ঢাকা ১১ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

পল্লবীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ১১:৫১ পিএম
পল্লবীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে মাদক কারবারিদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত ওই যুবকের নাম মো. সেলিম (৩৫)।

শুক্রবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় পল্লবীর ওয়াপদা বিল্ডিংয়ের পাশের মাঠে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় সেলিমকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সেলিমের পরিবারের দাবি, স্থানীয় মাদক কারবারিরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

নিহত সেলিম এক সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে মিরপুর ১১ পল্লবীর বিহারি ক্যাম্প ওয়াপদা কলোনি বিল্ডিংয়ে বসবাস করতেন। স্থানীয়রা জানান, ইফতারের পরপরই ওয়াপদা বিল্ডিংয়ের পাশের মাঠে সেলিমকে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে মারা যান তিনি।

এ বিষয়ে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ওই যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তে থানা-পুলিশ কাজ করছে।’

হাসপাতালে নিহতের আত্মীয় আশিকুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় মাদক কারবারিরা শত্রুতার জেরে সেলিমকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।’ ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।

বাবার ধর্ষণে গর্ভবতী মেয়ে, পুলিশে দিলেন মা

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৯ পিএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩০ পিএম
বাবার ধর্ষণে গর্ভবতী মেয়ে, পুলিশে দিলেন মা
অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলী। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ষষ্ঠ শ্রেণিপড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা মোহাম্মদ আলীকে (৪০) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন ভুক্তভোগীর মা ও আত্মীয়স্বজন।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার কেরানিহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে অভিযুক্ত বাবাকে আটক করে সাতকানিয়া থানায় এনে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

মোহাম্মদ আলী উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মনোহর চৌধুরীপাড়ার বাসিন্দা মৃত এমদাদ আলীর ছেলে।

এ ঘটনায় অভিযুক্তের স্ত্রী নাহিদা আক্তার (২৪ এপ্রিল) সকালে বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সাতকানিয়া থানায় একটি মামলা করেছেন।

জানা গেছে, গত ১০ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার মেয়েটির পেট ব্যথাসহ বমি  হওয়ায় গত ২২ এপ্রিল তাকে অভিযুক্ত বাবা মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে উপজেলার কেরানীহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠান নাহিদা আক্তার। ওই সময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাহিদাকে ফোন দিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বলেন। নাহিদা  তাৎক্ষণিক হাসপাতালে গিয়ে দেখেন তার মেয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছে।  তিনি চিকিৎসকের কাছে কি হয়েছে জানতে চাইলে চিকিৎসক জানান তার মেয়ে গর্ভবতী। গর্ভবতী হওয়ার কারণে তার পেট ব্যথাসহ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। পরে অভিযুক্ত বাবা মোহাম্মদ আলীর অনুরোধে কর্তব্যরত চিকিৎসক মেয়েটির গর্ভপাত করান। এর পর নাহিদা তার মেয়েকে এ ঘটনা কে ঘটিয়েছে জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টার দিকে এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১টার দিকে দুই দফায় তার শয়নকক্ষে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন তারই বাবা মোহাম্মদ আলী। এ ঘটনা কাউকে প্রকাশ করলে হত্যার হুমকিও দেন অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলী। পরে নাহিদা তার ভাই মো. নাজিম উদ্দিনকে ফোন দিয়ে হাসপাতালে ডেকে আনেন। এ সময় তারা ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলী ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে মোহাম্মদ আলীকে আটক করে সাতকানিয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

মামলার এজাহারসূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে বাদী নাহিদা আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুটি ছেলে ও দুটি মেয়ে রয়েছে। ধর্ষণের শিকার বড় মেয়ের বয়স এখন ১২ বছর। সে উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের কেফায়েত উল্লাহ কবির আহমদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। গত ১০ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার মেয়েটির পেট ব্যথাসহ বমি শুরু হলে মা নাহিদা আক্তার মেয়েকে এর ব্যথার কারণ জানতে চাইলে সে জানায় যে, ভয়ে সে ধর্ষণের বিষয়টি গোপন রেখেছিল। 

ধর্ষণের শিকার মেয়েটির মা নাহিদা আক্তার খবরের কাগজকে বলেন, মেয়েকে গর্ভপাত করানোর পরে জিজ্ঞেস করলে সে আমাকে জানায় তার বাবা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ধর্ষণের বিষয়ে আমার স্বামী মোহাম্মদ আলীর কাছে জিজ্ঞেস করলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে এ বিষয়ে কাউকে না জানানোর জন্য অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে আমি মুঠোফোনে কল দিয়ে আমার ভাই মো. নাজিম উদ্দিনকে হাসপাতালে ডেকে আনি। এর পর তার সহায়তায় আমার স্বামীকে থানায় এনে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছি। যে মানুষ নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করতে পারে, সে কখনোই আমার স্বামী হতে পারে না। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় তার মা ও আত্মীয়স্বজন অভিযুক্ত বাবাকে থানায় এনে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আসামিকে আদালতে পাঠানো হবে।


আরিফুল/মেহেদী/

কাউখালীতে মারমা তরুণী ধর্ষণ মামলায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৫ এএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২২ পিএম
কাউখালীতে মারমা তরুণী ধর্ষণ মামলায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
মারমা তরুণী ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতা ফাহিম

রাঙামাটির কাউখালীতে মারমা তরুণী (২২) ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা মো. ফাহিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসূল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তার ফাহিম কাউখালী উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা ও ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. আনোয়ারের ছেলে।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সোহাগ। 

এর আগে গত ১৭ এপ্রিল রাতে ফাহিম তার বাড়িতে ভাড়া থাকা এক মারমা তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টা চালান বলে অভিযোগ ওঠে। এতে বাধা দিলে ওই তরুণীকে মারধর করে আহত করেন ফাহিম। পরে ওই তরুণী থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ মামলা গ্রহণ করে এবং তাকে চিকিৎসা ও শারীরিক পরীক্ষার জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।

মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, এর আগেও ২৫ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে আসামি ফাহিম তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। 

ওসি সাইফুল ইসলাম সোহাগ বলেন, ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফাহিমকে গ্রেপ্তার করতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টার পর বুধবার বিকেলে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা ইতোমধ্যে আসামিকে কাউখালী থানায় নিয়ে যাচ্ছি। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

জুয়েল/মেহেদী/

সোনাগাজীতে বিএনপি কর্মী হত্যায় গ্রেপ্তার ৭

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০৭ এএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩৯ এএম
সোনাগাজীতে বিএনপি কর্মী হত্যায় গ্রেপ্তার ৭
ছবি: খবরের কাগজ

ফেনীর সোনাগাজীতে আবুল হাসেম (৫০) নামে এক বিএনপি-কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাতে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীকে নোয়াখালী ও অন্য আসামিদের সোনাগাজীর বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- আক্তার হোসেন (৩৫), রাকিব (২৫), সোলেমান (৪৫), শেখ রাসেল (৩০) ও শিপন (৩০) বেলায়েত হোসেন (৩০) ও আবুল হোসেন (৪৬)।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের পর আসামিদের দেওয়া তথ্যে তিনটি বোরকা, রক্তমাখা দুটি লোহার রড, একটি দা, একটি ওড়না ও তিন প্যাকেট বিস্কুট উদ্ধার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সোনাগাজী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন সেন্টু বলেন, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার চাই। তবে কেউ যেন অহেতুক হয়রানির শিকার না হন, প্রশাসনকে সে বিষয়ে দায়িত্বশীল হতে হবে।

সোনাগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বায়েজিদ আকন বলেন, হত্যাকাণ্ডটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত। চার বছর আগের ব্যক্তিগত বিরোধের জের ধরে এই পরিকল্পনা করা হয়। মঙ্গলবার ভোরে সোনাগাজী উপজেলার ওলামা বাজার এলাকার কাছে আবুল হাসেমের ওপর হামলা চালানো হয়। তিনি মোটরসাইকেলে করে প্রতিদিন ওই রাস্তা দিয়ে মহিষের দুধ সংগ্রহে যেতেন। সেদিন ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বোরকা পরা একদল দুর্বৃত্ত তার পথরোধ করে তাকে রাস্তার পাশের একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাঁ হাত ও পা কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে। পরে তাকে রাস্তার উপর ফেলে রেখে চলে যান।

দিনে-দুপুরে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডে সোনাগাজীসহ পুরো ফেনীতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

ঘটনার দিন নিহতের বাবা আব্দুস শুক্কুর ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পাঁচজনকে আসামি করে সোনাগাজী থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং সোনাগাজী, চরদরবেশ ও নোয়াখালীর চরজব্বার এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে।

নিলয়/মেহেদী/

ফরিদগঞ্জে দাখিল পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস, মাদ্রাসা সুপারসহ আটক ৩

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫১ এএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৬ এএম
ফরিদগঞ্জে দাখিল পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস, মাদ্রাসা সুপারসহ আটক ৩
ছবি: খবরের কাগজ

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে চলমান দাখিল পরীক্ষার হাদিস বিষয়ের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে এক মাদ্রাসা সুপারসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া এমএ কামিল মাদ্রাসার পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

আটকরা হলেন- ফরিদগঞ্জের চর দু:খিয়া পূর্ব ইউনিয়নের এখলাশপুর মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা ইকরাম হোসাইন হামিদ (৪৬), ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া এমএ কামিল মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী ইসমাইল হোসেন (৩২) ও মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী তারেকুল ইসলাম (৩০)।

ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসার দুই চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইসমাইল হোসেন (৩২) ও তারেকুল ইসলাম (৩০) হাদিস বিষয়ের প্রশ্নের ছবি তুলে চর দু:খিয়া পূর্ব ইউনিয়নের এখলাশপুর মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা ইকরাম হোসাইন হামিদের হোয়াটসঅ্যাপে ডকুমেন্ট আকারে পাঠায়। বিষয়টি জানাজানি হলে ইউএনও ঘটনাস্থলে আসেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া বলেন, প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় আটকদের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশনা দিয়ে পুলিশি হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মেহেদী/

আড়াইহাজারে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী আটক

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৪৯ পিএম
আড়াইহাজারে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী আটক
ছবি: খবরের কাগজ

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে পারিবারিক কলহের জেরে সুলেখা নামে এক গৃহবধূর গলা কেটে হত্যার দায়ে স্বামী রব মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকালে উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের নারান্দী পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সুলেখা বেগম (৪০) পার্শ্ববর্তী কলাগাছিয়া নয়পাড়া গ্রামের আব্দুলের মেয়ে। তিনি ৪ কন্যা সন্তানের জননী।

পুলিশ জানায়, গত কয়েকদিন ধরে সুলেখা বেগমের সঙ্গে ঝগড়া চলছিল রব মিয়ার। এর জেরে বুধবার সকালে সুলেখাকে গলা কেটে হত্যা করেন তিনি। পরে ঘরের দরজা বন্ধ করে রাখে। এ সময় প্রতিবেশীরা জানালা দিয়ে গলাকাটা অবস্থায় নিহতের মরদেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ স্বামী রব মিয়াকে আটকসহ রক্তমাখা ধারালো ছুরি উদ্ধার করে।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন বলেন, নিহতের গলায় ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ড। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলাসহ পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

বিল্লাল/মেহেদী/