ঢাকা ১৬ বৈশাখ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

মেয়েকে ইভটিজিং, প্রতিবাদ করায় বাবাকে হত্যা!

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ পিএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২২ পিএম
মেয়েকে ইভটিজিং, প্রতিবাদ করায় বাবাকে হত্যা!
ছবি: খবরের কাগজ

রাজশাহীতে মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী নগরীর তালাইমারি শহীদ মিনার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত ব্যক্তির নাম আকরাম হোসেন (৪৫)। তিনি পেশায় বাসচালক এবং রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য।

নিহত বাসচালকের পরিবারের সদস্যরা জানান, আকরাম হোসেনের মেয়েকে এলাকার কয়েকজন বখাটে ইভটিজিং করত। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় আকরাম হোসেনের বাড়িতে গিয়ে ওই যুবকরা হুমকি দিয়ে আসে। একপর্যায়ে বুধবার রাত সাড়ে দশটার দিকে আকরাম হোসেনকে ইট দিয়ে আঘাত করে আহত করে ওই এলাকার নান্টু, বিশাল, রতনসহ বেশ কয়েকজন। পরে প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কিছুক্ষণ পর তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক হোসেন বলেন, 'বুধবার রাতে বোয়ালিয়া থানাধীন তালাইমারী শহীদ মিনারের পাশে উভয় পক্ষের মারামারিতে একজন গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ছেলে অনন্ত বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে একটি হত্যা মামলা করেছেন। এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তবে আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।' 

মেহেদী/

তেলের ট্রাক ছিনতাই করে চালক-হেলপারকে ধানখেতে ফেলে গেল ডাকাতদল

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫৫ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫৮ পিএম
তেলের ট্রাক ছিনতাই করে চালক-হেলপারকে ধানখেতে ফেলে গেল ডাকাতদল
ছবি: খবরের কাগজ

বগুড়ার মহাস্থানগড়ের ব্রিজ এলাকা থেকে সয়াবিন তেল ভর্তি একটি ট্রাক ছিনতাই করে ট্রাকের চালক ও তার হেলপারকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে জয়পুরহাটের কালাই পৌরশহরের পূর্বসড়াইল এলাকায় একটি ধানখেতে ফেলে যায় ডাকাতদল। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর তাদের উদ্ধার করা হয়। 

চালক আব্দুল মালেক (৪৫) রংপুর সদর উপজেলার বাবুগাঁও গ্রামের মৃত নূরুল ইসলামের ছেলে ও হেলপার নজরুল ইসলাম একই জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের বাসিন্দা।

জানা গেছে, রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে চট্টগ্রাম থেকে সয়াবিন তেল নিয়ে রংপুরের উদ্দেশে  আসার পথে সোমবার ভোরে বগুড়ার মহাস্থানগড় ব্রীজ এলাকায় পৌঁছালে ডাকাত দল ট্রাকের গতিরোধ করে চালক ও সহকারীকে মারধর করে আরেকটি ট্রাকে তুলে নেয়। এর পর তাদের ট্রাকটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় ডাকাতরা। পরে তারা মোকামতলা হয়ে রোড পরিবর্তন করে জয়পুরহাটের দিকে রওনা দেয়। কালাই উপজেলার পূর্বসড়াইল এলাকায় এসে চালক ও সহকারীকে তাদের হাত-পা বেঁধে এবং মুখ টেপ দিয়ে বন্ধ করে ধানখেতের ময়লার ভাগাড়ে ফেলে দেয়। পরে সন্ধ্যার আগে ধানখেত থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।

আহত চালক আব্দুল মালেক জানান, ডাকাতরা মারধরের পর তাদের গাড়ি নিয়ে পালিয়ে গেছে। রাত তিনটা থেকে বিকেল পর্যন্ত তারা ধানখেতের কাঁদা-পানিতে পড়ে ছিলেন, মুখে টেপ থাকায় সাহায্য চাইতেও পারেননি।

কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন জানান, ডাকাতির ঘটনায় তদন্তসহ লুট হওয়া ট্রাক ও মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

সাগর/মেহেদী/

নড়াইলে হত্যা মামলার আসামিকে খুন

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪০ পিএম
নড়াইলে হত্যা মামলার আসামিকে খুন
ছবি: খবরের কাগজ

নড়াইলের কালিয়ায় রফিকুল মোল্যা (৩৮) নামে এক হত্যা মামলার আসামির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের রিকাইল শেখের বাড়ির পেছন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

রফিকুল মোল্যা ওই গ্রামের আজিজুল মোল্যার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালিয়া উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের মিলন মোল্যা ও আফতাব মোল্যার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত ১১ এপ্রিল এই বিরোধের জেরে দুপক্ষের সংঘর্ষে আফতাব মোল্যা গ্রুপের ফরিদ মোল্যা (৫৭) নামে একজন নিহত হন। পরে এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী চম্পা বেগম বাদি হয়ে কালিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় মিলন মোল্যার পক্ষের সমর্থক রফিকুল ইসলামও আসামি ছিলেন। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। পরে মঙ্গলবার সকালে প্রতিপক্ষ আফতাব মোল্যা পক্ষের লোকজন রিকাইল শেখের বাড়ির পেছনে রফিকুলের পা বাঁধা মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে কালিয়া থানা পুলিশের একটি দল মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠায়।

কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে রয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনা কে বা কারা ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শরিফুল/মেহেদী/

সাবেক এমপি এনামুল হক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩৯ পিএম
সাবেক এমপি এনামুল হক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

রাজশাহী-৪ আসনের সাবেক এমপি এনামুল হক ও তার স্ত্রী তহুরা হকের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে নিয়মিত মিডিয়া বিফ্রিংয়ে মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান।

প্রথম মামলায় এনামুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে ১৮ কোটি ৮ লাখ ২৮ হাজার ৯২ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করে তা দখলে রেখেছেন। এ ছাড়া ২০০৭ সালের ১৪ আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি ও তার প্রতিষ্ঠানের নামে ২২টি ব্যাংক হিসাবে মোট ১ হাজার ১২০ কোটি ১৫ লাখ ৭৭ হাজার ২১৬ টাকা জমা এবং ১ হাজার ১১৯ কোটি টাকা উত্তোলন করেছেন, যার মোট পরিমাণ ২ হাজার ২৩৯ কোটি ১৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬০২ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন। উক্ত অর্থের উৎস গোপন করতে তা রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।

এই মামলায় এনামুল হকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা; মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলাটি করেছেন দুদকের সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম।

অপরদিকে, দ্বিতীয় মামলায় এনামুল হকের স্ত্রী তহুরা হক ও এনামুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তহুরা হক তার স্বামীর সহায়তায় জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে ৭ কোটি ৯৫ লাখ ৭ হাজার ৮২৭ টাকার সম্পদ অর্জন ও দখলে রেখেছেন। পাশাপাশি তার নামে থাকা দুটি ব্যাংক হিসাবে ২০২০ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৩ কোটি ৪০ লাখ ১৬ হাজার ২৫ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এই মামলায় উভয়ের বিরুদ্ধে একই আইনের ধারা ছাড়াও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অপরাধে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলাটি করেছেন দুদকের সহকারী পরিচালক আল-আমিন।

দুদক জানায়, তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে এবং অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের উৎস ও লেনদেনের বিস্তারিত অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। সূত্র: বাসস

সুমন/

যশোরে নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার, স্বামী-সতীন পলাতক

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২২ পিএম
আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩৯ পিএম
যশোরে নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার, স্বামী-সতীন পলাতক
ছবি: খবরের কাগজ

যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় নিজ বাসা থেকে স্বরূপজান নামে মধ্যবয়সী এক নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার দুর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের খাটুয়াডাঙ্গা গ্রাম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  

স্বরূপজান খাটুয়াডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রশিদ মিন্টুর দ্বিতীয় স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিন্টু গাজীর প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে স্বরূপজানের ভালো সম্পর্ক ছিল না। তাই স্বামীকে নিয়ে পাশেই ধানের চাতালসহ একটি বাড়িতে থাকতেন তিনি। প্রতিদিনের মতো রবিবার রাতে চাতালের কাজ শেষে বাড়িতে ঘুমান স্বরূপজান। সোমবার সকালে তিনি ঘুম থেকে না উঠায়, সতীনের মেয়ে ফাতেমা খাতুন ডাকাডাকি করেন। তিনি ঘরের দরজা খোলা দেখে ভেতরে ঢুকে স্বরূপজানের গলাকাটা উলঙ্গ মরদেহ দেখে চিৎকার করেন। এর পর স্থানীয়দের খবরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। দুপুরে মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয় ।

মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘নিহতের স্বামী মাদকাসক্ত। কয়েকদিন ধরে জমি সংক্রান্ত জেরে গোলযোগ চলছিল তাদের। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক দ্বন্দ্বে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। নিহতের স্বামী ও সতীন পলাতক রয়েছেন। আসামিদের আটকে অভিযান চালানো হচ্ছে।’

তুহিন/পপি/ 

যশোরে অপহৃত ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪৯ পিএম
আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২০ পিএম
যশোরে অপহৃত ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩
অপহৃত কাপড় ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম (বামে) এবং অপহরণকারী দুজন সবুজ ও রিপন (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত

যশোরে এক মাসেরও বেশি সময় আগে অপহৃত কাপড় ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার দক্ষিণ একসরা গ্রামের একটি বাগান থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত জানান, ঘটনার মূল অভিযুক্ত সবুজকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। অভিযানকালে সবুজের শ্বশুর খোকন মোল্লাকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, যশোর শহরের শংকরপুর ইসহাক সড়কের বাসিন্দা রেজাউল ইসলাম স্থানীয়ভাবে কাপড় ও টেইলার্সের ব্যবসা করতেন। তিনি কামরুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। একই বাড়িতে থাকতেন রিপন হাওলাদার ও সবুজ নামে দুই যুবক, যাদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

রেজাউল সম্প্রতি পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া বাড়িসহ দুই শতক জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। এর পর সবুজ ও রিপনের সহায়তায় বাড়িসহ জমিটি ২১ লাখ টাকায় বিক্রি করেন। সেই টাকা লেনদেনের কথা বলে গত ২২ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে রেজাউলকে মোবাইলে ডেকে নেন সবুজ ও রিপন। এর পর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। 

এ ঘটনায় পরিবার প্রথমে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। পরে অপহরণ ও গুমের অভিযোগে সবুজ ও রিপনসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

ওসি আবুল হাসনাত জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তদের সনাক্ত করে গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) চট্টগ্রাম থেকে সবুজ ও রিপনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা রেজাউলকে হত্যা ও মরদেহ গুমের কথা স্বীকার করেন।

তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, রেজাউলকে যশোরেই হত্যা করে মরদেহ বস্তাবন্দি করা হয়। এর পর ইজিবাইকে করে কিছুদূর নিয়ে গিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স ও পরে বাসে করে সাতক্ষীরায় নিয়ে যাওয়া হয়। সবুজ তার শ্বশুরবাড়ির পাশে একটি বাগানে মরদেহটি পুঁতে রাখে। পরে তার শ্বশুর খোকন মোল্লা মরদেহটি উত্তোলন করে পাশের আরেকটি বাগানে পুনরায় পুঁতে রাখেন।

এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং পুলিশ বলেছে, খুব শিগগিরই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে ব্রিফ করবেন।

তুহিন/তাওফিক/