দুদকের অনুসন্ধানী দল টুঙ্গিপাড়ায় উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা গাজী গোলাম মোস্তফার বাড়িতে নথিপত্র দেখছেন। ছবি: খবরের কাগজ
জনসাধারণকে বঞ্চিত করে ৩৪ লাখ ১০ হাজার ৫১৯ টাকার তিনটি সরকারি প্রকল্প টুঙ্গিপাড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের বাড়িতে বাস্তবায়নের তথ্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযানে বেরিয়ে এসেছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান এসব নিশ্চিত করেছেন।
প্রকল্পগুলো হলো ৩১ লাখ ১০ হাজার ৫১৯ টাকা ব্যয়ে পানির লবণাক্ত দূরীকরণ প্ল্যান্ট, ২ লাখ টাকার স্ট্রিট লাইট ও লক্ষাধিক টাকার একটি ঘাটলা। টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা গাজী গোলাম মোস্তফা এসব প্রকল্প নিজের বাড়িতে বাস্তবায়ন করেছেন।
মশিউর রহমান জানান, গত সোমবার গিমাডাঙ্গার মধ্যপাড়ায় গাজী গোলাম মোস্তফার বাড়িতে অভিযান চালায় দুদকের একটি টিম। সেখানে সরকারি চারটি স্ট্রিট লাইট, পল্লি অঞ্চলে পানি সরবরাহ প্রকল্পের রিভার্স অসমোসিস (আরও) প্ল্যান্ট ও একটি ঘাটলার সন্ধান পান টিমের সদস্যরা।
তিনি আরও জানান, ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর গোপালগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী পল্লি জনগণকে বঞ্চিত করে গাজী গোলাম মোস্তফার গিমাডাঙ্গা গ্রামের বাড়িতে ৩১ লাখ ১০ হাজার ৫১৯ টাকা ব্যয়ে রিভার্স অফমোসিস (আরও) প্ল্যান্ট নির্মাণ করে দেন। এ ছাড়াও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস ২ লাখ টাকা মূল্যের ৪টি স্ট্রিট লাইট স্থাপন ও লক্ষাধিক টাকার একটি ঘাটলা ওই বাড়িতে করে দেয়।
দুদকের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত বাড়িতে ৩ প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে গাজী গোলাম মোস্তফা, নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপজেলা পিআইও অফিসের প্রকৌশলীরা জড়িত থাকার সত্যতা মিলেছে। জনগণের ক্ষতি করে ব্যক্তিগত বাড়িতে এগুলো স্থাপন করে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে। এতে দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। তাই দুদক তাদের বিরুদ্ধে অচিরেই আইনি ব্যবস্থা নেবে। এ অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বিষয়টি দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত আকারে পাঠানো হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’