ঢাকার ধামরাইয়ে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে পুলিশ হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছেন এলাকাবাসী। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রসহ ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আওয়ামী লীগের ওই নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) এস এম কাউসার সুলতান। তবে আসামিকে পুলিশ হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার সময় তদন্ত কেন্দ্রের দরজার লক, জানালার গ্লাস ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধ জনতা।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে উপজেলার কাউয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে।
সরেজমিন জানা যায়, উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের ভাবনাটি গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা নুরে আলম সিদ্দিক নান্নুকে ধামরাই থানার এসআই কাউসার সুলতান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে তার নিজ গ্রাম থেকে আটক করেন। আটক করার পর নান্নুকে কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। ওই সময় আটকের খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে এলাকার শত শত নারী-পুরুষ একত্রিত হয়ে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ঘেরাও করেন এবং তদন্ত কেন্দ্রে রাস্তায় বেরিকেড দেন। পরে রাত ১১টার দিকে পুলিশ হেফাজত থেকে আটককৃত নান্নুকে ছিনিয়ে নিয়ে যান এলাকাবাসী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার এক বাসিন্দা জানান, নান্নু আওয়ামী লীগ করেন দীর্ঘদিন ধরে এটা সবাই জানেন। কিন্তু তার মাধ্যমে কারও কোনো ক্ষতি হয়নি। কোনো মানুষ বিপদে পড়লে তাকে সহযোগিতা করেন নিজের টাকা-পয়সা দিয়ে। যে কারণে নান্নুর আটক হওয়ার খবরে এলাকাবাসী বসে থাকতে পারেননি। পুলিশের কাছ থেকে তারা ছিনিয়ে নিয়েছেন।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার এসআই এস এম কাউসার সুলতান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতা নান্নু এজাহারভুক্ত কোনো আসামি না। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল। কিন্তু এলাকাবাসী তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তবে এখন নান্নুর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার সময় জনতা দরজার লক, জানালার গ্লাস ভাঙচুর করেছে।’
আওয়ামী লীগ নেতা নান্নুকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার সত্যতা জানিয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এলাকাবাসী মনে করেছেন আসামি কক্ষের ভেতর রাখা হয়েছে। তাই ধাক্কাধাক্কি করে দরজার লক ভেঙে ফেলেছে। তবে নূরে আলম সিদ্দিক নান্নুকে ছিনিয়ে নেওয়ার সময় যারা এই কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তবে এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা নুরে আলম সিদ্দিক নান্নুর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
মো. রুহুল আমিন/মেহদী/এমএ/