
গাইবান্ধা সদর উপজেলায় দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব মিটাতে গিয়ে আবদুল জোব্বার (৬০) নামের এক ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের নশরৎপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জোব্বার বোয়ালি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। তিনি নশরৎপুর গ্রামের মৃত খেজর উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নশরৎপুর গ্রামের বাসিন্দা ময়নুল ইসলামের সঙ্গে একই উপজেলার বাদিয়াখালি ইউনিয়নের ফুলবাড়ি হাজিপাড়া গ্রামের আছর আলীর মেয়ে রোজিনা আকতারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে জীবিকার তাগিদে ময়নুল ইসলাম (বিদেশ) মালদ্বীপে অবস্থান করছেন। নানা বিষয় নিয়ে তাদের সংসারে বিরোধ লেগেই থাকত।
তাদের মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে কলোহের জেরে আজ শ্বশুরবাড়ি থেকে বিয়ের মালামালসহ বাবার বাড়ি যাওয়ার প্রস্তুতি নেন রোজিনা। বাড়ির লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে ইউপি সদস্যকে ডাক দেন। পরে ইউপি সদস্য জোব্বার ওই বাড়িতে যান। একপর্যায়ে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আলোচনায় বসেন। আলোচনায় একপর্যায়ে দুই পক্ষ বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে।
হঠাৎ ময়নুলের মা জোবেদা বেগম ও বোন মঞ্জুরাণী কাঠের তৈরি বসার পিঁড়ি দিয়ে ইউপি সদস্যকে আঘাত করে। এতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবদুল জোব্বারকে মৃত ঘোষণা করেন।
ইউপি সদস্যের নাতি (১৪) জাহিদ মিয়া জানান, আমার নানা একজন ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি ঝগড়া মিটাতে আসছিলেন। অথচ তাকে বুকে ও পিঠে পিঁড়ি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। আমরা নানার হত্যাকারীদের শাস্তি চাই।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম তালুকদার। তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে জানান তিনি।
রফিক খন্দকার/জোবাইদা/