
ভুয়া ঘোষণা ও ভুয়া নথিপত্রের মাধ্যমে আমদানি করা ১ কোটি ২৫ লাখ শলাকা সিগারেট জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। কমলার ঘোষণা দিয়ে ১ কোটি ২৫ লাখ শলাকা সিগারেট আমদানি করা হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে। এ চালানে ৩০ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকি দেওয়া চেষ্টা করেছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান রাজধানীর মালিবাগের আহসান কর্পোরেশন। পণ্য চালানটি জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। এ চালানটি খালাসের দায়িত্বে ছিল চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের সিএন্ডএফ এজেন্ট দিবা ট্রেডিং লিমিটেড।
বৃহস্পতিবার (২২মে) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার রাতে সংবুক্ত আরব আমিরাত থেকে আসা একটি ৪০ ফুটের কনটেইনার লক করেন কর্মকর্তারা। বন্দরে অভ্যান্তরে পরীক্ষা নীরীক্ষা শেষে ১ হাজার ২৫০ কার্টন ল্যামার নেনো ওয়াইট ও অস্কার ব্র্যান্ডের সিগারেট পাওয়া যায়। যার মধ্যে শলাকা ১ কোটি ২৫ লাখ। এছাড়া মাত্র ৩৮৮ কার্টন কমলা পাওয়া যায়। যার ওজন মাত্র ৫ হাজার ৪৩২ কেজি।
কাস্টমসের নথি অনুযায়ী, ঢাকাভিত্তিক আমদানিকারী প্রতিষ্ঠান আহসান করপোরেশন গত ১৫ মে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা একটি চালানে কমলালেবুর কথা ঘোষণা করেছিল। আমদানিকারকের পক্ষে এ পণ্য চালান খালাসের দায়িত্বে ছিল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট দিবা ট্রেডিং লিমিটেডকে।
কাস্টমসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার কর্মকর্তারা জানান, বন্দর থেকে পণ্য খালাসের জন্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের দাখিল করা নথিপত্র ভুয়া বলে সন্দেহ হয়। পরে একটি দল সরেজমিনে পরীক্ষা করে সিগারেটের কন্টেইনারটি খুঁজে পায়।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, কন্টেইনারটি কমলালেবু হিসেবে ঘোষণা করে আমদানি করা হয়েছিল। কমলালেবু আমদানিতে করের হার ৯০ শতাংশ। সিগারেটের ক্ষেত্রে এই হার ৩২০ শতাংশ থেকে ৬০০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। আমরা অস্কার ও ল্যামার ব্যান্ডের ১ কোটি ২৫ লাখ শলাকা সিগারেট পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্তের পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাত্তার/সিফাত/