
রাজধানীর গুলশানের পুলিশ প্লাজা কনকর্ডের পাশে দুর্বৃত্তদের গুলিতে সুমন মিয়া (৩৫) নামে এক ইন্টারনেট ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাত ৯টার দিকে পুলিশ প্লাজার উত্তর পাশের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। পুলিশ ও স্বজনদের ধারণা, ইন্টারনেট ব্যবসা কেন্দ্র করে পূর্ব বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
স্বজনরা জানান, নিহতের গ্রামের বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় সালাইপুর গ্রামে। বাবার নাম মাহফুজুর রহমান। স্ত্রী মৌসুমী আক্তার, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে সুমন মিরপুর ভাষানটেক এলাকায় থাকতেন। তবে তার ইন্টারনেটের ব্যবসা ছিল মহাখালীর টিবি গেট এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মারুফ আহমেদ জানান, সুমন মিয়া রাত ৯টার দিকে পুলিশ প্লাজার উত্তর পাশের রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেখানে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলার সময় হঠাৎ ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে সুমনকে লক্ষ্য করে ওই দুর্বৃত্তরা কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। তার বুকে, পেটে ও মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়। সুমন নিথর অবস্থায় সেখানে পড়ে থাকেন। পরে পুলিশ ওই অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতালে নিহতের স্ত্রীর বড় ভাই বাদশা মিয়া রুবেল জানান, মহাখালীর টিভি গেট এলাকায় ‘প্রিয়জন’ নামে সুমনের ইন্টারনেট ব্যবসা রয়েছে। সুমন আগে মহাখালীর ওই এলাকায় থাকতেন। এ ছাড়া তিনি বনানী থানা যুবদলের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। তিনি আরও জানান, টিভি গেট এলাকায় ‘একে-৪৭’ গ্রুপের রুবেল নামে এক ব্যক্তির ডিশের ব্যবসা রয়েছে। মূলত এই রুবেলের সঙ্গেই সুমনের ব্যবসা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছিল। বাদশা মিয়া অভিযোগ করেন, মাঝেমধ্যে সুমনকে হত্যার হুমকি দিত ওই গ্রুপের লোকজন। সুমনকে গুলি করে হত্যার নেপথ্যে ওই গ্রুপ জড়িত থাকতে পারে। তবে বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন ঘটনার পরপরই থানা-পুলিশের পাশাপাশি সেখানে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটসহ বিভিন্ন সংস্থা ঘটনাস্থল পরিদর্শন, আলামত সংগ্রহ করে। এ ছাড়া ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। খুনিদের গ্রেপ্তারে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।