ঢাকা ৩০ পৌষ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

থানা থেকে লুট ৬০টি গুলি ও শুটারগান উদ্ধার

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৩ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৩ পিএম
থানা থেকে লুট ৬০টি গুলি ও শুটারগান উদ্ধার
ছবি: খবরের কাগজ

ছাত্র আন্দোলনের সময় সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানা থেকে লুট হওয়া ৬০টি গুলি ও শুটারগান উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে পৌরসভার হায়বাতপুর গ্রামের ফুলতলার একটি কাঁচা রাস্তার ওপর থেকে এসব উদ্ধার করা হয়।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চায়না রাইফেলের ৬০টি গুলি এবং মামলার আলামতের একটি শুটারগান পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে  থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পাঁচ আগষ্ট বিকেলে দুর্বৃত্তরা শ্যামনগর থানায় আগুন ধরিয়ে দিয়ে বেশ কিছু অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করে।

সুলতান শাহাজান/মেহেদী 

ফরিদপুরে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৩

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫৯ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:২২ পিএম
ফরিদপুরে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৩
ফরিদপুরে ওহাব মাতুব্বর হত্যায় গ্রেপ্তার তিন আসামি। ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় চুরি করতে গিয়ে চিনে ফেলায় ওহাব মাতুব্বরকে (৭৩) নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল জলিল। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান তিনি।

গ্রেপ্তাররা হলেন, উপজেলার আলেখারকান্দার আমিন কাজী (৪০), সদরপুর উপজেলার চর ব্রাহ্মন্দী গ্রামের অভি হাওলাদার (২৪) ও হাজেরিয়া হাজীরকান্দি গ্রামের আব্দুর রহমান (২০)।

পুলিশ সুপার বলেন, পুলিশ প্রথমে চুরি হওয়া বাড়ির প্রতিবেশী সন্দেহভাজন আমিনকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তার দেওয়া তথ্যমতে ১৩ জানুয়ারি অভিযান চালিয়ে বাকি দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে আসামিদের আদালতে পাঠানো হবে।

তিনি জানান, আসামিরা ভেবেছিল যেহেতু বাড়ির মালিক অনেক ধনী তাই বাড়িতে মূল্যবান মালামাল পাওয়া যাবে। সে উদ্দেশ্যে চুরি করতে ঢুকেছিল। বাড়িতে চুরির চেষ্টার এক পর্যায়ে কেয়ারটেকার দেখে ফেলায় তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। তবে তারা বাড়িতে তেমন কোনো মালামাল পায়নি।

নিহত ওহাব মাতুব্বর দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। অবিবাহিত থাকায় বৃদ্ধ বয়সে তার সঙ্গে তেমন কারও যোগাযোগ ছিল না।  তাকে ১ জানুয়ারি ভোরে হত্যা করা হয় বলে জানান আসামিরা।

গত ৮ জানুয়ারি রাতে ভাঙ্গা উপজেলার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের আলেখারকান্দা গ্রামের প্রয়াত ডা. জামাল উদ্দিন খলিফার বাড়ির কেয়ারটেকার ওহাব মাতুব্বরের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

জামাল উদ্দিন কয়েক মাস আগে মারা যাওয়ার পর তার বাড়িটি ফাঁকা থাকতো। তার দুই মেয়ে ও স্ত্রী পরিবার নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন। তাই ওই বাড়ির দেখভাল করার জন্য ওহাব মাতুব্বরকে বাড়ির কেয়ারটেকার হিসেবে দায়িত্ব দেন। ওহাব ওই বাড়িতেই বসবাস করতেন।

ঘটনার দিন সন্ধ্যায় নিহতের বোন নুরজাহান বেগম ভাইকে শীতের পিঠা খাওয়াতে আসলে বাড়ি অন্ধকার দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীদের সহায়তা নেন।

একপর্যায়ে বাড়ি থেকে গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে ওহাবের মরদেহ উদ্ধার করে।

সঞ্জীব/নাবিল/অমিয়/

ডিবি পুলিশ পরিচয়ে প্রাণ-আরএফএলের ৫৫ লাখ টাকা ছিনতাই

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৪ এএম
ডিবি পুলিশ পরিচয়ে প্রাণ-আরএফএলের ৫৫ লাখ টাকা ছিনতাই
প্রতীকী ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে ডিবি পুলিশের পরিচয়ে মাইক্রোবাস থামিয়ে প্রাণ-আরএফএল কারখানার ৫৫ লাখ টাকা ছিনতাই হয়েছে। এ ঘটনায় কারখানার কর্মকর্তা মো: হেলাল উদ্দিন (৫৬) আহত হয়েছেন।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া দুইটার দিকে গাজীপুর মহানগরীর সদর থানার সীমান্তবর্তী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার বিকে বাড়িতে অবস্থিত প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ডিপো থেকে ৫৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা বস্তায় ভরে একটি নোয়াহ মাইক্রোবাসে করে ঢাকার বাড্ডা এলাকার প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন কারখানার ক্রেডিট রিয়াইলেজশন কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন।পরে রাজেন্দ্রপুর এলাকায় পৌঁছলে ডিবি পুলিশের পোশাক পরা দুই ব্যক্তিসহ সাদা পোশাকে আরও ৮-১০ জন মাইক্রোবাস থামানোর সিগন্যাল দেয়। চালক মুজিবুর রহমান গাড়ি থামালে ডিবি পুলিশ পরিচয়ধারীরা গাড়িতে জাল টাকা রয়েছে এবং চালক মুজিবুর রহমান ও হেলাল উদ্দিনের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে জানিয়ে মারধর শুরু করে এবং মাইক্রোবাসের চাবি ছিনিয়ে নেয়। এতে মজিবুর রহমান চিৎকার দিলে ডিবি পুলিশ পরিচায়ধারীরা তাদের বেধড়ক মারধর করে টেনে হেচড়ে মাইক্রেবাসে তুলে চোখমুখ বেঁধে ফেলে এবং হাতে হাতকড়া পরিয়ে দেয়। 
পর বেলা সোয়া তিনটার দিকে তাদের নগরীর বাসন থানার নাওজোড় কড্ডা ব্রিজের কাছে ফেলে রেখে  ছিনতাইকারীরা টাকার বস্তা নিয়ে অপর একটি গাড়িতে করে চলে যায়। এ সময় চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে এবং আহত হেলাল উদ্দিনকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আরিফুর রহমান জানান, ভুক্তভোগীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

পলাশ প্রধান/মেহেদী

উকিলকে দেওয়া টাকা তুলতে মুহুরিকে অপহরণ, গ্রেপ্তার ২

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫১ এএম
আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫৩ এএম
উকিলকে দেওয়া টাকা তুলতে মুহুরিকে অপহরণ, গ্রেপ্তার ২
গ্রেপ্তার ২ আসামি (ইনসেটে অপহৃত মুহুরী ও গাড়িচালক)। ছবি: খবরের কাগজ

মামলার জামিন করাতে অনেক টাকা নেয় উকিল, ওই টাকা তুলতে উকিলের মুহুরিকে অপহরণ করে জামিন পাওয়া ওই আসামি ও তার সঙ্গীরা। তবে দুর্ঘটনার জেরে মাইক্রোবাসটি স্থানীয় জনতা আটক করলে রক্ষা পান ওই মুহুরি। গ্রেপ্তার হয় দুই অপহরণকারী।

রবিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসমাউল হক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহসিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মুহুরি পারভেজ রানা (৩৪) নাটোর সদর উপজেলার ছাতনী ইউপির কেশবপুর গ্রামের মকছেদ আলী প্রামানিকের ছেলে। তিসনি নাটোর জজ কোর্টের আইনজীবি মোখলেছুর রহমান মিলনের সঙ্গে কাজ করেন। 

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- পাবনা জেলার আমিনপুর থানার নয়াবাড়ী এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে নুরুজ্জামান হোসেন ওরফে মোক্তার (৫৩) এবং গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার উত্তর হিজলতলী এলাকার আসলাম হোসেনের ছেলে রবিন হোসেন (২৪)।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহসিন মামলার অভিযোগসূত্রে জানান, গ্রেপ্তার দুইজনসহ পাঁচজনের নাম ও অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনের বিরুদ্ধে মামলার দাবি করেন পারভেজ রানা।

আসামিরা আন্তঃজেলা অপরাধ চক্রের সদস্য। দেশের বিভিন্ন স্থানে তারা সংঘবদ্ধ অপরাধ করে বেড়ায়। আনুমানিক ৬/৭ মাস আগে জামিনের সূত্রধরে মোক্তারের সঙ্গে তার এবং আইনজীবি মোখলেছুর রহমান মিলনের পরিচয় হয়। মোক্তার একাধিক মামলার আসামি হওয়ায় প্রায় সময় সে নাটোর কোর্টে আসে।মোক্তারের জামিনের ব্যবস্থা করেন তারা।

মুহুরি অভিযোগ করে বলেন, শনিবার বিকেল চারটার দিকে মোক্তার তাকে ফোন দিয়ে বলে যে, দুটি মামলার নকল তুলতে হবে এবং ওকালতনামা পাঠাতে হবে, তুমি তাড়াতাড়ি নাটোর জজ কোর্টের সামনে আসো। পরে বাড়ি থেকে রওনা দিয়ে নাটোর জজ কোর্টের সামনে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কেএকটি সাদা রংয়ের হাইয়েচ মাইক্রোবাসের কাছে গেলে আসামিরা তাকে জোরপূর্বক ওই মাইক্রোবাসে উঠায়। এরপর তার হাত-মুখ বেঁধে মাঝখানে বসিয়ে দ্রুত বেগে সিংড়ার দিকে রওনা করে। এ সময় তারা মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ কেড়ে নেয়। পরে আসামিরা গালে মুখে চড় থাপ্পর দিতে থাকে এবং বলে  তোর উকিলকে ফোন দিয়ে বল আমাদের কাছ থেকে জামিনের টাকা যা নিয়েছে তা ফেরত দিতে। নইলে তোকে মেরে ফেলবো। এছাড়া তিনি পিছনের সীটে একজন ব্যক্তিকে অচেতন অবস্থায় শুয়ে থাকতে দেখেন। 

তিনি আরও দাবি করেন, গাড়িটি সিংড়া পার হয়ে জামতলী বাজারের দিকে আসার পর আসামিরা গাড়িটি নিয়ে জামতলী হয়ে বামিহালের দিকে রওনা করে। মাইক্রোবাসটি দ্রুত গতিতে চালানোর ফলে সিংড়া থানার বিনগ্রাম বাজারের মধ্যে একটি সিএনজিকে ধাক্কা দেয়। তখন বাজারে থাকা লোকজন  মাইক্রোবাসটিকে থামানের চেস্টা করে কিন্তু মাইক্রোবাসটি আরও দ্রুত গতিতে বামিহালের দিকে যেতে থাকলে রাতাল বাজারে থাকা আরও কয়েকজন লোককে ধাক্কা দিয়ে বেপরোয়া ভাবে চলতে থাকে।  রাতাল বাজারের লোকজন বামিহাল বাজারের লোকদের ফোন দিলে সিংড়া থানার সুকাশ ইউনিয়নের বামিহাল বাজারে থাকা অনুমান ১০০/১৫০ লোক রাস্তায় বেরিকেড দিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে  রহমত আলী ডিগ্রি কলেজের সামনে থামায়। অবস্থা বেগতিক দেখে  ২/৩ জন আসামি মাইক্রোবাস থেকে দ্রুত নেমে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা বাকী দুজনকে আটক করে।

ওসি আসমাউল হক জানান,স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ওই মুহুরি এবং মাইক্রোবাসের পিছনের সিটে থাকা  জিন্নাত আলী নামে অচেতন উদ্ধারসহ ও ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা পরস্পর যোগসাজশে গত দুইদিন আগে মাইক্রোবাসের মালিক  আব্দুল্লা মিয়াকে মোবাইলে যোগাযোগ করে মাইক্রোবাসটি কৌশলে ভাড়া করে। পরে শনিবার সকাল ৯টার দিকে টাঙ্গাইল হতে রওয়ানা দিয়ে মাইক্রোবাসটির চালক জিন্নাত আলীকে পানীয়ের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে  অচেতন করে মাইক্রোবাসের পিছনের সিটে ফেলে রাখে।

কামাল মৃধা/মেহেদী 

বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগ

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:০৩ এএম
আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:২৩ পিএম
বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগ
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল ফকির। ছবি: খবরের কাগজ

সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল ফকিরের বিরুদ্ধে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের চর সলিমাবাদ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

চৌহালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

বলাত্কারের শিকার কিশোর অভিযোগ করে জানায় , মুঠোফোনে খুদেবার্তার মাধ্যমে ওই কিশোরের সঙ্গে বিএনপি নেতা জুয়েল ফকিরের পরিচয় হয়। এরপর শনিবার বিকেলে বাজার এলাকায় স্থানীয় বিএনপির একটি জনসভা চলাকালে সেখানে তাদের সঙ্গে দেখা হয়। সেই সুত্র ধরে শনিবার রাতে জরুরী কথা আছে বলে উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের চর সলিমাবাদ বাজার এলাকায় তাকে ডেকে নিয়ে যায় জুয়েল। এর পর সেখানে একটি ঘরের মধ্যে নিয়ে জোরপূর্বক তাকে বলাৎকার করে।

এ বিষয়ে শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করতে গেলে স্থানীয় বিএনপির নেতারা যথোপযুক্ত বিচার দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তাদের ফিরিয়ে আনেন।

এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহিদ মোল্লা বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে দলের উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ময়নুল ইসলাম ক্বারীকে দায়িত্ব দিয়েছেন।

অভিযুক্ত উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল ফকির এমন ঘটনার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি এখন ব্যস্ত আছি। এ বিষয়ে পরে কথা বলবো। 

ওসি জিয়াউর রহমান বলেন, বলাৎকারের বিষয়টি আমরা লোকমুখে শুনেছি। তবে এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শিশির/মেহেদী

কুষ্টিয়ায় পাওনা টাকা চাওয়ায় যুবক খুন

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৯ এএম
আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৬ এএম
কুষ্টিয়ায় পাওনা টাকা চাওয়ায় যুবক খুন
ছবি: খবরের কাগজ

কুষ্টিয়ায় মাংস বিক্রির পাওনা টাকা চাওয়ায় ছুরিকাঘাতে আল-আমিন (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন এবং লিটন সদ্দার নামে আরও এক যুবক আহত হয়েছেন। 

রবিবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধা সাড়ে সাতটার দিকে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় পশ্চিম রানাখড়িয়া চাঁদ মার্কেট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। 

নিহত আল আমিন ওই এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে এবং আহত লিটন সদ্দার একই এলাকার মৃত রুনু সদ্দারের ছেলে।

নিহতের স্বজনরা জানান, আল-আমিন এবং তার বাবা রবিউল ওই এলাকায় মাংসের ব্যবসা করতো। একই এলাকার আসাদুলের কাছে বেশ কিছুদিন আগের মাংস বিক্রির ২০ হাজার টাকা পাওনা ছিলো রবিউলের। কিন্তু আসাদুল টাকা পরিশোধ না  করে তালবাহনা করছিলো। রবিবার বিকেলে রবিউল আসাদুলের কাছে টাকা চাইলে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে সন্ধার পরে আসাদুল এবং তার দুই ছেলে আকুল এবং আকাশ আরও কয়েকজন সঙ্গে করে চাদ মার্কেটে এসে রবিউলের উপর হামলা চালায়। এ সময় আল আমিন এবং লিটন প্রতিবাদ করলে আকুল ও আকাশ ধারালো অস্ত্র দিয়ে আল আমিন এবং লিটনকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের দুজনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আল-আমিনকে মৃত ঘোষনা করেন। লিটনের চিকিৎসা চলছে।

এ বিষয়ে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, পাওনা টাকা চাওয়ায় চুরিকাঘাতে একজন নিহত হয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘাতকদের গ্রেপ্তারের জন্য কাজ করছে পুলিশ। এ বিষয়ে নিহতের স্বজনেরা আসলেই মামলা করা হবে।

মিলন উল্লাহ/মেহেদী