ছবি : খবরের কাগজ
বরগুনায় স্ত্রী আসমা আক্তার পুতুলকে কুপিয়ে হত্যা করার পর থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছেন স্বামী আবুল কালাম।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে বরগুনা পৌরসভার বাগানবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আত্মসমর্পণকারী আবুল কালাম বরগুনা শহরে গ্যাস সিলন্ডার ও জালানি তেলের ব্যবসা করতেন। তিনি বরগুনা শহরের শহীদ স্মৃতি সড়কের আব্দুল করিমের ছেলে। আবুল কালামের স্ত্রী আসমা আক্তার পুতুল বরগুনার চান্দখালীর বকুলতলীর মো. ইউনুসের মেয়ে।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে আবুল কালাম ও আসমা আক্তার পুতুলের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। এ বছরের জানুয়ারি মাসে বাগানবাড়ি এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া আসেন তারা। সেখানেও তাদের মধ্যে কলহ চলছিল। এর জেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পুতুলকে কুপিয়ে হত্যার করে বরগুনা সদর থানার এসে আত্মসমর্পণ করেন স্বামী আবুল কালাম। পরে তাকে নিয়ে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করলেও এ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র এখনো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
পুতুল ও আবুল কালাম দম্পতির সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে রাকা মনি বলে, আমার বাবা ও মায়ের মধ্যে স্বর্ণালংকার বানানোর টাকা নিয়ে ঝামেলা চলছিল। কয়েকবার তাদের মধ্যে মারামারিও হয়। আমার বাবা দুপুরে আমাকে কোমল পানীয়র সঙ্গে ঘুমের ওষুধ জাতীয় কিছু একটা মিশিয়ে খাওয়ালে আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। সন্ধ্যায় ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার ছোট ভাই কান্না করছে, আর মা রক্তাক্ত অবস্থায় পাশের রুমে পড়ে আছে।
এ বিষয় বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, 'স্ত্রীকে হত্যা করে আবুল কালাম নামের একজন থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কি কারণে হত্যা করা হয়েছে তা জানতে তদন্ত চলমান রয়েছে। আত্মসমর্পণকারী আবুল কালামকে সোমবার আদালতে উঠনো হবে।'
মহিউদ্দিন অপু/জোবাইদা/