ঢাকা ৯ চৈত্র ১৪৩১, রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫
English

পেটে ইয়াবা নিয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দরে দুই বোন আটক

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৩৪ পিএম
পেটে ইয়াবা নিয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দরে দুই বোন আটক
ছবি : খবরের কাগজ

কক্সবাজার বিমানবন্দরে ‘পেটে ইয়াবা বহন’ করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে দুই বোনকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। পরে আটকদের তথ্য মতে ঢাকায় আটক হয়েছে এক বোনের স্বামী।

আকটরা বোনদের পেটে দুই হাজার করে চার হাজার ইয়াবা রয়েছে।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় কক্সবাজার বিমানবন্দরে এ অভিযান চালানো হয় বলে জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক এ কে এম দিদারুল আলম।

আটকরা হলেন, টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ঝিমংখালী এলাকার আকতার হোসেন (৩২), তার স্ত্রী উম্মে জামিলা (২৫) ও শ্যালিকা উম্মে হাবিবা (২০)।

দিদারুল আলম বলেন, 'মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ইয়াবার চালান বহনকারি তিনজনকে শনাক্ত করা হয়। এদের মধ্য আকতার হোসেন আগেই একটি ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দ্যেশে রওনা দেন। কৌশলগত কারণে আকতারকে প্রথমে আটক করা যায়নি।'

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এ কর্মকর্তা জানান, দুই বোনকে আটকের পরে একটি প্যাথলজি সেন্টারের ল্যাবে গিয়ে এক্সেরে করা হয়। এতে তাদের পেটে ইয়াবার চালান থাকার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়। বিশেষ প্রক্রিয়ায় ইয়াবা বের করার কার্যক্রম চলছে। দুপুর ২টা পর্যন্ত এক হাজার ৭০০টির বেশি ইয়াবা বের করতে সক্ষম হন। 

আক্তারকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পৃথক আরেকটি দল অভিযান চালিয়ে আটক করেছে বলে জানান দিদারুল।

আটকদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

মুহিববুল্লাহ মুহিব/জোবাইদা/

মোবাইল কেড়ে নেওয়ায় নামাজরত বাবাকে কুপিয়ে হত্যা!

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:০৬ পিএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০১:২২ পিএম
মোবাইল কেড়ে নেওয়ায় নামাজরত বাবাকে কুপিয়ে হত্যা!
ছবি: খবরের কাগজ

চুয়াডাঙ্গায় মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে না দেওয়ায় নামাজরত অবস্থায় বাবা কেএএম রিন্টুকে  (৫৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে তার ছেলে। এ ঘটনায়  অভিযুক্ত ছেলে কেএএম রিফাতকে (১৭) আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (২২ মার্চ) রাত ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার পলাশপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত কেএএম রিন্টু চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার পলাশপাড়ার মৃত কাজী নূর মোস্তফার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কেএএম রিন্টু তার ছেলে রিফাতকে প্রায়ই মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে নিষেধ করতেন। পরে শনিবার ছেলের কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নেন তিনি। এরই জের ধরে রাত ৮টার দিকে নামাজরত অবস্থায় বাবাকে পিছন থেকে ছুরিকাঘাত করে মাদরাসাছাত্র ছেলে রিফাত। এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত কেএএম রিন্টুকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিবারের সদস্যরা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টার দিকে মারা যান তিনি।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তারেক হাসান বলেন, নিহতের শরীরের একাধিক স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। 

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান জানান, ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত ছেলে রিফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

মিজানুর/মেহেদী/

নড়াইলে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, ভ্যানচালক আটক

প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ১১:২২ এএম
আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৫, ০২:২১ পিএম
নড়াইলে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, ভ্যানচালক আটক
ভ্যানচালক জসিম মোল্যা

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে জসিম মোল্যা (২৮) নামে এক ভ্যানচালককে আটক করেছে পুলিশ। 

শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকেলে উপজেলার লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের বাঁকা গ্রাম থেকে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে দেন। 

জসিম উপজেলার পাঁচুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। 

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে জসিম ভ্যান চালিয়ে লক্ষ্মীপাশার একটি গ্রামে যায়। পরে পানি খাওয়ার উদ্দেশে একটি বাড়িতে গিয়ে ১৩ বয়সী এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে একা পেয়ে গোয়ালঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় কিশোরীর মা পাশের বাড়ি থেকে এসে এ ঘটনা দেখে আশপাশের লোকজনকে জানান। পরে স্থানীয়রা জসিমকে আটক করে লোহাগড়া থানা পুলিশকে খরব দেন। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান বলেন, ‘ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে জসিম মোল্যাকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’

শরিফুল/পপি/

মোংলায় বাণিজ্যিক জাহাজে চুরির প্রস্তুতিকালে সুমন বাহিনীর ৫ জন আটক

প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৭ এএম
আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৫, ১১:২৬ এএম
মোংলায় বাণিজ্যিক জাহাজে চুরির প্রস্তুতিকালে সুমন বাহিনীর ৫ জন আটক
ছবি : খবরের কাগজ

মোংলায় বাণিজ্যিক জাহাজে চুরির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্র ও মাদকসহ সুন্দরবনের কুখ্যাত সুমন বাহিনীর পাঁচ ছিঁচকে চোরকে আটক করেছে কোস্টগার্ড।

শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের একটি দল মোংলার ভদ্রা ফরেস্ট অফিসসংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কুখ্যাত সুমন বাহিনীর পাঁচ চোরকে আটক করে।

আটকরা হলেন- বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার মো. জনি (১৯), মো. আলিরাজ (২৫), স্বপন মুন্সী (৪০), খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার মো. আজিম (২৬) ও মো. মেজবাহ (১৯)। 

আটকদের বিরুদ্ধে মোংলা ও কয়রা থানায় একাধিক চুরি, মাদক ও মারামারির মামলা রয়েছে এবং তারা উক্ত মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি।

বাংলাদেশ কোস্টগার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, 'কুখ্যাত সুমন বাহিনীর একটি দল বাণিজ্যিক জাহাজে চুরির উদ্দেশ্যে মোংলা থেকে হারবারিয়ার দিকে যাবে। গোয়ন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিকেলে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের একটি দল ভদ্রা ফরেস্ট অফিসসংলগ্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালে একটি সন্দেহজনক বোট তল্লাশি চালিয়ে ৯ পিস ইয়াবা, আনুমানিক ২৫ গ্রাম গাঁজা, ১২টি দেশীয় অস্ত্রসহ তাদেরকে আটক করা হয়। জব্দ আলামতসহ আটকদের মোংলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

রিফাত মাহামুদ/জোবাইদা/

পল্লবীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ১১:৫১ পিএম
পল্লবীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে মাদক কারবারিদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত ওই যুবকের নাম মো. সেলিম (৩৫)।

শুক্রবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় পল্লবীর ওয়াপদা বিল্ডিংয়ের পাশের মাঠে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় সেলিমকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সেলিমের পরিবারের দাবি, স্থানীয় মাদক কারবারিরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

নিহত সেলিম এক সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে মিরপুর ১১ পল্লবীর বিহারি ক্যাম্প ওয়াপদা কলোনি বিল্ডিংয়ে বসবাস করতেন। স্থানীয়রা জানান, ইফতারের পরপরই ওয়াপদা বিল্ডিংয়ের পাশের মাঠে সেলিমকে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে মারা যান তিনি।

এ বিষয়ে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ওই যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তে থানা-পুলিশ কাজ করছে।’

হাসপাতালে নিহতের আত্মীয় আশিকুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় মাদক কারবারিরা শত্রুতার জেরে সেলিমকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।’ ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।

গুলশানে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ইন্টারনেট ব্যবসায়ী নিহত

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০১:০১ পিএম
গুলশানে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ইন্টারনেট ব্যবসায়ী নিহত
ইন্টারনেট ব্যবসায়ী সুমন মিয়া

রাজধানীর গুলশানের পুলিশ প্লাজা কনকর্ডের পাশে দুর্বৃত্তদের গুলিতে সুমন মিয়া (৩৫) নামে এক ইন্টারনেট ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাত ৯টার দিকে পুলিশ প্লাজার উত্তর পাশের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। পুলিশ ও স্বজনদের ধারণা, ইন্টারনেট ব্যবসা কেন্দ্র করে পূর্ব বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। 

স্বজনরা জানান, নিহতের গ্রামের বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় সালাইপুর গ্রামে। বাবার নাম মাহফুজুর রহমান। স্ত্রী মৌসুমী আক্তার, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে সুমন মিরপুর ভাষানটেক এলাকায় থাকতেন। তবে তার ইন্টারনেটের ব্যবসা ছিল মহাখালীর টিবি গেট এলাকায়। 

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মারুফ আহমেদ জানান, সুমন মিয়া রাত ৯টার দিকে পুলিশ প্লাজার উত্তর পাশের রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেখানে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলার সময় হঠাৎ ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে সুমনকে লক্ষ্য করে ওই দুর্বৃত্তরা কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। তার বুকে, পেটে ও মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়। সুমন নিথর অবস্থায় সেখানে পড়ে থাকেন। পরে পুলিশ ওই অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালে নিহতের স্ত্রীর বড় ভাই বাদশা মিয়া রুবেল জানান, মহাখালীর টিভি গেট এলাকায় ‌‘প্রিয়জন’ নামে সুমনের ইন্টারনেট ব্যবসা রয়েছে। সুমন আগে মহাখালীর ওই এলাকায় থাকতেন। এ ছাড়া তিনি বনানী থানা যুবদলের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। তিনি আরও জানান, টিভি গেট এলাকায় ‌‘একে-৪৭’ গ্রুপের রুবেল নামে এক ব্যক্তির ডিশের ব্যবসা রয়েছে। মূলত এই রুবেলের সঙ্গেই সুমনের ব্যবসা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছিল। বাদশা মিয়া অভিযোগ করেন, মাঝেমধ্যে সুমনকে হত্যার হুমকি দিত ওই গ্রুপের লোকজন। সুমনকে গুলি করে হত্যার নেপথ্যে ওই গ্রুপ জড়িত থাকতে পারে। তবে বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখবে। 

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন ঘটনার পরপরই থানা-পুলিশের পাশাপাশি সেখানে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটসহ বিভিন্ন সংস্থা ঘটনাস্থল পরিদর্শন, আলামত সংগ্রহ করে। এ ছাড়া ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। খুনিদের গ্রেপ্তারে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।