ঢাকা ২ ফাল্গুন ১৪৩১, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১

লেনদেনের বিরোধে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে অপহরণ, আটক ২

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৭ এএম
আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৩৭ এএম
লেনদেনের বিরোধে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে অপহরণ, আটক ২
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জাকির হোসেন অমি)

রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমিকে অপহরণের পর আটকে রেখে ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জমি ও প্লট বিক্রির লেনদেনের বিরোধে তারই পার্টনার এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে নগরীর রাজপাড়া থানার বিলশিমলা এলাকার রায়না কমপ্লেক্স নামের একটি ভবন থেকে অমিকে উদ্ধার করা হয়। 

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অপহরণের শিকার জাকির হোসেন অমি ও অপহরণকারী দুজনই রাজশাহীর সাবেক সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের ঘনিষ্ঠ। জমি ও প্লট বিক্রির টাকার লেনদেনসংক্রান্ত বিরোধ থেকেই এই অপহরণের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ সময় আব্দুর রশিদ (৫০) ও মীম ইসলাম (৩০) নামের দুজনকে আটক করেন র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যরা। র‌্যাব-৫-এর রাজশাহী ও নগরীর চন্দ্রিমা থানা পুলিশ এ অভিযান চালায়। আটক মীম হলেন আব্দুর রশিদের গাড়িচালক।

এর আগে মাদকাসক্তি ও টাকার বিনিময়ে কমিটি দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় ২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর জাকির হোসেন অমিকে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তার বাড়ি রাজশাহীর জেলার বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জে। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটের শিক্ষার্থী ছিলেন। বর্তমানে ইন্টার্নশিপ করছেন বলে জানিয়েছেন তার বাবা আমির হোসেন। 

অন্যদিকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার জমি ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদের বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী। কয়েক বছর ধরে রাজশাহীর সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন এলাকার বিরোধপূর্ণ ও খাসজমি দখল নিয়ে বহুতল ভবন তৈরি করে প্লট ও ফ্ল্যাট বিক্রি করে আসছেন। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা অমিও পার্টনার ছিলেন রশিদ।  

অমির বাবা আমির হোসেন চন্দ্রিমা থানায় দেওয়া অভিযোগে বলেছেন, তার ছেলে পেশায় দন্ত চিকিৎসক। নগরীর ছোটবনগ্রাম ব্যাংক টাউন এলাকায় বসবাস করেন। গত ১৫ জানুয়ারি রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে সিএনজি অটোরিকশাযোগে গ্রামের বাড়ি বাগমারা থেকে শহরের ছোট বনগ্রামের বাসায় ফিরছিলেন। বাসায় প্রবেশের সময় ৬ থেকে ৭ জনের একটি সশস্ত্র দল তাকে অপহরণ করে আব্দুর রশিদের বিলশিমলার অ্যাপার্টমেন্টে নিয়ে যায়। অপহরণকারীরা তার কাছ থেকে ব্যাংকের চেক ও ফাঁকা স্ট্যাম্পে জোর করে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এরপর তার কাছ থেকে ২ কোটি ৭০ লাখ টাকার মুক্তিপণ দাবিতে আটকে রেখে মারধর করা হয়। পরে  জানতে পেরে অমির স্ত্রী মিথিলা পারভিন র‌্যাব-৫ ও চন্দ্রিমা থানায় অভিযোগ করেন। বৃহস্পতিবার রাতে র‌্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে উদ্ধার করা হয়।

অন্যদিকে অপহরণের অভিযোগে আটক ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ জানান, জাকির হোসেন অমি একসময় তার ব্যবসায়িক অংশীদার ছিলেন। তারা দুজনই রাজশাহীর সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। বিভিন্ন এলাকার বিরোধপূর্ণ ও খাস জমি কিনে ফ্ল্যাট ও প্লট করে বিক্রি করেন। গত ৫ আগস্টের আগে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা অমি এসব কাজে রশিদকে দলীয়ভাবে সহযোগিতা করতেন।

রশিদের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো থেকে আরও জানা গেছে, রশিদ ও অমি নগরীর ডাবতলা ও জিন্নানগর এলাকার বিরোধপূর্ণ দুটি জমি সাবেক মেয়রের প্রভাব খাটিয়ে দখলে নেন। এই জমি দখল বাবদ সাবেক মেয়র ও স্থানীয় কাউন্সিলরসহ কয়েকজনকে ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। এই টাকাটা প্লট ক্রেতাদের কাছ থেকে তুলে নেন অমি। তবে গত ৫ আগস্ট সাবেক মেয়রসহ সংশ্লিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা আত্মগোপন করায় এই টাকা অমি আর কাউকে দেননি। রশিদ বিষয়টি সম্প্রতি জানতে পেরে টাকা উদ্ধারের জন্য অমির ওপর চাপ দেন। কিন্তু অমি টাকা না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকেন। অবশেষে গত ১৫ জানুয়ারি রাতে রশিদের লোকজন অমিকে তুলে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখেন।
  
গোদাগাড়ীর বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আব্দুর রশিদ একসময় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। জীবিকার সন্ধানে পাড়ি দেন কাতারে। কয়েক বছর কাতারে থেকে সেখানকার একজন ব্যবসায়ীর বিপুল টাকা মেরে দিয়ে দেশে চলে আসেন। এসে নগরীর উপশহর এলাকায় বসবাস শুরু করেন এবং জমির ব্যবসা শুরু করেন। এভাবে তিনি এখন শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন। বর্তমানে ডাবতলা এলাকায় রশিদের তিনটি বহুতল ভবনের কাজ চলমান রয়েছে। আব্দুর রশিদ হুন্ডি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলেও এলাকার লোকজন জানিয়েছেন।  

নগরের চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান জানান, অপহৃত জাকির হোসেন অমির বাবা আমির হোসেন বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। অপহরণ চক্রের মূলহোতা আব্দুর রশিদ ও তার গাড়ি চালক মীম ইসলামকে আদালতে চালান করা হয়েছে। অপহরণের সঙ্গে জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলেও জানান তিনি।

এনায়েত করিম/জোবাইদা/

সাঁথিয়ায় চালককে হত্যা করে ভ্যান ছিনতাই

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:১৩ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:২৬ পিএম
সাঁথিয়ায় চালককে হত্যা করে ভ্যান ছিনতাই
ছবি : খবরের কাগজ

পাবনার সাঁথিয়ায় ভাড়ার কথা বলে সুজল নামে এক ভ্যানচালককে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে হত্যা করে ভ্যানটি নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। 

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাধপুর-সাঁথিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের স্বরপ নামক স্থানে পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।

নিহত সুজল (৩৯) উপজেলার খয়েরবাড়িয়া গ্রামের ইছাক আলী প্রামানিকেন ছেলে।

স্থানীয় ও পরিবার জানায়, সুজল সম্প্রতি প্রায় এক লাখ টাকা দিয়ে একটি নতুন ভ্যান কিনে। শুক্রবার রাতে ভাড়ার কথা বলে মোবাইলফোনে কে বা কারা ডেকে নিয়ে যায়। পরে তার ফোন বন্ধ থাকে। পরে শনিবার সকালে স্থানীয়রা একটি পুকুরে মরদেহ ভাসতে দেখে। বিষয়টি জানাজানি সুজলের পরিবারের সদস্যরা মরদেহের পরিচয় সনাক্ত করে । 

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, 'আমরা খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পাবনা মর্গে পাঠিয়েছি। বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।'

পার্থ হাসান/জোবাইদা/

রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড় থেকে গুলিবিদ্ধ যুবকের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৪৬ এএম
রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড় থেকে গুলিবিদ্ধ যুবকের মরদেহ উদ্ধার
খবরের কাগজের ফাইল ছবি

কক্সবাজারে টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ী এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের শালবাগান ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-৭ ব্লক সংলগ্ন পশ্চিমের পাহাড়ী এলাকা থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত রহমত উল্লাহ (২২) উখিয়া উপজেলার কুকুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-ব্লকের বাসিন্দা মো. রশিদের ছেলে।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, 'তিন পাহাড়ের মিলনস্থল লেকের পাশে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা এপিবিএন পুলিশকে খবর দেয়। এ তথ্যে এপিবিএন পুলিশ টেকনাফ থানা পুলিশকে অবহিত করে। পরে পুলিশ গুলিবিদ্ধ মরদেহটি উদ্ধার করে। নিহতের স্বজনরা মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করেন।

ওসি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা রহমত উল্লাহকে তুলে আনে। পরে তাকে গুলি করে হত্যা করে মরদেহ গুমের উদ্দ্যেশে পাহাড়ী লেগে পাশে আনা হতে পারে। তবে নিহতের বিরুদ্ধে ডাকাতি, অপহরণ ও খুনসহ নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

মুহিববুল্লাহ মুহিব/জোবাইদা/

সাভারে চলন্ত বাসে ছিনতাই, ছুরিকাঘাতে আহত ৩

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১৪ এএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৬ এএম
সাভারে চলন্ত বাসে ছিনতাই, ছুরিকাঘাতে আহত ৩
ছিনতাইকারিরা নেমে যাওয়ার পরে অতঙ্কিত যাত্রিরা। ছরিকাঘাতে যাত্রীর যখম হাত। ছবি : খবরের কাগজ

ঢাকার সাভারে দিন-দুপুরে চলন্ত বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে বাসের তিন যাত্রী আহত হয়েছেন। আহতদের রাজধানীর শহিদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। 

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পুলিশ টাউন এলাকায় এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।

বাসের যাত্রীরা জানান, মানিকগঞ্জ থেকে গাবতলীগামী শুভযাত্রা পরিবহনের একটি বাস দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পুলিশ টাউন এলাকায় যাত্রী নেওয়ার জন্য দাঁড়ায়। এ সময় ছুরি হাতে দুই ছিনতাইকারী বাসে উঠে যাত্রীদের মোবাইল ফোন ও ম্যানিব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়া শুরু করে। এক পর্যায়ে নারী যাত্রীদের গলা থেকে চেইন ছিনিয়ে নিয়ে বাসের পিছনের যাত্রীদের দিকে যেতে থাকে ছিনতাইকারীরা। এ সময় কিছু যাত্রী তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ছুরি দিয়ে ছিনতাইকারীরা তাদের আঘাত করে। এতে বাসের তিন যাত্রী জখম হলে দ্রুত বাস থেকে নেমে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।

বাসের যাত্রী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আলকামা আজাদ বলেন, 'বাসটি ১৫-২০ জন যাত্রী নিয়ে রাজধানীর দিকে যাচ্ছিল। আমি নিজেও ওই বাসে ছিলাম। বাসটি পুলিশ টাউন এলাকায় যাত্রীর জন্য দাঁড়ালে দুই ছিনতাইকারী বাসে উঠে যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল, ম্যানিব্যাগ ও গলার চেইন ছিনিয়ে নেয়। পরে কয়েকজন যাত্রী তাদের ধরার চেষ্টা করলে ছিনতাইকারীরা চালকের সহকারীসহ তিনজনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া বলেন, বাসে ছিনতাইয়ের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

ইমতিয়াজ ইসলাম/জোবাইদা/

ভোলায় গণপিটুনিতে ২ যুবকের মৃত্যু

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৪৯ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৩২ পিএম
ভোলায় গণপিটুনিতে ২ যুবকের মৃত্যু
ছবি: খবরের কাগজ

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় গরুচুরি করতে গিয়ে স্থানীয়দের গণপিটুনিতে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তবে এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ভূঁইয়াবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার বালিয়াকান্দি গ্রামের মো. নয়ন (৩০) এবং বোরহানউদ্দিন উপজেলার খাসমহল এলাকার আমির হোসেন (২৮)। তারা পেশাদার গরুচোর বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, রাতে ভূঁইয়াবাড়িতে একদল চোর গরু চুরি করতে ঢোকে। টের পেয়ে বাড়ির লোকজন চিৎকার দিলে গ্রামবাসী জড়ো হয়ে ধাওয়া করে তখন দুই যুবককে আটক করে গণপিটুনি দেয়। এতে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইমতিয়াজুর/মেহেদী/

বিমানবন্দরে ৪ কোটি টাকার সোনাসহ যাত্রী গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:১৫ এএম
বিমানবন্দরে ৪ কোটি টাকার সোনাসহ যাত্রী গ্রেপ্তার
ছবি: সংগৃহীত

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় চার কোটি টাকার সোনাসহ এক যাত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মাসুদ করিম এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে সৌদি আরব থেকে আসা হাবিবুর রহমান নামের এক যাত্রীর হ্যান্ডব্যাগ থেকে ওই সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। সোনার পরিমাণ মোট ৩ হাজার ২৮৯ গ্রাম, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।

কাস্টমস গোয়েন্দা জানায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ওই দিন বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১টায় ইমিগ্রেশন এলাকায় সাউদিয়া এয়ারলাইনসের একটি বিমানে আসা যাত্রী হাবিবুর রহমানকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়। পরে ওই যাত্রীর গতিবিধির ওপর নজর রাখা হয়। যাত্রী ব্যাগেজ বেল্ট থেকে ব্যাগেজ সংগ্রহ করে কাস্টমস গ্রিন চ্যানেল অতিক্রমের সময় তার দেহ ও ব্যাগেজ তল্লাশি করা হয় এবং স্ক্যানিং করা হয়। এ অবস্থায় যাত্রীর হ্যান্ডব্যাগে ২৯৯ গ্রাম এবং বুকিং করা ব্যাগেজে থাকা তিনটি ব্লেন্ডারে বিশেষ কায়দায় লুকানো অবস্থায় ৬ পিস স্বর্ণের বার পাওয়া যায়, যার মোট ওজন ২ হাজার ৯৯০ গ্রাম। সেই যাত্রীর কাছ থেকে মোট ৩ হাজার ২৮৯ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে।

আটক করা স্বর্ণালংকার ও স্বর্ণের বার কাস্টম হাউসের শুল্ক গুদামে ডিএমমূলে জমা করা হয়েছে। স্বর্ণালংকার ও স্বর্ণের বারসহ যাত্রীকে গ্রেপ্তার করে ফৌজদারি মামলা করে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।