
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়িতে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীর গলা কেটে হত্যা করে স্বামীর আত্মহত্যা।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল চারটার দিকে কোনাবাড়ি বাইমাইল এলাকায় তাদের ভাড়া বাসা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত সোহাগ হোসেন (২৫) সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াস উপজেলার ধাপ তেঁতুলিয়া গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে এবং স্ত্রী মৌ আক্তার বৃষ্টি (২০) একই জেলার সান্দুরিয়া গ্রামের মোবারক হোসেনের মেয়ে। তারা বাইমাইল মধ্যপাড়া কাদের মার্কেট এলাকার বাসায় ভাড়া থেকে বসবাস করতেন।
ওই বাড়ির মালিকের ছেলে দেওয়ান মোহাম্মদ রাসেল বলেন, সকাল থেকে সোহাগ-মৌ দম্পতির ঘরের দরজা বন্ধ দেখে বাড়ির অন্য ভাড়াটিয়ারা অনেকবার ডাকাডাকি করলেও দরজা খোলেনি। পরে বিকালে আবারও দরোজার সামনে গিয়ে ডাকাডাকি করে দরোজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখে ৯৯৯ ফোন দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে দরোজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে মেঝেতে গৃহবধূ মৌয়ের মরদেহ এবং গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলে তার স্বামীর মরদেহ পাওয়া যায়।
মৃত মৌ আক্তার বৃষ্টির চাচা রতন মিয়া বলেন, গত দুই বছর আগে সোহাগ-মৌয়ের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। মৌ সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পড়াশোনা করত। তার স্বামী সোহাগ কোনাবাড়ি ব্র্যাক এনজিওতে অ্যাকাউন্স অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চলতি মাসের ১ তারিখে তারা ভাড়া বাসায় ওঠেন। এমন ঘটনা কেন ঘটাল বুঝতে পারছি না।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, 'স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জোর ধরে এমন ঘটনা ঘটেছে। প্রথমে স্ত্রীকে হত্যা করে পরে ওই স্বামী আত্মহত্যা করেছে। সিআইডির ক্রাইম টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।'
পলাশ প্রধান/জোবাইদা/