ঢাকা ২৭ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
English
শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২

খুলনায় একই রাতে আরও ২ যুবককে হত্যা

প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৫, ০৯:২৪ এএম
আপডেট: ২৭ মে ২০২৫, ০৯:২৬ এএম
খুলনায় একই রাতে আরও ২ যুবককে হত্যা
ছবি: সংগৃহীত

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে খুলনায় একের পর এক খুন হচ্ছে। এসব হত্যাকাণ্ডের পেছনে মাদক কারবারি, পরকীয়া ও আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্ব রয়েছে। 

সর্বশেষ রবিবার (২৫ মে) রাত ১২টার সময় খুলনার রূপসায় মো. রনি নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা ও নগরীর এমএ বারী সড়কে মো. গোলাম নামে আরেক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। এ নিয়ে গত চার দিনে চারটি হত্যার ঘটনা ঘটল।

পুলিশ জানায়, রবিবার রাত ১২টার সময় রূপসার মোছাব্বরপুর গ্রামে রনিকে গুলি করা হয়। রাত সাড়ে ১১টার সময় রনির মোবাইলে একটি ফোন এলে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। কিছু দূরে কয়েকটি গুলির শব্দ শোনা যায়। স্থানীয়রা গুলির শব্দ পেয়ে বের হয়ে মাঠের ভেতরে তার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। নিহত যুবক ওই এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি বলে জানা গেছে। 

অন্যদিকে রাত সাড়ে ১২টার সময় নগরীর সোনাডাঙ্গার এম এ বারী সড়কে মো. হোসেন নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তিনি হরিণটানা থানার ময়ূর আবাসিক এলাকার মো. আলী হোসেনের ছেলে। এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাতে রূপসার শ্রীফলতলায় স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে আবদার শেখ (৪৫) নামে এক প্রতিবেশীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে মনি শেখ। একই সঙ্গে স্ত্রী তানজিলা বেগমকে (৩৫) কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। 

স্ত্রীকে ১১ টুকরা করে হত্যা

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৫, ১২:২৩ পিএম
আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৫, ০২:৫৫ পিএম
স্ত্রীকে ১১ টুকরা করে হত্যা
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের বায়েজিদে একটি ফ্ল্যাট বাসায় ফাতেমা আক্তার (৩২) নামে এক গৃহবধূকে ১১ টুকরা করে হত্যার পর পালিয়েছেন স্বামী সুমন। 

বুধবার (৯ জুলাই) রাত দেড়টার দিকে রৌফাবাদ এলাকায় পাহাড়িকা হাউজিংয়ের এফ জেড টাওয়ারের একটি ফ্ল্যাট বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

ফাতেমা আক্তারের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। তার বাবার নাম কামাল উদ্দিন। দেড় মাস আগে এ জেড টাওয়ারের দশম তলায় ভাড়ায় বাসা নেন সুমন ও ফাতেমা। তাদের সিফাত নামে আট বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। 

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ ধারণা করছে, পারিবারিক বিরোধের জেরে সুমন ধারালো অস্ত্র দিয়ে ১১ টুকরো করে হত্যা করেন তার স্ত্রীকে। সুমনের পেশা গাড়িচালক বলে জানা গেছে। 

এফ জে টাওয়ারের কেয়ারটেকার বলেন, ‘ফ্ল্যাট থেকে বিভিন্ন ধরনের শব্দ আসছিল। আমিসহ আরও কয়েকজন কিসের শব্দ হচ্ছে তা দেখতে যাই। দশম তলায় গেলে দরজা বন্ধ করে রাখে নিহতের স্বামী। পরে দরজা খুললে ফাতেমার দেহের টুকরো পড়ে থাকতে দেখি। এ সময় আমরা সুমনকে একটি রুমে আটকে রাখি। ওই রুমের জানালার গ্রিল কেটে দশ তলা থেকে সে পালিয়ে যায়।’ 

সিএমপির অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার মাহমুদা বেগম বলেন, ‘পাহাড়িকা হাউজিংয়ের এফ জেড টাওয়ারে গৃহবধুকে হত্যার ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ড বলে ধারনা করছি। নিহতের স্বামী পলাতক থাকলেও তাকে ধরতে অভিযান চলছে।’

এ বিষয়ে বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘ওই নারীকে হত্যায় ছুরি ও চাপাতি ব্যবহার করা হয়েছে। হাড় থেকে মাংস কেটে ফেলা হয়েছে। ১১টি টুকরা ঘরের মেঝেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যান খুনি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’

আবদুস/মৌসুমী/পপি/

ছেলের হামলায় আহত মা, স্বজনদের মারধরে নিহত ছেলে

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ০১:২৯ পিএম
আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৫, ০১:৫৪ পিএম
ছেলের হামলায় আহত মা, স্বজনদের মারধরে নিহত ছেলে
নিহত মাহাবুবুল ইসলাম বাবু

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাকে মারধর করায় প্রতিবেশী ও স্বজনদের পিটুনিতে মাদকাসক্ত ছেলের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (৯ জুলাই) রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর হাট বাঘাইরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে ।

নিহত যুবকের নাম মাহাবুবুল ইসলাম বাবু (২৮)। সে বাঘাইরপাড়া গ্রামের শীষ মোহাম্মদের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, সকালে বাবু তার মাকে মারধর করেন। এতে বাবুর মা আহত হন। নিজ মাকে মারধর করায় শাসন করতে গিয়ে প্রতিবেশী ও স্বজনদের মারধরে বাবুর মৃত্যু হয়।

নিহতের মা হেনা বেগম বলেন, সকালে আমি আম কাটছিলাম বাবু টাকা চেয়ে না পেয়ে আমাকে আম দিয়ে আঘাত করে। এ সময় আমার স্বামী বাবুকে শাসন করতে গেলে তাকেও মারধর করে। পরে তাদেরকে ছুটাতে গেলে আমাকে ইট দিয়ে মেরে আহত করে। ছেলেকে শাসন করার জন্য স্বজনদের বললে এ সময় স্বজনরা বাবুকে শাসন করার জন্য মারধর করলে রাতে আমার ছেলে মারা যায়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান জানান, নিহত বাবু মাদক কেনার জন্য তার মায়ের কাছে টাকা চেয়ে না পেয়ে নিজ মাকে মারধর করে। বাবুর ইটের আঘাতে মায়ের গাল ও কানে আঘাত পায়। এ ঘটনার পর রাত সাড়ে আটটার দিকে বাবু বাড়ি ফিরে আসলে তার স্বজন ও প্রতিবেশীরা শাসনের উদ্দেশ্যে বেঁধে পিটায়। এতে ঘটনাস্থলে বাবু মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন। 

আসাদুল্লাহ/মেহেদী/

মিরসরাইয়ে ভাগনের ছুরিকাঘাতে মামা খুন

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ১০:৩৫ এএম
মিরসরাইয়ে ভাগনের ছুরিকাঘাতে মামা খুন
নিহত হারুন অর রশিদ

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বৈঠকের মধ্যে আপন ভাগনে শাহীন আলমের ছুরিকাঘাতে মামা হারুন অর রশিদ (৪৫) নিহত হয়েছেন। ঘটনার পর থেকে ভাগনে শাহীন আলম পলাতক রয়েছেন।

বুধবার (৯ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মিরসরাই সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মধ্যম তালবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত হারুন ওই এলাকার মো. সেকান্দারের ছেলে এবং ভাগনে শাহীন আলম একই বাড়ির মো. হালিমের ছেলে। হারুনের দুই সন্তান রয়েছে। সে সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী। কিছুদিন আগে ছুটিতে দেশে এসেছেন।

নিহত হারুনের চাচাতো ভাই মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার চাচা সেকান্দারের সঙ্গে আমার চাচাতো ভাই হারুন ও তার বোন শাহানার  হাঁটার পথ ও পানি যাওয়ার একটি জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিরোধের মীমাংসার জন্য বুধবার আসরের নামাজের পর তাদের বাড়িতে বৈঠকে বসলে বোন ভাগনের সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ভাগনেকে মামা একটি চড় দেন। এরপর ভাগনে ঘরে গিয়ে চুরি এনে কিছু বুঝে ওঠার আগেই মামার বুকে ছুরিকাঘাত করে। এরপর আমরা গাড়ি দিয়ে তাকে দ্রুত মিরসরাই সেবা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আনোয়ার আরও বলেন, 'হারুনের বোন খুব খারাপ প্রকৃতির। সে বৈঠকের শুরু থেকে উত্তেজিত ছিল। ছেলে ছুরিকাঘাত করার পর মা কৌশলে ছেলেকে পার করে দিয়েছেন। আমরা খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।'

মিরসরাই সেবা আধুনিক হাসপাতালে জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. রুম্মান জানান, ভিকটিমকে হাসপাতালে আনার পর পরীক্ষানিরীক্ষা করে দেখি, হাসপাতালের নিয়ে আসার আগে মারা গেছেন। তার বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে পুলিশের তিনটি টিম আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মেহেদী/

ইমো হ্যাক করে টাকা আত্মসাৎ, ১২ জন কারাগারে

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৫:১০ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৫:১০ পিএম
ইমো হ্যাক করে টাকা আত্মসাৎ, ১২ জন কারাগারে
ইমো হ্যাক করে টাকা আত্মসাৎ করায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। ছবি: সংগৃহীত

নাটোরের লালপুর থেকে ইমো হ্যাকিং ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। এদের মধ্যে চারজনের বিরুদ্ধে মাদক আইনে ও আটজনের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।

বুধবার (৯ জুন) ভোরে উপজেলার বিলমারিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পরে দুপুরে আদালতের আদেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। 

দীর্ঘদিন থেকেই তারা ইমো হ্যাক করে দেশি-বিদেশি ও প্রবাসীদের অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিল। এর পাশাপাশি কেউ কেউ চালাত মাদক ব্যবসা।

আসামিরা হলো- লালপুর উপজেলার রিয়াজ আহমেদ (২০) ও তার ভাই রাব্বি (২২), বিলমারিয়ার  সঞ্জিৎ মন্ডল (১৯), একই এলাকার প্রান্ত মন্ডল (২২), মুরাদ (৩৭), রাজশাহীর বাঘা থানার চক সাজারী এলাকার রাসেল (২৯), লালপুরের মোহরকয়া এলাকার আবির হেসেন (১৮), বিলমারিয়ার সাগর (১৮), মোহরকয়া এলাকার মোমিন (১৯), একই এলাকার কাওছার (২৪) ও রিয়াজ (২২) এবং  বড় বাধকয়া এলাকার কাইছার (২২)। 

লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুজ্জামান বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গ্রেপ্তারের সময় আসামিদের কাছ থেকে ২৮টি মোবাইল ফোন, ৩০টি সিমকার্ড ও মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। বুধবার দুপুরে চালান দিলে তাদের কারাগারে পাঠান আদালত।

কামাল/পপি/

রূপগঞ্জে পারভেজ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন, চিকিৎসক ও ব্যাংককর্মী গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৩:১৪ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫৩ পিএম
রূপগঞ্জে পারভেজ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন, চিকিৎসক ও ব্যাংককর্মী গ্রেপ্তার
ছবি: খবরের কাগজ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সমকামিতার জেরে পারভেজ হাসান (৩৫) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ চিকিৎসক আরমান হোসেন (৩৮) ও ব্যাংককর্মী মেহেদী হাসান ইমন (২৬) নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

গতকাল রবিবার রাতে কুমিল্লার মুরাদনগর ও তারাব এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে গ্রেপ্তারদের নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তারদের তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) পারভেজকে সমকামিতার সম্পর্কের জেরে একটি সংঘবদ্ধ চক্র হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করে আমলাবর এলাকায় তার ভাড়া বাসার ছাদে ফেলে যায়। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। 

গ্রেপ্তাররা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন।

নিহত পারভেজ হাসান পাবনা সদর উপজেলার বাসিন্দা।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, পারভেজ হত্যায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার মেহেদী কুমিল্লা মুরাদনগর থানায় আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। অপর অভিযুক্ত ডা. আরমান ইউএস-বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক।

তদন্তে জানা যায়, উপজেলার আমলাব এলাকায় অবস্থিত গিয়াস উদ্দিন মোল্লার বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করতেন নিহত পারভেজ হাসান। ওই বাসায় গ্রেপ্তার আরমান ও মেহেদীসহ তার সহকর্মীরা আসা-যাওয়া করতেন। এছাড়া পারভেজ হাসানের সমকামী সঙ্গী হিসেবে প্রায় সময় মেহেদী বসবাস করতেন। পাশাপাশি ডা. আরমানেরও সমকামিতার সম্পর্ক ছিল। অভিযুক্তদের সমকামিতা সম্পর্ক নিয়ে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এই দ্বন্দ্বের জেরে অভিযুক্তরা পারভেজকে কুপিয়ে আহত করে চলে যায়। পরবর্তীতে রক্তক্ষরণে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে পরের দিন (৪ জুলাই) পারভেজের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ তদন্তে নামে। পরে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে।

অভিযুক্তদের অধিকতর তদন্তের স্বার্থে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার জড়িত আরও কেউ থাকলে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

রুবেল/রিফাত/