ঢাকা ৪ ফাল্গুন ১৪৩১, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১

মেডিকেলে ভর্তির প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:০৪ পিএম
মেডিকেলে ভর্তির প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সদস্য গ্রেপ্তার
ছবি : সংগৃহীত

ময়মনসিংহে মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সদস্য নাজমুল এহসান নাঈমকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর মীরবাড়ী এলাকার একটি ছাত্রাবাস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার নাঈম জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ভুরার বাড়ি গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি আনন্দ মোহন কলেজের গনিত বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

ডিবি পুলিশ জানায়, নাঈম মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেওয়ার প্রলোভনে পরীক্ষার্থীদের থেকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আদায় করত। মেডিকেল কলেজে ২০২৫ সালের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তার হাতে রয়েছে এমন নিশ্চয়তা দেওয়া হতো পরীক্ষার্থীদের। এজন্য তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের টার্গেট করতেন। হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলে প্রশ্নপত্র দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১২ হাজার টাকা কন্ট্রাক্ট করে একেকজন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে অগ্রিম ছয় হাজার টাকা বিকাশ নম্বরে আদায় করত।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ডিভিশন এই প্রতারকের তথ্য উদ্ঘাটন করে। পরে ঘটনাটি ময়মনসিংহ গোয়েন্দা পুলিশকে জানালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, নাজমুল এহসান নাঈম একজন প্রতারক। মেডিকেল কলেজের প্রশ্নপত্র ফাঁসের কথা বলে সম্প্রতি তিনি লক্ষাধিক টাকা পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তার সঙ্গে এমন প্রতারণার কাজে জড়িত চক্র রয়েছে বলে আমাদের সন্দেহ। তাদেরও শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। বিকেলে গ্রেপ্তার নাঈমকে আদালতে পাঠানো হবে।

কামরুজ্জামান মিন্টু/অমিয়/

হরিণাকুণ্ডে স্ত্রীর লাথিতে প্রাণ গেল স্বামীর

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:০০ এএম
আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:০২ এএম
হরিণাকুণ্ডে স্ত্রীর লাথিতে প্রাণ গেল স্বামীর
ছবি : খবরের কাগজ

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার রানা মণ্ডল (৩০) নামে এক যুবক স্ত্রীর লাথিতে নিহত হয়েছেন। 

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ফলসী ইউনিয়নের শড়াতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

রানা ওই গ্রামের মঈন উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে।
 
নিহতের মা জানান, রানা এ তার স্ত্রী শম্পা খাতুনের সঙ্গে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে লাথি মারলে ঘরের মেঝেতে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত লেগে তার মৃত্যু হয়।

পুলিশ জানায়, শম্পা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

মাহফুজুর রহমান/জোবাইদা/

স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামীর আত্মসমর্পণ!

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৪ এএম
আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৯ এএম
স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামীর আত্মসমর্পণ!
ছবি : খবরের কাগজ

বরগুনায় স্ত্রী আসমা আক্তার পুতুলকে কুপিয়ে হত্যা করার পর থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছেন স্বামী আবুল কালাম।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে বরগুনা পৌরসভার বাগানবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  

আত্মসমর্পণকারী আবুল কালাম বরগুনা শহরে গ্যাস সিলন্ডার ও জালানি তেলের ব্যবসা করতেন। তিনি বরগুনা শহরের শহীদ স্মৃতি সড়কের আব্দুল করিমের ছেলে। আবুল কালামের স্ত্রী আসমা আক্তার পুতুল বরগুনার চান্দখালীর বকুলতলীর মো. ইউনুসের মেয়ে।

নিহতের স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে আবুল কালাম ও আসমা আক্তার পুতুলের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। এ বছরের জানুয়ারি মাসে বাগানবাড়ি এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া আসেন তারা। সেখানেও তাদের মধ্যে কলহ চলছিল। এর জেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পুতুলকে কুপিয়ে হত্যার করে বরগুনা সদর থানার এসে আত্মসমর্পণ করেন স্বামী আবুল কালাম। পরে তাকে নিয়ে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করলেও এ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র এখনো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

পুতুল ও আবুল কালাম দম্পতির সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে রাকা মনি বলে, আমার বাবা ও মায়ের মধ্যে স্বর্ণালংকার বানানোর টাকা নিয়ে ঝামেলা চলছিল। কয়েকবার তাদের মধ্যে মারামারিও হয়। আমার বাবা দুপুরে আমাকে কোমল পানীয়র সঙ্গে ঘুমের ওষুধ জাতীয় কিছু একটা মিশিয়ে খাওয়ালে আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। সন্ধ্যায় ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার ছোট ভাই কান্না করছে, আর মা রক্তাক্ত অবস্থায় পাশের রুমে পড়ে আছে। 

এ বিষয় বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, 'স্ত্রীকে হত্যা করে আবুল কালাম নামের একজন থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কি কারণে হত্যা করা হয়েছে তা জানতে তদন্ত চলমান রয়েছে। আত্মসমর্পণকারী আবুল কালামকে সোমবার আদালতে উঠনো হবে।'

মহিউদ্দিন অপু/জোবাইদা/

দাউদকান্দিতে দেড় হাজার টাকার জন্য হত্যা

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৪১ পিএম
আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৫৫ পিএম
দাউদকান্দিতে দেড় হাজার টাকার জন্য হত্যা
কুমিল্লা

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে মাত্র দেড় হাজার টাকার জেরে হাবীব তালুকদার (৬০) নামে একজনকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের নয়ানগর গ্রামের তালুকদার বাড়িতে হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।

এজহারনামীয় আসামিরা হলেন উপজেলার নয়ানগর গ্রামের চারু ভূঁইয়ার ছেলে মিজান ফকির (৫০) এবং একই এলাকার বাবুল ছয়ালের ছেলে শিপন মিয়া (২৪)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটি গ্রাম্য সালিশে দেড় হাজার টাকা ভাগবাঁটোয়ারা নিয়ে হাবীব তালুকদার নামের এক বৃদ্ধকে ওই এলাকার কতিপয় দুষ্কৃতকারী পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাত ১১টার দিকে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুনায়েত চৌধুরী বলেন, ‘ঘটনার দিন রাতে নিহতের স্ত্রী মাকসুদা বেগম মাসু বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় এজহারনামীয় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (গতকাল) দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়।’

দুই বান্ধবীকে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি জনি গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৩৬ পিএম
আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৭ পিএম
দুই বান্ধবীকে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি জনি গ্রেপ্তার
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর লালবাগ এলাকায় দুই বান্ধবীকে গণধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার প্রধান আসামি মো. জনিকে (৩১) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১০)।

গতকাল শনিবার র‌্যাব-১০-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, গত ১১ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ১টার দিকে আসামি মো. জনি (৩১) ও তার ৬-৭ জন সহযোগী ওই বাড়ির কেয়ারটেকারকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশির নাম করে ভিকটিমের ভাড়া বাসায় প্রবেশ করে। তল্লাশিকালে কোনো কিছু না পেয়ে জনিসহ অপর আসামিরা ভিকটিমকে তার নিজ কক্ষে এবং বান্ধবীকে রান্না ঘরে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে। 

তাপস কর্মকার বলেন, মামলার বিষয়টি জানতে পেরে আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। গত শুক্রবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় লালবাগ থানার নবাবগঞ্জ রোডে অভিযান চালিয়ে জনিকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

শেরপুরে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৪ এএম
আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:০৫ এএম
শেরপুরে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
শেরপুর

শেরপুরে ধানের চাতালে ক্রিকেট খেলতে নিষেধ করায় এক যুবককে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

নিহত হাবিবুর রহমান লেমন তালুকদার (৩৪), শেরপুর পৌর শহরের দিঘারপাড় মহল্লার ধানচাল ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা তালুকদারের ছেলে। তিনি বাবার রাইস মিলের ব্যবসায় জড়িত ছিলেন।

নিহতের পরিবার, অভিযোগের কপি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে দিঘারপাড় মহল্লায় হাবিবুর রহমান লেমনের মালিকানাধীন ধানের চাতালে ক্রিকেট খেলতে যায় কয়েকজন যুবক। এ সময় লেমন তাদের চাতালে ক্রিকেট খেলতে নিষেধ করলে স্থানীয় ফজু মিয়া, তার তিন ছেলে নাজমুল ইসলাম বাবু, মনিরুজ্জামান মনির ও লিখনসহ কয়েকজন তাকে ক্রিকেট ব্যাট ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় তার মাথায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে আশপাশের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় লেমনকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতাল ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে ঢাকার মহাখালী মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে লেমন মারা যান।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবায়দুল আলম বলেন, 'লেমনের স্বজনরা জানিয়েছে সে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার মরদেহ শেরপুরে আনার পর ময়নাতদন্তে শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

শাকিল মুরাদ/জোবাইদা/