
শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও তার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হিসেবে পরিচিত এজাজ আহমেদ ওরফে হেজাজ (৩৪) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
শনিবার (১৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পুলিশের হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসান খবরের কাগজকে জানান, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাকে জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। দুই দিন ধরে তার প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায়। এতে গতকাল সকালে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এজাজের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
যেভাবে গ্রেপ্তার হন এজাজ
গত ১১ মার্চ মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার এলাকায় সেনাবাহিনীর ৪৬ পদাতিক ব্রিগেডের ২৩ ইস্ট বেঙ্গল ব্যাটালিয়নের যৌথ অভিযানে আটক হন এজাজ আহমেদ। ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে আদালতে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তিনি জামিন পান।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন কারাভোগের পর ২০২৪ সালের ১৫ আগস্ট শীর্ষ সন্ত্রাসী সুইডেন আসলাম, পিচ্চি হেলাল ও ইমনের সঙ্গে জামিনে মুক্তি পান এজাজ। মুক্তির পর থেকেই তিনি ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, অপহরণ ও হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন বলেও জানায় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, জামিনে মুক্তির পর এজাজ আহমেদ আবারও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। সম্প্রতি রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ও কোপানোর ঘটনায় তিনি সরাসরি উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, নিউ মার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড ও কলাবাগান এলাকায় চাঁদাবাজি, অপহরণ, হত্যার হুমকিসহ বিভিন্ন অপরাধের মাধ্যমে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিলেন তিনি।