
নেত্রকোনা পৌর শহরে নিজ বসতঘর থেকে অবসরপ্রাপ্ত এক কলেজশিক্ষকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত দিলীপ রায় (৭২) পৌর শহরের বড়বাজার এলাকার বাসিন্দা। তিনি নেত্রকোনা আবু আব্বাছ কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ছিলেন। নেত্রকোনায় চাকরি ও বিয়ে করার পর বড়বাজারে বাসা করেছিলেন। তার জন্ম কুমিল্লার মাইজার এলাকায়।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দিলীপ রায়ের এক মেয়ের বিয়ে হয়েছে। একমাত্র ছেলে রাজিব রায় অর্থ মন্ত্রণালয়ে উপপরিচালক। দিলীপের স্ত্রী বিভা সাহা ঢাকায় ছেলের বাসায় বেড়াতে যান। নিহত শিক্ষক ঘটনার রাতে বাসায় একা ছিলেন।
বৃহস্পতিবার রাতে কোনো একসময় দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে দিলীপ রায়কে হত্যা করে নগদ টাকা ও জিনিসপত্র নিয়ে গেটে তালা দিয়ে যায়। শুক্রবার সকালে দিলীপের স্ত্রী বিভা সাহা ঢাকা থেকে এসে বাসা তালাবদ্ধ পান। পরে পাড়া-প্রতিবেশীর সাহায্য নিয়ে তালা ভেঙে প্রবেশ করে ঘরের ভেতরে স্বামীর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আবেগাপ্লুত কণ্ঠে স্ত্রী বিভা সাহা বলেন, ‘আমি স্বামী হারিয়েছি। তিনি আর ফিরে আসবেন না। খুনের ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি। এমন ঘটনা আর যেন না ঘটে। আমার ধারণা, ডাকাতরা ঘরে ঢুকে তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।’
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহনেওয়াজ খবরের কাগজকে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। পুলিশ জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) লুৎফর রহমান বলেন, ‘ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের একাধিক দল মাঠে কাজ করছে।’