গ্রেপ্তার রোহান মিয়া
ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার নারীর সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করেন যুবক রোহান মিয়া। মোবাইল ফোনে কথা বলার একপর্যায়ে দুজনের বিশ্বস্ততা তৈরি হয়। পরে রোহান ওই নারীর সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা করেন। সে অনুযায়ী দেখাও হয় তাদের। কিন্তু বাড়ি ফিরে যেতে পারেনি ওই নারী। শারীরিক সম্পর্কের পর টাকা আর মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে তাকে হত্যা করে মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
রবিবার (৬ জুলাই) ভোরে ফুলপুর উপজেলার বেপারীপাড়া এলাকা থেকে রোহান মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার রোহান (২৫) তারাকান্দা উপজেলার দাদরা গ্রামের বাসিন্দা। নিহত সুফিয়া খাতুন (৩৪) ফুলপুর উপজেলার পাতিলগাঁও গ্রামের বাসিন্দা।
পিবিআই জানায়, রোহান তার এক বন্ধুর কাছ থেকে সুফিয়ার মোবাইল নম্বরটি সংগ্রহ করেন। এরপর প্রেমের অভিনয় করে সুফিয়াকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন রোহান। গত ২৯ জুন সুফিয়া তারাকান্দা বাজারে ছাগল বিক্রি করতে আসলে রোহান তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। এ সময় সুফিয়াকে নিয়ে ঘুরার কথা বলে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে রাত ৯টার দিকে রোহান তার এলাকার গেসু মিয়ার পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে সুফিয়ার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয়।
শারীরিক সম্পর্ক শেষে একপর্যায়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। এ অবস্থায় সুফিয়া উত্তেজিত হয়ে রোহানকে চড় মারলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সুফিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এর পর হত্যাকাণ্ড গোপন করতে মরদেহ পাশের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে সুফিয়ার সঙ্গে থাকা চার হাজার টাকা ও মোবাইল ফোনটি নিয়ে আত্মগোপনে চলে যায় রোহান।
এদিকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুফিয়ার খুঁজ না পেয়ে তার ছোট ভাই ইলিয়াস থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ৩ জুলাই সকাল ১০টার দিকে দাদরা গ্রামে পরিত্যক্ত বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে বিকট দুর্গন্ধ বের হলে ঢাকনা খুলে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে গলিত মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করে পিবিআই।
এ বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মো. রকিবুল আক্তার বলেন, ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করতে পিবিআই সদস্যরা ছায়া তদন্ত শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় রোহানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার হেফাজত থেকে সুফিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়। বিকেলে রোহানকে আদালতের পাঠানো হয়েছে।
কামরুজ্জামান/রিফাত/