ঢাকা ৩ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
English

প্রস্রাব বন্ধ হয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সহযোগী এজাজের মৃত্যু

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৯:২৭ এএম
প্রস্রাব বন্ধ হয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সহযোগী এজাজের মৃত্যু
এজাজ আহমেদ ওরফে হেজাজ

শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও তার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হিসেবে পরিচিত এজাজ আহমেদ ওরফে হেজাজ (৩৪) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

শনিবার (১৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পুলিশের হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসান খবরের কাগজকে জানান, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাকে জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। দুই দিন ধরে তার প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায়। এতে গতকাল সকালে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এজাজের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

যেভাবে গ্রেপ্তার হন এজাজ
গত ১১ মার্চ মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার এলাকায় সেনাবাহিনীর ৪৬ পদাতিক ব্রিগেডের ২৩ ইস্ট বেঙ্গল ব্যাটালিয়নের যৌথ অভিযানে আটক হন এজাজ আহমেদ। ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে আদালতে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তিনি জামিন পান।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন কারাভোগের পর ২০২৪ সালের ১৫ আগস্ট শীর্ষ সন্ত্রাসী সুইডেন আসলাম, পিচ্চি হেলাল ও ইমনের সঙ্গে জামিনে মুক্তি পান এজাজ। মুক্তির পর থেকেই তিনি ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, অপহরণ ও হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন বলেও জানায় পুলিশ।

পুলিশ জানায়, জামিনে মুক্তির পর এজাজ আহমেদ আবারও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। সম্প্রতি রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ও কোপানোর ঘটনায় তিনি সরাসরি উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, নিউ মার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড ও কলাবাগান এলাকায় চাঁদাবাজি, অপহরণ, হত্যার হুমকিসহ বিভিন্ন অপরাধের মাধ্যমে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিলেন তিনি।

সিলেটে চা বাগানে ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র হত‍্যা

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৭ এএম
সিলেটে চা বাগানে ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র হত‍্যা
তুষার আহমদ চৌধুরী

সিলেটে ছুরিকাঘাতে তুষার আহমদ চৌধুরী (১৯) নামের এক কলেজছাত্রকে হত‍্যা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে আটটায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) এয়ারপোর্ট থানা এলাকার শাহী ঈদগাহ খেলার মাঠের পাশে দলদলি চা-বাগানে সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

এরপর রাত ১২টায় এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আহমদ জাবেদ (১৯) নামের এক যুবককে আম্বরখানা এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, নিহত তুষার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে শাহী ঈদগাহ সংলগ্ন দলদলি চা-বাগানের দিকে গিয়েছিলেন। সেখানেই ছুরিকাহত হন তুষার। পরে স্থানীয় কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নিহত তুষার কলেজছাত্র। শাহী ঈদগাহ মাঠের বিপরীত দিকের মহল্লা রায়নগরের বাসিন্দা। তার বাবা একজন আইনজীবী।

ঘটনা নিয়ে দুই রকম তথ্য পাওয়া গেছে। একটি সূত্র জানায়, কিশোর গ্যাং তৎপরতায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি ঘটেছে।

আরেকটি সূত্র জানায়, তুষার নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন। খেলার মাঠের পাশে চা বাগান এলাকায় আড্ডা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি ঘটে।

তবে কী কারণে ঘটনাটি ঘটেছে, এ বিষয়ে পুলিশ এখনো নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছেন এসএমপির এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান। 

তিনি খবরের কাগজকে বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল থেকে মরদেহ পুলিশের জিম্মায় নেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আটক একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনা জানার চেষ্টা করা হবে।

অমিয়/

ঘোড়াশালে দুর্বৃত্তের গুলিতে কাভার্ডভ্যান চালক নিহত

প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫৪ পিএম
ঘোড়াশালে দুর্বৃত্তের গুলিতে কাভার্ডভ্যান চালক নিহত
নিহত আহসান উল্লাহ

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে দুর্বৃত্তের গুলিতে আহসান উল্লাহ (৫০) নামে কাভার্ডভ্যানের এক চালক নিহত হয়েছেন। 

রবিবার (১৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘোড়াশাল পৌরসভার কুমারটেক এলাকায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে।

নিহত আহসান উল্লাহ প্রাণ আরএফএল কোম্পানির কাভার্ডভ্যান চালক।

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানান, আহসান উল্লাহ তার বাসার সামনের একটি দোকানে বসে ছিলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোটরসাইকেলে আসা দুই দুর্বৃত্ত তাকে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে ঘোড়াশালের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

শাওন খন্দকার/অমিয়/

ফুলবাড়িয়ায় চুরির অপবাদে বাবা-ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১১ এএম
ফুলবাড়িয়ায় চুরির অপবাদে বাবা-ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা
ছবি : খবরের কাগজ

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় চুরির অপবাদে বাবা-ছেলেকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর একটার দিকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়।

নিহতরা হলেন- উপজেলার নাওগাঁও পশ্চিমপাড়া গ্রামের আবদুল গফুর (৫০) ও তার ছেলে মেহেদী হাসান (১৫)।

আটকরা হলেন- পলাশীহাটা গ্রামের মো. রিপন (৩২), নাওগাঁও গ্রামের মৃত সাবান আলীর ছেলে মো. মোজাম্মেল হক (৬৫) ও মজিবুর রহমানের ছেলে আল আমিন (১৩)।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আবদুল গফুরের প্রতিবেশি এক প্রবাসীর বাড়িতে গত দুদিন আগে চুরির ঘটনায় বেলা ১১টার দিকে সালিশ বসানো হয়। সালিশের ডাকে হাজির না হওয়ায় সেখানে থাকা লোকজন আবদুল গফুরের বাড়িতে দুপুর একটার দিকে গেলে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এর জেরে আবদুল গফুরের বাড়িতে ভাঙচুর শুরু করে সালিশের লোকজন। এ সময় আবদুল গফুর ও তার ছেলেকে রড দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে ঘটনাস্থলেই হত্যা করা হয়।

ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রোকনুজ্জামান খবরের কাগজকে বলেন, বাবা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।

কামরুজ্জামান মিন্টু/অমিয়/

কচুয়ায় যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৭ পিএম
কচুয়ায় যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
সিএনজিতে থাকা নুরুল হকের মরদেহ। ছবি: খবরের কাগজ

কচুয়ার বিতারায় যুবলীগ নেতা নুরুল হককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

শনিবার ১২ এপ্রিল রাত ১০টার সময় উপজেলার বিতারা ইউনিয়নের বিতারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নুরুল হক বিতারা গ্রামের মৃত সুলতানের ছেলে এবং বিতারা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি।

নিহতের স্ত্রী জাহানারা বেগম বলেন, 'শনিবার রাত সাড়ে নয়টায় আমার স্বামী ভাত খাওয়ার পর ওই ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ জালাল পাশের বাড়ির আব্দুর রহিমের ছেলে শুকুর আলীর নির্দেশে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে রামদা দিয়ে কুপিয়ে ডান হাত কেটে ফেলে ও হত্যা করে তাদের উঠানে ফেলে রাখে।'

এ ব্যাপারে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে রাতেই নুরুল হকের মরদেহ উদ্ধার ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রাম পুলিশসহ ৩ জনকে আটক করা হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুরের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্ত্রী জাহানারা বেগম ও ভাই মহসিন দোষীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।

সঞ্জিব/মেহেদী/

নোয়াখালীতে কাদের মির্জার সহযোগীকে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১৮ পিএম
নোয়াখালীতে কাদের মির্জার সহযোগীকে পিটিয়ে হত্যা
ছবি: খবরের কাগজ

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ঘনিষ্ঠ সহযোগী আবদুল কাদের মিলন (৩৫) নামে এক যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

এর আগে শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে চরপার্বতী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে ওই গণপিটুনির ঘটনা ঘটে।

নিহত আবদুল কাদের মিলন চরহাজারী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মো. ইসমাইলের ছেলে এবং চরহাজারী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। এ ছাড়া তিনি স্থানীয় আল মদিনা সমাজের সহসভাপতি এবং সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই আবদুল কাদের মির্জার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিলন রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফেনীর দাগনভুইয়া থেকে ছোটভাই আবদুর রহিম রাকিবের সিএনজিচালিত রিকশাযোগে বাড়ি যাওয়ার পথে একদল যুবক তাকে ফ্যাসিস্ট পালাচ্ছে বলে বেদম পিটুনি দেয়। 

নিহতের ভাই আবদুর রহিম রাকিব বলেন, 'আমরা বাড়ি যাওয়ার সময় চরপার্বতীর চুকানীর টেক থেকে একদল যুবক মোটরসাইকেলযোগে আমাদের গাড়িকে অনুসরণ করে। পরে রহিমিয়া এতিমখানার কাছে পৌঁছলে তারা ধর ধর বলে আক্রমণ করে আমার ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাদের হাতেপায়ে ধরেও ভাইকে বাঁচতে পারিনি।'

জানা গেছে, খবর পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ মিলনকে উদ্ধারে গেলেও হামলাকারীদের রোষানলে পড়ে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়। পরে সেনাবাহিনী মিলনকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ডা. আবদুল আহাদ বলেন, আবদুল কাদের নামে একজন রোগীকে রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে জরুরি বিভাগে আনা হয়। পরে অবস্থার অবনতি দেখে রাত ১টা ১০ মিনিটে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নিহতের স্ত্রী বিবি জুলেখা বলেন, 'ঢাকা নেওয়ার পথে আমার স্বামী মারা যান। মিলন ৫ আগস্টের পর থেকে বাড়ি ছাড়া। তিনি সম্প্রতি ওমরা শেষে দেশে আসেন। আমার বড়ভাই ইউসুফ আলী গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় তাকে দেখতে মিলন বাড়ি আসতেছিল। পথে বিএনপি-জামায়াতের সমর্থকরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তার হাতে থাকা ঠিকাদারির লেনদেনের হিসাবসহ মোবাইল ফোনটি সন্ত্রাসীরা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। আমি এ হত্যার বিচার চাই।'

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপন বলেন, মিলন হত্যাকাণ্ডে জামায়াত-বিএনপির কেউ জড়িত নয়। গত ১৬ বছর তিনি যাদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করেছেন তারাই মিলনকে হত্যা করেছে। হামলাকারীদের মধ্যে জামায়াত-বিএনপির কেউ আছে কিনা তা আমার জানা নেই।'

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আবদুল কাদের মিলন একজন ঠিকাদার। তিনি মেসার্স মিলন এন্টারপ্রাইজের মালিক। কোম্পানীগঞ্জে তার দায়িত্বে থাকা মেসার্স তানভীর এন্টারপ্রাইজের কোটি টাকার কাজ নিয়ে একটি মহলের সঙ্গে মিলনের ১৩ লাখ টাকার লেনদেন রয়েছে। ওই টাকা চাওয়ায় মহলটি তার উপর ক্ষুব্ধ ছিল। এ নিয়ে তাকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল।'

 কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, 'খবর পেয়ে পুলিশ-সেনাবাহিনীর যৌথদল মিলনকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে ঢাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' 

মজনু/মেহেদী/