ঢাকা ৫ বৈশাখ ১৪৩২, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
English
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় রেজাউলকে

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৫ পিএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৬ পিএম
ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় রেজাউলকে
ছবি : খবরের কাগজ

গাজীপুরের শ্রীপুরে গড়গড়িয়া মাস্টার এলাকায় থেকে গলিত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা জানিয়েছেন, ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় শ্বাসরোধে হত্যার করা হয় রেজাউল ইসলামকে।

শনিবার (১৫ মার্চ) বেলা ১১টায় শ্রীপুর থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন মণ্ডল। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কালিয়াকৈর সার্কেল) আফজাল হোসেন, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শামীম ও পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কর উপস্থিত ছিলেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন, 'নেত্রকোনা জেলার সদর থানার টেংগা গ্রামের জুলহাস (৩৪), শ্রীপুরের উজিলাব গ্রামের নুরুল ইসলাম (৫২) ও শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া পশ্চিমখণ্ড গ্রামের বকুলতলা এলাকার শাহাদত হোসেন শান্ত (২৫)। শুক্রবার (১৪ মার্চ) তাদের শ্রীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা ভাসমান জনগোষ্ঠীর একটি অংশ।

নিহত রেজাউল করিম (৪০) নেত্রকোনা জেলার সদর থানার দুর্গাশ্রম গ্রামের ইসহাক মুন্সীর ছেলে। সে পরিবার নিয়ে শ্রীপুরের গিলারচালা গ্রামের নতুন বাজার এলাকায় রুহুল আমিন তালুকদারের বাড়িতে স্ত্রী হালিমা আক্তার ও ১২বছর বয়সী মেয়ে সুমাইয়া আক্তারকে নিয়ে ভাড়া থেকে বাঘেরবাজার এলাকায় এইচ. পি গার্মেন্টস্ নামের একটি কারখানায় অপারেটর পদে চাকরি করতেন।

নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন রেজাউল করিম। তাকে সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খুঁজে সন্ধান না পেলে শ্রীপুর থানা পুলিশের সহযোগিতা নেন স্বজনরা। গত ৯মার্চ বিকেলে শ্রীপুরের গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি ঢালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাত গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহটি গলে পচে যাওয়ায় পরিচয় শনাক্ত সম্ভব হয়নি। শ্রীপুর থানা পুলিশ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। নিহতের ভাগিনা রিমন মরদেহের গায়ে থাকা শার্ট দেখে উদ্ধার হওয়া মরদেহটি তার মামা রেজাউল করিমের বলে শনাক্ত করেন। এরপরই শ্রীপুর থানার পুলিশের একাধিক টিম হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করেন।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজন কুমার পণ্ডিত বলেন, 'তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে জুলহাসকে শ্রীপুরের আনসার রোড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডে মোট চারজন অংশ নেয় বলে জানান এবং বাকী নাম-পরিচয় প্রকাশ করেন। পরে জুলহাসের দেওয়া তথ্য মতে নুরুল ইসলাম ও শান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় আরও একজন জড়িত আছে। তদন্তের স্বার্থে তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে না বলে তিনি জানান।'

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, ২৭মার্চ রাতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় যান রেজাউল করিম। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি ঢালে মহাসড়কের পাশে নির্জন জায়গায় শান্ত, নুরুল, জুলহাসসহ অজ্ঞাত একজন তার গতিরোধ করে সঙ্গে থাকা টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় রেজাউল বাধা দিলে তাকে পাশে নিয়ে গলায় গামছা পেচিয়ে হত্যার করে মরদেহ ফেলে চলে যায়। এর ১০দিন পর স্থানীয়রা গলিত মরদেহ পরে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, 'গ্রেপ্তারদের শনিবার আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। বাকী আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।'

পলাশ প্রধান/জোবাইদা/

শেওড়াপাড়ায় চাপাতি ঠেকিয়ে ছিনতাই ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫২ পিএম
শেওড়াপাড়ায় চাপাতি ঠেকিয়ে ছিনতাই ভিডিও ভাইরাল
রাজধানীর পশ্চিম শেওড়াপাড়ার একটি গলিতে বৃহস্পতিবার ভোররাতে ঘটে যাওয়া ছিনতাইয়ের ঘটনা। ভিডিও থেকে নেওয়া ছবি

রাজধানীর পশ্চিম শেওড়াপাড়ায় ইস্টওয়েস্ট স্কুলের পাশের গলিতে চাপাতি ঠেকিয়ে এক তরুণীর কাছ থেকে সোনার চেইন ও ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়েছে ছিনতাইকারীরা।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাল হয়েছে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ রোমন। তিনি জানান, ছিনতাইয়ের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। জড়িত একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, একটি রিকশায় দুজন যাত্রী একটি গলির মুখে এসে দাঁড়ান। যাত্রীদের একজন তরুণ, আরেকজন তরুণী। এ সময় মোটরসাইকেলে তিনজন এসে রিকশার সামনে থামেন। তাদের একজনের মাথায় হেলমেট ছিল। বাকি দুজনের একজনের গায়ে কালো শার্ট ও অপরজনের গায়ে সাদা টি-শার্ট। মুহূর্তেই সাদা টি-শার্ট ও কালো শার্ট পরা দুজন মোটরসাইকেল থেকে নেমে যান। সাদা শার্ট পরা ব্যক্তি কোমর থেকে একটি চাপাতি বের করেন। তিনি রিকশায় বসে থাকা তরুণীকে চাপাতি দিয়ে কোপ দেওয়ার অঙ্গভঙ্গি করেন এবং তরুণীর কাছ থেকে ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনিয়ে নেন। কালো শার্ট পরা লোকটি তরুণীর গলা থেকে একটি সোনার চেইন ও একটি কালো রঙের ব্যাগ ছিনিয়ে নেন। এ সময় মোটরসাইকেলটিকে ঘুরিয়ে রাস্তার পাশে রাখা হয়। চালক (হেলমেট পরা) ও তার দুই সহযোগী গলির পাশের একটি বাসার দিকে যান।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কিছুক্ষণ পর তিন ছিনতাইকারী একসঙ্গে এগিয়ে এসে মোটরসাইকেলে ওঠে। এ সময় রিকশায় তরুণীর সহযাত্রী তরুণটি এগিয়ে এসে কালো রঙের ব্যাগটি ফেরত চাইলে সেটি তার দিকে ছুড়ে মারে ছিনতাইকারীরা। পরে তারা মোটরসাইকেলে উঠে চলে যায়। 

মেয়েকে ইভটিজিং, প্রতিবাদ করায় বাবাকে হত্যা!

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ পিএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২২ পিএম
মেয়েকে ইভটিজিং, প্রতিবাদ করায় বাবাকে হত্যা!
ছবি: খবরের কাগজ

রাজশাহীতে মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী নগরীর তালাইমারি শহীদ মিনার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত ব্যক্তির নাম আকরাম হোসেন (৪৫)। তিনি পেশায় বাসচালক এবং রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য।

নিহত বাসচালকের পরিবারের সদস্যরা জানান, আকরাম হোসেনের মেয়েকে এলাকার কয়েকজন বখাটে ইভটিজিং করত। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় আকরাম হোসেনের বাড়িতে গিয়ে ওই যুবকরা হুমকি দিয়ে আসে। একপর্যায়ে বুধবার রাত সাড়ে দশটার দিকে আকরাম হোসেনকে ইট দিয়ে আঘাত করে আহত করে ওই এলাকার নান্টু, বিশাল, রতনসহ বেশ কয়েকজন। পরে প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কিছুক্ষণ পর তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক হোসেন বলেন, 'বুধবার রাতে বোয়ালিয়া থানাধীন তালাইমারী শহীদ মিনারের পাশে উভয় পক্ষের মারামারিতে একজন গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ছেলে অনন্ত বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে একটি হত্যা মামলা করেছেন। এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তবে আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।' 

মেহেদী/

মোহাম্মদপুরে অভিযানে গ্রেপ্তার ৫

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৮ এএম
মোহাম্মদপুরে অভিযানে গ্রেপ্তার ৫
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ডাকাতি ও মাদক কারবারসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ গত মঙ্গলবার দিনগত রাতে তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন শামীম (২৩), শাহাদাত (২১), খোকন (৩৭), আমজাদ আলী বাবু (৩০) ও কামরুল ইসলাম (২১)।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) ডিএমপির মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) এ কে এম মেহেদী হাসান খবরের কাগজকে জানান, মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন অপরাধপ্রবণ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে ডাকাতির প্রস্তুতি মামলায় দুজন, মাদক মামলায় দুজন ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল তাদের ওই সব মামলায় আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

পিরোজপুর এলজিইডি অফিসে ১১০১ কোটি টাকার দুর্নীতি, গ্রেপ্তার ৫

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৩ এএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৬ এএম
পিরোজপুর এলজিইডি অফিসে ১১০১ কোটি টাকার দুর্নীতি, গ্রেপ্তার ৫
দুর্নীতি দমন কমিশন, পিরোজপুর। ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুর এলজিইডি অফিসে ১ হাজার ১০১ কোটি টাকার দুর্নীতির ঘটনায় জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের চার কর্মকর্তা ও এলজিইডির এক কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আমিনুল ইসলামের আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাতে গ্রেপ্তারদের সদর থানা হেফাজতে নেওয়া হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- পিরোজপুর ডিস্ট্রিক্ট অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসার মো. মোহাসীন, এসএএস সুপার মো. মাসুম হাওলাদার ও নজরুল ইসলাম, সাবেক ডিস্ট্রিক্ট অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসার মো. আলমগীর হাসান এবং পিরোজপুর এলজিইডি অফিসের হিসাবরক্ষক একেএম মোজাম্মেল হক খান।

গত মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুদকের উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম ২৩ জনকে অভিযুক্ত করে আটটি মামলা করেন। পরদিনই অভিযুক্তদের মধ্য থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগে পিরোজপুর এলজিইডি অফিস জাতীয় আলোচনায় উঠে আসে।

পরবর্তী সময়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও এলজিইডির প্রধান কার্যালয় থেকে একাধিক তদন্ত টিম পাঠানো হয়। তদন্তে উঠে আসে, কাজ সম্পন্ন না করেই আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি বিল পরিশোধ করা হয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে, যার মধ্যে ১ হাজার ১০১ কোটি টাকার ব্যয়ে ভয়াবহ গরমিল পাওয়া যায়।

দুদকের সর্বশেষ তদন্তে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নেয়।

এলজিইডি ও জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এই দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

হাসিবুল/তাওফিক/

সিলেটে চা বাগানে ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র হত‍্যা

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৭ এএম
সিলেটে চা বাগানে ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র হত‍্যা
তুষার আহমদ চৌধুরী

সিলেটে ছুরিকাঘাতে তুষার আহমদ চৌধুরী (১৯) নামের এক কলেজছাত্রকে হত‍্যা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে আটটায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) এয়ারপোর্ট থানা এলাকার শাহী ঈদগাহ খেলার মাঠের পাশে দলদলি চা-বাগানে সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

এরপর রাত ১২টায় এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আহমদ জাবেদ (১৯) নামের এক যুবককে আম্বরখানা এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, নিহত তুষার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে শাহী ঈদগাহ সংলগ্ন দলদলি চা-বাগানের দিকে গিয়েছিলেন। সেখানেই ছুরিকাহত হন তুষার। পরে স্থানীয় কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নিহত তুষার কলেজছাত্র। শাহী ঈদগাহ মাঠের বিপরীত দিকের মহল্লা রায়নগরের বাসিন্দা। তার বাবা একজন আইনজীবী।

ঘটনা নিয়ে দুই রকম তথ্য পাওয়া গেছে। একটি সূত্র জানায়, কিশোর গ্যাং তৎপরতায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি ঘটেছে।

আরেকটি সূত্র জানায়, তুষার নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন। খেলার মাঠের পাশে চা বাগান এলাকায় আড্ডা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি ঘটে।

তবে কী কারণে ঘটনাটি ঘটেছে, এ বিষয়ে পুলিশ এখনো নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছেন এসএমপির এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান। 

তিনি খবরের কাগজকে বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল থেকে মরদেহ পুলিশের জিম্মায় নেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আটক একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনা জানার চেষ্টা করা হবে।

অমিয়/