ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
English

সন্ত্রাসী ঢাকাইয়া আকবর হত্যা: শীর্ষ সন্ত্রাসী বড় সাজ্জাদের ভাই-ভাগনে গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৫, ০৪:০১ পিএম
আপডেট: ২৭ মে ২০২৫, ০৪:০৮ পিএম
সন্ত্রাসী ঢাকাইয়া আকবর হত্যা: শীর্ষ সন্ত্রাসী বড় সাজ্জাদের ভাই-ভাগনে গ্রেপ্তার
শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলী খানের (বড় সাজ্জাদ) ভাই ওসমান আলী ও ভাগনে মো. আলভিন

চট্টগ্রামের আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী আলী আকবর ওরফে ঢাকাইয়া আকবরকে গুলি করে হত্যার মামলায় বিদেশে পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলী খানের (বড় সাজ্জাদ) ভাই ওসমান আলী ও ভাগনে মো. আলভিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা দুজনেই আকবর হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। 

সোমবার (২৬ মে) রাতে নগরের পাঁচলাইশ এলাকায় পুলিশ ও র‍্যাবের পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আলভিন ও ওসমান আলী চান্দগাঁও থানাধীন ফরিদাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এ. আর. এম মোজাফফর হোসেন ও পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম।

জানা গেছে, গত শুক্রবার (২৩ মে) রাতে নগরের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে আড্ডা দেওয়ার সময় শীর্ষ সন্ত্রাসী আলী আকবরকে (ঢাকাইয়া আকবর) গুলি করা হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার (২৫ মে) তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় আকবরের স্ত্রী রূপালী বেগম বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২-৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে পতেঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

এ ছাড়া এ ঘটনায় ওইদিন মহিম ইসলাম রাতুল নামে এক শিশু ও জান্নাতুল বাকি নামে এক দর্শনার্থীও গুলিবিদ্ধ হন।

র‌্যাব- জানায়, নিহত আলী আকবর নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন হামিদপুর পূর্ব মসজিদ এলাকার বাসিন্দা। তিনি ইট-বালুর ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। আসামিদের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের আধিপত্য বিস্তার ও ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে বিরোধ চলছিল। অভিযান চালিয়ে পুলিশ ওসমান আলী ও আলভিনকে র‌্যাব গ্রেপ্তার করেছে।

মেহেদী/

ইমো হ্যাক করে টাকা আত্মসাৎ, ১২ জন কারাগারে

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৫:১০ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৫:১০ পিএম
ইমো হ্যাক করে টাকা আত্মসাৎ, ১২ জন কারাগারে
ইমো হ্যাক করে টাকা আত্মসাৎ করায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। ছবি: সংগৃহীত

নাটোরের লালপুর থেকে ইমো হ্যাকিং ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। এদের মধ্যে চারজনের বিরুদ্ধে মাদক আইনে ও আটজনের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।

বুধবার (৯ জুন) ভোরে উপজেলার বিলমারিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পরে দুপুরে আদালতের আদেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। 

দীর্ঘদিন থেকেই তারা ইমো হ্যাক করে দেশি-বিদেশি ও প্রবাসীদের অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিল। এর পাশাপাশি কেউ কেউ চালাত মাদক ব্যবসা।

আসামিরা হলো- লালপুর উপজেলার রিয়াজ আহমেদ (২০) ও তার ভাই রাব্বি (২২), বিলমারিয়ার  সঞ্জিৎ মন্ডল (১৯), একই এলাকার প্রান্ত মন্ডল (২২), মুরাদ (৩৭), রাজশাহীর বাঘা থানার চক সাজারী এলাকার রাসেল (২৯), লালপুরের মোহরকয়া এলাকার আবির হেসেন (১৮), বিলমারিয়ার সাগর (১৮), মোহরকয়া এলাকার মোমিন (১৯), একই এলাকার কাওছার (২৪) ও রিয়াজ (২২) এবং  বড় বাধকয়া এলাকার কাইছার (২২)। 

লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুজ্জামান বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গ্রেপ্তারের সময় আসামিদের কাছ থেকে ২৮টি মোবাইল ফোন, ৩০টি সিমকার্ড ও মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। বুধবার দুপুরে চালান দিলে তাদের কারাগারে পাঠান আদালত।

কামাল/পপি/

রূপগঞ্জে পারভেজ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন, চিকিৎসক ও ব্যাংককর্মী গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৩:১৪ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫৩ পিএম
রূপগঞ্জে পারভেজ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন, চিকিৎসক ও ব্যাংককর্মী গ্রেপ্তার
ছবি: খবরের কাগজ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সমকামিতার জেরে পারভেজ হাসান (৩৫) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ চিকিৎসক আরমান হোসেন (৩৮) ও ব্যাংককর্মী মেহেদী হাসান ইমন (২৬) নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

গতকাল রবিবার রাতে কুমিল্লার মুরাদনগর ও তারাব এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে গ্রেপ্তারদের নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তারদের তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) পারভেজকে সমকামিতার সম্পর্কের জেরে একটি সংঘবদ্ধ চক্র হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করে আমলাবর এলাকায় তার ভাড়া বাসার ছাদে ফেলে যায়। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। 

গ্রেপ্তাররা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন।

নিহত পারভেজ হাসান পাবনা সদর উপজেলার বাসিন্দা।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, পারভেজ হত্যায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার মেহেদী কুমিল্লা মুরাদনগর থানায় আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। অপর অভিযুক্ত ডা. আরমান ইউএস-বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক।

তদন্তে জানা যায়, উপজেলার আমলাব এলাকায় অবস্থিত গিয়াস উদ্দিন মোল্লার বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করতেন নিহত পারভেজ হাসান। ওই বাসায় গ্রেপ্তার আরমান ও মেহেদীসহ তার সহকর্মীরা আসা-যাওয়া করতেন। এছাড়া পারভেজ হাসানের সমকামী সঙ্গী হিসেবে প্রায় সময় মেহেদী বসবাস করতেন। পাশাপাশি ডা. আরমানেরও সমকামিতার সম্পর্ক ছিল। অভিযুক্তদের সমকামিতা সম্পর্ক নিয়ে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এই দ্বন্দ্বের জেরে অভিযুক্তরা পারভেজকে কুপিয়ে আহত করে চলে যায়। পরবর্তীতে রক্তক্ষরণে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে পরের দিন (৪ জুলাই) পারভেজের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ তদন্তে নামে। পরে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে।

অভিযুক্তদের অধিকতর তদন্তের স্বার্থে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার জড়িত আরও কেউ থাকলে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

রুবেল/রিফাত/

মুরাদনগরে ট্রিপল মার্ডার: স্বীকারোক্তি দেননি বাচ্চু মেম্বার

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০১:০৯ পিএম
মুরাদনগরে ট্রিপল মার্ডার: স্বীকারোক্তি দেননি বাচ্চু মেম্বার
ছবি: খবরের কাগজ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজারের কড়ইবাড়ি গ্রামে মা ও দুই সন্তানকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়া আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে রাজি হলেও শেষ পর্যন্ত দেননি।

রবিবার (৬ জুলাই) বিকেলে আদালতে হাজির হয়ে জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ার প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর তা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর পর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ নিয়ে এই মামলায় মোট আটজনকে কারাগারে পাঠানো হলো।

ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়া কড়ইবাড়ি গ্রামের মৃত আলী আকবরের ছেলে। তিনি এই হত্যামামলার এজহারনামীয় ৩ নম্বর আসামি। এ মামলায় তার ছেলে আতিকুর রহমানকেও আসামি করা হয়েছে।

গত ৪ জুলাই মাদক সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে বাড়িতে হামলা চালিয়ে রোকসানা বেগম রুবি, তার মেয়ে জোনাকি আক্তার ও ছেলে রাসেল মিয়াকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।  

এই ঘটনার দুই দিন পর নিহত রুবির মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে ৩৮ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত ২৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

৫ জুলাই সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীর অভিযানে আটক নাজিমুদ্দিন বাবুল ও ছবির আহমেদকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন ৬ জুলাই র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন বাচ্চু মিয়া, রবিউল আওয়াল, আতিকুর রহমান, মো. বায়েজ মাস্টার, দুলাল ও আকাশ। 

রবিবার (৬ জুলাই) রাত ১০টার দিকে কুমিল্লার আদালত পরিদর্শক সাদেকুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার ৮ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের রিমান্ডের আবেদন করা হবে। 

জহির শান্ত/মৌসুমী

শারীরিক সম্পর্কের পর যেভাবে হত্যা করা হয় সুফিয়াকে

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৫, ১০:২৯ এএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৫, ১০:৫৩ এএম
শারীরিক সম্পর্কের পর যেভাবে হত্যা করা হয় সুফিয়াকে
গ্রেপ্তার রোহান মিয়া

ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার নারীর সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করেন যুবক রোহান মিয়া। মোবাইল ফোনে কথা বলার একপর্যায়ে দুজনের বিশ্বস্ততা তৈরি হয়। পরে রোহান ওই নারীর সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা করেন। সে অনুযায়ী দেখাও হয় তাদের। কিন্তু বাড়ি ফিরে যেতে পারেনি ওই নারী। শারীরিক সম্পর্কের পর টাকা আর মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে তাকে হত্যা করে মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

রবিবার (৬ জুলাই) ভোরে ফুলপুর উপজেলার বেপারীপাড়া এলাকা থেকে রোহান মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার রোহান (২৫) তারাকান্দা উপজেলার দাদরা গ্রামের বাসিন্দা। নিহত সুফিয়া খাতুন (৩৪) ফুলপুর উপজেলার পাতিলগাঁও গ্রামের বাসিন্দা।

পিবিআই জানায়, রোহান তার এক বন্ধুর কাছ থেকে সুফিয়ার মোবাইল নম্বরটি সংগ্রহ করেন। এরপর প্রেমের অভিনয় করে সুফিয়াকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন রোহান। গত ২৯ জুন সুফিয়া তারাকান্দা বাজারে ছাগল বিক্রি করতে আসলে রোহান তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। এ সময় সুফিয়াকে নিয়ে ঘুরার কথা বলে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে রাত ৯টার দিকে রোহান তার এলাকার গেসু মিয়ার পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে সুফিয়ার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয়।

শারীরিক সম্পর্ক শেষে একপর্যায়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। এ অবস্থায় সুফিয়া উত্তেজিত হয়ে রোহানকে চড় মারলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সুফিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এর পর হত্যাকাণ্ড গোপন করতে মরদেহ পাশের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে সুফিয়ার সঙ্গে থাকা চার হাজার টাকা ও মোবাইল ফোনটি নিয়ে আত্মগোপনে চলে যায় রোহান।

এদিকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুফিয়ার খুঁজ না পেয়ে তার ছোট ভাই ইলিয়াস থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ৩ জুলাই সকাল ১০টার দিকে দাদরা গ্রামে পরিত্যক্ত বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে বিকট দুর্গন্ধ বের হলে ঢাকনা খুলে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে গলিত মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করে পিবিআই।

এ বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মো. রকিবুল আক্তার বলেন, ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটন করতে পিবিআই সদস্যরা ছায়া তদন্ত শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় রোহানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার হেফাজত থেকে সুফিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়। বিকেলে রোহানকে আদালতের পাঠানো হয়েছে।

কামরুজ্জামান/রিফাত/

মুরাদনগরে তিন খুনের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ২

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৫, ০১:৪২ পিএম
মুরাদনগরে তিন খুনের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ২
সবির আহমেদ ও নাজিমউদ্দীন বাবুল

কুমিল্লার মুরাদনগরে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এই ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (৪ জুলাই) রাতে নিহত রুবি বেগমের মেয়ে রিক্তা আক্তার মামলাটি করেন। মামলায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লালসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

এদিকে, হত্যাকাণ্ডের পর সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে আকবপুর এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন- সবির আহমেদ ও নাজিমউদ্দীন বাবুল। তাদেরকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার সকালে কড়ইবাড়ি গ্রামে মোবাইল চুরির সন্দেহে খলিলুর রহমানের স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

স্থানীয়দের দাবি, নিহত পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসাসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিল। 

তবে তদন্ত শেষ না হওয়া কিছু বলতে নারাজ পুলিশ।

বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেছেন, আটক দুজনকে আজই কুমিল্লা আদালতে তোলা হবে।

শুক্রবার রাতে পুলিশের তত্ত্বাবধায়নে কয়েকজন মাদরাসার শিক্ষার্থীকে দিয়ে নিহতদের জানাজা ও দাফন করানো হয়। - ইউএনবি

অমিয়/