ঢাকা ১৪ চৈত্র ১৪৩১, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫
English
শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৪ চৈত্র ১৪৩১

স্ত্রীর কাছে না ঘুমানোয় মেয়েকে হত্যা!

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৩ এএম
স্ত্রীর কাছে না ঘুমানোয় মেয়েকে হত্যা!
ছবি : খবরের কাগজ

নাটোরের সিংড়ায় স্ত্রীর সঙ্গে না ঘুমিয়ে সাত বছর বয়সী মেয়ে হাওয়া খাতুনের সঙ্গে ঘুমানোয় মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন সৎমা নূপুর বেগম। এই শোকে বাবা হাফিজুল ইসলাম বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের দিঘল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও পুলিশ জানায়, রাতে ঘুমের মধ্যে মেয়ের শরীর থেকে লেপ সরে যায়। পরে শীতে কষ্ট পায়। এ জন্য স্ত্রীর কাছে না ঘুমিয়ে এক রাতের জন্য মেয়ের কাছে ঘুমান বাবা। ওই রাগে হাওয়াকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে পাশের পুকুরে ফেলে দেন নূপুর।

পরে বাড়ি ফিরে মেয়েকে দীর্ঘসময় খুঁজে না পেয়ে পুকুরে মেয়ের মরদেহ দেখতে পান। পরে মেয়ে হারানোর শোক সহ্য করতে না পেরে নিজেই বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন হাফিজুল।

এ ঘটনায় সৎমা নূপুরকে আটক করেছে পুলিশ। আর বাবাকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হাফিজুল জানান, তার বাড়ি সদর উপজেলার গেকুলনগর এলাকায়। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের পর মেয়ে হাওয়া খাতুন তার সঙ্গেই থাকত। মেয়ের নিরাপত্তাসহ আদরে মানুষ হওয়ার কথা চিন্তা করে পাঁচ মাস আগে সিংড়ার সিধাখালি চকপুর এলাকার নূপুরকে বিয়ে করেন। এর পর ওই এলাকায় একটি পুকুরের পাহারাদারের চাকরি নিয়ে মেয়েসহ সপরিবারে ওই পুকুরপাড়েই ঘরে থাকতেন।

তিনি জানান, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই নূপুর মেয়েকে আদর করা সহ্য করতে পারত না। মেয়েকে আদর করলেই হিংসা করতেন তিনি। ওই কারণে মেয়েকে আদরও করতে পারতেন না তিনি। রাতে মেয়েকে পৃথক বিছানায় ঘুমাতে দিতেন। সম্প্রতি ঘুমের মধ্যে শীতে কষ্ট পাচ্ছিল। তাই গত রাতে মেয়ের খেয়াল রাখতে কাছে ঘুমান। সকালে ঘুম থেকে উঠে কিছু দূরে একটি কাজে যান। ফিরে এসে জানতে পারেন, মেয়েকে হাঁসুয়া দিয়ে মাথায় পরপর তিনটি আঘাত করে নূপুর পুকুরে ফেলে দিয়েছে। দীর্ঘসময় পুকুরে খোঁজার পর মেয়ের মরদেহ পান। এরপর নিজেও মেয়ের সঙ্গে পরপারে চলে যেতে বিষপান করেন।

সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসমাউল হক জানান, নূপুর বেগমকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। মরদেহ ময়নাতদন্তের পরে হস্তান্তর করা হয়েছে।

কামাল মৃধা/জোবাইদা/অমিয়/

সীতাকুণ্ডে কৃষকদল নেতাকে গলাকেটে হত্যা

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৬ পিএম
সীতাকুণ্ডে কৃষকদল নেতাকে গলাকেটে হত্যা
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে উপজেলা কৃষকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাছির উদ্দীন। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে উপজেলা কৃষকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাছির উদ্দীনকে (৪০) গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

বুধবার (২৬ মার্চ) উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের উত্তর হাতিলোটা গ্রামের ছরারকুল তার বাড়ির সামনে আনুমানিক পৌনে সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত নাছির উদ্দিন ওই এলাকার মৃত কবির আহমদের ছেলে। তিনি উপজেলা কৃষকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। পাশাপাশি তার এন আর ডেইরি ফার্ম নামে একটি গরুর খামার রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিজ বাড়িতে ইফতার শেষে মোটরসাইকেলযোগে ফার্মের উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলেন কৃষকদল নেতা নাছির উদ্দীন। এ সময় তার বাড়ির ২০০-৩০০ গজ দূরেই তাকে কুপিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তার মাথা ও ঘাড়ে কোপের গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।

এদিকে নাছির উদ্দীনের হত্যাকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়লে বিএনপির নেতাকর্মীরা তার বাড়িতে জড়ো হন। তবে কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা শনাক্ত করা যায়নি বলে জানিয়েছেন পুলিশ। হত্যার প্রতিবাদে বুধবার রাত দশটার দিকে সীতাকুণ্ড পৌরসদর বাজার এলাকায় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিলে করেছে।

তার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক বদিউল আলম বদরুল বলেন, 'আজ সীতাকুণ্ড বাজারে আমাদের একটি ইফতার মাহফিল ছিল নাছির তার ব্যক্তিগত কারণে যেতে পারেনি। পরে ইফতারের পরপর খবর পাই তাকে বাড়ির সামনে গলা কেটে হত্যা করেছে একদল সন্ত্রাসীরা। সে আমাদের দলের অত্যন্ত পরিশ্রমী নেতা। সে কালোকে কালো সাদাকে সাদা বলতো, কথাবার্তায় স্পষ্টবাদী ছিল। আমরা বলব এটা গুপ্ত হত্যা। চিহ্নিত পেশাদার সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান তিনি।'

সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুজিবুর রহমান জানান, কৃষকদল নেতা নাছির উদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তবে, ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে তা জানার চেষ্টা চলছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়েছে।

 

মুুসলেহ/মেহেদী/

ধানমন্ডিতে র‌্যাব পরিচয়ে ডাকাতি, আটক ৪

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৯ পিএম
আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৬ পিএম
ধানমন্ডিতে র‌্যাব পরিচয়ে ডাকাতি, আটক ৪
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ধানমন্ডিতে র‌্যাব পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (২৬ মার্চ) সকালে তাদের আটক করা হয়। 

খবরের কাগজকে এসব তথ্য জানান ধানমন্ডি থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আব্দুল আলীম।

জানা যায়, বুধবার ভোরে র‌্যাবের পোশাকে ধানমন্ডির একটি ভবনে ডাকাতি করতে যায় ৮ থেকে ১০ জনের একটি দল। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ওই ভবনে থাকা একটি কক্ষ থেকে নগদ টাকা লুট করছে দুজন। তারা বেরিয়ে যাওয়ার পর আরও তিনজন সেই কক্ষে প্রবেশ করে বাকি টাকাও নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে আব্দুল আলীম জানান, ডাকাতি করে পালানোর সময় এলাকাবাসী ও পুলিশ মিলে চারজনকে আটক করেন। বাকিরা পালিয়ে যায়। আটক চারজনের কেউই র‌্যাব সদস্য নয় বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে দ্রুতই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এ সময় তাদের গ্রেপ্তার করতে গিয়ে ধস্তাধস্তিতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় র‌্যাবের কোনো সদস্য জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

গুলশানে ব্যবসায়ী খুন চাঁদাবাজি নিয়ে দুগ্রুপের দ্বন্দ্ব, কিলিং মিশনে অংশ নেয় ৫ জন

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৮:১৭ পিএম
চাঁদাবাজি নিয়ে দুগ্রুপের দ্বন্দ্ব, কিলিং মিশনে অংশ নেয় ৫ জন
নিহত ব্যবসায়ী সুমন মিয়া

গুলশান ও বাড্ডা এলাকার চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে স্থানীয় মেহেদী ও রবিন নামে দুটি সন্ত্রাসী গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলছিল। সেই দ্বন্দ্বে মেহেদীর নির্দেশে ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবসায়ী সুমন মিয়াকে হত্যা করা হয়। এই কিলিং মিশনে অংশ নেয় পাঁচজনের একটি গ্রুপ। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

বুধবার (২৬ মার্চ) র‍্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

র‌্যাব জানিয়েছে, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ২০ মার্চ সুমনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত মঙ্গলবার পটুয়াখালী থেকে ওয়াসির মাহমুদ ওরফে সাঈদকে (৫৯) ও টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকা থেকে মামুন ওরফে বেলালকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। 

জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে র‍্যাব জানায়, মেহেদী নামের এক ব্যক্তি মো. ওয়াসির মাহমুদের মাধ্যমে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে কয়েক বছর ধরে গুলশান ও বাড্ডা এলাকায় চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর মেহেদী পালিয়ে বিদেশে চলে যান। সেখান থেকে তিনি ওয়াসির মাহমুদের মাধ্যমে গুলশান ও বাড্ডা এলাকার চাঁদা সংগ্রহ করতেন। কিন্তু তখন অন্য একটি সন্ত্রাসী দল রবিন গ্রুপের হয়ে ভুক্তভোগী সুমন গুলশান বাড্ডা এলাকায় চাঁদাবাজি শুরু করে। গুলশান এলাকার বিভিন্ন বিপণিবিতানে চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মেহেদী গ্রুপের সঙ্গে রবিন গ্রুপের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। এই বিরোধের জেরে মেহেদীর নির্দেশে সুমনকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন ওয়াসির মাহমুদ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, হামলার ৮ থেকে ১০ দিন আগে সুমনকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিল্লাল ও মামুনের নেতৃত্বে পাঁচজনের একটি কিলার গ্রুপ গঠন করেন ওয়াসির মাহমুদ। এরপর তারা সুমনের ওপর নজর রাখা শুরু করেন। ঘটনার দিন ২০ মার্চ ওয়াসির মাহমুদের বাসায় সবাইকে নিয়ে বৈঠক হয়। এরপর তার বাসা থেকে অস্ত্র নিয়ে গুলশান এলাকায় যায় কিলিং মিশনের সদস্যরা। রাত ৯টার দিকে সুমনকে গুলশান পুলিশ প্লাজার সামনে ডা. ফজলে রাব্বি পার্কে বসে থাকতে দেখে গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর সুমন দৌড়ে পালাতে গেলে তাকে আরও কয়েকটি গুলি করা হয়।

সুমনের বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায়। তার বাবার নাম মাহফুজুর রহমান। তিনি রাজধানীর ভাষানটেক এলাকায় থাকতেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

নাটোরে প্রেমিকার সঙ্গে প্রতারণা করে ৪ বন্ধু মিলে ধর্ষণ

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৫:০৫ পিএম
আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৫:১৮ পিএম
নাটোরে প্রেমিকার সঙ্গে প্রতারণা করে ৪ বন্ধু মিলে ধর্ষণ
গ্রেপ্তারদের সঙ্গে পুলিশ সদস্যরা। ছবি: খবরের কাগজ

নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার ১০ম শ্রেণির এক কিশোরীর সঙ্গে এক বছর আগে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায় একই উপজেলার কাকফো পুরাতন পাড়া গ্রামের মেহেদী হাসান (১৯)। গত ৫ মার্চ সেই কিশোরীর সঙ্গে প্রতারণা করে চার বন্ধু মিলে ধর্ষণ করে। এই ঘটনায় চারজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন, উপজেলার কাকফো পুরাতনপাড়া গ্রামের মেহেদী হাসান (১৯), উপর হাটদোল গ্রামের মেহেদী হাসান রনি, একই গ্রামের রাজিব হোসেন (২২) ও সিংড়ার আকপাড়া-শেরকোল এলাকার গোলাম মোস্তফা (২০)।

ভুক্তভোগী, আসামি ও পুলিশসূত্রে জানা গেছে, গত ৫ মার্চ রাতে কথিত প্রেমিক ভুক্তভোগীর বাসায় দেখা করার ছলে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। কিন্তু মেয়ের অজান্তে তার সঙ্গে আসা তিনজন গোপনে ভিডিও ধারণ করেন। ঘটনাক্রমে তারা রুমের বাইরে রান্না ঘরের কাছে গেলে সেখানে উপস্থিত হয় অপেক্ষারত তিনজন। এর মধ্যে রাজিব তার মোবাইল ফোনে করা ভিডিওটি কিশোরীকে দেখান। এরপর ওই তিনজন পালাক্রমে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করেন।

এ প্রসঙ্গে বাগাতিপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) ভুক্তভোগী তরুণীর মা বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পরে মঙ্গলবার বিকেলেই সিংড়া উপজেলার খেজুরতলা এলাকার এক থাই গ্লাসের দোকান থেকে তিনজন ও রাতে বাগাতিপাড়ার উপর হাটদোল গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

বুধবার (২৬ মার্চ) দুপুরে তাদের আদালতের আদেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

কামাল মৃধা/নাইমুর/

আদাবরে চাপাতির ভয় দেখিয়ে ছিনতাই, আনসার সদস্যদের হাতে আটক ৩

প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৭:৫৩ পিএম
আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৭:৫৯ পিএম
আদাবরে চাপাতির ভয় দেখিয়ে ছিনতাই, আনসার সদস্যদের হাতে আটক ৩
রাজধানীর আদাবরে চাপাতির ভয় দেখিয়ে ছিনতাইয়ের পর পালানোর চেষ্টাকালে তিনজনকে আটক করেছে বায়তুল আমান হাউজিং সোসাইটির (মোহাম্মদপুর) আনসার সদস্যরা। ছবি: খবরের কাগজ

রাজধানীর আদাবরে চাপাতির ভয় দেখিয়ে ছিনতাইয়ের পর পালানোর চেষ্টাকালে তিনজনকে আটক করেছে বায়তুল আমান হাউজিং সোসাইটির (মোহাম্মদপুর) আনসার সদস্যরা।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) এসব তথ্য জানান আদাবর থানার আনসার কমান্ডার এইচ এম মাসুদ।

ছিনতাইয়ের কবলে পরা ভুক্তভোগী সাজু খবরের কাগজকে বলেন, ‘গত সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে রিকসায় বায়তুল আমান টাওয়ার হতে আদাবর ৬ নম্বর রোডের দিকে যাচ্ছিলাম। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে তিনজন ছিনতাকারী চাপাতি হাতে রিকসার গতিরোধ করে। রিকসায় সাকিব নামে আমার সঙ্গে আরেকজন ছিলেন।’ সাজু দাবি করেন, ছিনতাইকারীরা তার সঙ্গে থাকা একটি অফিস ব্যাগ, এক লাখ টাকা, দুইটি মোবাইল ফোন, ব্যাংকিং এটিএম কার্ড পাঁচটি এনআইডি কার্ডসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আদাবর ১৭ নম্বর রোড় থেকে ওই রাতেই আনসার সদস্যরা তাদের আটক করে আদাবর থানায় হস্তান্তর করে। পরে খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই। খোয়া যাওয়া জিনসিপত্র সব পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি।

আনসার কমান্ডার এইচ এম মাসুদ জানান, ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়ার সময় সোমবার রাতে আদাবর ১৭ নম্বর রোড থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে আদাবর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

তুলি/এমএ/