ঢাকা ৫ চৈত্র ১৪৩১, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
English

বাবুরহাটে কাপড়ের জোগান এবার কম

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৪, ০১:৪৫ পিএম
বাবুরহাটে কাপড়ের জোগান এবার কম
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা বাবুরহাটে এসে কাপড় কিনে নিয়ে যান। ছবি: খবরের কাগজ

ঈদকে সামনে রেখে চাহিদা বাড়ে দেশীয় ছাপা কাপড়ের। তাই জমজমাট দেশের সবচেয়ে বড় দেশীয় কাপড়ের পাইকারি বাজার নরসিংদীর শেখেরচর বাবুরহাট। গত বছরের চেয়ে কাপড়ের দাম বেশি হলেও চাহিদামতো কাপড় কিনতে দেখা গেছে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ক্রেতাদের। তবে গতবারের চেয়ে কাপড়ের জোগান কম বলে জানান বিক্রেতারা।

স্থানীয় কাপড় উৎপাদন করা পাওয়ারলুম মালিকরা বলছেন, অন্য বছরের তুলনায় এবার সুতার দাম প্রতি পাউন্টে ২০ টাকা বেশি, তাই কাপড়ের দাম বেড়েছে। এ ছাড়া কাপড় তৈরির কাঁচামাল সংকটের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। 

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে অবস্থিত বাবুরহাটে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৫ হাজার ৫০০ দোকান রয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার এ তিন দিন কাপড়ের হাট বসে। তবে ঈদ মৌসুমে রবিবার ও সোমবার কাপড় কেনাবেচা হয়ে থাকে।

সম্প্রতি সরেজমিনে বাবুরহাট ঘুরে দেখা গেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রতিবারের মতো এবারও কাপড়ের ভিন্ন জাতের রং ও ডিজাইনের শাড়ি, লুঙ্গি, থ্রি-পিস, থান কাপড়, বিছানার চাদর, শার্টের কাপড়, প্যান্টের কাপড়, পাঞ্জাবির কাপড় ও গামছাসহ দেশীয় প্রায় সব ধরনের কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া হাটে পাওয়া যাচ্ছে আমদানি করা শাটিন কাপড়, বোরকাসহ নানা জাতের কাপড়।

হাটে কাপড় কিনতে আসা স্বর্ণা রাণী শাহ জানান, প্রথমবারের মতো তিনি ঢাকার মালিবাগ থেকে বাবুরহাটে কাপড় কিনতে এসেছেন। ওড়না, ব্লাউজ, সালোয়ারের জন্য এক রঙের কাপড় ও গোল জামা, ম্যাক্সির জন্য প্রিন্টের গজ কাপড় কিনেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। এগুলো তিনি অনলাইনে বিক্রি করবেন। রোজায় ছাপা ও গজ কাপড় চাহিদা বেশি থাকে বলে জানান তিনি।

ঝালকাঠি থেকে লুঙ্গি-গামছা নিয়ে হাটে এসেছেন তায়েব আলী মুন্সি। তিনি জানান, তাদের বাড়িতে ৮টি হস্তচালিত তাঁতকল আছে। তাদের তাঁতকলে ছোটদের লুঙ্গিসহ প্রায় ছয় রকমের গামছা তৈরি করেন। একটা সময় ৫ টাকা দামের গামছা বিক্রি করেছেন। এখন ৩০০ টাকার গামছাও রয়েছে। প্রতি বৃহস্পতিবারে হাটে আসেন এবং শুক্রবার চলে যান।

সিলেট থেকে আলাউদ্দিন শেখ ও তার বন্ধু রফিক মিয়া কাপড় কিনতে বাবুরহাটে এসেছেন। তারা জানান, প্রায় দুই যুগ ধরে তারা কাপড়ের ব্যবসা করছেন। দুজনেই এই হাট থেকে পাইকারি দরে কাপড় কিনে সিলেটের জিন্দাবাজার, জাফলং শাহপরানসহ গ্রামের বাজারগুলোর দোকানে বিক্রি করেন। তারা আনুমানিক ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার লুঙ্গি, গামছা, তাঁতের শাড়ি ও বিছানার চাদর কিনেছেন। এবার কাপড়ের দাম কিছুটা বেশি।

পছন্দ অনুযায়ী নতুন নতুন ডিজাইনের কাপড় কিনতে দোকানে দোকানে ভিড় করছেন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ব্যবসায়ীরা। বাজারের প্রতিটি গলিতে কাপড় আনা নেওয়ায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা। সবাই যে শুধু ঈদের জন্য জামা কাপড় কিনতে এসেছেন তা নয়। অনেকেই এসেছেন পাইকারি দারে জাকাতের কাপড় কিনতে। 

অন্য জেলার ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ভিড় করছেন স্থানীয় খুচরা ক্রেতারাও। নরসিংদী পৌর শহরের বাসিন্দা রবিন সরকার জানান, দুটা লুঙ্গি ও একটি বোরকা কিনেছেন। শহরের খুচরা দোকান থেকে ২০০ টাকা কমে পেয়েছেন কাপড়গুলো।

বাবুরহাটের বাসিন্দা কাপড় ব্যবসায়ী একে ফজলুল হক বলেন, ‘এখন ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতিতে হাট জমজমাট হয়ে উঠেছে। ১৯৩৭ সালে কালু বাবু নামে এক জমিদার কাপড়ের বাজারের জন্য এক একর জমি দান করেন। বর্তমানে ১৫ একর জমিজুড়ে এই হাট বসে। পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে বাজারটি পরিচালিত হয়।’ 

শেখেরচর বাবুরহাট বণিক সমিতির সভাপতি ও শিলমান্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গেয়াস উদ্দিন মাস্টার বলেন, ‘হাটের দোকানগুলোতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ঈদকে ঘিরে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার কেনাবেচার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারি ক্রেতারা আসতে শুরু করায় রোজার এক সপ্তাহ আগে থেকেই পুরোদমে কেনাবেচা শুরু হয়েছে। বাবুরহাটে দেশের কাপড় উৎপাদনকারী প্রায় সব শিল্পপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব একাধিক শোরুম রয়েছে। এসব বস্ত্র কোম্পানির বেশির ভাগ কারখানাও নরসিংদী জেলাকেন্দ্রিক। ফলে এখানকার উৎপাদিত কাপড়ের গুণগত মান ভালো হওয়ার পাশাপাশি দামেও সাশ্রয়ী। দেশের ৭০ ভাগ কাপড়ের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে।’

এদিকে চার মাসের ব্যবধানে ফের শনিবার (২৩ মার্চ) রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৩২টি দোকান পুড়ে গেছে। এ ঘটনার পর থেকে বাজারে অন্য ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে রয়েছেন। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকজন দোকান মালিককে খোলা আকাশের নিচে কাপড় বিক্রি করতে দেখা গেছে। 

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, হাটে অগ্নি নির্বাপণের কোনো ব্যবস্থা নেই। ব্যবসায়ীদের স্বার্থ ও বাবুরহাটের ঐতিহ্য রক্ষা করতে হাটকে আধুনিকায়ন করতে হবে। 

হাটে আগুন লাগার কারণ খুঁজতে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করেছে নরসিংদী জেলা প্রশাসক। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।

ঈদের দিন শুল্ক স্টেশনে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৪:৪৬ পিএম
ঈদের দিন শুল্ক স্টেশনে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)

আসন্ন ঈদুল ফিতরের ছুটিতে কাস্টম হাউস বা স্টেশনগুলোতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সীমিত আকারে চালু এবং ঈদের দিন সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

বুধবার (১৯ মার্চ) এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব (কাস্টমস নীতি) মুকিতুল হাসান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য নিরবচ্ছিন্ন রাখতে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত (ঈদের দিন ব্যতীত) সাপ্তাহিক ছুটি ও ঈদের ছুটির দিনগুলোতে আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত কার্যক্রম সীমিত আকারে চলমান রাখার প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

ঢাকা, চট্টগ্রাম, বেনাপোল, আইসিডি, কমলাপুর, মোংলা, পানগাঁও কাস্টম হাউসের কমিশনারদের কাছে এ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা (উত্তর), ঢাকা (পশ্চিম), ঢাকা (পূর্ব), ঢাকা (দক্ষিণ), চট্টগ্রাম, রাজশাহী, যশোর, খুলনা, সিলেট, রংপুর, কুমিল্লা কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কমিশনারকেও এমন নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। সূত্র: বাসস

অমিয়/

মুদ্রা বিনিময় হার: ১৯ মার্চ, ২০২৫

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৪:০০ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৪:২৮ পিএম
মুদ্রা বিনিময় হার: ১৯ মার্চ, ২০২৫
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

দিন দিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্প্রসারিত হচ্ছে বাংলাদেশের ব্যবসা–বাণিজ্য। তাছাড়া, পড়াশোনা, চিকিৎসা, ভ্রমণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রয়োজনে বিদেশি মুদ্রার সঙ্গে আমাদের দেশের মুদ্রা বিনিময় করতে হয়।

একটা বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন, মুদ্রার বিনিময় হার প্রতিদিন পরিবর্তিত হয়। আমরা প্রতিদিন সর্বশেষ বিনিময় হার তুলে ধরছি। আরও বিস্তারিত জানতে স্থানীয় ব্যাংক বা বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা বা তাদের ওয়েবসাইট পরিদর্শন করা যেতে পারে।

মুদ্রা ক্রয় (টাকা) বিক্রয় (টাকা)
ইউএস ডলার ১২১.০০ ১২২.০০
ইউরো ১৩৩.৫০ ১৩৩.৫৪
ব্রিটেনের পাউন্ড ১৫৮.৬০ ১৫৮.৬২
অস্ট্রেলিয়ান ডলার ৭৭.৬০ ৭৭.৬২
জাপানি ইয়েন ০.৮১৭৩ ০.৮১৭৪
কানাডিয়ান ডলার ৮৫.৩০ ৮৫.৩২
সুইস ক্রোনা ১২.১৪ ১২.১৬
সিঙ্গাপুর ডলার ৯১.৬৯ ৯১.৭০
চায়না ইউয়ান ১৬.৮৭ ১৬.৮৮
ইন্ডিয়ান রুপি ১.৪০৯৯ ১.৪১০৭
সৌদি রিয়াল ৩২.২৫ ৩২.৫৪
আরব আমিরাত দেরহাম ৩২.৯৪ ৩৩.২২

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর শেয়ার ছাড়ার প্রস্তাব

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:১১ পিএম
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর শেয়ার ছাড়ার প্রস্তাব
খবরের কাগজ

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুরোধ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চিঠি দিয়েছে পুঁজিবাজারের স্টক ব্রোকারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)। গতকাল মঙ্গলবার (১৮ মার্চ)  ডিবিএর প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে এই আবেদন জানানো হয়।

আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার গত ১৫ বছর ধরে চরম অনিয়ম, অপশাসন ও অস্থিরতার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছে। নানান অনিয়মের ফলে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান প্রায় অকার্যকর ও ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকৃত রিটার্ন এবং মূলধন হ্রাস পেয়ে বাজার প্রকৃত অর্থে প্রায় ৪০ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, অতীতে বিভিন্ন প্রতিকূল ঘটনা এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক ঘটনার কারণে বাজার ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। বিশেষ করে ১৯৯৬ এবং ২০১০ সালের স্ক্যামগুলো বাজারের আর্থিক সংকট হিসাবে দাঁড়িয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা এবং বাজারের সামগ্রিক অখণ্ডতার স্থায়ী ক্ষতি করেছে। এ সময়ে অসংখ্য কোম্পানির শেয়ারের মূল্য কৃত্রিমভাবে বৃদ্ধির ফলে বিনিয়োগকারীদের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। 

২০২০ সালে কোভিড-১৯ এবং পরবর্তী সময়ে প্রায় ২০ মাস ধরে শেয়ারের দামের ওপর ফ্লোর প্রাইস আরোপের ফলে বাজারের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক ফান্ড ম্যানেজাররা বাংলাদেশ থেকে দূরে সরে গেছে এবং স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সঞ্চয় ও বিনিয়োগের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো, মানহীন আইপিও তালিকাভুক্তির মাধ্যমে বাজার থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে, যার ফলে বাজারে স্থায়ী তারল্যসংকট ও আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, পরিচালনাকারী সংস্থা, তালিকাভুক্ত কোম্পানি, বাজার মধ্যস্থতাকারী এবং আর্থিক নিরীক্ষক, রেটিং এজেন্সিসহ অন্য স্টেকহোল্ডারদের মাঝে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি ঘাটতির কারণে আস্থার মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে। আপনার নেতৃত্বে আমরা যদি এই সংকট থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসতে না পারি, তাহলে আমরা বাজারকে ঘুরে দাঁড়ানোর, এতে শৃঙ্খলা আনার এবং রাষ্ট্রের জন্য ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য মূলধন সংগ্রহের পরিবেশ তৈরি করার একটি চমৎকার সুযোগ হারাব।

তাই জবাবদিহি কাঠামো নিয়ে কাজ করার সময় আমাদের অবশ্যই আইপিও দিয়ে বাজারকে সমৃদ্ধ করতে হবে এবং বাজার মধ্যস্থতাকারী ও বিদ্যমান বিনিয়োগকারীদের দুর্ভোগ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য নতুন পণ্য ও কোম্পানি তালিকাভুক্ত করতে হবে। কম বাণিজ্যের পরিমাণ, বিনিয়োগযোগ্য স্টকের অভাব এবং সরবরাহের অসামঞ্জস্যতা, অনুমানমূলক এবং ম্যানিপুলেটিভ কৌশলগুলোর জন্য প্রজনন ক্ষেত্রের দিকে পরিচালিত করে। এ পরিবেশ থেকে বাঁচতে যত দ্রুত সম্ভব উচ্চমানের আইপিও পুঁজিবাজারে আনা প্রয়োজন।

বাণিজ্যিক ও অবকাঠামো খাতে আমাদের অসংখ্য লাভজনক রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উদ্যোগ রয়েছে। যদি এসব সংস্থা বাজারে তালিকাভুক্ত হয়, তবে বাজারে মানের স্টকগুলোর ক্রমবর্ধমান সরবরাহ থাকবে, যা চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করতে সহায়তা করবে। এটি বিনিয়োগকারীদের বাজারে ফিরিয়ে আনবে এবং বাজারে তারল্য সমস্যার সমাধান করবে।

বাংলাদেশে অনেক সুশাসিত, বড় বহুজাতিক কোম্পানি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে, তাদের মধ্যে কিছু শত বছরের, দেশের অবকাঠামোগত, আর্থিক ও মানবসম্পদকে একত্রিত করছে। আমরা সরকারকে সরাসরি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানিগুলোতে থাকা তার অংশীদারত্ব অফলোড করা জরুরি।

ডিবিএর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারের বৃহৎ স্বার্থে প্রধান উপদেষ্টা আমাদের আবেদনটি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করবেন এবং এর বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

লেনদেনের শীর্ষে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:০৫ পিএম
লেনদেনের শীর্ষে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন
ছবি: সংগৃহীত

গতকাল মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৯৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। এর মধ্যে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গতকাল কোম্পানিটির ১৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা স্কয়ার ফার্মার ১৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর ১৩ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করায় তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান নিয়েছে ফু-ওয়াং ফুড লিমিটেড।

এদিন লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো শাইনপুকুর সিরামিক, হাক্কানি পাল্প, ওরিয়ন ইনফিউশন, ইউসিবি, কাট্টলী টেক্সটাইল, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স এবং আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

দুই পুঁজিবাজারে কমেছে লেনদেন

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ পিএম
দুই পুঁজিবাজারে কমেছে লেনদেন
ছবি: সংগৃহীত

টানা দুই কার্যদিবস দরপতনের পর গতকাল মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এতে বেড়েছে প্রধান মূল্যসূচক। তবে কমেছে অন্য দুই সূচক। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।

এদিন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠান। এতে বাজারটিতেও প্রধান মূল্যসূচক কিছুটা বেড়েছে। তবে ডিএসইর মতো এই বাজারেও কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।

এদিন ডিএসইতে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়লেও বেশি দাপট দেখিয়েছে মিউচুয়াল ফান্ড। লেনদেনে অংশ ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩২টির দাম বেড়েছে। অন্যদিকে ১টির কমেছে এবং ৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ‘জেড’ গ্রুপের ৯৫টি কোম্পানির মধ্যে ২৯টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ৩৯টির এবং ২৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এদিকে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ভালো কোম্পানি বা ‘এ’ গ্রুপের ২২০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১১৭টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ৮৩টির এবং ২০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ‘বি’ গ্রুপের ৪০টি কোম্পানির শেয়ার দাম বেড়েছে। আর কমেছে ৩৪টি এবং ৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১৮৬টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৬টির। আর ৫৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ২১০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৫৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৮২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

মূল্যসূচক মিশ্র থাকার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৫১ কোটি ১৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫০৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৫৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১২ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮৭টির এবং ৩১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪ কোটি ৪ লাখ টাকা।