ঢাকা ১১ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
English

কচুয়ায় যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৭ পিএম
কচুয়ায় যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
সিএনজিতে থাকা নুরুল হকের মরদেহ। ছবি: খবরের কাগজ

কচুয়ার বিতারায় যুবলীগ নেতা নুরুল হককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

শনিবার ১২ এপ্রিল রাত ১০টার সময় উপজেলার বিতারা ইউনিয়নের বিতারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নুরুল হক বিতারা গ্রামের মৃত সুলতানের ছেলে এবং বিতারা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি।

নিহতের স্ত্রী জাহানারা বেগম বলেন, 'শনিবার রাত সাড়ে নয়টায় আমার স্বামী ভাত খাওয়ার পর ওই ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ জালাল পাশের বাড়ির আব্দুর রহিমের ছেলে শুকুর আলীর নির্দেশে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে রামদা দিয়ে কুপিয়ে ডান হাত কেটে ফেলে ও হত্যা করে তাদের উঠানে ফেলে রাখে।'

এ ব্যাপারে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে রাতেই নুরুল হকের মরদেহ উদ্ধার ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রাম পুলিশসহ ৩ জনকে আটক করা হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুরের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্ত্রী জাহানারা বেগম ও ভাই মহসিন দোষীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।

সঞ্জিব/মেহেদী/

পল্লবী-কামরাঙ্গীরচরে ছুরিকাঘাতে ২ যুবক নিহত

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ০১:০৩ পিএম
পল্লবী-কামরাঙ্গীরচরে ছুরিকাঘাতে ২ যুবক নিহত
ছবি: খবরের কাগজ

রাজধানীর পল্লবী ও কামরাঙ্গীরচরে ছুরিকাঘাতে মোহাম্মদ সিফাত ওরফে রিফাত (২০) ও মোহাম্মদ রকি (৩১) নামে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। 

রবিবার (২২ জুন) রাতে এ দুটি ঘটনা ঘটে। 

ঘটনাস্থল থেকে দুই যুবককে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের গভীর রাতে মৃত ঘোষণা করেন।  

সোমবার (২৩ জুন) ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, পৃথক ঘটনায় উদ্ধার করা মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশকে জানানো হয়েছে। 

গত রবিবার রাত ১০টার দিকে মিরপুরের পল্লবী-১১ নম্বর সেকশনে বেনারসি পল্লী এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির জেরে মোহাম্মদ সিফাতকে ছুরিকাঘাত করে তার বন্ধু আসিফ। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রাত ১২টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

সিফাত গত বছর জান্নাত একাডেমী থেকে এসএসসি পাস করেন। 

নিহতের বাবা মোহাম্মদ শাহিন বলেন, ‘রবিবার রাতে রিফাতের সঙ্গে তার বন্ধু আসিফের প্রেমিকা প্রসঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আসিফ ক্ষিপ্ত হয়ে রিফাতকে ছুরিকাঘাত করে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে, আমি এর বিচার চাই।’

অন্যদিকে গত রবিবার রাত ১২টার দিকে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর মাদবর বাজার বেরিবাঁধ এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেড়ে মোহাম্মদ রকিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ১টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। 

নিহতের প্রতিবেশী মোহাম্মদ রুবেল জানান, মাদবর বাজার বেরিবাঁধ এলাকায় পলাশ মেম্বারের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন এবং রাস্তায় ফেলে রাখেন।  

তিনি জানান, রকি বেরিবাঁধ এলাকার মেম্বার গলির মোহাম্মদ আমানে ছেলে। তিনি ব্যবসা করতেন। তবে মেম্বার পলাশের সঙ্গে কি নিয়ে শত্রুতা ছিল, তা জানা যায়নি।

জাহাঙ্গীর/পপি/

সোনারগাঁয় প্রবাসীকে গুলি করে হত্যার হুমকি, বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ১২:৩৬ পিএম
আপডেট: ২৩ জুন ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
সোনারগাঁয় প্রবাসীকে গুলি করে হত্যার হুমকি, বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার
ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয় সোহরাব হোসেন নামে এক সৌদি আরব প্রবাসীকে গুলি করে হত্যার হুমকির অভিযোগে শাহজাহান ভূঁইয়া নামে এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রবিবার (২২ জুন) রাতে সাদিপুর ইউনিয়নের আমগাঁও এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তার শাহজাহান সাদিপুর ইউনিয়ন ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি।

জানা যায়, সোহরাব এক সপ্তাহ আগে আমগাঁও এলাকায় তার বাড়ির পাশের একটি পুকুর মাছ চাষ করার জন্য প্রস্তুত করেন। পরে শাহজাহান ভূঁইয়া ও তার লোকজন তার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। দাবি করা চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় রবিবার দুপুরে শাহজাহানের নেতৃত্বে আলিফ ভূইয়া ও ফারজানা করিমসহ ১০-১২ জনের একটি দল সোহরাবকে মারধর করেন। এক পর্যায়ে শাহজাহান বন্দুক তাক করে তাকে গুলি করে হত্যার হুমকি দেন।

এ সময় সোহরাবের স্ত্রী ফাহমিদা পারভীন এগিয়ে আসলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। এ ঘটনায় প্রবাসী সোহরাব বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ করেন। 

এদিকে বিএনপি নেতা শাহজাহানের হাতে বন্দুক নিয়ে তর্কের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আমগাঁও এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুর রহমান বলেন, ‘অস্ত্রধারী বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার লাইসেন্স করা বন্দুকটি জব্দ করা হবে।’

ইমরান/পপি/

নারায়ণগঞ্জে সাবেক দুই কাউন্সিলরের সমর্থকদের সংঘর্ষে নিহত ২

প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৫, ০৯:৫৭ এএম
নারায়ণগঞ্জে সাবেক দুই কাউন্সিলরের সমর্থকদের সংঘর্ষে নিহত ২
ছবি: খবরের কাগজ

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে আধিপত্য বিস্তার ও ইজিবাইক স্ট্যান্ডের দখল নিয়ে সিটি করপোরেশনের সাবেক দুই কাউন্সিলরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে আব্দুল কুদ্দুসকে কুপিয়ে ও মেহেদী নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

শনিবার (২২ জুন) রাতে উপজেলার হাজারীবাগ ও সিরাজুদ্দৌলা ক্লাব মাঠের সামনে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত আটজন আহত হয়েছেন।

নিহত আব্দুল কুদ্দুস (৬০) হাজারীবাগ এলাকার বাসিন্দা ও মেহেদী (৩৮) মদনগঞ্জে বসবাস করতেন।

স্থানীয়রা জানান, বন্দরে আধিপত্য বিস্তার ও ইজিবাইক স্ট্যান্ডের দখল নিয়ে মহানগর বিএনপির বহিষ্কৃত দপ্তর সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকারের অনুসারী মেহেদী বাবু ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক-সাবেক কাউন্সিল আবুল কাউসার আশার অনুসারী জাফর রনির মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত শুক্রবার বিকেলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্রসহ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এর জেরে শনিবার রাত ৯টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন মুখোমুখি হলে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে আব্দুল কুদ্দুসকে কুপিয়ে আহত করে হান্নানের অনুসারীরা। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক  মৃত ঘোষণা করে। এসময় সংঘর্ষের খবর পেয়ে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষের পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে হান্নান সরকারের বাড়িসহ কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। পরে সিরাজুদ্দৌলা ক্লাব মাঠের সামনে তার সমর্থক মেহেদীকে আটক করে পিটিয়ে আহত করে আশার সমর্থকরা। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা মেহেদীকে উদ্ধার করে খানপুর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় বন্দর থানার আলাদা দুটি হত্যা মামলা হয়েছে জানিয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষে নিহত কুদ্দুস ও মেহেদীর মরদেহ নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদেরসহ সংঘর্ষকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযানে ইতোমধ্যে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

বিল্লাল হোসাইন/অমিয়/

মাদক সেবনের টাকার জন্য বাবাকে হত্যা করলেন ছেলে

প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৫, ০৯:৪০ পিএম
মাদক সেবনের টাকার জন্য বাবাকে হত্যা করলেন ছেলে
ছবি: খবরের কাগজ

যশোরের চৌগাছা উপজেলায় ছেলের হাতে বাবা হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলে রমিম ইসলামকে (২৩) আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও আদালতে মাদকসেবনের টাকা না দেওয়ায় এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন।

শনিবার (২১ জুন) যশোরের চৌগাছা আমলি আদালতে হাজির করলে রমিম ইসলাম বিচারকের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও আদালতে রমিম জানান, মাদকসেবনের টাকা না দেওয়ায় পিতার সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব চলছিল। বিয়ের পরেও কোনো কাজ না করে নিয়মিত বাবার কাছে টাকা চাইতেন তিনি। এসব নিয়ে পিতা শরিফুল ইসলাম প্রায়ই বকাঝকা ও মারধর করতেন। একপর্যায়ে তাদের আলাদা করে দেওয়া হয়। ক্ষোভ থেকে তিনি হত্যার পরিকল্পনা করেন এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী হামলা চালান। 

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী হাছিনা খাতুন বাদী হয়ে চৌগাছা থানায় হত্যা মামলা করলে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), যশোর। 

পিবিআই যশোর এর পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন জানান, গত ৭ মার্চ ভোরে চৌগাছা উপজেলার পাতিবিলা গ্রামের বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম (৪১) তার নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় তার স্ত্রী সেহরির প্রস্তুতির জন্য ঘুম থেকে উঠে বাইরে গেলে, তারই ছেলে রমিম ইসলাম ঘরে ঢুকে বাবাকে এলোপাতাড়ি চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান। আহত অবস্থায় শরিফুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের পরপরই পিবিআই ছায়া তদন্ত শুরু করে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রমিমের অবস্থান শনাক্ত করে ২০ জুন বিকেলে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা এলাকার ঠাকুরবাড়ি টেক থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তার দেখানো মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতিটি নিজ বাড়ির মাঠপাড়া এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। 

তুহিন/মেহেদী/

শাবিপ্রবি ছাত্রীকে ধর্ষণ-ভিডিও ধারণ, ২ ছাত্রলীগকর্মী গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৫, ০২:০২ পিএম
আপডেট: ২০ জুন ২০২৫, ০৪:১৯ পিএম
শাবিপ্রবি ছাত্রীকে ধর্ষণ-ভিডিও ধারণ, ২ ছাত্রলীগকর্মী গ্রেপ্তার
শান্ত তারা আদনান ও স্বাগত দাশ পার্থ

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এক আদিবাসী ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত শান্ত তারা আদনান ও স্বাগত দাশ পার্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের সাবেক সক্রিয় কর্মী। 

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ভুক্তভোগী ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর অভিযোগ করলে বিষয়টি জানাজানি হয়। 

পরে রাত সাড়ে ৯টায় তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক। 

তিনি জানান, তাদের একজনকে ক্যাম্পাস থেকে এবং আরেকজনকে সুরমা আবাসিক এলাকা থেকে আটক করা হয়। 

এর আগে কোতোয়ালি থানায় দুজনকে আসামি এবং একজনকে সন্দেহভাজন করে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলা করা হয়।

জানা যায়, গত ২ মে ভুক্তভোগী এবং অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থী সিলেট শহরের রিকাবিবাজারে একটি কনসার্টে গিয়েছিলেন। পরে তাকে চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে অচেতন করে মেসে নিয়ে যান এবং সেখানে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করা হয়। পরে তাকে সেই ভিডিও ও ছবির সাহায্যে ব্ল্যাকমেইল করা হয় যেন এ ব্যাপারে কারও সঙ্গে কথা না বলে।

আটকদের মধ্যে আদনান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় হামলার ঘটনায় করা একটি মামলার আসামি।

ইসফাক/পপি/