ঢাকা ৫ চৈত্র ১৪৩১, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
English

সেন্টমার্টিনে ইয়াবাসহ ইউপি চেয়ারম্যান আটক

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৯ এএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:২০ এএম
সেন্টমার্টিনে ইয়াবাসহ ইউপি চেয়ারম্যান আটক
ছবি : খবরের কাগজ

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১২ হাজার ২৭৪ পিস ইয়াবাসহ তাকে আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. সিয়াম-উল-হক। 

মুজিবুর রহমান (৪৫) সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

কমান্ডার মো. সিয়াম-উল-হক বলেন, 'গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায় মুজিবুর রহমানের বাড়িতে ইয়াবা পাচারের উদ্দেশে মজুদ রেখেছে। বিশেষ টিম নিয়ে তার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। তখন তিনি কোস্টগার্ড সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ি থেকে পালানোর সময় তাকে আটক করা হয়। পরবর্তী সময়ে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কোস্টগার্ডের সদস্যরা বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিশেষভাবে লুকায়িত অবস্থায় একটি বস্তার ভেতরে মোড়ানো ১২ হাজার ২৭৪ পিস ইয়াবা জব্দ করে।

মুজিবুরকে ইয়াবাসহ টেকনাফ থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। 

মো. শাহীন/জোবাইদা/

চেয়ারম্যানের বাড়িতে সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়ন

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১০:৫৭ এএম
চেয়ারম্যানের বাড়িতে সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়ন
দুদকের অনুসন্ধানী দল টুঙ্গিপাড়ায় উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা গাজী গোলাম মোস্তফার বাড়িতে নথিপত্র দেখছেন। ছবি: খবরের কাগজ

জনসাধারণকে বঞ্চিত করে ৩৪ লাখ ১০ হাজার ৫১৯ টাকার তিনটি সরকারি প্রকল্প টুঙ্গিপাড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের বাড়িতে বাস্তবায়নের তথ্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযানে বেরিয়ে এসেছে।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান এসব নিশ্চিত করেছেন।

প্রকল্পগুলো হলো ৩১ লাখ ১০ হাজার ৫১৯ টাকা ব্যয়ে পানির লবণাক্ত দূরীকরণ প্ল্যান্ট, ২ লাখ টাকার স্ট্রিট লাইট ও লক্ষাধিক টাকার একটি ঘাটলা। টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা গাজী গোলাম মোস্তফা এসব প্রকল্প নিজের বাড়িতে বাস্তবায়ন করেছেন।

মশিউর রহমান জানান, গত সোমবার গিমাডাঙ্গার মধ্যপাড়ায় গাজী গোলাম মোস্তফার বাড়িতে অভিযান চালায় দুদকের একটি টিম। সেখানে সরকারি চারটি স্ট্রিট লাইট, পল্লি অঞ্চলে পানি সরবরাহ প্রকল্পের রিভার্স অসমোসিস (আরও) প্ল্যান্ট ও একটি ঘাটলার সন্ধান পান টিমের সদস্যরা।

তিনি আরও জানান, ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর গোপালগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী পল্লি জনগণকে বঞ্চিত করে গাজী গোলাম মোস্তফার গিমাডাঙ্গা গ্রামের বাড়িতে ৩১ লাখ ১০ হাজার ৫১৯ টাকা ব্যয়ে রিভার্স অফমোসিস (আরও) প্ল্যান্ট নির্মাণ করে দেন। এ ছাড়াও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস ২ লাখ টাকা মূল্যের ৪টি স্ট্রিট লাইট স্থাপন ও লক্ষাধিক টাকার একটি ঘাটলা ওই বাড়িতে করে দেয়।

দুদকের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত বাড়িতে ৩ প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে গাজী গোলাম মোস্তফা, নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপজেলা পিআইও অফিসের প্রকৌশলীরা জড়িত থাকার সত্যতা মিলেছে। জনগণের ক্ষতি করে ব্যক্তিগত বাড়িতে এগুলো স্থাপন করে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে। এতে দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। তাই দুদক তাদের বিরুদ্ধে অচিরেই আইনি ব্যবস্থা নেবে। এ অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বিষয়টি দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত আকারে পাঠানো হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

মিরপুরে নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৮:২২ এএম
মিরপুরে নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন মাঝবয়সী এক নারী। নির্মাণাধীন একটি ভবনে গত সোমবর রাতভর তাকে ধর্ষণ করা হয়। 

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে ৯৯৯-এ ফোন দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। 

পরে তিনি পল্লবী থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছেন পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল।

পল্লবী থানার বারনটেকের ‘গ্রিন সিটি’ এলাকায় ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ধর্ষণের শিকার ওই নারী একটি পত্রিকায় কাজ করেন। মাটিকাটা এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করা হচ্ছে, এমন খবর পেয়ে ওই নারী রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে সোমবার রাত ১১টার দিকে সেখানে যান। তখন কয়েকজন যুবক তাকে ধরে বারনটেকের গ্রিন সিটি এলাকার একটি নির্মাণাধীন ১২ তলা ভবনের তৃতীয় তলায় নিয়ে যায়। এরপর ১৬ ব্যক্তি তাকে ঘেরাও করে ফেলে। রাত ১টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ওই নারীকে ধর্ষণ করে তারা। চলিশোর্ধ্ব ওই নারী বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন।

পল্লবী থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ধর্ষকরা চলে যাওয়ার পর ওই নারী ৯৯৯-এ ফোন করেন। তখন ক্যান্টনমেন্ট থানা-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল পল্লবী থানা এলাকা হওয়ায় তারা ওই নারীকে এই থানায় নিয়ে আসেন। ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ করে ওই নারী একটি মামলা করেছেন। সেখানে আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি হিসেবে আছে আরও আটজন।

গতকাল দুপুরে পল্লবী এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি এনামুল হক (৩৮) ও তার এক সহযোগী হামিদুর রহমানকে (৫০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ওসি নজরুল ইসলাম জানান। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই দুজন ওই নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। 

বুধবার (আজ) তাদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হবে।

জাহাঙ্গীর/

রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ১৬৯

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ১০:৩০ পিএম
আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৫, ১০:৩২ পিএম
রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ১৬৯
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৬৭টি টহল ৭১টি চেকপোস্টে টহল পরিচালনা করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। জোরদার এ অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ১৬৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ৬৩টি মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, গতকাল সোমবার দিনে ও রাতে মহানগরের ৫০টি থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে ১০ জন ডাকাত, ১১ জন পেশাদার সক্রিয় ছিনতাইকারী, তিনজন চাঁদাবাজ, আটজন চোর, ১২ জন মাদক কারবারি, ২৯ জন পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ অন্যান্য অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের তল্লাশি করে বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার, একটি পিকআপ, পাঁচটি মোটরসাইকেল, পাঁচটি মোবাইল ফোন, আটটি  চাকু, একটি চাপাতি, একটি বড় ছুরি, একটি লোহার রেঞ্জ, একটি লোহার রড, দুটি ককটেলসদৃশ বস্তু, একটি সিপিইউ, একটি মনিটর ও একটি প্রিন্টার উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ২ হাজার ১৩২ পিস ইয়াবা,  ১৮ গ্রাম হেরোইন ও ২০০ গ্রাম গাঁজা জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় ৬৩টি মামলা এবং যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। 

ডিএমপির ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী গতকাল সোমবার দিনে ও রাতে ২৪ ঘণ্টায় মহানগরজুড়ে ৬৬৭টি টহল টিম ও ৭১টি চেকপোস্ট বসিয়ে নিরাপত্তা কার্যক্রম চালানো হয়। সোমবার রাতে ৩৪০টি এবং দিনে ৩২৭টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করেছে। এতে মোবাইল পেট্রোল টিম ৪৭৯টি, ফুট পেট্রোল টিম ৭৩টি ও ১১৫টি হোন্ডা পেট্রোল টিম সক্রিয় ছিল।

ঠাকুরগাঁওয়ে ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে আটক ২ কর্মকর্তা

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০১:১০ পিএম
আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৩:০৪ পিএম
ঠাকুরগাঁওয়ে ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে আটক ২ কর্মকর্তা
ছবি: খবরের কাগজ

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় ঘুষ নেওয়ার সময় উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও অডিটরকে হাতেনাতে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে হরিপুর উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. শেরিকুজ্জামান ও অডিটর মো. আব্দুল হান্নান আটক করা হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশনের ঠাকুরগাঁও সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আজমির শরিফ মারজী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুদক সূত্র জানায়, অবসরপ্রাপ্ত নিরাপত্তা প্রহরী মো. আব্দুল হামিদ অবসরকালীন সুবিধা পেতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে আবেদন করেন। তবে তার ফাইল প্রক্রিয়াকরণের জন্য হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও অডিটর ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। যা পরে ২২ হাজার টাকায় সমঝোতা হয়।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে আব্দুল হামিদ দুদক কার্যালয়ে অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক কর্মকর্তারা ঘুষ গ্রহণের সময় হাতেনাতে ধরার জন্য পরিকল্পনা করেন। এর পর সোমবার দুপুরে আব্দুল হামিদ চাহিদামতো ৫ হাজার টাকা দেওয়ার সময় দুদক কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে অডিটর মো. আব্দুল হান্নানকে হাতেনাতে আটক করেন। একই সঙ্গে প্রধান অভিযুক্ত হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. শেরিকুজ্জামানকেও আটক করা হয়।

দুদক কর্মকর্তা আজমির শরিফ মারজী বলেন, 'আটক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এর আগেও তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।'

নবীন/মেহেদী/

ডিএমপির অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ১৬৯

প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩০ পিএম
ডিএমপির অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ১৬৯
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গত ২৪ ঘণ্টায় জোরদার অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ১৬৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ৫৪টি মামলা করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ মার্চ) ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

এ সময় তিনি জানান, গতকাল রবিবার দিনে ও রাতে মহানগরের ৫০টি থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

অভিযানে দুজন ডাকাত, পাঁচজন পেশাদার সক্রিয় ছিনতাইকারী, দুজন চাঁদাবাজ, ১৭ জন চোর, ৯ জন মাদক কারবারি, ২৩ জন পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ অন্য অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের তল্লাশি করে বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত তিনটি সামুরাই, একটি চাপাতি, একটি চাকু, ছয়টি লোহার পাইপ, তিনটি মোবাইল ফোন ও নগদ ৯ হাজার ৬৯০ টাকা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া ৪ কেজি ৯০০ গ্রাম গাঁজা ও ১২৫ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।

ডিএমপির ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী রবিবার দিনে ও রাতে ২৪ ঘণ্টায় মহানগরজুড়ে ৬৬৭টি টহল টিম ও ৭১টি চেকপোস্ট বসিয়ে নিরাপত্তা কার্যক্রম চালানো হয়। রবিবার রাতে ৩৪০টি এবং দিনে ৩২৭টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করেছে। এতে ৪৭৯টি মোবাইল প্যাট্রোল টিম, ৭৩টি ফুট প্যাট্রোল টিম ও ১১৫টি হোন্ডা প্যাট্রোল টিম সক্রিয় ছিল।