
খুকুর ছড়া বনের ছড়া
রথিন্দ্রজিৎ হিরু
নাচে হাতি নাচে ঘোড়া
নাচে বনের পাখি,
নাচে খুকুর কাজল মাখা
নাচে দুটো আঁখি।
নাচে বানর নাচে হালুম
নাচে হরিণ ছানা,
নাচে খুকুর পুকুর জলে
নাচে বগি কানা।
নাচে জেব্রা নাচে জিরাফ
নাচে ঝুপুরঝুপুর,
নাচে খুকুর কুকুর ছানা
নাচে ঝুমুর নূপুর।
নাচে ভালুক নাচে খরগোশ
নাচে সিংহ মামা,
নাচে খুকুর বন্দি খাঁচায়
নাচে ময়না শ্যামা।
নাচে আলো নাচে ছায়া
নাচে পাহাড় ঝর্ণা,
নাচে খুকুর দুপুর গড়া
নাচে সাগর কন্যা।
কত্ত রকম ফল
বেণীমাধব সরকার
জ্যেষ্ঠ মাসে বাগান ভরে
নানান রকম ফলে,
ছেলে বুড়ো সবার চোখে
সুখের বাতি জ্বলে।
এক বাগানে আম্রপালি
ল্যাংড়া আরেক বাগে,
রং মাখানো সিন্দুরে আম
দেখতে ভালো লাগে।
হিমসাগর ও গোপালভোগে
দৃষ্টি যদি পড়ে
খাওয়ার আগেই জিভের পানি
উথাল পাথাল করে।
লিচু গাছে থোকায় থোকায়
ঝুলছে কত লিচু
ফলের ভারে ন্যুব্জ হয়ে
ডালগুলো হয় নিচু।
কাণ্ড ধরে গলাগলি
করছে কাঁঠালগুলি
মধুর মতো মিষ্টি লাগে
মুখে নিলে তুলি।
কালো জামের মধুর রসে
রঙিন করি মুখ
জ্যেষ্ঠ মাসের ফলের বাহার
দেখলে নাচে বুক।
জ্যৈষ্ঠ মাসে
মো. দিদারুল ইসলাম
জ্যৈষ্ঠ মাসে গাছে গাছে
কাঁচা-পাকা আম,
খোকাখুকি ডালে বসে
খাচ্ছে রঙিন জাম।
আম-কাঁঠালের গন্ধে ভাসে
ওই অদূরের গাঁ,
দাদা ডাকে, কই রে নাতি?
লিচু পেড়ে খা।
ক্লান্ত দুপুর, গাছের ডালে
নানা পাখির ঝাঁক,
পাড়ায় পাড়ায় কোক্কুরুৎ কু
দিচ্ছে মোরগ ডাক।
আনারসের বাগান জুড়ে
মৌমাছি গায় গান,
জামরুল চিবায় কাঠবিড়ালী
মাচায় নতুন পান।
গাঁয়ের পাশেই নদীর বাঁকে
জমজমাট এক হাট,
নানান ফলের বেচাকেনায়
ব্যস্ত নদীর ঘাট।
তোতলা ভূত
হাফিজুর রহমান
খপ করে খায় খাবার
গিলে এক ঢোক,
মাথার থেকে মুখ বড়
লাল দুটো চোখ।
কালো পুরো দাঁতগুলো
ধারালো যেন ছুরি,
ছোট-বড় সব মিলে
অন্তত এক কুড়ি।
হোক না চিকনা দেহের
উদ্দেশ্যে নেই খুঁত,
ক্ষতি করে না মানুষের
তোতলা এই ভূত।
বৃষ্টি
মোহাম্মদ শামীম মিয়া
মেঘের মেয়ের আঁচল ছেঁকে,
বৃষ্টি পড়ে আকাশ থেকে।
বৃষ্টি পড়ে টিনের চালে,
সবুজ বনের গাছের ডালে।
বৃষ্টি পড়ে নদীর ঘাটে,
খোলা সবুজ মাঠে মাঠে।
বৃষ্টি পড়ে দিন ও রাতে,
স্নিগ্ধ মায়া জড়ায় তাতে।
বৃষ্টি পড়ে খাল ও বিলে,
ব্যাঙে ডাকে পুকুর-ঝিলে।
বৃষ্টি পড়ে চোখের পাতায়,
দৃশ্য আঁকা মনের খাতায়।