ঢাকা ১৬ বৈশাখ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

শেওড়াপাড়ায় চাপাতি ঠেকিয়ে ছিনতাই ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫২ পিএম
শেওড়াপাড়ায় চাপাতি ঠেকিয়ে ছিনতাই ভিডিও ভাইরাল
রাজধানীর পশ্চিম শেওড়াপাড়ার একটি গলিতে বৃহস্পতিবার ভোররাতে ঘটে যাওয়া ছিনতাইয়ের ঘটনা। ভিডিও থেকে নেওয়া ছবি

রাজধানীর পশ্চিম শেওড়াপাড়ায় ইস্টওয়েস্ট স্কুলের পাশের গলিতে চাপাতি ঠেকিয়ে এক তরুণীর কাছ থেকে সোনার চেইন ও ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়েছে ছিনতাইকারীরা।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাল হয়েছে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ রোমন। তিনি জানান, ছিনতাইয়ের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। জড়িত একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, একটি রিকশায় দুজন যাত্রী একটি গলির মুখে এসে দাঁড়ান। যাত্রীদের একজন তরুণ, আরেকজন তরুণী। এ সময় মোটরসাইকেলে তিনজন এসে রিকশার সামনে থামেন। তাদের একজনের মাথায় হেলমেট ছিল। বাকি দুজনের একজনের গায়ে কালো শার্ট ও অপরজনের গায়ে সাদা টি-শার্ট। মুহূর্তেই সাদা টি-শার্ট ও কালো শার্ট পরা দুজন মোটরসাইকেল থেকে নেমে যান। সাদা শার্ট পরা ব্যক্তি কোমর থেকে একটি চাপাতি বের করেন। তিনি রিকশায় বসে থাকা তরুণীকে চাপাতি দিয়ে কোপ দেওয়ার অঙ্গভঙ্গি করেন এবং তরুণীর কাছ থেকে ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনিয়ে নেন। কালো শার্ট পরা লোকটি তরুণীর গলা থেকে একটি সোনার চেইন ও একটি কালো রঙের ব্যাগ ছিনিয়ে নেন। এ সময় মোটরসাইকেলটিকে ঘুরিয়ে রাস্তার পাশে রাখা হয়। চালক (হেলমেট পরা) ও তার দুই সহযোগী গলির পাশের একটি বাসার দিকে যান।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কিছুক্ষণ পর তিন ছিনতাইকারী একসঙ্গে এগিয়ে এসে মোটরসাইকেলে ওঠে। এ সময় রিকশায় তরুণীর সহযাত্রী তরুণটি এগিয়ে এসে কালো রঙের ব্যাগটি ফেরত চাইলে সেটি তার দিকে ছুড়ে মারে ছিনতাইকারীরা। পরে তারা মোটরসাইকেলে উঠে চলে যায়। 

সাবেক এমপি এনামুল হক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩৯ পিএম
সাবেক এমপি এনামুল হক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

রাজশাহী-৪ আসনের সাবেক এমপি এনামুল হক ও তার স্ত্রী তহুরা হকের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে নিয়মিত মিডিয়া বিফ্রিংয়ে মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান।

প্রথম মামলায় এনামুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে ১৮ কোটি ৮ লাখ ২৮ হাজার ৯২ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করে তা দখলে রেখেছেন। এ ছাড়া ২০০৭ সালের ১৪ আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি ও তার প্রতিষ্ঠানের নামে ২২টি ব্যাংক হিসাবে মোট ১ হাজার ১২০ কোটি ১৫ লাখ ৭৭ হাজার ২১৬ টাকা জমা এবং ১ হাজার ১১৯ কোটি টাকা উত্তোলন করেছেন, যার মোট পরিমাণ ২ হাজার ২৩৯ কোটি ১৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬০২ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন। উক্ত অর্থের উৎস গোপন করতে তা রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।

এই মামলায় এনামুল হকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা; মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলাটি করেছেন দুদকের সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম।

অপরদিকে, দ্বিতীয় মামলায় এনামুল হকের স্ত্রী তহুরা হক ও এনামুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তহুরা হক তার স্বামীর সহায়তায় জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে ৭ কোটি ৯৫ লাখ ৭ হাজার ৮২৭ টাকার সম্পদ অর্জন ও দখলে রেখেছেন। পাশাপাশি তার নামে থাকা দুটি ব্যাংক হিসাবে ২০২০ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৩ কোটি ৪০ লাখ ১৬ হাজার ২৫ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এই মামলায় উভয়ের বিরুদ্ধে একই আইনের ধারা ছাড়াও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অপরাধে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলাটি করেছেন দুদকের সহকারী পরিচালক আল-আমিন।

দুদক জানায়, তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে এবং অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের উৎস ও লেনদেনের বিস্তারিত অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। সূত্র: বাসস

সুমন/

যশোরে নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার, স্বামী-সতীন পলাতক

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২২ পিএম
আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩৯ পিএম
যশোরে নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার, স্বামী-সতীন পলাতক
ছবি: খবরের কাগজ

যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় নিজ বাসা থেকে স্বরূপজান নামে মধ্যবয়সী এক নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার দুর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের খাটুয়াডাঙ্গা গ্রাম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  

স্বরূপজান খাটুয়াডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রশিদ মিন্টুর দ্বিতীয় স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিন্টু গাজীর প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে স্বরূপজানের ভালো সম্পর্ক ছিল না। তাই স্বামীকে নিয়ে পাশেই ধানের চাতালসহ একটি বাড়িতে থাকতেন তিনি। প্রতিদিনের মতো রবিবার রাতে চাতালের কাজ শেষে বাড়িতে ঘুমান স্বরূপজান। সোমবার সকালে তিনি ঘুম থেকে না উঠায়, সতীনের মেয়ে ফাতেমা খাতুন ডাকাডাকি করেন। তিনি ঘরের দরজা খোলা দেখে ভেতরে ঢুকে স্বরূপজানের গলাকাটা উলঙ্গ মরদেহ দেখে চিৎকার করেন। এর পর স্থানীয়দের খবরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। দুপুরে মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয় ।

মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘নিহতের স্বামী মাদকাসক্ত। কয়েকদিন ধরে জমি সংক্রান্ত জেরে গোলযোগ চলছিল তাদের। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক দ্বন্দ্বে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। নিহতের স্বামী ও সতীন পলাতক রয়েছেন। আসামিদের আটকে অভিযান চালানো হচ্ছে।’

তুহিন/পপি/ 

যশোরে অপহৃত ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪৯ পিএম
আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২০ পিএম
যশোরে অপহৃত ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩
অপহৃত কাপড় ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম (বামে) এবং অপহরণকারী দুজন সবুজ ও রিপন (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত

যশোরে এক মাসেরও বেশি সময় আগে অপহৃত কাপড় ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার দক্ষিণ একসরা গ্রামের একটি বাগান থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত জানান, ঘটনার মূল অভিযুক্ত সবুজকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। অভিযানকালে সবুজের শ্বশুর খোকন মোল্লাকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, যশোর শহরের শংকরপুর ইসহাক সড়কের বাসিন্দা রেজাউল ইসলাম স্থানীয়ভাবে কাপড় ও টেইলার্সের ব্যবসা করতেন। তিনি কামরুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। একই বাড়িতে থাকতেন রিপন হাওলাদার ও সবুজ নামে দুই যুবক, যাদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

রেজাউল সম্প্রতি পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া বাড়িসহ দুই শতক জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। এর পর সবুজ ও রিপনের সহায়তায় বাড়িসহ জমিটি ২১ লাখ টাকায় বিক্রি করেন। সেই টাকা লেনদেনের কথা বলে গত ২২ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে রেজাউলকে মোবাইলে ডেকে নেন সবুজ ও রিপন। এর পর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। 

এ ঘটনায় পরিবার প্রথমে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। পরে অপহরণ ও গুমের অভিযোগে সবুজ ও রিপনসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

ওসি আবুল হাসনাত জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তদের সনাক্ত করে গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) চট্টগ্রাম থেকে সবুজ ও রিপনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা রেজাউলকে হত্যা ও মরদেহ গুমের কথা স্বীকার করেন।

তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, রেজাউলকে যশোরেই হত্যা করে মরদেহ বস্তাবন্দি করা হয়। এর পর ইজিবাইকে করে কিছুদূর নিয়ে গিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স ও পরে বাসে করে সাতক্ষীরায় নিয়ে যাওয়া হয়। সবুজ তার শ্বশুরবাড়ির পাশে একটি বাগানে মরদেহটি পুঁতে রাখে। পরে তার শ্বশুর খোকন মোল্লা মরদেহটি উত্তোলন করে পাশের আরেকটি বাগানে পুনরায় পুঁতে রাখেন।

এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং পুলিশ বলেছে, খুব শিগগিরই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে ব্রিফ করবেন।

তুহিন/তাওফিক/ 

টেকনাফে অস্ত্র-গুলিসহ এক অপহরণকারী আটক

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৬ পিএম
টেকনাফে অস্ত্র-গুলিসহ এক অপহরণকারী আটক
একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও চার রাউন্ড গুলিসহ আটক মো. রিদুয়ান। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের টেকনাফে অভিযান চালিয়ে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও চার রাউন্ড গুলিসহ মো. রিদুয়ান (২০) নামের একজন অপহরণকারীকে আটক করেছে পুলিশ। সে হ্নীলা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড উলুচামারী এলাকার আব্দুস সালাম ওরফে কালুর ছেলে।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের কোনারপাড়ার একটি বিলের মাঝখান থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে আটকসহ অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়।

অপহৃত ব্যক্তি হলেন, হ্নীলা ইউনিয়নের দক্ষিণ আলীখালী ক্যাম্প-২৫ সংলগ্ন ৮নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ সৈয়দের ছেলে ফরিদ উল্লাহ (৪৩)।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, গত ২৬ এপ্রিল রাতে হ্নীলা ইউনিয়নের উলুচামারী স্কুলের পাশ দিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে ফরিদ উল্লাহকে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী পাহাড়ে নিয়ে যায়। পরে অপহৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ অভিযান চালালে অপহৃত ব্যক্তিকে রেখে অপহরণকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের সহায়তায় একজনকে (রিদুয়ান) আটক করা হয়। পাশাপাশি অপহৃত ফরিদকে উদ্ধার করা হয়। 

তিনি জানান, আটক ব্যক্তির কাছ থেকে একটি দেশীয় ওয়ান শুটার গান ও চার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। তবে এই ঘটনায় জড়িত অন্য অপহরণকারীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

শাহীন/তাওফিক/  

চাঁদপুরে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যসহ গ্রেপ্তার ১১

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৫ এএম
চাঁদপুরে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যসহ গ্রেপ্তার ১১
চাঁদপুর

চাঁদপুরে কিশোর গ্যাংয়ের ৭ সদস্যসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। এদের মধ্যে চারজন মাদক কারবারি রয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) থেকে গত শুক্রবার রাত পর্যন্ত চাঁদপুর সদর, কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে চাঁদপুর সদর আর্মি ক্যাম্পের অপারেশনাল অফিসার লেফটেন্যান্ট জাবিদ হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। 
তিনি বলেন, স্থানীয় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পৃথক অভিযানে সেনাবাহিনী ও থানা-পুলিশ তালিকাভুক্ত মাদক কারবারি ও কিশোর গ্যাং সদস্যদের গ্রেপ্তার করে।

এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার হরিণা ফেরিঘাট এলাকা থেকে হেলাল (২২) ও মাসুদ (২৬) নামে দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

একই দিন রাত সোয়া ১টার দিকে কচুয়া উপজেলার পলাশপুর এলাকা থেকে মো. মোহসীন (৩০) ও মো. এরশাদ খান (৪০) নামে দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার কা হয়। তাদের কাছ থেকে ২১ পিস ইয়াবা, নগদ ১৫ হাজার টাকা ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
একই রাতে চাঁদপুর প্রেসক্লাবসংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আপন (১৯), শিপন (১৯), ফারহান (১৮) নামে কিশোর গ্যাংয়ের তালিকাভুক্ত তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৩টি চায়নিজ কুড়াল, ৩টি রাম দা ও একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়। 

অন্যদিকে গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে ফরিদগঞ্জ উপজেলার কাশারা এলাকা থেকে তালিকাভুক্ত কিশোর গ্যাংয়ের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন মো. হৃদয় (১৮), তাহমিদ হোসেন (১৯), মামুন মিয়া (১৮) ও শাহেদ মোল্লা (১৭)।

লেফটেন্যান্ট জাবিদ হাসান আরও বলেন, উদ্ধার করা মালামালসহ গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের স্ব-স্ব থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।