কোনো হাইওয়ে পুলিশ যদি ট্রাক বা কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে তবে তাকে সাসপেন্ড করা হবে বলে জানিয়েছেন রংপুর রিজিয়নের হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ তারিকুল ইসলাম।
বুধবার (২৭ নভেম্বের) দুপুরে হাইওয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'রংপুর রিজিয়নে কোন পুলিশের ট্রাক বা কোম্পানির সঙ্গে মাসিক চুক্তি বা টাকা নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেলে নামসহ এডিশনাল আইজির কাছে পাঠানো হবে। শুধু বদলিই নয় অপরাধ করলে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় শাস্তি হবে। একদিনে সমাজ পরিবর্তন হবে না। পাঁচ তারিখের পর কিছু কিছু পরিবর্তন হচ্ছে। এখন বাংলাদেশ পুলিশে সাড়ে ১৬ হাজার মেয়ে আছে। স্কুল-কলেজগুলোতেও মেয়েদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এসব পরিবর্তন ধীরে ধীরে হবে এবং আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, চেকিং বা কোন অনিয়ম বা আইন বহির্ভূত কোন জিনিস হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। 'রাস্তা বন্ধ করে চেকপোস্ট স্থাপন করা যাবে না। রাস্তার পাশে চেকপোস্ট করতে হবে যাতে অন্য যানবাহন চলাচল করতে পারে। প্রত্যেকটা হাইওয়েতে যেন আলাদা রোড থাকে যেগুলোতে থ্রি হুইলার বা অন্যান্য যানবাহন চলতে পারে। থ্রি হুইলার আমাদের জীবনের একটি অংশ হয়ে গেছে ইচ্ছে করলেই তাদেরকে বন্ধ করতে পারবেন না। মহাসড়কে থ্রি হুইলার বন্ধের আইন প্রয়োগ কঠিন হবে।
পুলিশের কাজ শুরু করার ব্যাপারে তিনি বলেন, যারা এখনও কাজ শুরু করেনি তাদেরকে মোটিভেশন দিচ্ছি। দুপক্ষের যে শত্রুতা তৈরি হয়েছে তা ভাঙতে হবে। আমরা আগের মত লোক দেখানো বন্ধুত্ব চাই না আমরা চাই কাগজে-কলমে।
এ সময় অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ১৮ বছরের নিচে যারা অষ্টম বা ১০ম শ্রেণিতে পড়ে তাদেরকে দয়া করে মোটরসাইকেল কিনে দিবেন না। এমন কাউকে মোটরসাইকেল কিনে দেওয়া মানে আপনি তাদেরকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছেন।
সেলিম সরকার/মেহেদী/এমএ/