ঢাকা ২ শ্রাবণ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২

বেনাপোলে বিএনপি কর্মী হত্যায় ২ জন গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২৫, ০৩:৩০ পিএম
বেনাপোলে বিএনপি কর্মী হত্যায় ২ জন গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার আহসান কবির ও রিপন হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

বেনাপোলে বোমা হামলা চালিয়ে বিএনপি কর্মী হত্যার ঘটনার মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রবিবার (৮ জুন) রাতে পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলো- যশোর কোতোয়ালী থানার ছোট মেঘলা (চাঁচড়া) গ্রামের আহসান কবির (৩১) ও বেনাপোল পোর্ট থানার ডুবপাড়া গ্রামের রিপন হোসেন (৩০)।

বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ডুবপাড়া গ্রামে ঈদের নামাজকে কেন্দ্র করে বিরোধে গত শনিবার রাতে সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় বিএনপি কর্মী আব্দুল হাই (৫০) নিহত হন। এই ঘটনায় পোর্ট থানায় একটি হত্যা মামলা হয়।

বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল মিয়া জানান, আসামিদের প্রেপ্তারের পর যশোর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। 

নজরুল ইসলাম/অমিয়/

সাভারে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, কিশোর গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৪:১০ পিএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৪:৫০ পিএম
সাভারে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, কিশোর গ্রেপ্তার
ছবি: খবরের কাগজ

ঢাকার সাভারে এক কিশোরীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে সাব্বির হোসেন (১৬) নামে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ। 

এর আগে ভোরে সাভারের কাউন্দিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাব্বিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় পলাতক এক নারী ও দুই যুবক জড়িত রয়েছে।

সাব্বির বরগুনার চান্দুখালি গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়নের বাকসাত্তা গ্রামের চাঁদনী (১৪), কেচি রাকিব (২৫) ও আশিক (২০) পলাতক রয়েছে। 

মামলার এজাহারসূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরী তার বাবা, মা ও ভাই-বোনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কাউন্দিয়ার বাগসাত্তা গ্রামে বসবাস করে। গত ১৩ জুলাই পূর্বপরিচয়ের সুবাদে অভিযুক্ত চাঁদনী তাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে মঙ্গলবার সকালে একই গ্রামের হাজি মফিজুর রহমানের বাড়ির বারান্দায় ভুক্তভোগীর নিথর দেহ পড়ে থাকার খবর পায় তার পরিবার। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় বিএমআই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ভুক্তভোগীর মা খবরের কাগজকে বলেন, ‘অভিযুক্ত সাব্বির ও চাঁদনী, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে আমাদের গ্রামে মফিজুর রহমানের বাড়িতে ভাড়ায় থাকত। চাঁদনী আমার মেয়ের পূর্বপরিচিত। সেই সুবাদে গত ১৩ জুলাই চাঁদনী আমার মেয়েকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরদিন ১৪ জুলাই রাত ১০টার দিকে তারা ভাড়া বাসায় প্রবেশ করেছিল। পরিকল্পিতভাবে চাঁদনীর সহায়তায় ওই বাসাতেই আমার মেয়েকে সাব্বির, কেচি রাকিব ও আশিক পালাক্রমে ধর্ষণের পর হত্যা করে পালিয়েছে।’

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিঞা বলেন, ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। তদন্ত শেষে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহিদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

ইমতিয়াজ/পপি/

সোহাগ হত্যাকাণ্ড: পাথর নিক্ষেপকারীকে পটুয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০১:০৫ পিএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০১:১০ পিএম
সোহাগ হত্যাকাণ্ড: পাথর নিক্ষেপকারীকে পটুয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার
সোহাগকে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়। ভিডিও থেকে নেওয়া

পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল চত্বরে ভাঙারি ব্যবসায়ী লালচাঁদ সোহাগকে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে দেওয়া আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাতে পটুয়াখালীর ইটবাড়িয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকার ডিবি পুলিশ। 

বুধবার (১৬ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম।

তি‌নি জানান, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডি‌বি) এক‌টি দল এসে রাতে সোহাগ হত‌্যা মামলার এক আসামি‌কে ইটবা‌ড়িয়া থেকে ধরে নিয়ে চলে গেছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান এখনো চলমান থাকায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

এদিকে ডি‌বি পু‌লিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার অন্য আসামিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ‌্য এবং তথ‌্যপ্রযু‌ক্তির সহায়তায় নি‌শ্চিত হয়েই তারা রাতে পটুয়াখালীতে অবস্থান করে। পরে প্রযু‌ক্তির সহায়তায় ইটবা‌ড়িয়া এলাকার এক‌টি বাসা থে‌কে ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ‌্য অনুযায়ী আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব‌্যাহত রয়েছে।

সূত্রে আরও জানা যায়, পটুয়াখালীর ইটবা‌ড়িয়া থেকে গ্রেপ্তার হওয়া আসামিই ব‌্যবসায়ী সোহাগের নিথর দেহের ওপর পাথর‌ নিক্ষেপকারী এতটুকু নি‌শ্চিত হওয়া গেছে। কিন্তু গ্রেপ্তার না হওয়া অন‌্য আসামিরা যেন সতর্ক না হয়ে যায়, সে কারণে তার নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না।

এ নিয়ে সোহাগ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে, গত ৯ জুলাই বিকেলে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকের সামনে ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যে নৃশংস এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। হত্যার আগে সোহাগকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে এবং ইট-পাথর দিয়ে আঘাত করে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করা হয়। 

ঘটনার পরদিন নিহত সোহাগের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সূত্র: ইউএনবি

সালমান/

রাঙামাটিতে অপহরণের ৮ দিন পর খামারির মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৫, ০৪:২৭ পিএম
রাঙামাটিতে অপহরণের ৮ দিন পর খামারির মরদেহ উদ্ধার
নিহত পোল্ট্রি খামারি মো. মামুন

রাঙামাটির কাউখালীতে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে অপহরণের আটদিন পর পোল্ট্রি খামারি মো. মামুনের (২৫) বস্তাবন্দি দ্বিখণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তি দেওয়ায় কামরুল ইসলাম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকালে কাউখালীর নাইল্যাছড়ি মাঝের পাড়া এলাকার কামরুলের দেখিয়ে দেওয়া পাহাড়ের ঢালে মাটিতে পুঁতে রাখা মরদেহ উদ্ধার করে কাউখালী থানা পুলিশ। 

এর আগে সোমবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যায় হত্যাকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত কামরুল ইসলামকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় লক্ষ্মীপুর জেলার ভবানিগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে কাউখালী থানা পুলিশ।

নিহত মামুন কাউখালীর কলমপতি ইউনিয়নের সুগারমিল আদর্শগ্রাম এলাকার আলী আহম্মেদের একমাত্র ছেলে। মামুনের আট ও তিন বছর বয়সী দুই ছেলে এবং ৯ মাস বয়সী এক মেয়ে রয়েছে। 

আর গ্রেপ্তার কামরুল মামুনের সাবেক কর্মচারী ও একই ইউনিয়নের ডাব্বুনিয়া এলাকার সেলিম সওদাগরের ছেলে।

এদিকে মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে সকালে স্থানীয় উৎসুক বাসিন্দারা উদ্ধার অভিযান এলাকায় ভিড় করেন। পরে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের হেফাজতে থাকা অভিযুক্ত কামরুলের ওপর হামলার চেষ্টা করেন।  এ সময় তারা কামরুলসহ হত্যায় জড়িত সবার ফাঁসি দাবি করেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জেরে গত ৭ জুলাই বিকেলে অপহৃত হন মো. মামুন। পরে মামুনের স্ত্রীর কাছে ফোনে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। মুক্তিপণ পরিশোধে পার্শ্ববর্তী চট্টগ্রামের রাণীরহাট এলাকায় আনোয়ার (২০) নামে এক ব্যক্তির কাছে দুটি চেক পাঠান মামুনের পরিবার। এই চেকের সূত্র ধরে আনোয়ারকে আটকের পর উঠে আসে অপহরণের সঙ্গে জড়িত মামুনেরই সাবেক কর্মচারী কামরুলের নাম। পরে মামুনের স্ত্রীর নিখোঁজ ডায়েরির প্রেক্ষিতে কাউখালী থানা পুলিশ কামরুল ইসলামের স্ত্রী সাথী আক্তারকেও আটক করে। 

পুলিশ হেফাজতে কামরুলের স্বীকারোক্তির বরাতে পুলিশ জানায়, মামুনকে পার্শ্ববর্তী রানীরহাট এলাকায় ভাড়া বাসায় চায়ের সঙ্গে নেশাদ্রব্য খাইয়ে অজ্ঞান করে স্ত্রীসহ মিলে হত্যা করে। পরে মরদেহ দ্বিখণ্ডিত করে বস্তায় ভরে কাউখালীর মাঝের পাড়া এলাকায় নিজের ফুফা শ্বশুরের বাড়ির পাশের পাহাড়ে মাটিতে পুঁতে রেখে পালিয়ে যান।  

রাঙামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহেদুল ইসলাম বলেন, 'এ ব্যাপারে কাউখালী থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার কামরুলকে আদালতে উপস্থাপন করে রিমান্ড চাওয়া হবে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে খুঁজে বের করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইতোমধ্যে কামরুলের স্ত্রী সাথী আক্তার ও চেক গ্রহণকারী আনোয়ারকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।'

জুয়েল /মেহেদী/

মহাখালীতে হাসপাতালের পেছনে পথশিশুকে ধর্ষণ

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৫, ১২:১০ পিএম
আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৫, ০৫:২০ পিএম
মহাখালীতে হাসপাতালের পেছনে পথশিশুকে ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর মহাখালীর জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পেছনে ৯ বছর বয়সী এক পথশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। 

সোমবার (১৪ জুলাই) রাতে এ ঘটনা ঘটে। 

গুরুতর অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। 

বনানী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ক্যানসার হাসপাতালের পেছনের অংশ থেকে ওই শিশুকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে সব শুনে চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। 

তিনি জানান, প্রাথমিক তদন্তে শিশুটি ফুটপাতে থাকত বলে জানা গেছে। রাতে অজ্ঞাত কোনো এক ব্যক্তি তাকে মুখ চেপে নির্জন জায়গায় নিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এতে শিশুটি শারীরিকভাবে গুরুতর আহত হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় শিশুটিকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরা ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। 

আলমগীর/পপি/

সোহাগ হত্যার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৫, ১০:৫৮ এএম
আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৫, ১১:০৯ এএম
সোহাগ হত্যার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার নান্নু

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগকে (৩৯) প্রকাশ্যে হত্যার অন্যতম আসামি নান্নুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

সোমবার (১৪ জুলাই) রাত ১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ বন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নান্নু পাথর দিয়ে আঘাত করে সোহাগের মৃত্যু নিশ্চিত করাদের একজন।

র‌্যাব-১০ এর অধিনায়ক মো. কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, র‌্যাব-১১ নান্নুকে গ্রেপ্তার করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে।

এ নিয়ে মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

এর আগে গত ৯ জুলাই হাসপাতালের সামনে ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যে নৃশংস এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। হত্যার আগে সোহাগকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে এবং ইট-পাথরের টুকরা দিয়ে আঘাত করে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করা হয়। 

সোহাগ যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদরে। তার ১৪ বছর বয়সী মেয়ে সোহানা ষষ্ঠ শ্রেণিতে এবং ১১ বছর বয়সী ছেলে সোহান চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে।

সোহাগকে হত্যার ঘটনায় রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় গত বৃহস্পতিবার একটি মামলা হয়েছে। নিহতের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম (৪২) মামলাটি করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১৫-২০ জনকে।

অমিয়/