ঢাকা ৪ ফাল্গুন ১৪৩১, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১

কাউন্সিলর টিপু হত্যার রহস্য উদঘাটন, লাগেজ ট্যাগে শনাক্ত খুনি

প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:২৭ পিএম
আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:০৫ পিএম
কাউন্সিলর টিপু হত্যার রহস্য উদঘাটন, লাগেজ ট্যাগে শনাক্ত খুনি
কক্সবাজারে খুন হওয়া খুলনার সাবেক কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী টিপু, এ ঘটনায় জড়িত শেখ শাহরিয়ার ইসলাম পাপ্পু, গোলাম রসূল ও ঋতু ও খুনের আলামত। ছবি : খবরের কাগজ

কক্সবাজারে খুলনার সাবেক কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী টিপুকে হত্যার পরিকল্পনা করেন নিহত হুজি শহিদের ভাতিজা শেখ শাহরিয়ার ইসলাম পাপ্পু। চাচা হত্যার প্রতিশোধ নিতেই তিনি এ হত্যাকাণ্ড ঘটান। 

এর অংশ হিসেবে ডিভোর্সী নারী ঋতুর ফাঁদে ফেলানো হয় টিপুকে। ঋতুর দেওয়া তথ্য মতে, কক্সবাজারে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী গেল ৯ জানুয়ারি টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

ইতোমধ্যে চাঞ্চল্যকর টিপু হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. রহমত উল্লাহ।

গ্রেপ্তাররা হলেন- খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ৪নং ওয়ার্ডের দেওয়ান মোল্লা পাড়ার ঋতু (২৩), একই এলাকার শেখ শাহরিয়ার ইসলাম ওরফে পাপ্পু (২৭) ও তার সহযোগী সিটি কর্পোরেশনের ৬নং ওয়ার্ডের মধ্যম কারিকর পাড়ার গোলাম রসূল (২৫)।

গ্রেপ্তার পাপ্পুর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া তিনি চরমপন্থীর সাবেক নেতা হুজি শহিদুল ইসলামের ভাতিজা। তাকে ২০১৫ সালে হত্যা করা হয়। সেই মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী টিপু।

যেভাবে শনাক্ত হয় হত্যাকারীরা
হত্যাকাণ্ডের পর থেকে লাপাত্তা নারী ও হত্যাকারীরা এসেছিলেন ইম্পেরিয়াল এক্সপ্রেসের একটি বাসে। হোটেল কক্ষে পাওয়া সেই বাসের একটি লাগেজের ট্যাগ পায় তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। এটির সুত্র ধরেই কাজ শুরু করে তারা। এই বাসের অন্যান্য যাত্রীসহ নাম্বার তল্লাশি হয়।

তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এক পর্যায়ে ঋতুর নাম আসে। তারপর থেকে ঋতুর অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা করা হয়। এক পর্যায়ে মৌলভীবাজার জেলার জিরি থানার কাপনা পাহাড় এলাকা থেকে এই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সহযোগী ঋতুসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় কক্সবাজার জেলা পুলিশ। যার নেতৃত্ব দিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আহমেদ পেয়ার।

পুলিশ সুপার মো. রহমত উল্লাহ বলেন, গ্রেপ্তার তিনজনই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত। এদের মধ্যে ওই নারী কক্সবাজার ঘুরতে এসে কাউন্সিলর টিপুর সঙ্গে হোটেলে উঠেছিলেন। আর ঘটনার পর থেকে ওই নারীর সন্ধান পাচ্ছিল না পুলিশ। এছাড়া গ্রেপ্তার অপর দুইজন হত্যাকাণ্ডের মিশনে সরাসরি অংশ নিয়েছেন।

গ্রেপ্তার ঋতু খুলনার দৌলতপুর এলাকায় ‘কলগার্ল’ হিসেবেও বেশ পরিচিত। শাহরিয়ার পাপ্পু এলাকায় ‘শুটার পাপ্পু’ হিসেবে পরিচিতি। তার সহযোগী গোলাম রসূল।

কাউন্সিলর টিপু হত্যার তিন কারণ
স্থানীয় রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচন ও আন্ডারওয়ার্ল্ডের সম্পৃক্ততা। যা খতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। তাদের দেওয়া তথ্যমতে- টিপু স্বেচ্ছাসেবক লীগের খুলনা মহানগর শাখার সহসভাপতি ছিলেন। ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পলাতক। এরই মধ্যে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা তার বাড়িতে হামলা করেছে।

সবশেষ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা শরিফুল আনাম ও তার ছেলে আশিকুল আনামসহ একটি পক্ষ গোলাম রব্বানী টিপুর প্রতিপক্ষ প্রার্থী মো. কবির হোসেন কবু মোল্লাকে সমর্থন করেন। এ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। ৫ আগস্টের পর গোলাম রব্বানী টিপুর বাড়িতে হামলার সঙ্গে এদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে।

এ ছাড়া টিপু দৌলতপুর এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও চরমপন্থী নেতা শহিদুল ইসলাম ওরফে হুজি শহিদকে (৪২) হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। ২০১৫ সালের অক্টোবরে দৌলতপুর খান এ সবুর রোডে ইসলামি ব্যাংকের সামনে শহিদুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

২০২২ সালের ৩০ জুন নগরীর মুজগুন্নী এলাকায় জুলকার নাঈম মুন্নাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি পূর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির সদস্য ছিলেন।

চরমপন্থি নেতা গাজী কামরুলের সঙ্গে গোলাম রব্বানী টিপুর দ্বন্দ্ব ছিল। গাজী কামরুলের সঙ্গে শহিদুল ইসলাম ওরফে হুজি শহিদের সম্পৃক্ততা ছিল। হুজি শহিদ নিহত হওয়ার পর গাজী কামরুলের সঙ্গে টিপুর দ্বন্দ্ব আরও বেড়ে যায়।

টিপু হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র-গুলি উদ্ধার
র‍্যাব-পুলিশ ও গোয়েন্দাদের ধারণা-ঘটনাস্থলে পড়েছিল টিপু লক্ষ্য করা পিস্তলের গুলির খোসা। সে খোসার তথ্য মতে এটি ৯ এমএম ইউএসএর প্যারাবলিয়াম ৯.৯ মিলিমিটার পিস্তল।

গত বৃহস্পতিবার ৯ জানুয়ারি রাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন হোটেল সি-গালের সামনের রাস্তায় টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়।  

মুহিববুল্লাহ মুহিব/জোবাইদা/অমিয়/

হরিণাকুণ্ডে স্ত্রীর লাথিতে প্রাণ গেল স্বামীর

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:০০ এএম
আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:০২ এএম
হরিণাকুণ্ডে স্ত্রীর লাথিতে প্রাণ গেল স্বামীর
ছবি : খবরের কাগজ

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার রানা মণ্ডল (৩০) নামে এক যুবক স্ত্রীর লাথিতে নিহত হয়েছেন। 

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ফলসী ইউনিয়নের শড়াতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

রানা ওই গ্রামের মঈন উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে।
 
নিহতের মা জানান, রানা এ তার স্ত্রী শম্পা খাতুনের সঙ্গে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে লাথি মারলে ঘরের মেঝেতে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত লেগে তার মৃত্যু হয়।

পুলিশ জানায়, শম্পা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

মাহফুজুর রহমান/জোবাইদা/

স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামীর আত্মসমর্পণ!

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৪ এএম
আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৯ এএম
স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামীর আত্মসমর্পণ!
ছবি : খবরের কাগজ

বরগুনায় স্ত্রী আসমা আক্তার পুতুলকে কুপিয়ে হত্যা করার পর থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছেন স্বামী আবুল কালাম।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে বরগুনা পৌরসভার বাগানবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  

আত্মসমর্পণকারী আবুল কালাম বরগুনা শহরে গ্যাস সিলন্ডার ও জালানি তেলের ব্যবসা করতেন। তিনি বরগুনা শহরের শহীদ স্মৃতি সড়কের আব্দুল করিমের ছেলে। আবুল কালামের স্ত্রী আসমা আক্তার পুতুল বরগুনার চান্দখালীর বকুলতলীর মো. ইউনুসের মেয়ে।

নিহতের স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে আবুল কালাম ও আসমা আক্তার পুতুলের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। এ বছরের জানুয়ারি মাসে বাগানবাড়ি এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া আসেন তারা। সেখানেও তাদের মধ্যে কলহ চলছিল। এর জেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পুতুলকে কুপিয়ে হত্যার করে বরগুনা সদর থানার এসে আত্মসমর্পণ করেন স্বামী আবুল কালাম। পরে তাকে নিয়ে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করলেও এ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র এখনো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

পুতুল ও আবুল কালাম দম্পতির সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে রাকা মনি বলে, আমার বাবা ও মায়ের মধ্যে স্বর্ণালংকার বানানোর টাকা নিয়ে ঝামেলা চলছিল। কয়েকবার তাদের মধ্যে মারামারিও হয়। আমার বাবা দুপুরে আমাকে কোমল পানীয়র সঙ্গে ঘুমের ওষুধ জাতীয় কিছু একটা মিশিয়ে খাওয়ালে আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। সন্ধ্যায় ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার ছোট ভাই কান্না করছে, আর মা রক্তাক্ত অবস্থায় পাশের রুমে পড়ে আছে। 

এ বিষয় বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, 'স্ত্রীকে হত্যা করে আবুল কালাম নামের একজন থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কি কারণে হত্যা করা হয়েছে তা জানতে তদন্ত চলমান রয়েছে। আত্মসমর্পণকারী আবুল কালামকে সোমবার আদালতে উঠনো হবে।'

মহিউদ্দিন অপু/জোবাইদা/

দাউদকান্দিতে দেড় হাজার টাকার জন্য হত্যা

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৪১ পিএম
আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৫৫ পিএম
দাউদকান্দিতে দেড় হাজার টাকার জন্য হত্যা
কুমিল্লা

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে মাত্র দেড় হাজার টাকার জেরে হাবীব তালুকদার (৬০) নামে একজনকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের নয়ানগর গ্রামের তালুকদার বাড়িতে হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।

এজহারনামীয় আসামিরা হলেন উপজেলার নয়ানগর গ্রামের চারু ভূঁইয়ার ছেলে মিজান ফকির (৫০) এবং একই এলাকার বাবুল ছয়ালের ছেলে শিপন মিয়া (২৪)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটি গ্রাম্য সালিশে দেড় হাজার টাকা ভাগবাঁটোয়ারা নিয়ে হাবীব তালুকদার নামের এক বৃদ্ধকে ওই এলাকার কতিপয় দুষ্কৃতকারী পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাত ১১টার দিকে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুনায়েত চৌধুরী বলেন, ‘ঘটনার দিন রাতে নিহতের স্ত্রী মাকসুদা বেগম মাসু বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় এজহারনামীয় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (গতকাল) দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়।’

দুই বান্ধবীকে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি জনি গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৩৬ পিএম
আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৭ পিএম
দুই বান্ধবীকে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি জনি গ্রেপ্তার
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর লালবাগ এলাকায় দুই বান্ধবীকে গণধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার প্রধান আসামি মো. জনিকে (৩১) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১০)।

গতকাল শনিবার র‌্যাব-১০-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, গত ১১ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ১টার দিকে আসামি মো. জনি (৩১) ও তার ৬-৭ জন সহযোগী ওই বাড়ির কেয়ারটেকারকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশির নাম করে ভিকটিমের ভাড়া বাসায় প্রবেশ করে। তল্লাশিকালে কোনো কিছু না পেয়ে জনিসহ অপর আসামিরা ভিকটিমকে তার নিজ কক্ষে এবং বান্ধবীকে রান্না ঘরে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে। 

তাপস কর্মকার বলেন, মামলার বিষয়টি জানতে পেরে আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। গত শুক্রবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় লালবাগ থানার নবাবগঞ্জ রোডে অভিযান চালিয়ে জনিকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

শেরপুরে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৪ এএম
আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:০৫ এএম
শেরপুরে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
শেরপুর

শেরপুরে ধানের চাতালে ক্রিকেট খেলতে নিষেধ করায় এক যুবককে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

নিহত হাবিবুর রহমান লেমন তালুকদার (৩৪), শেরপুর পৌর শহরের দিঘারপাড় মহল্লার ধানচাল ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা তালুকদারের ছেলে। তিনি বাবার রাইস মিলের ব্যবসায় জড়িত ছিলেন।

নিহতের পরিবার, অভিযোগের কপি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে দিঘারপাড় মহল্লায় হাবিবুর রহমান লেমনের মালিকানাধীন ধানের চাতালে ক্রিকেট খেলতে যায় কয়েকজন যুবক। এ সময় লেমন তাদের চাতালে ক্রিকেট খেলতে নিষেধ করলে স্থানীয় ফজু মিয়া, তার তিন ছেলে নাজমুল ইসলাম বাবু, মনিরুজ্জামান মনির ও লিখনসহ কয়েকজন তাকে ক্রিকেট ব্যাট ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় তার মাথায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে আশপাশের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় লেমনকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতাল ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে ঢাকার মহাখালী মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে লেমন মারা যান।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবায়দুল আলম বলেন, 'লেমনের স্বজনরা জানিয়েছে সে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার মরদেহ শেরপুরে আনার পর ময়নাতদন্তে শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

শাকিল মুরাদ/জোবাইদা/