
গুলশান ও বাড্ডা এলাকার চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে স্থানীয় মেহেদী ও রবিন নামে দুটি সন্ত্রাসী গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলছিল। সেই দ্বন্দ্বে মেহেদীর নির্দেশে ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবসায়ী সুমন মিয়াকে হত্যা করা হয়। এই কিলিং মিশনে অংশ নেয় পাঁচজনের একটি গ্রুপ। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (২৬ মার্চ) র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
র্যাব জানিয়েছে, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ২০ মার্চ সুমনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত মঙ্গলবার পটুয়াখালী থেকে ওয়াসির মাহমুদ ওরফে সাঈদকে (৫৯) ও টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকা থেকে মামুন ওরফে বেলালকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, মেহেদী নামের এক ব্যক্তি মো. ওয়াসির মাহমুদের মাধ্যমে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে কয়েক বছর ধরে গুলশান ও বাড্ডা এলাকায় চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর মেহেদী পালিয়ে বিদেশে চলে যান। সেখান থেকে তিনি ওয়াসির মাহমুদের মাধ্যমে গুলশান ও বাড্ডা এলাকার চাঁদা সংগ্রহ করতেন। কিন্তু তখন অন্য একটি সন্ত্রাসী দল রবিন গ্রুপের হয়ে ভুক্তভোগী সুমন গুলশান বাড্ডা এলাকায় চাঁদাবাজি শুরু করে। গুলশান এলাকার বিভিন্ন বিপণিবিতানে চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মেহেদী গ্রুপের সঙ্গে রবিন গ্রুপের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। এই বিরোধের জেরে মেহেদীর নির্দেশে সুমনকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন ওয়াসির মাহমুদ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, হামলার ৮ থেকে ১০ দিন আগে সুমনকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিল্লাল ও মামুনের নেতৃত্বে পাঁচজনের একটি কিলার গ্রুপ গঠন করেন ওয়াসির মাহমুদ। এরপর তারা সুমনের ওপর নজর রাখা শুরু করেন। ঘটনার দিন ২০ মার্চ ওয়াসির মাহমুদের বাসায় সবাইকে নিয়ে বৈঠক হয়। এরপর তার বাসা থেকে অস্ত্র নিয়ে গুলশান এলাকায় যায় কিলিং মিশনের সদস্যরা। রাত ৯টার দিকে সুমনকে গুলশান পুলিশ প্লাজার সামনে ডা. ফজলে রাব্বি পার্কে বসে থাকতে দেখে গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর সুমন দৌড়ে পালাতে গেলে তাকে আরও কয়েকটি গুলি করা হয়।
সুমনের বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায়। তার বাবার নাম মাহফুজুর রহমান। তিনি রাজধানীর ভাষানটেক এলাকায় থাকতেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।