরে শীতে কষ্ট পায়। এ জন্য স্ত্রীর কাছে না ঘুমিয়ে এক রাতের জন্য মেয়ের কাছে ঘুমান বাবা। ওই রাগে হাওয়াকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে পাশের পুকুরে ফেলে দেন নূপুর।

পরে বাড়ি ফিরে মেয়েকে দীর্ঘসময় খুঁজে না পেয়ে পুকুরে মেয়ের মরদেহ দেখতে পান। পরে মেয়ে হারানোর শোক সহ্য করতে না পেরে নিজেই বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন হাফিজুল।

এ ঘটনায় সৎমা নূপুরকে আটক করেছে পুলিশ। আর বাবাকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হাফিজুল জানান, তার বাড়ি সদর উপজেলার গেকুলনগর এলাকায়। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের পর মেয়ে হাওয়া খাতুন তার সঙ্গেই থাকত। মেয়ের নিরাপত্তাসহ আদরে মানুষ হওয়ার কথা চিন্তা করে পাঁচ মাস আগে সিংড়ার সিধাখালি চকপুর এলাকার নূপুরকে বিয়ে করেন। এর পর ওই এলাকায় একটি পুকুরের পাহারাদারের চাকরি নিয়ে মেয়েসহ সপরিবারে ওই পুকুরপাড়েই ঘরে থাকতেন।

তিনি জানান, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই নূপুর মেয়েকে আদর করা সহ্য করতে পারত না। মেয়েকে আদর করলেই হিংসা করতেন তিনি। ওই কারণে মেয়েকে আদরও করতে পারতেন না তিনি। রাতে মেয়েকে পৃথক বিছানায় ঘুমাতে দিতেন। সম্প্রতি ঘুমের মধ্যে শীতে কষ্ট পাচ্ছিল। তাই গত রাতে মেয়ের খেয়াল রাখতে কাছে ঘুমান। সকালে ঘুম থেকে উঠে কিছু দূরে একটি কাজে যান। ফিরে এসে জানতে পারেন, মেয়েকে হাঁসুয়া দিয়ে মাথায় পরপর তিনটি আঘাত করে নূপুর পুকুরে ফেলে দিয়েছে। দীর্ঘসময় পুকুরে খোঁজার পর মেয়ের মরদেহ পান। এরপর নিজেও মেয়ের সঙ্গে পরপারে চলে যেতে বিষপান করেন।

সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসমাউল হক জানান, নূপুর বেগমকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। মরদেহ ময়নাতদন্তের পরে হস্তান্তর করা হয়েছে।

কামাল মৃধা/জোবাইদা/অমিয়/

চকবাজারে ব্যবসায়ী হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন, নারী গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫১ পিএম
আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১৪ পিএম
চকবাজারে ব্যবসায়ী হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন, নারী গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার সাবিনা আক্তার

রাজধানীর চকবাজারের পোস্তা এলাকায় চাঞ্চল্যকর প্লাস্টিক ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম (৪৬) হত্যার ঘটনায় এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল শনিবার ভোর সাড়ে ৫টায় যশোরের বাঘারপাড়া থানার মির্জাপুর মধ্যপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার নারীর নাম সাবিনা আক্তার (২৫)। এ সময় তার কাছ থেকে ভিকটিমের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

রবিবার (৮ ডিসেম্বর) ডিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত বুধবার রাতে রাজধানীর চকবাজারের পোস্তা এলাকার ৬৬/১, আরএনডি রোডের এশিয়া টাওয়ারের পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে হাত, পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় নজরুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে চকবাজার মডেল থানার পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ আলামত ফুলদানির ভাঙা অংশ, ধারাল চাকু ও অন্যান্য আলামত জব্দ করা হয়। এরপর ভিকিটিম নজরুল ইসলামের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মো. তহিদুল ইসলাম ওরফে তাপস বাদী হয়ে চকবাজার মডেল থানায় গত ৪ ডিসেম্বর একটি হত্যা মামলা করেন। পরে মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে আশপাশের এলাকার সিসি ক্যামেরা ফুটেজ ও সংগৃহীত গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ এবং প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হিসেবে সাবিনা আক্তারকে শনাক্ত করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাবিনা আক্তার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্লাস্টিক ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

হত্যার ঘটনা বর্ণনা দিতে গিয়ে সাবিনা আক্তার জানান, ঘটনার প্রায় এক মাস আগে এক ব্যক্তির মাধ্যমে চাকরির জন্য ভিকটিম নজরুল ইসলামের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে তারা অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। স্ত্রী-সন্তান বাসায় না থাকায় ভিকটিম নজরুল ইসলাম সাবিনা আক্তারকে গত ২ ডিসেম্বর রাতে বাসায় ডেকে নেন। সাবিনা আক্তার নজরুল ইসলামের বাসায় রাতে অবস্থান করেন।

এ সময় চাকরি ও বিয়ে নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সাবিনা আক্তার ক্ষিপ্ত হয়ে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নজরুল ইসলামকে শিলপাটার শিল দিয়ে মাথা ও মুখে আঘাত করেন। এর পর মুখে বালিশ চাপা দেন। এর ফলে নজরুল ইসলাম জ্ঞান হারিয়ে নিস্তেজ হয়ে পড়েন। পরে নজরুল ইসলামের হাত, পা ও মুখ বেঁধে ধারাল চাকু দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেন।

গ্রেপ্তার সাবিনা আক্তারের দেওয়া তথ্যানুযায়ী পুলিশ রক্তমাখা শিল এবং ঘটনার দিন তার পরিহিত বোরকা উদ্ধার করেছে।

তার বিরুদ্ধে চকবাজার মডেল থানায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

অমিয়/

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });