
মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীসহ অন্তত ১০ জনের উপর হামলা চালিয়েছে কিশোর গ্যাং। আহত শিক্ষার্থীর নাম মাইন উদ্দিন। তিনি নোবিপ্রবির সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) আনুমানিক রাত ১১টার দিকে নোয়াখালী সদর উপজেলার ৭ নম্বর ধর্মপুর ইউনিয়নের ভাটিরটেক গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
পরে এলাকাবাসী মাইন উদ্দিনকে উদ্ধার করে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।
এই বিষয়ে আহত শিক্ষার্থী মাইন উদ্দিন খবরের কাগজকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আমলে জনতা বাজারে প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল এই কিশোর গ্যাং। স্বৈরাচার পতনের পর বাটিরটেক গ্রামের একটি বাড়িতে তারা আস্তানা তৈরি করে। সেখানে তারা গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন করে। এ ছাড়া এলাকার নানা অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত এই মাদকসেবীরা। তারা গ্রামের বাড়ি থেকে ছাগল, হাঁস, মুরগী চুরি করে জনসাধারণের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।’
তিনি বলেন, ‘বুধবার রাতে তারা ঐ বাড়িতে গাঁজা সেবন করতে গেলে স্থানীয়রা আমাদের জানান। সে সময় আমরা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কয়েকজন পাঠাগারে বসে ছিলাম। পরে আমরা প্রায় ১০ জন ঘটনাস্থলে গিয়ে মোবাইলে তাদের ভিডিও ধারণ করি। এ সময় তাদের মধ্যে থেকে একজন পালিয়ে তাদের কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের নিয়ে আসে। পরে তারা ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোঠা দিয়ে আমাদের উপর আক্রমণ চালায়। এতে আমার মাথা, নাক, মুখে গুরুতর জখম হয়। সে সময় আমাদের সঙ্গে একজন শিক্ষক ছিলেন। সন্ত্রাসীরা শিক্ষককে মারধর করে এবং এক ঘণ্টা জিম্মি করে রাখে।’
মাইন উদ্দিন বলেন, ‘আমরা সুধারাম মডেল থানায় জিডি করেছি এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছেন।’
এই বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা সুধারাম মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুর রহমান খান বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগটি পেয়েছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কাউসার/পপি/