
খুলনা জেলা কারাগারের ভেতরে বসে ভিআইপি কয়েদি ও শীর্ষ সন্ত্রাসীরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা ফোনে তাদের লোকজনকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের নির্দেশনা দিচ্ছেন। কারাগারের কর্মচারীদের একটি অংশকে ম্যানেজ করেই তারা এই অবৈধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
খুলনা কারাগারের ভেতরে হাসপাতালের স্টোর রুম থেকে অ্যান্ড্রয়েড ফোন উদ্ধারের পর ঘটনাটি জানাজানি হয়। এরই মধ্যে ডিআইজি প্রিজন খুলনা কারাগার পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, খুলনা জেলা কারাগারে বর্তমানে খুলনা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও খুলনা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. রশিদুজ্জামানসহ কয়েকজন ভিআইপি রয়েছেন। এর বাইরে আওয়ামী লীগের শীর্ষ কয়েকজন নেতা-কর্মী ও খুলনার কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তারের পর এই কারাগারে রয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, কারাগারের কয়েকজন কর্মচারী ও প্রভাবশালী কয়েদিদের একটি অংশ মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ভিআইপি ও শীর্ষ সন্ত্রাসীদের এভাবে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিয়মিত বাইরে যোগাযোগের সুযোগ করে দিচ্ছেন।
জানা যায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি কারাগারের হাসপাতালের স্টোররুম থেকে একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। কারাগারে মুহূর্তে ঘটনা জানাজানি হলে তোলপাড় শুরু হয়। মোবাইল ফোন ভিআইপি কয়েদি ও শীর্ষ সন্ত্রাসীরা ব্যবহার করতেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
খুলনা জেল সুপার মো. নাসির উদ্দিন প্রধান খবরের কাগজকে বলেন, গত ১ ফেব্রুয়ারি কারাগারের হাসপাতাল থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়। কীভাবে ফোনটি এখানে এলো, কারা কখন এটি ব্যবহার করেছে, তা তদন্ত করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ডিআইজি প্রিজন এরই মধ্যে কারাগার পরিদর্শন করেছেন। বিষয়টি সম্পর্কে জানার চেষ্টা চলছে।’
জানা যায়, হত্যা, মারধরসহ চারটি মামলা হয়েছে বিগত সরকারের সংসদ সদস্য ও শিল্পপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে। বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য মো. রশীদুজ্জামান।